নিজ দায়িত্বে পালন করা বিভিন্ন কর্মের রেনডম ফটোগ্রাফি
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আপনারা অনেকেই আমার বিষয়ে অবগত রয়েছেন যে আমি নতুন কিছু আপনাদের মাঝে উপহার দিতে বেশি পছন্দ করি এবং ভিন্ন ধর্মের টপিক্স নিয়ে হাজির হয়ে থাকি। তাই একটি কথা না বললে নয় 'সুমন মানে নতুন কিছু সুমন মানে ইউনিক পোস্ট'। আর এই কথাটাকে সামনে রেখেই আমি আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার ব্যস্তময় কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি সহ বর্ণনা নিয়ে। আশা করি এই থেকে আপনি আপনার দায়িত্ববোধ থেকে আরও জাগ্রত হবেন। মনের মধ্যে সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি জেগে উঠবে নিজের এবং অন্যের উপকারের জন্য। চলুন তাই আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে চলে যাওয়া যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
যখনই আমরা ফটো ব্লগার নামে পরিচিত, তাই এটা নিশ্চিত যে আমাদের যে কোন মুহূর্তে ভালো লাগা যে কোন কিছুর ফটোগ্রাফি করতে হয়। ঠিক আমি যেমন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন ইউজার। প্রতিনিয়ত পোস্ট করার চেষ্টা করে থাকি তাই ভালো লাগা যে কোন মুহূর্তের কোন কিছু সম্মুখে উপস্থিত হলেই ফটোগ্রাফি করে রাখতে হয়। এগুলো ছিল জার্মানি ফুল। দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। তাই চেষ্টা করছিলাম ফটোগ্রাফি করার জন্য যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে হবে সেই উদ্দেশ্যে। আর এ কথা না বললেই নয় যে বাংলা ব্লগ কে ভালোবেসে এবং তার প্রতি আন্তরিকতা আছে বলেই মনের মধ্যে অলসতা আসে না।সুযোগ পেলেই ফটোগ্রাফি করে রাখতে হয় বাংলা ব্লগের মাঝে পোস্ট করার জন্য। আর এটাকেই বলা হয় নিজ দায়িত্ব।
আপনারা পূর্বে জানেন আমাদের স্কুলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু রয়েছে। তাদের দুইটা ক্লাস নিতে হয়। একদিন কোনো প্রতিবন্ধী বাচ্চা স্কুলে উপস্থিত ছিল না। তাই মনে করেছিলাম ওই টাইমটা একটু রিলাক্সে কাটাবো অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিব ডিস্কটে কিন্তু এই মুহূর্তে অফিস থেকে দায়িত্ব পেলাম স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য যে সমস্ত ভাই-বোনেরা তাদের সিভি জমা দিয়েছিল, সে সমস্ত সিভিগুলো দেখে ঠিকঠাক করে আলমারির নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। ব্যস্ততাই জড়িয়ে পড়তে হলো, সেই মুহূর্তটা হলোনা শান্তিতে থাকা। তবে নিজের কাজ মনে করেই খুব যত্ন সহকারে সিভিগুলো পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে ঠিক করে রেখে দিলাম। যেন পরবর্তী সময়ে কোন প্রয়োজনীয় সিভি পেতে সমস্যা না হয়। এরমধ্যে আমাদের একটা বড় ভাইয়ের সিভি দেখতে পেলাম সে আমার। বড় ভাইটি আমার জয়েন করার এক বছর পূর্বে এখানে পরীক্ষা দিয়েছিল কিন্তু রেজাল্ট হয়নি তার।
গত তিন মাসে স্কুলে কতটা কলম লেগেছে,তার মধ্যে কতটি লাল কালি আর কালো কালি ছিল। কিনতে কত খরচ পড়েছিল বিভিন্ন বিষয়ের হিসাব করতে হয়েছিল কিছুদিন আগে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জানি না এতটা সুন্দর নিয়ম-শৃঙ্খলা আর হিসাব নিকাশ রয়েছে কিনা। তবে দায়িত্ব বেশি হলেও ভালো লাগছিল আমাদের স্কুলের সুন্দর নিয়ম-শৃঙ্খলা রয়েছে দেখে। মোট ৫২ টি কলম খরচ হয়েছে এর মধ্যে লাল কালি আর কালো কালি। এছাড়াও মারকারি কলমের কালি,খাতায় ইত্যাদি বিষয়ে খরচ নিয়ে হিসাব করতে হয়েছিল। তবে এই কাজটি আমি না করলেও পারতাম কেউ আমাকে চাপ দিত না কিন্তু নিজ দায়িত্ববোধ থেকে করেছিলাম এই জন্য যে আমার স্টপ দের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে। কারণ ছোট থেকে জেনে আসছি দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
ছাত্র-ছাত্রীদের যখন ইংরেজি গ্রামার থেকে বিভিন্ন বিষয় শিখাতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় সময় স্বল্পতার কারণে ঘন্টা পড়ে গেছে, তাই অন্য শিক্ষক এসে ক্লাস নিবে এবং বোর্ডের লেখা মুছে দেবে এর জন্য নিজের মোবাইলে ছবি তুলে রাখতে হয় এবং পরবর্তীতে ছাত্ররা যেন খাতায় তুলে নিতে পারে তাই মোবাইলটা তাদের কাছে দিতে হয়। তেমনি কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আর এর সাথে এই বার্তা আপনাদের মাঝে দিতে চাই যে এই জাতীয় দায়িত্ববোধগুলো নিজের জাগ্রত বিবেক থেকে আসে। আমাদের স্কুলে অলরেডি ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করা নিষেধ। তবে অতিপ্রয়োজনে আমি মাঝেমধ্যে নিয়ে যাই,আর প্রয়োজনগুলো ঠিক এমনই নিজের জন্য নয়,নিজের ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুলের ভালোর জন্য। আর এই বিষয়ে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অফিস পরিচালকের অবগত রয়েছেন।
সারাদিনের বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যেও যখন ইঁদুর মামা কাজ বাড়িয়ে দেয় তখন সত্যিই অনেক বিরক্ত বোধ করতে হয়। হয়তো বুঝে গেছেন কি বলতে চাচ্ছিলাম। হ্যাঁ বন্ধুরা, কারেন্ট চলে গেলে ওয়াইফাই লাইন বন্ধ হয়ে যায় আমাদের এখানে ভালো ইন্টারনেট পায় না সবকিছুর মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে থাকি আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটিতে নিজেকে সুপার অ্যাকটিভ মেম্বার হয়ে থাকার। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে কষ্ট করে থাকাটা বড়ই কঠিন হয়ে যায়। আমি গতকাল রাত এগারোটার সময় যখন পোস্ট পড়ছিলাম এমন মুহূর্তে হঠাৎ ওয়াইফাই লাইন চলে যায়। সারাদিনের ওয়াইফাই লাইন আসে নাই কিন্তু পাড়াগাঁয়ে অন্যান্যদের লাইন ঠিক আছে। অযথা অনেক হয়রানির পর যখন ওয়াইফাই এর তার চেক করলাম,একটি স্থানে দেখলাম এভাবেই ইঁদুর কেটে দিয়েছে তাই লাইন টাকে পুনরায় ঠিকঠাক করতে হল এভাবে। কারেন্ট চলে গেলেও জানা যায় কারেন্ট আসলে লাইন পাব কিন্তু এভাবে ইঁদুরে তার কেটে দিলে খুঁজে খুঁজে লাইন ঠিক করা বড়ই কঠিন। তবে মাথায় একটি চিন্তাধারা থেকে যায় ওয়াইফাই লাইন ঠিক না হলে কাজ করতে পারবো না আর সেই কর্মকে রানিং রাখতেই ইঁদুর মামা কর্তৃক হয়রানির কাছে সেলেন্ডার করতে হয়।
আপনারা অনেকেই পূর্ব অবগত রয়েছেন যে আমাদের স্কুলের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাকে পরিচালনা করতে হয়। প্রত্যেক সপ্তাহে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যে শিক্ষা অনুরাগীকে স্কুলে আসার জন্য চিঠি পাঠানো হয় উনারা উপস্থিত হতে আগ্রহী হলে তাদের নাম গুলো এভাবেই লিখে রাখতে হয় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই অডিয়েন্সের সামনে উপস্থাপন করতে হয়। ঠিক তারই একটি তালিকা এবং অতিথির উপস্থিতি বক্তৃতা অডিয়েন্সের দৃশ্য তুলে ধরা হল এভাবে। হয়তো বুঝতে পারবেন এই সমস্ত দায়িত্ব গুলো কেউ কাউকে দেয় না নিজে থেকেই তৈরি হয়ে যায়। আর সে তৈরি কিটো দায়িত্বগুলো পুনরায় পরিচালক উপদেষ্টা ছাড় কর্তৃক সংশোধিত হয়ে নতুন নিয়মে রূপ ধারণ করে। এখন যে সমস্ত শিক্ষা অনুরাগীদের আমরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় উনাদের জন্য আলাদা একটি খাতা তৈরি করা হয়েছে যেখানে তাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয় উপস্থিতি স্বাক্ষর এবং লিখে রাখা হয় কত তারিখে কে এসেছে না এখন দায়িত্ববোধ থেকে নিয়োমে পরিণত হয়েছে। তোমার লক্ষ্য একটাই ছাত্রছাত্রীদের ভালো হবে মানুষ করা এমন তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো জন্য নিজের জাগ্রত বিবেক ও দায়িত্বের প্রয়োজন। এমন কিছু দায়িত্ব রয়েছে অন্যরা দিতে জানে না নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয় যে দায়িত্বগুলো প্রতিষ্টান ছাত্র-ছাত্রী এবং সার্বিক দিক থেকে কল্যাণকর।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আসলে আমরা ছাত্রছাত্রীদের উন্নতির জন্য যেভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আশা করি আমাদের এই প্রশংসা গুলো খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের মুখে মুখে চলে আসবে।
আমাদের স্কুলের পিছনের এই ফুলগুলো সত্যি অনেক সুন্দর। যদিও আমরা এগুলোকে আঞ্চলিক ভাষায় জার্মানির ফুল বলে থাকি কিন্তু এটার অরজিনাল নাম সম্ভবত কচুরিপানার ফুল।
স্কুলের সৌন্দর্য বজায় রাখা আমাদের একান্ত কাম্য
বাহ অনেক সুন্দর উদ্যোগ। আপনি অনেক সুন্দর করে কর্মজীবনের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মাঝে বুঝতে পারলাম আপনি অনেক দায়িত্ব মানব শিক্ষকতা ফ্যাশায় জড়িত। খুব সুন্দর করে কতগুলো কলম খরচ হয়েছে ইত্যাদি সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সমস্ত কিছুর হিসাব না রাখলে আয় ব্যয় বুঝা যাবে না
জি ভাই সমুন মানেই তো নতুন কিছু যা আমি প্রতিদিন দেখি ৷ আপনার পোষ্ট গুলো ভালো লাগে ৷ আপনি আপনার কর্মে সদা অটল৷ আর এভাবেই নিজ দায়িত্ব পালন করে ৷ আপনার কর্তব্য করে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷ এবং স্কুল প্রতিষ্ঠান টি অরো অনেক দুর এগিয়ে যাগ ৷
হ্যাঁ ভাই চেষ্টা করে নিজ থেকে এভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার
আসলেই নতুন কিছু ছিল আপনার পোস্টে।কচুরি পানার ফুলকে যে জার্মানি ফুল বলে এটা জানা ছিল না।তবে আরেকটু কাছে থেকে তুললে ভাল লাগত ফুল গুলো।আপনার ভিন্নধর্মী ব্লগটি ভাল লাগল।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ওখানে যেতে হলে একটু ঝামেলা তাই রুম থেকে উঠেছিলাম
আসলেই ভাই আপনি সত্যিই একজন দায়িত্বশীল মানুষ। সেটা আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম। নিজ দায়িত্ববোধ থেকে আপনি অনেকগুলো কাজ করেছেন যেটা আপনার না করলেও হতো। তবে সময় এবং সুযোগ থাকলে অসম্পূর্ণ কাজ ফেলে রাখা উচিত নয় সেটা হোক নিজের কাজ বা অন্যের কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে এত কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও এমন সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত যা হয় কল্যাণকর
যাক, যা বোঝা গেলো স্কুলের অনেকটাই গুরু দায়িত্ব আপনাকে পালন করতে হয়। এটা বেশ ভালো। নিজে অ্যাক্টিভ থাকা যায়, নতুন কাজ শেখা যায়। আর বেশ সবাই যখন কম বেশী একটু ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যায় তখন নিজেকে বেশ কেমন একটা সাবাশী দিতে মন চায়। আর আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল, কম বেশি সবাই আপনার উপর নির্ভরশীল।
নিজ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করলে উন্নতি হয় প্রতিষ্ঠানের