প্লে-শ্রেণি, পরীক্ষা শেষে ঘুম প্রতিযোগিতা
আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
বরাবরের মতো আবারো আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। যে পোস্ট আপনাদেরকে অতি আনন্দ দিবে এবং মুগ্ধ করবে আপনারা জানেন 'সুমন মানেই নতুন কিছু, সুমন মানে ইউনিক পোস্ট' আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আজকে উপস্থিত হয়ে গেছি তেমনি একটি মনোমুগ্ধকর পোস্ট নিয়ে। আশা করি এই পোস্ট আপনাদেরকে যতটা হাসাবে ততটাই নতুন কিছু শিখতে উৎসাহ প্রদান করবে। তাই আর দেরি না করে চলুন এখনই বিস্তারিত শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ঘুম প্রতিযোগিতা
অন্যান্য শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি প্লে-শ্রেণি ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় সময় দেওয়া হয়েছিল আড়াই ঘন্টা। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে প্লে শ্রেণীর বাচ্চারা এ থেকে জেড পর্যন্ত সম্পূর্ণ লিখতে জানে। ছোট হাতের অক্ষর এবং বড় হাতের অক্ষর উভয়ে। পাশাপাশি কিছু ওয়ার্ড শেখানো হয়েছিল যেগুলোর অর্থ তারা জানে এবং লিখতেও জানে। তার মধ্যে থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে যে পরীক্ষার টাইম আড়াই ঘন্টা হলেও তাদের পরীক্ষা দিতে সময় লাগে খুব জোর কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট। আর তারা ছোট বাচ্চা যার জন্য বেঞ্চিতে বসে থাকতে পারে না বেশিক্ষণ এর ফলে পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গেলেই চলে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু স্কুলে একটা নিয়ম রয়েছে। তাই নিয়ম অনুসারে তাদেরকে প্রথম ঘন্টা বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়। তারপরে অন্য ডিসিশন নেওয়া হয় ছেড়ে দিতে হবে কি না ইত্যাদি। এই পরীক্ষার দিনটিতেও তাদের একই অবস্থা। খুব দ্রুত পরীক্ষা হয়ে যায় কিন্তু তাদেরকে চেষ্টা করা হয়েছিল বেঞ্চিতে বসিয়ে রাখার জন্য কারণ ঐদিন আমাদের স্কুলে অডিট করার জন্য শিক্ষা অফিসার আসার কথা ছিল। তবে শিক্ষা অফিসার এসেছিল একটু দেরি করে। যেহেতু পরীক্ষা নয় টায় শুরু হয়েছিল। শিক্ষা অফিসার আসতে টাইম লেগেছিল প্রায় সাড়ে দশটা। আমাদের স্কুলের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। যারা ভালো রেজাল্ট করে থাকে যেকোন পরীক্ষায়,টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে। তাই তারা জানে যে কোন বিষয়ে ফাস্ট হলে আমাদের পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে সেই প্রত্যাশায় আমরা যখন বলেছিলাম তোমরা পরীক্ষা হয়ে গেছে এখন ঘুম প্রতিযোগিতা হবে কে কত বেশি ঘুমিয়ে দেখাতে পারবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে তাই তারা ভেবেছিল হয়তো সত্যি আমাদের পুরস্কার দেবে, যার ফলে তারা আর লাপ ছাপ না খেলে নীরবে ঘুমিয়ে পড়েছিল। হয়তো অনেকে জেগে ছিল ঘুম আসছিল না তবে অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে ঘুমিয়ে গেছিল। অনেকেই বুদ্ধি খাটিয়ে মাথা উঁচু করে দেখার চেষ্টা করছিল তখন আমরা ইশারা দিচ্ছিলাম চক্ষু বন্ধ করে আবার মাথা নিচ করে ঘুমানোর জন্য। আর এভাবেই কেটে গেল অনেকটা সময়। যখন আমাদের শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার হল অডিতে আসলেন। বাচ্চাদের লেখা দেখে খুব খুশি হলেন এবং যখন জানতে পারলেন এরা অনেক আগেই পরীক্ষা দিয়ে আপনার অপেক্ষায় বসে রয়েছে, তা জেনে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এই ঘুম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমিও নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি এবং আনন্দ পেয়েছিল সকল শিক্ষক মন্ডলী। সত্যি কতই না অসাধারণ ছিল এই ঘুম প্রতিযোগিতা আর কৌশলটা বেশ মজার হয়েছিল বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। যদি এমন কৌশল অবলম্বন না করা যেত তাহলে শিক্ষা অফিসার এসে দেখতেন বাচ্চারা উপর থেকে নিচে, নিচে থেকে উপরে সিঁড়ি বাই দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াচ্ছে। যেখানে একটু বিশৃঙ্খলা দেখা যেত এবং এর জন্য আমাদের কথা শুনতে হতো। তাই সুন্দর একটা কৌশল অবলম্বন করে আমরা পরিবেশ সুন্দর অবস্থায় রেখে দেখাতে পেরেছি উনাকে। শিক্ষা অফিসার যেমন সন্তুষ্ট তেমন অভিভাবকরা খুবই আনন্দ বোধ করছিল আমাদের এই কৌশল শুনে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনার পোষ্টের টাইটেল পড়েই ভালো লাগছিল। মন চাচ্ছিল আপনার স্কুলে ভর্তি হতে। এভাবে যদি ঘুম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারতাম তাহলে বেশ ভালই হতো। আসলে বাচ্চারা যা শিখে তা খুব সহজেই আয়ত্ত করে ফেলে। সেজন্য তাদের পরীক্ষায় সময় কম লাগে। আপনারা কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে বেশ দারুন একটি ব্যবস্থা করেছেন। আপনাদের পুরো বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছে আমার।
আসলে আপু এদের নিয়ে যতটা বিরক্ত বোধ করি, মাঝেমধ্যে তার চেয়েও আনন্দ বোধ বেশি করে থাকি ।
ছোটবেলা এটা আমার কাছেও বেশ দারুণ লাগত। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। পরীক্ষা শেষে বাচ্চাদের ধরে রাখতে ঘুমের প্রতিযোগিতা বাহ দারুণ বলতেই হয় ভাই।।
বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল।