চিড়িয়াখানায় (পর্ব -১)
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজআমি আপনাদের সাথে চিড়িয়াখানা যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। গত একটি পর্বে আমি কালীঘাট মন্দিরের পূজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছিলাম । কালীঘাট মন্দিরের প্রচুর ভিড় থাকায় সেই দিন মায়ের দর্শন না করতে পারলেও দূর থেকে পুজো দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু মায়ের দর্শন করতে পারিনি তাই খুব তাড়াতাড়ি ওখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি যেহেতু মা-বাবার সাথে গিয়েছিলাম তাই মা-বাবার ইচ্ছা ছিল সেদিনকে কোথা থেকে ঘুরে তারপর বাড়ি আসবে।
তাই ভাবলাম কাছাকাছি চিড়িয়াখানা পড়বে ,সেখান থেকেই চিড়িয়াখানায় যাওয়া। আমি প্রায় ১২ বছর আগে চিড়িয়াখানা গিয়েছিলাম। এর মাঝখানে যাবো যাবো বলে আর যাওয়া হয়নি। তাই একবার ঘুরতে চলেই এলাম মা-বাবার সাথে।
১২ বছর আগে যেহেতু গিয়েছিলাম তাই প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম । আর এত বছর পর যাচ্ছি বলে আলাদা একটা উত্তেজনাও কাজ করছিল ।যাইহোক চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখলাম। কিন্তু একটা কথা না বলে পারলাম না চিড়িয়াখানা পশু পাখিদের দেখে যতটা ভালো লাগা কাজ করে ততটা ভালোলাগা একেবারেই কাজ করেনি।
কলকাতার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এই চিড়িয়াখানা কিন্তু প্রচুর পরিচিত এবং জনপ্রিয় বলা যেতে পারে। কিন্তু যতটা জনপ্রিয় চিড়িয়াখানা, যতটা সুন্দর হওয়া দরকার ছিল ততটা একেবারেই নয় চারিদিকে নোংরা হয়ে রয়েছে। এমনকি পশুদের দেখলে মনে হচ্ছে তাদেরকে ঠিক করে খাবারও দেয় না। আর এদিকে সরকার প্রচুর টাকা এখানে খরচ করে নির্মাণ করার ক্ষেত্রে ।সেটা যে কাজে লাগাবে সেটা একেবারেই নয়।
এমনকি বাঘ যেখানে আমাদের জাতীয় পশু, সেখানে বাঘকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে কোনো রকম তাকে খাবার দিয়ে যত্ন করা হয় যে, একেবারে শীর্ণকায় ধরনের লাগছিল। আর এটা দেখতে আমার একেবারেই ভালো লাগেনি। আবার অনেক পশুপাখি আমরা ঠিক করে দেখতেও পারিনি আর এমনকি খুব অপরিষ্কার এবং অপরিচ্ছন্ন ছিল। তবুও কিছু পশু পাখি আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
১২ বছর আগের চিড়াখানা বর্তমানে দেখে দিদি আপনার ভালো লাগে নি তা বুঝতে পারছি। কেন যেন মনে হচ্ছে এখানকার পশু পাখির প্রতি তেমন কোন যত্ন নেওয়া হয় না। তবুও না শেয়ার করা পশু গুলো দেখে বেশ ভালই লাগলো দিদি। ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বৌদি একেবারে ছোটবেলায় ঢাকা মিরপুরের চিড়িয়াখানায় প্রায়ই যেতাম। কারণ আমার ফুপুর বাসার একেবারে কাছেই অবস্থিত ছিলো চিড়িয়াখানাটি। তারপর দীর্ঘ ১০/১১ বছর পর গত বছর গিয়েছিলাম চিড়িয়াখানাতে। কিন্তু চিড়িয়াখানার বাস্তব চিত্র দেখে একেবারেই ভালো লাগেনি। একেবারে নোংরা পরিবেশ এবং প্রাণীদের যত্ন নেয় না তেমন। কলকাতা এবং বাংলাদেশের চিত্র তাহলে একইরকম। আসলে পর্যটন কেন্দ্র এমন হলে, পর্যটকদের একেবারেই আগ্রহ থাকে না যাওয়ার জন্য। কর্তৃপক্ষের অবশ্যই উচিত এই ব্যাপারে সুনজর দেওয়া। যাইহোক তবুও ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম বৌদি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দিদি আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আজকে চিড়িয়াখানা প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন দিদি আপনি চিড়িয়াখানার পশু গুলো দেখলে মনে হয় এদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জাতীয় পশু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রায় সাত বছর হয়ে গেছে, এই চিড়িয়াখানায় লাস্ট যখন আমি গেছি। দিদি, কিছুদিন আগে আমার বন্ধুদের একটা গ্রুপ এই চিড়িয়াখানায় গেছিল, তারাও বলল এর ভিতরে নাকি এখন অনেকটাই নোংরা এবং মেনটেনেন্স ঠিকঠাক করে করা হয় না। কলকাতার নামকরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এটি পরিচিত, সরকারের উচিত এটাকে সঠিকভাবে মেনটেনেন্স করা।
কালীঘাটের মন্দিরে পূজো সেরে চিড়িয়াখানা গেলেন।প্রায় ১২ বছর পর মা-বাবার সাথে গেলেন।তবে চিড়িয়াখানার পশুপাখি দেখে আর পরিবেশ দেখে আপনার ভালো লাগেনি।আসলে এই পশুপাখির যত্ন নেয়া খুব দরকার। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম দিদি।সত্যিই এর যত্ন খুব প্রয়োজন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
শুনে অনেক ভালো লেগেছে দিদি। যেহেতু মায়ের দর্শন পেলেন না তাই পাশে চিড়িয়াখানায় গেলেন। একটা বিষয় খুব বেশি ভালো লেগেছে ১২ বছর আগে যে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলেন। আবারো সেই একই জায়গায় গেলেন। তবে আজকাল শুধু চিড়িয়াখানা নামে রাখা হয়েছে কিন্তু সেখানে কোন পশু পাখির যত্ন নেওয়া হয় না। তাছাড়া ভিতরের পরিবেশ গুলো তেমন ভালোভাবে রাখে না। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দর উপলব্ধি করতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ দিদি।
আপু চিড়িয়াখানার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা আপনার সাথে আমি একমত। আমাদের দেশেও চিড়িয়াখানার পশু পাখিদের তেমন যত্ন করা হয় না। কোনরকম লোক দেখানোর জন্য পশুপাখি গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। শুনেছি বাঘ সিংহের জন্য যে গোস্ত বাজেট করা আছে, সেখান থেকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ গোশত মেরে দেই। সঠিকভাবে প্রাণীগুলোকে খাবার দেওয়া হয় না। তাছাড়া পরিবেশটা খুবই নোংরা করে রাখে। সরকার এদিক দিয়ে তেমন কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। যাই হোক তারপরও আমাদের দেশ থেকে আপনাদের দেশের চিড়িয়াখানাটা মোটামুটি ভালই দেখলাম। করোনার সময় ঢাকার চিড়িয়াখানার কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। বাবা মার সাথে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দারুন কিছু সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ দিদি।
মাঝে মাঝে প্লানিং করে গেলেও সেই প্লানিং অনুযায়ী কাজ করা যায় না, তাইতো মন্দিরের দর্শন ঠিকভাবে না করতে পারলেও সেই উসিলায় আপনারা চিড়িয়াখানা বেড়াতে গিয়েছেন এবং অত্যন্ত চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন দিদি, আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
দিদিভাই, চিড়িয়াখানার বাস্তবিক প্রেক্ষাপট নিয়ে যা লিখেছেন, তা জেনে কিছুটা ব্যথিত হলাম। তবে আপনি যা লিখেছেন তা একদম সত্যি, কেননা আমাদের এখানকার চিড়িয়াখানার অবস্থা আরও করুন।
আমার কাছে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। তবে সেই অনেক আগে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম।২বার গিয়েছি অবশ্য, চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানাতে।তবে সেটা খুব সুন্দর ছিল।আপনাদের সেখানে সুপরিচিত হলেও সেখানের পরিবেশ এবং জীবজন্তুর কোনো উন্নতি নেই জেনে খারাপ লাগলো।