মহালয়ায় কুমোরটুলিতে কিছু মুহুর্ত।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে মহালয়ায় কুমোরটুলিতে কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
প্রথমেই সকলকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।পিতৃপক্ষের শেষ আজ মাতৃপক্ষের শুরু।মহালয়া মানেই বাতাসে পূজো পুজো গন্ধ আর এই পূণ্য তিথিতে প্রতিমার চক্ষুদান পর্ব সারা হয়, গত কয়েক মাসের চরম ব্যস্ততার পর আজ কুমোরটুলি থেকে সপরিবারে মা দূর্গাও রওনা দিচ্ছে মন্ডপে মন্ডপে।
আজ মহালয়া বলে আমি গতকাল সারারাত জেগে ছিলাম ভোর চারটার সময় মহালয়া শুনবো বলে । প্রত্যেকটা বছর বলতে গেলে ছোটবেলা থেকে, যেদিন থেকে জ্ঞান হয়েছে আর কি এই দিন ভোর চারটের সময় উঠে আমি মহালয়া শুনি । আর এই মহালয়া মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণভদ্রের ' মহিষাসুরমর্দিনী ' ।মহালয়া নিয়ে বাঙালির এই আবেগ আজকে নয়, পথচলা শুরু সেই ১৯৩০ এর দশকে। এই দিনেই অল ইন্ডিয়া রেডিও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে উপস্থাপন করেন মহিষাসুরমর্দিনী। আর এই দিন থেকে বাঙালি জীবনে শুরু হয় দুর্গাপুজোর দিন গোনা।জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণ ধারিণী, অভয়াশক্তি বল প্রদায়িনী তুমি জাগো।’ রেডিওয় ভেসে আাসা সেই হৃদয়স্পর্শী দেবী বন্দনা শুনে আজও নস্টালজিক হয়ে পড়েন আপামোর বাঙালি।
আমি এর আগে অনেক পোস্টেই আপনাদের সঙ্গে কুমোরটুলির গল্প ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজকেও আমি কুমোরটুলিতে গিয়েছিলাম আসলে ভোর পাঁচটার সময় যাওয়ার কথা ছিল, তখন যেতে পারিনি তাই আজকে সন্ধ্যার সময় গিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে আজ যেহেতু রবিবার তার মধ্যে মহালয়া আজ রাস্তায় না বেরোলে আমি বুঝতেই পারতাম না যে আজকে থেকেই মানুষ ঠাকুর দেখতে আরম্ভ করে দিয়েছে , রাস্তায় আজ পা ফেলা যাচ্ছিল না। প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের পরনে আজ পাঞ্জাবি আর শাড়ি।আজ যেন একদম নতুন ভাবে মহালয়া দিনটাকে উপভোগ করলাম।আজ আমি রাস্তায় যে পরিমাণ ভিড় দেখেছি জানি না পুজোর কটা দিন কি হবে ।আজকে কুমোরটুলিতে ভোর চারটে থেকেই প্রচুর প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল । করোনার জন্য যে দীর্ঘ দুই বছর প্রতিমা নির্মাণের কাজে নানা ব্যাঘাত দেখা দিয়েছিল তা যেন এই বছর সমস্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে পূরণ হয়ে গেছে।আর তাই এই বছরের কুমোরটুলির পরিবেশ একদম আলাদা ছিল।২০২২সালে কোভিড কাটিয়ে চরম ব্যস্ত কুমোরটুলি।এক কথায় পুরনো ছন্দে ফিরে গেছেন কুমোরটুলির শিল্পীরা। আজ যখন সাড়ে পাঁচটার সময় আমি কুমোরটুলিতে গিয়েছিলাম তখন প্রায় বেশির ভাগ ঠাকুর কুমোরটুলি থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে যাচ্ছে। তাই জন্য এত ভিড় ছিল। আর তার মধ্যে এই বছর বেশিরভাগ ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে ছেলে মেয়ে সকলেই ভিড় করেছে সবাই এই কুমোরটুলির ছবি তুলবে বলে।
ভোর রাত থেকেই সকল প্রতিমা ট্রাকে করে চলে যাচ্ছে দূর দূরান্তে ।কুমোরটুলি থেকে যাওয়া প্রতিমার চক্ষুদান হবে মণ্ডপে। অতিমারি কাটিয়ে বিদেশ থেকেও এবছর প্রচুর পরিমাণে বরাত পেয়েছেন শিল্পীরা। ইতিমধ্যে বহু প্রতিমা ভিনদেশে পাড়ি দিয়েছে। আজকে তাই আমিও কুমোরটুলি গিয়ে সেই সকল ছবি আপনাদের সাথে সকলেই ভাগ করে নিলাম ।আশা করি ছবিগুলো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
অনেক সুন্দর ঠাকুর।ঠিক করোনা কাটিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা অনেক বেশি।।
গত দুইবছর ছিল করোনা মহামারি। কিন্তু এবার সব ঠিকঠাক সেজন্য এবার পুজোয় যে মন্ডপে মন্ডপে অতিরিক্ত ভীড় হবে সেটা বলেই দেওয়া যায়। কুমোরটোলিতে গিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন দিদি। অনেক সুন্দর লাগছে।।
আচ্ছা আপু,
এটার মানে বুঝিনি।
এই দুবছর করোনার জন্য বাইরে খুব কম ঠাকুর গেছে কুমোরটুলি থেকে। আর এই বছর সব স্বাভাবিক হওয়াতে অনেক বায়না পেয়েছে মানে কাজ পেয়েছে ।
এই একটা কারনেই আপনার পোষ্টগুলো পড়তে ইচ্ছে করে, কারন আপনি শুরুতেই অনেক সংশ্লিষ্ট তথ্য শেয়ার করেন, যা পড়ার মাধ্যমে নতুন কিছু জানতে পারি, সত্যি। ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ করেছেন, খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি।
একদম ঠিক বলেছেন দিদি ৷ প্রায় দুই বছর ধরে তেমন কোনো বড় ধরনের পুজো করতে পারি নি ৷ তবে এবার হয়তো বা একটি ভালো পুজো উপভোগ করতে পারবো ৷
দিদি আমিও ভোরবেলা টিভিতে দেখেছি ৷
যদিও আমার বাড়ির কাছে এক মন্দিরে মহালয়া হয় ৷ কিন্তু গতকাল এক ভয়াভয় দূর্ঘটনা ঘটে ৷
তা বলতে চাচ্ছি না ৷
তবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা যেন এবার ভালো ভাবে পুজো করতে পারি ৷ জয় মা দুর্গতি নাশিনী
ঠাকুরগুলি অনেক সুন্দর ।তাছাড়া কুমোরটুলির অনেক নাম বা জনপ্রিয়তা রয়েছে।দিদি আমিও আপনার মত মহালয়া শুনি রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ।আসলে বারবার একই কন্ঠ শুনলেও যেন শোনার প্রতি ইচ্ছেবোধ হয়।করোনা কাটিয়ে এই বছর বেশ পুজোর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।ভালো ছিল ছবিগুলো, ধন্যবাদ দিদি।
মহালয়ায় কুমোরটুলিতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো। সত্যি ঠাকুর গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সত্যিই দিদি, মহালয়ায় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের দরাজ মিষ্টি সেই মহীয়সী বাণী শোনার জন্য হিন্দু ধর্মাবলি সকলি অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। অসাধারণ তার মন্ত্র জপ কৌশল। কুমারটুলির মা দুর্গার প্রতিমা গুলোর অসাধারণ ফটোগ্রাফি হয়েছে।। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।