কলেজ থেকে বেরিয়ে


বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় বিভৎস রকমের গরম ছিল ।বৃষ্টির কোন সম্ভাবনাই ছিল না। তার মধ্যে হঠাৎ করেই বেশ কয়েক দিন পর আজ ওয়েদার টা সকাল থেকেই ঠিকঠাক ছিল ।বলতে গেলে তুলনামূলক রোদের তেজ অনেকটাই কম ছিল। সেহেতু কলেজ থেকে তাড়াতাড়ি বেরোনোর পর বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করলাম বরানগর কুঠিঘাট যাব । আমার কলেজ ও এই বরানগরে। আর এই কলেজ থেকে বরানগর কুটিঘাটের দূরত্ব ১৫মিনিট হেঁটে।

কলেজ থেকে বেরিয়ে গেলাম দুপুর বারোটা নাগাদ। সত্যি কথা বলতে এই রোদের মধ্যে আমার একেবারেই কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না ।বন্ধুদের জোরজবস্তিতে একপ্রকার যেতে বাধ্য হলাম। কিন্তু যখন ঘাটে এসে পৌছালাম সেখানের পরিবেশ এতটাই সুন্দর লাগলো আমার কাছে যদি এখানে না আসতাম তাহলে মনে হয় অনেক কিছুই মিস করে যেতাম ।

আজকের রোদের তাপ এতটাই কম ছিল গায়ে লাগলেও ওতোটা কষ্ট হচ্ছিল না এরকম হেঁটে যেতে যেতে অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। এখানে আসার পর মনে হচ্ছিল কলকাতা থেকে অনেকটা দূর এসে গিয়েছ। এর একটাই কারণ ভীষণ সুন্দর একটা পরিবেশ ।

বেশ অনেক অনেক বছর আগের পুরানো কিছু বাড়ি দেখলাম । তার কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম ।

আরেকটুখানি এগিয়ে কুঠিঘাট যেখানে লঞ্চ পরিষেবা সহ অনেক ছোট ছোট জেটি রয়েছে। দিনে দুবার নদী পার করে ফেরে। আর নদীর অপর পাড়ে ছিল বেলুড় মঠ। সবাই বলছিল বেলুড়মঠে যাওয়ার জন্য কিন্তু এই রোদের মধ্যে খুব একটা ইচ্ছা আমার ছিল না ।অন্য কোন দিন ইচ্ছা আছে সেখানে যাওয়ার ।তাই কুঠিঘাটেই বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর, অনেকক্ষণ আড্ডা গল্প দেওয়ার পর বাড়ির পথে রওনা দিলাম ।

হঠাৎ করে যখন কোনো কিছু প্ল্যান হয় তখন সেটা খুবই ভালো লাগে আজকেও ঠিক তেমনই । গরমের ছুটির আগে খুব সুন্দর একটা সময় কাটালাম বন্ধুদের সঙ্গে।

ধন্যবাদ