বাসন্তী পোলাও রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পোলাও রেসিপি তৈরি করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বাঙালির একটি অত্যন্ত প্রিয় খাবার পোলাও। পোলাও ছাড়া বাঙালির যে কোনও অনুষ্ঠানের, উৎসবের খাওয়ার আমেজটাই জমে ওঠে না। শুধু বিয়ে বাড়ি,অনুষ্ঠান,পুজো বাড়ি নয়। ঘরে অতিথি আসলেও আমরা এই রেসিপি খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারি।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. গোবিন্দভোগ চাল | ১কেজি |
২. গাজর | ১টা |
৩. বিনস | পরিমান মতো |
৪.কড়াইশুঁটি | পরিমান মতো |
৫. আদা বাটা | পরিমান মতো |
৬. এলাচ | ৫-৬ টা |
৭.দারুচিনি | ৩-৪টে |
৮. তেজপাতা | ৩ টে |
৯.লবঙ্গ | ৩-৪টে |
১০. আদাকুচি | ১ টা |
১১. ঘি | ১০০ গ্রাম |
১২.. জায়ফল জয়ত্রী গুঁড়ো | পরিমান মতো |
১৩.লবণ | পরিমান মতো |
১৪. চিনি | পরিমান মতো |
১৫. সাদা তেল | পরিমান মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
•প্রথমে এক কেজি মত গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে নিলাম এবং ভিজিয়ে রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
•এরপর আলাদা একটি পাত্রে গাজর, বিনস, কড়াইশুঁটি ও আদা কুচি কেটে রাখলাম।
তৃতীয় ধাপ
•এরপর একটি কড়াইতে কিছুটা ঘি এবং তেল গরম করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• হালকা গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে এলাচ,দারচিনি ও তেজপাতা,লবঙ্গ দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• তারপর আদা কুচি দিয়ে দিলাম। সাথে সাথেই গাজর,বিনস,কড়াইশুঁটি একসাথে হালকা আঁচে ভেজে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• এরপর চালটা আলাদা পাত্রে তুলে নিলাম। তার সাথে একটা ডেচকিতে অল্প ঘি দিয়ে এলাচ,দারচিনি নিয়ে ওই ভেজা চালটাকে ভেজে নিলাম। তার সাথে অল্প একটু কালার দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এরপর চালটা অল্প ভাজা ভাজা করে নেওয়ায় পর ভেজে রাখা গাজর,বিনস,কড়াইশুঁটি গুলোকে একসাথে মিশিয়ে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
• কিছুক্ষণ পরে অল্প গরম জল দিয়ে দিলাম।তার সাথে অল্প নুন,মিষ্টি, ও অল্প জাইফল,জয়েত্রী গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
• তারপর কিছুক্ষণ ঢেকে রাখার পরেই পোলাও তৈরি হয়ে গেল। পোলাও তৈরি করতে গেলে জলের পরিমাণটাই আসল।
দশম ধাপ
• ব্যাস এই ভাবেই তৈরি হয়ে গেল বাসন্তী পোলাও।
ধন্যবাদ
ওয়াও আপনার পোলাও কালার টা খুব অসাধারণ হয়েছে। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন পদ্ধতি খুবই অসাধারণ হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপসমূহ উপস্থাপন করেছেন। আপনি পোলাও এর মধ্যে কড়াইশুঁটি ব্যবহার করেছেন দেখে খুবই ভাল লাগল।এত সুন্দর পোলাও রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আসলে আমার কাছে কেন যেন পোলাও এর ভেতরে কালার দিলে সেটি আর পোলাও লাগেনা। খিচুরি খিচুরি লাগে। যাই হোক আপনার বাসন্তী পোলাও এর রেসিপি টা কিন্তু খুবই লোভনীয় হয়েছে। সকাল বেলায় এরকম একটি রেসিপি পেলে আর কি লাগে? দেখে মনে হচ্ছে যে এখনই খেতে বসে যাই।দেখেই বোঝা যাচ্ছেখুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি পোলাও এর রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু পোলাও ছাড়া বাঙালির যে কোনও অনুষ্ঠানের, উৎসবের খাওয়ার আমেজটাই জমে ওঠে না। আপনার বাসন্তী পোলাও খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার বাসন্তী পোলাও দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার বাসন্তী পোলাও দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার বসন্তকাল পোলাওর কালার কম্বিনেশন টা খুব ভালো হয়েছে। যদি পারতাম তাহলে আপনার বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসতাম। আমার তো পোলাও খুবই প্রিয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
বাসন্তী পোলাও রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। বাসন্তী পোলাও তো আমার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেকদিন হয়ে গেল খাওয়া হলো না। আজকে হঠাৎ করে আপনার রেসিপিটা দেখেই জিভে জল চলে আসলো 😛 একেবারে অসাধারণ ভাবে পুরো রেসিপিটা তৈরি করলেন। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনাও করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 😍😍
দিদি আপনি আজকে চমৎকার ভাবে বাসন্তী পোলাও রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন। দেখে আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ওয়াও আপু অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ সামলানো যায় না। বাসন্তী পোলাও রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাছাড়া আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমরা নিজেরাও বাসায় তৈরি করে খেতে পারব। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
বাহ খুব সুন্দর একটা নাম দিয়েছেন তো, বাসন্তী পোলাও এটি কেমন একটা লোভনীয় লোভনীয় নাম। আবার নাম ও কালারের ভালো মিল রয়েছে। এবং দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু। খুব সুন্দর একটি রেসিপি ছিল উপস্থাপনাও ভালো ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি সব সময়।
ওয়াও দারুন একটি পোলাও রেসিপি প্রস্তুত করেছেন পিকচারটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে মনে হয় ভারি সুস্বাধু হয়েছিল কালার টা দারুণ ভাবে ফুটেছে আর প্রস্তুত প্রণালি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে বিষয়টি শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
বাসন্তী পোলাও রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি দেখে শিখতে পারলাম এবং অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার উপস্থাপনের জন্য এই রেসিপিটি তৈরি করা আমি খুব সহজেই শিখতে পেরেছি। পরবর্তীতে আমি তৈরি করবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু,অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে।এই বাসন্তী পোলাও কখনো খাওয়া হয় নি।আপনার রান্নাটা জাস্ট দারুণ হয়েছে,এর কালার দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে।আপনার এই রেসিপিটি আজকে লোভ লাগিয়ে দিল আপু।