এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামে একদিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।কিছুদিন আগে একটি পোস্টে আমি বলেছিলাম মা-বাবাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম নিউটাউনের দিকে।সেখানে গিয়েই প্রথমেই গেছিলাম নিউটাউন রাম মন্দিরে এরপরে গিয়েছিলাম এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম ও কফি হাউজে। সেখানের কিছু মুহূর্ত আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মা-বাবাকে সাথে করে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ নিজে ঘোরার থেকে যদি মা-বাবা ঘুরতে গিয়ে সবচেয়ে আনন্দ পায়। তখন নিজেরও একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। প্রথমে আমরা নিউ টাউন রাম মন্দির গিয়েছিলাম। এবং সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে অনেক কিছু দেখেছিলাম। তারপর ফেরার পথে এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম দেখতে গিয়েছিলাম। রাম মন্দির থেকে এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম এর দূরত্ব মোটামুটি ১০ মিনিট। এই মিউজিয়ামে দেখতে গেলে দিনের বেলা গেলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে । যেহেতু মিউজিয়াম তাই সন্ধ্যে হয়ে গেলে খুব একটা লোকও থাকে না ।আর ফাঁকা ফাঁকা দেখতে ভালোও লাগে না। কিন্তু এই জায়গাটা অনেক সুন্দর।
এয়ারক্রাফ্ট মিউজিয়াম হল ভারতের কলকাতার নিউ টাউনে অবস্থিত একটি সামরিক বিমান যাদুঘর । এটি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দ্বারা নির্মিত ,এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম কিন্তু দেখার মতো ।তার থেকেও বড় কথা এখানে যে যুদ্ধবিমানটি রয়েছে সেটা দেখাও কিন্তু বিসল ব্যাপার। সাথে এরকম যুদ্ধবিমান একমাত্র দুটো জায়গাতেই রয়েছে প্রথম বিশাখাপত্তনামে এরকম একটি যুদ্ধ নির্মাণ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে আর কলকাতার নিউটনের এরকম যত বিমান সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।এবং এই বিমান থেকে অনেক শিক্ষনীয় জিনিস যেটা ছোট থেকে বড় সকলেরই দেখতে খুবই ভালো লাগবে । এই যুদ্ধ বিমানটির মধ্যেই বড় মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে ।এমনকি এই বিমানটি কিন্তু নকল নয় পুরোটাই আসল।
এখানে এই যুদ্ধবিমানটিকে এত বড় করে দেখানো হয়েছে এই কারণেই ,কারণ এই বিমানটিকে প্রায় কুড়ি বার মত যুদ্ধ করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাছাড়াও আমাদের প্লেনে চড়ার ভাগ্য হলেও অনেকের যুদ্ধবিমান দেখার কিন্তু এত সৌভাগ্য থাকে না। তাই জন্যই যুদ্ধবিমান দেখার জন্য প্রচুর লোক এখানে ভিড় করে। এমনকি যুদ্ধবিমানের ভিতরে কি কি থাকে এবং কি কি ফাংশন রয়েছে সমস্ত কিছু ডিটেলস রয়েছে এবং এই বিমানের ভিতরে কি রয়েছে তা দেখাশোনা করার জন্য কেয়ারটেকার রয়েছে। এমনকি কোন জিনিস কি কাজে ব্যবহৃত হয় এবং কি কাজে ব্যবহৃত হয়েছে সে সব জিনিস এই বিমানেরএর ভিতর ঢুকলে তারা বুঝিয়ে দেয়। যেহেতু ছবি তোলা নিষেধ তাই জন্য ছবি দেখাতে পারলাম না ।
মিউজিয়ামে এসে আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি। কারন আমার ঘোরা হয়ে গেল যেহেতু মা-বাবার ঘোরা ছিল না তাই একেবারেই নতুন ছিল পুরো ব্যাপারটাই তাদের কাছে। তাই খুব ভালো লেগেছিল তাছাড়া এই মিউজিয়ামটি পাশ দিয়ে এমন কিছু কিছু অ্যাক্টিভিটিজ রয়েছে। যেগুলো নৌ সেনাবাহিনীর দের শেখানো হয়। সেই রকমই ভাবেই একটা ছোট পার্ক মতো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলাও করে এবং পার্কটি ভীষন সুন্দর দেখতে।এবং খুব সুন্দরভাবে আর চারিদিকটা ফুল গাছ দিয়ে সাজানো ।সবমিলিয়ে এয়ারক্রাফ্ট মিউজিয়াম খুব সুন্দর একটি জায়গা বলা যেতে পারে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলেই বাবা মা কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।আপু আপনার এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামের বর্ননা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।কিছু কিছু জায়গায় রাতের বেলা বেশ ভালো লাগে আবার কিছু কিছু জায়গায় দিনের বেলায়ই বেশ ভালো।যুদ্ধ বিমানটি ২০ বার যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে জেনে বেশ অবাক লাগলো।আসলেই এসব জায়গা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ দিদি, বিমানে চড়ারভাগ্য অনেকের হলেও যুদ্ধবিমানের কাছে গিয়ে দেখার ভাগ্য অনেকেরই হয় না তবে এই এয়ারক্রাফট জাদুঘরের মাধ্যমে অনেকেরই এই অভিজ্ঞতা হয়েছে আর ভিতরের পরিবেশটাও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বাবা মায়ের সাথে জায়গাটি ঘুরে সে সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
উড়োজাহাজ শান্ত এবং আপনি সুন্দর
সত্যি বলতে নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে কখনো সেরকম ঘুরতে যাওয়ায় হয়নি। সেজন্য এর মজাটাও মিস করে গেছি বলতে পারেন। এয়ার ক্রাফট জাদুঘর সম্পর্কে জেনে বেশ অবাক হয়েছি। সরাসরি যুদ্ধ করা বিমানও এখানে স্থান পেয়েছে। আর সেটা দেখার সুযোগও রয়েছে সাধারণ জনগণের। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন দিদি।
প্রতিটা সন্তানের জন্য বাবা মা হলো আশীর্বাদ স্বরুপ। বাবা-মা সুখে নিজের সুখ। বাবা মা বেড়াতে গেলে আপনার যে ভালো লাগে আপু এটা জানার পর আমার অনেক ভালো লেগেছে। এর অর্থ বোঝা যাচ্ছে আপনি, আপনার বাবা মাকে কতটা ভালোবাসেন। বাবা-মার পদে সন্তানের এমন ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। বাবা মায়ের সাথে এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামে খুব দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
মা-বাবার আনন্দ নিজের কাছে অনেক বড় পাওয়া মনে হয়। যেমনটা আপনি মা-বাবাকে নিয়ে এয়ারক্রাফ্ট মিউজিয়ামে ঘুরতে গিয়েছেন। জায়গাটি খুবই সুন্দর অনেক বড় যুদ্ধবিমান তার বিস্তারিত সেখানে দেওয়া আছে যেটা থেকে অনেক কিছু জানতে পারা যায়। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো জায়গাটি ভালই উপভোগ করলাম।
পরিবার সাথে থাকলে কিছুই আর দরকার পড়ে না। আপনি বেশ ভালোই করেছেন যে বাবা মাকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছন। তবে আপনাদের দেশের ইয়ার ক্র্যাফট মিউজিয়াম কিন্তু বেশ সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ও বেশ দারুন হয়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধ জাহাজ টি তো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
চট্টগ্রাম এ এধরণের কোনো এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম আছে বলে মনে হয়না,তাই অভিজ্ঞতাও নেই।সত্যিই বিশাল ব্যাপার,আগে কখনো দেখা হয়নি।
বাবা-মাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতিগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।এয়ার ক্রাফট জাদুঘর সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানা হলো।সাধারন জনগন দেখতে পারছে এটা খুব আনন্দের বিষয়। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
এটা কিন্তু দিদিভাই আসলেই অবাক করার মত বিষয়। আমি এটাই ভাবছি যে, না জানি বিমানটা বাস্তবে আসলেই কত বড়, পুরো বিমানের ভিতরে মিউজিয়াম। জাস্ট অসাধারণ চিন্তাভাবনা। পরিবারের সঙ্গে যে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন, তা আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
শুভেচ্ছা রইল দিদি ভাই 🙏