নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে খাসির মাংস ও আলুর সমন্বয়ে রান্নার রেসিপি
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আমার আজকের পোস্ট এর বিষয় নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে আলু এবং খাসির মাংস সম্বন্ধে সুন্দর একটি রেসিপি। আশাকরি অনেকেই আমার এই পোস্ট পড়ে এবং দেখে নতুন এই পদ্ধতিটা শিখে নেবেন খুব সহজেই। কারণ অনেকেই জানেন 'সুমন মানে নতুন কিছু, সুমন মানে ইউনিক পোস্ট' ঠিক তেমনি পূর্বে দিনের ন্যায় আজকে উপস্থিত হয়েছে আপনাদের মাঝে নতুন সাজে কিছু উপস্থাপন করার জন্য। তাই বলবো খুব মনোযোগ সহকারে প্রত্যেকটি ধাপ পড়বেন এবং বুঝে নেবেন আমার এই রান্নার ধরনটা। তাই চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখনই শুরু করে দেওয়া যাক।
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
---|---|---|
১. | খাসির মাংস | এক কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | পাঁচ পিস |
৩. | রসুন কুচি | চার পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | ১০ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ১৫০ গ্রাম |
৬. | তেজপাতা | পাঁচ পিস |
৭. | গরম মসলা | সাত খন্ড |
৮. | মসলা বাকলা | পাঁচ খন্ড |
৯. | লবঙ্গ | আট পিচ |
১০. | জিরা | পরিমাণ মতো |
১১. | লবণ | পরিমাণ মতো |
১২. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
১৩. | হলুদের গুঁড়া | দুই চামচ |
১৪. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১৫. | আলুর ফালি | একপোয়া পরিমাণ |
১৬. | পানি | প্রয়োজন মত |
পেশার কুকার এর মধ্যে আলুর ফালিগুলো দিয়ে দিলাম।
এবার ঝাল-লবণ পেঁয়াজ সহ মসলা দিয়ে নিলাম নির্দিষ্ট পরিমাণে।
এবার পেশার কুকারের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি ঢেলে নিলাম। সেই সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
এবার পেশার কুকারের মুখ আটকিয়ে দিয়ে চুলায় চড়িয়ে দিলাম কুকারটি এবং সিদ্ধ হাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।
সিদ্ধ হওয়া আলু গুলো একটি গামলার মধ্যে নামিয়ে নিলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলো।
চুলার উপরে কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে তেল ঢেলে দিলাম।
এবার ঝাল পেঁয়াজের কুচি গুলো সহ মসলা নির্দিষ্ট পরিমাণে কড়াইয়ের মধ্যে দিলাম।
এবার কড়াইয়ের মধ্যে খাসির মাংস গুলো দিয়ে দিলাম। মাংসের উপরে গুঁড়ামসলা গুলো দিয়ে দিলাম।
কিছুটা সময় ধরে কড়াইয়ের মধ্যে মাংসগুলো মসলার সাথে চামচ দিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে নাড়তে থাকলাম। আর এর সাথে মাংস আস্তে আস্তে কষে যেতে লাগলো। সেই সাথে মাংসের কালার চেঞ্জ হতে থাকলো এবং সিদ্ধ হতে থাকলো।
মাংসের মধ্যে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে চামচ দ্বারা ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম এবং মাংস যথেষ্ট পরিমাণ সিদ্ধ হয়ে গেল।
এবার মাংসগুলো পেশার কুকার এর মধ্যে উঠিয়ে নিলাম এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিয়ে পেশার কুকারের মুখ বন্ধ করে চুলাটি পুনরায় অন করে দিলাম। অপেক্ষা করলাম পাঁচটা শীষ বাজা পর্যন্ত।
পেশার কুকারে সেদ্ধ করা মাংস গুলো পুনরায় নামিয়ে নিলাম কড়াইয়ের মধ্যে। আর তার সাথে কিছুটা পানি দিয়ে নিলাম ঝোল করার উদ্দেশ্যে।
এবার সিদ্ধ খাসির মাংসের মধ্যে সিদ্ধ করা আলু গুলো দিয়ে দিলাম।
কিছুটা সময় পর আমার মাংস রান্না যখন সমাপ্ত হলো ঠিক তখনই কড়াই থেকে মাংস গুলো একটি গামলার মধ্যে নামিয়ে নিলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে রান্নার কার্যক্রম শেষ হলো।
রান্না শেষ হলে গামলা থেকে একটি প্লেটের সুন্দর করে মাংসগুলো উঠালাম পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবেশন করার উদ্দেশ্যে এবং খাওয়ার সময় সকলের মাঝে পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে আমার কার্যক্রম সম্পূর্ণ সমাপ্ত হলো।
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনে মাংস রান্না করে থাকি,বিশেষ করে খাসির মাংস রান্নার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। আমি চেয়েছিলাম মাংস এবং আলুর সুন্দর কালার ধরে রাখার জন্য।সেই সাথে রেসিপি টা যেন পরিবারের সকলের জন্য খাওয়ার উপযুক্ত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এমন ক্যাটাগরিতে রান্নার চেষ্টা করেছি। অবশ্যই যথেষ্ট সুস্বাদু হয়েছিল। পরিবারের সকল সদস্যের জন্যই খাওয়ার উপযুক্ত রূপে রান্না করতে পেরেছি।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
💖আমার পরিচয়💖
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। তবে মড়কাবাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক হিসাবে জয়েন করেছি। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। বাংলার স্টুডেন্ট হওয়াই,রূপ রস ছন্দ অলংকার সম্মিলিত কবিতা লেখা যথেষ্ট পারদর্শী ছিলাম। পূর্বে চর্চা করতাম এখন ছেড়ে দিয়েছিলাম, তবে বর্তমান আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কবিতা লেখার সুযোগ থাকায় পুনরায় শুরু করেছে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
অনেকদিন পরে আবার খাসির মাংসের রেসিপি দেখলাম আসলেই অনেকটা ইউনিক ভাবেই আপনি রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খাসির মাংস এবং আলুর রেসিপি আমি অনেক পছন্দ করি। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য আশা করি ভবিষ্যতে এমন ইউনিট জিনিস আরো শেয়ার করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করেছেন। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর মন্তব্য দেখুন।
ভিন্ন একটি পদ্ধতিতে খাসির মাংসের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। যা দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে। আলু দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে খাসির মাংসের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপিটা আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খাসির মাংস এমনিতেই আমার ভীষণ ভাল লাগে । তবে তার সাথে যদি দেওয়া যায় দুই এক পিস আলু তাহলে ভাত দিয়ে খেতে মন্দ হবে না । ধন্যবাদ ভাইয়া একটু অন্যরকম স্বাদের সন্ধ্যান দেওয়ার জন্য ।
খাসির মাংসের রেসিপি করে আপনাকে লোভ দেখাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
মাংস সেটা যেভাবেই রান্না করেন না কেন আমার কাছে চমৎকার লাগে। তারপর আবার আপনি রান্না করেছেন খাসির মাংস। অবশ্য খাসির মাংসের যা দাম তাতে সবার পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। যাইহোক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
খাসির মাংস ও আলুর সমন্বয়ে রান্নার রেসিপি
অনেকক মজাদার হবে মনে হয়। আপনার রেসিপিটি দেখে সত্যিই অসাধারণ লাগতেছে। বিশেষ করে আপনি সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। বিশেষ করে রেসিপি কালার টি দারুন লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশ্যই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আমার এই রেসিপি।
আমি অনেক রকম ভাবেই খাসির মাংস খেয়েছি তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো আলু দিয়ে খাওয়া হয়নি। রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল, এত মাতাদের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার খাসির মাংস নিয়ে এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি।