প্রিন্সেপ ঘাটে কাটানো কিছুটা সময়//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন।আজ থেকে তিনমাস আগের কথা । রথের সময়। মা বাবা পুরীতে গিয়েছিল জগন্নাথ দেবের রথ টানতে। ওই সময়টা আমার পরীক্ষা চলছিল বলে আমি বাড়িতে ছিলাম । যেহেতু আমি একাই ছিলাম সারাদিন পড়তে খুব একটা ভালো লাগতো না তাই একদিন ঠিক করেছিলাম প্রিন্সেপ ঘাট যাবো সবাই মিলে , আর সেদিনটা দাদা একটু ফ্রি ছিল বলে প্রিন্সেপ ঘাট গিয়েছিলাম আমি, ব্ল্যাকস, দাদা ,দিদি আর টিনটিন। খুব তাড়াতাড়ি সেদিন বেরিয়ে গেছিলাম কারণ বিকেলের প্রিন্সেপ ঘাট দেখতে খুব সুন্দর লাগে ।আর ওখানকার পরিবেশটা আমার সব সময় খুব ভালো লাগে আগের অনেক পোস্টে আমি আপনাদেরকে সেটা বলেছিলাম। তাই সেদিন কেউ দেরি করিনি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেছিলাম এবং তাড়াতাড়ি পৌঁছে ও গিয়েছিলাম ।ওখানে গিয়ে দিদির জায়গাটা ভীষণ ভালো লেগেছিল ।প্রচুর ফটো তুলেছিলাম সেদিন। ফটো তুলতে তুলতেই অনেকটা সময় চলে গেছিল ।যাই হোক যখন গঙ্গার ঘাটে এলাম খুব সুন্দর লাগছিল কারণ বিকেলের প্রিন্সেপ ঘাট দেখতে খুব ভালো লাগে। তাই গঙ্গার ঘাটে কিছুক্ষণ বসলাম কিন্তু সেদিন অদ্ভুতভাবে অসম্ভব গরম পড়েছিল, একটুও হাওয়া দিছিল না । এক কথায় ভ্যাপসা গরম যাকে বলে ,তাই বেশিক্ষণ ওখানে থাকতে পারলাম না । কিছুক্ষণ ঘুরে একটা জায়গায় বসলাম সেখানে গিয়ে চা আর কোল্ড ড্রিংকস খেলাম।আর টিনটিন একদম গরম সহ্য করতে পারে না ,কান্নাকাটি করছিল তাই বেশিক্ষন ওখানে থাকতে পারিনি। ।
আর একটা কথা না বললেই নয়। বেশ মজার কথা, @blacks সেদিন ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিল। ব্ল্যাকস ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালোবাসে । খুব সুন্দর ছবি তোলে আমার তো খুব ভালো লাগে ওর তোলা ছবিগুলো। আর এই ছবি তোলা নিয়ে একটা মজার ঘটনা রয়েছে যেটা না বললেই নয় ।সেটা হচ্ছে একবার আমরা বন্ধুরা ঘুরতে গেছিলাম কয়েকজন মিলে। তো ব্ল্যাকস সেদিন ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিল।তার আগে আমি একদিন ওকে বলেছিলাম যে আমার ফটো তুলতে খুব ভালো লাগে।তাই জন্যই ও সেটা মনে রেখেই ওই দিন ক্যামেরা নিয়ে যায়।কিন্তু সেদিন সন্ধ্যে হয়ে গেছিল বলে ফটো তোলা হয়নি আর যতটুকু সময় পেয়ে ও ছিলাম ওই সময়টা ক্যামেরায় ফটো না তুলে ফোনে ফটো তুলছিলাম। তাতে ওর সেদিন এত রাগ হয়েছিল,আমার মনে আছে যতক্ষণ আমার সাথে ছিল সেই দিনটা একফোঁটাও আমার সাথে কথা বলেনি। বুফেতে খেতে গেছিলাম খায়ও নি ।একটাই কথা আমি কেন সেদিন ওর ক্যামেরায় ফটো তুলিনি। তো সেই রাগ ভাঙ্গাতে অনেক সময় লেগেছিল আমার।তাই জন্য প্রিন্সেপ ঘাটে গিয়ে ওকে মন মতো আমাদের ছবি তুলতে বলেছিলাম । সেই ছবি গুলোই আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
সেই দিন খুব কম সময়ের জন্য প্রিন্সেপ ঘাট ঘুরলেও খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম ।ইচ্ছা আছে আবারও কোনো একদিন অনেকটা সময় নিয়ে ঘুরতে আসবো।
প্রিন্সেপ ঘাটের রাতের দৃশ্যগুলি অসাধারণ দিদি।তাছাড়া একা থাকলে ভারী বিরক্ত লাগে মনে।একটু বাইরে ঘুরতে গেলে মন ফুরফুরে হয়ে যায়।তাছাড়া ক্যামেরা দিয়ে ছবিগুলো তোলা বলে বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে।ঠিকই তো ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে ফোনে ছবি তুললে রাগ তো হবেই!যাইহোক দারুণ সময় কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্ল্যাকস দাদা সত্যি অনেক ভালো ফটোগ্রাফি করেন। আমরা উনার ফটোগ্রাফি দেখেছি। মাঝে মাঝে উনি সুন্দর কোন জায়গায় গিয়ে নিরিবিলি সময় কাটান এবং ফটোগ্রাফি করেন। তবে এবার মনে হয় দাদার বেশ রাগ হয়েছে। আপু আপনি দাদার ক্যামেরায় ছবি তুললেই পারতেন। যাই হোক মান অভিমান থাকলে ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। দুজনের জন্যই শুভকামনা রইল আপু।♥️♥️
ছবিগুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে!ব্ল্যাক্স ভাই রাগ করার কারণ ও কিন্তু যথাযথ! ক্যামেরা আনলো আর ছবি তুলবেন না!বোন হিসেবে ভাই এর দিকে একটু টানতেই পারি,তাতে দোষ নেই কিন্তু।😜😜
হাহাহা দিদি ব্লাক্স দাদা আর আপনার কথা শুনে তো
আমি হাসতে হাসতে শেষ। 😅 দাদার রাগ আছে জানি তবে সেদিন রাগারই বিষয় ছিল। এতো কষ্ট করে ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু আপনি একটা ছবিও তোলেন নি। আর এটাকে রাগ বলা যায় না অভিমান হাহাহা, তবে পড়ে মজা পেলাম সত্যি
খুব সুন্দর মুহুর্ত। আর দাদাভাইয়ের ফটোগ্রাফি সত্যিই খুব সুন্দর। ক্যামেরার ফটো অনেক সুন্দর ক্রিস্টাল ক্লিয়ার আসে। এখানে তো সবাই প্রিওয়েডিংএর ফটোশ্যুটও করতে যায়।ভালো আসে সীন গুলো।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে ব্ল্যাকস দাদা ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করে এটা জেনে ভালো লাগলো। আর দাদার রাগ করাটা কিন্তু স্বাভাবিক ছিল। ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা নিয়ে এসেছিল কিন্তু ক্যামেরাতে কোন ছবি তুলেন নি। যাইহোক সেদিন না দিলেও প্রিন্সেপ ঘাট ঘুরতে এসে ইচ্ছামতো ছবি তুলতে দিয়েছেন বেশ ভালই লাগলো। প্রত্যেকটা ছবি ছিল ভীষণ সুন্দর। আপনার সাথে টিনটিনকেও বেশ ভালো লাগছিল।
প্রিন্সেপ ঘাটের সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন দিদি।যখন বেশি গরম পড়ে খোলা মেলা নদী পাড়ে বেশি ভালো লাগে আর বাতাস পাওয়া যায়।ব্ল্যাক দাদা অনেক ফটোগ্রাফি করেন।আপনার জন্য কস্ট করে নিয়ে গেছিল ক্যামেরা টা আর আপনি ছবি তুলেন নাই, মনে তো কস্ট পাবে।আপনাদের দুই জনের রইল শুভকামনা।
দিদি, ছোট দাদার আসলে সেটা রাগ নয় সেটি হচ্ছে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।। দিদি অনেক চমৎকার ভাবে সময়গুলো কাটিয়েছেন এবং প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ছোট দাদা অনেক প্রফেশনাল ভাবে ফটো তুলতে পারে সেটি আবারও প্রমাণিত হলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।।
আশা করি ভালো আছেন দিদি ? প্রিন্সেপ ঘাটে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ছোট দাদা ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে শুনে আমার খুব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব চমৎকার মুহূর্ত পার করেছেন। আসলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই দিদি।
সত্যি দিদি blacks চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করতে জানে। ছবিগুলো দেখেই তা মনে হচ্ছে। অপূর্ব হয়েছে সেই ফটোগ্রাফি গুলো। যাইহোক প্রিন্সেস ঘাটে বড় দাদা , বৌদি ও টিন টিন বাবুসহ চমৎকার ইনজয় করেছেন। আমরাও আপনার মাধ্যমে প্রিন্সেস ঘাটের অসাধারণ অসাধারণ কিছু দৃশ্য দেখতে পারলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।