পালক পনির রেসিপি ।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একদম ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি ভাগ করে নিলাম। পালক পনির খুবই সুস্বাদু একটি ডিশ।রুটি বা পরোটার সাথে খুব সুন্দর লাগে। আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. পালং শাক | ২ আটি |
২. তেল | পরিমান মতো |
৩. পনির | ৩০০ গ্রাম |
৪ আদা | ১ টি |
৫.টমেটো | ২ টো |
৬. পিঁয়াজ | ২ টো |
৭. গোটা জিরে | ১ চামচ |
৮. দারুচিনি | ২টো |
৯ এলাচ | ৩-৪ টে |
১০. বাটার | ১ চামচ |
১১. হলুদ গুঁড়া | ১ চামচ |
১২. লঙ্কা গুড়ো | ১ চামচ |
১৩. জিরে গুঁড়ো | ১ চামচ |
১৪ . টক দই | ৩-৪ চামচ |
১৫. চিনি | ১ চামচ |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে দু আঁটি পালংশাক গরম জলে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।এরপর সেটা ভালো করে মিক্সিং করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• ৩০০ গ্রাম মতো পনির নিয়ে নিলাম।এরপর সেটা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• তারপর একটি পাত্রে দুটো টমেটো কুচি,একটা আদা কুচি,১টা পেঁয়াজ কুচি, ও কয়েকটা রসুন নিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর একটা কড়াইতে অল্প তেল নিয়ে সেখানে ফোড়ন হিসেবে অল্প জিরে, দারচিনি এলাচ, ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর আরেকটি কড়াইতে বাটার নিয়ে নিলাম। তারপর তাতে পনির গুলো দিয়ে দিলাম। এবং হালকা ভাজাভাজা হয়ে গেল তুলে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• এরপর যে কড়াইতে পিয়াজ বেটেছিলাম সেখানে টমেটো দিয়ে দিলাম,সাথে সাথে আদা পেস্ট, অল্প হলুদ গুঁড়ো , এক চামচ জিরা গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো,এক চামচ নুন, তার সাথে অল্প জল দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
• কিছুক্ষণ পর তিন চামচ টক দই দিলাম।এরপর ভালো করে কষিয়ে নিলাম বেশ কিছুক্ষন ধরে ।
অষ্টম ধাপ
• ভালো করে কষানো হয়ে গেলে যে পালং শাকটা বেটে ছিলাম মিক্সিতে সেটা ঢেলে দিলাম। এবং বেশ কিছুক্ষণ ধরে টানিয়ে নিলাম।
নবম ধাপ
• এরপর ভেজে রাখা পনির গুলো দিয়ে দিলাম।তার সাথে এক চামচ চিনি দিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ
• এবার বেশ কিছুক্ষণ ধরে টানিয়ে নেওয়ার পর উপর দিয়ে পনির ঝিরিঝিরি করে দিয়ে দিলাম। ব্যাস এইভাবে তৈরি হয়ে গেল পালক পনির।
ধন্যবাদ
পালং শাক এবং পনির দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি। প্রথমে টাইটেল দেখে ভেবেছিলাম স্পেশাল কিছু দিয়ে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। এখন দেখছি পালং শাক দিয়ে তৈরি করেছেন। প্রথমত এটা দেখি অবাক হয়ে গিয়েছি। পালং শাকের এমন সুস্বাদু রেসিপি আমি এর আগে কখনো দেখিনি। একদিন ট্রাই করে দেখতেই হবে দেখছি। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর এবং ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পালং শাক পনির দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি। আপনার এই রেসিপি আমি এই প্রথম দেখলাম। পালংশাকের অনেক রেসিপি খেয়েছি কিন্তু পনির দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। পনির একটি উৎকৃষ্ট মানের খাবার। পনির আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এত সুন্দর একটি রেসিপি আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একবার এইভাবে রেসিপিটি করে দেখবেন খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ দিদি।
দিদি নমস্কার
আশা করছি আপনি খুব ভালো আছেন ৷আর শুভ জন্মদিন দিদি ৷আপনার পালং শাখের পানির রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ৷আর আমি এই প্রথম দেখলাম পালং শাখ পানি রেসিটা ৷ধাপ গুলো ও খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ৷
ধন্যবাদ দিদি
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রান্নার ধাপগুলো সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এত সুন্দর রান্না কিভাবে করা সম্ভব চিন্তার বিষয়। রান্নার ধাপ গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
পালং শাক দিয়ে পনিরের রেসিপি টা খুবই লোভনীয় হয়েছে। এভাবে কখনো রান্না করে দেখি নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছে অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশ্যই করে দেখবেন ভালো লাগবে।
এই পালক পনিরটি কখনোই খাওয়া হয়নি।সবসময় দেখেই এলাম।আজ রেসিপিটি জানা হলো,মজাদার ই মনে হচ্ছে দেখতে।
একবার করে দেখো ভালো লাগবে।
আপু এভাবে কখনো পনির খাওয়া হয়নি।কেমন খাবার খেতে তাও জানি না।তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালোই হবে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার কাছে হয়তো এটি খুবই কমন একটি রেসিপি কিন্তু আমার কাছে এই খাবারটি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি। এই রেসিপিটি আমি আগে কখনো খাইনি। এবং আজ প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং রেসিপিটি দেখে বুঝতে পারছি খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছে। এত মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
দারুণ রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি।এই রেসিপিটির নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয় নি।আপনার রান্না করা দেখেই লোভ লেগে গেল। এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যা দেখেই ভালো লাগতেছে।
আপনার আজকের রেসিপি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপু। কখনো এই রেসিপিটি খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনি বলেছেন রুটি বা পরোটার সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে সেরকমই মনে হচ্ছে বাসায় ট্রাই করে দেখতে হবে।