হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে। যেখানে একটি ফল বিক্রেতার সততা আর তার জনপ্রিয়তা নিয়ে কিছু কথা বলব। আশা করি আপনাদের এই পোস্ট অনেক ভালো লাগবে। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনই বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
হেমায়েতপুর বাজার, বর্তমানে আমার সুপরিচিত একটি স্থান। যেখানে বর্তমান আমার প্রায় প্রতি সপ্তাহে চলাচল, বিবাহের পর থেকে এই বাজারে আমার চলাচল শুরু হয়েছে, ইতো পূর্বে আমি খুব কম এসেছি এই বাজারে। আর এই বাজার সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা আমার ছিল না। আর এই বাজারে এখন থেকে আমার চলাচল শুরু হয়ে অনেক কিছু সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি। কিছুদিন শ্বশুরের দোকানে বেচাকেনা শুরু করে দোকানের সম্মুখে যে সমস্ত আম বিক্রেতা আম বিক্রয় করতে আসে তাদের সাথে কিছুটা হলেও পরিচিত লাভ করেছিলাম এবং তাদের জীবনধারা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছিলাম। আপনারা যেই ছেলেটাকে সামনে দেখতে পারছেন এই ছেলেটার বাসা মেহেরপুরে শ্যামনগর নামক গ্রামে। সে এবার অনেক আম গাছ ভাগে নিয়েছিল অর্থাৎ তার এরিয়ার মধ্যে বেশ কিছু বাগান কিনে নিয়েছিল। যে আম গাছগুলোতে আম ধরেছিল অর্থাৎ আম গুলো সব তার হবে, আর আম পাড়া হয়ে গেলে তার অধিকার শেষ হয়ে যাবে। বিভিন্ন প্রকার আমের জাত ছিল তার সে আম বাগানে। সে আমাকে বলেছিল ভাই আমি পাঁচটা আমের বাগান এবার কিনেছি। আশা করি আমার অনেক লাভ হবে। সে বলেছিল ১ লাখ টাকা দিয়ে আমার কাজগুলো আমি কিনেছি আশা করছি পাঁচ লাখ টাকার আম হবে। সে বলেছিল এবার আমি ঢাকা শহরে আম বিক্রয় করতে যাব না। মেহেরপুর থেকে আপনাদের এলাকার এই হেমায়েতপুর বাজারে আশপাশে বাজারগুলোতে আম বেচাকেনা করবো। পাইকারি বিক্রি না করে দিয়ে আমি নিজে হাতে খুচরা হিসেবে বিক্রয়ের চেষ্টা করছি।
Photography device: Infinix hot 11s
location
আমি দেখেছিলাম ছেলেটার ভেতরে অনেক সততা রয়েছে। সে তার সততার মাধ্যমে আম বিক্রয় করছে আমাদের সামনে কারণ সে কখনো কাউকে ঠকায় না কম দেয় না। মাঝেমধ্যে যদি তার ডিজিটাল মেশিন টা একটু সমস্যা করত তখন আমাদের দোকান থেকেই আমাদের দোকানের ডিজিটাল কাটাই আম মেপে সঠিকটা নির্ধারণ করে কাস্টমারদের হাতে তুলে দিত। এই বাজারে অনেক আম বিক্রেতা এসেছিল বিক্রয় করতে। তবে আমি লক্ষ্য করে দেখতাম বেশিরভাগ কাস্টমার এই লোকের কাছেই ভিড় করতো কারণ এ আমের মূল্য বেশি ধরত না। আর এর কাছে সকল প্রকার আম পাওয়া যেত। বিশেষ করে রানী পছন্দ, গোপাল ভোগ, হিমসাগর, ফজলি আম, এছাড়া নাম জানা অজানা অনেক প্রকার বিক্রয় করতে দেখতাম। মাঝে মাঝে কোন কাস্টমার যদি আমের স্বাদ নিয়ে উল্টাপাল্টা বলতো তখন সে নিজেই আম কেটে তাদের হাতে তুলে দি তো খেয়ে দেখুন আমের স্বাদ কেমন। তবে তার সততা সব সময় জয় হতো। সে আমাদের দোকানের সামনে অবস্থান করত মাঝেমধ্যে আমাদের থেকে অনেক সিগারেট আর চিক কাগজ নিয়ে থাকতো। আমার দেখা যায় মাঝেমধ্যে এমনিতে আম খেতে দেওয়ার জন্য দিত আমাদের। বেশ সুন্দর তার কথা বলার ধরন, কখনো মিথ্যা বলতো না। মাঝে মধ্যে তার বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে গল্প করত আমাদের পাশে বসে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
হেমায়েতপুর বাজারে আমাদের দোকানের সামনের এই স্থানটা সব সময় বিভিন্ন প্রকার ফল বিক্রেতার ফল নিয়ে এসে বিক্রয় করে। আমি এটা লক্ষ্য করেছি আমি যখন বিয়ের পরে দোকানটাতে আসা শুরু করেছেন তখনই দেখেছি তাল বিক্রেতাদের তালের শ্বাস বিক্রয় করতে, লিচু বিক্রেতাদের লিচু বিক্রয় করতে, আম বিক্রেতাদের আম বিক্রি করতে। এখন বর্তমান বাজারে আর আম পাওয়া যায় না তবে এই ছেলেটাকে আমি আবারও আসতে দেখছি পেয়ারা বিক্রয় করতে। তবে সে যায় বিক্রয় করে না কেন, তার কাস্টমারের অভাব হয় না। তবে এই বাজারে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রকার ফল বিক্রয়ের এত সুন্দর জমজমাট ব্যবস্থা শুরু হয়ে যায় এমন দৃশ্য দেখে যেন আমি অবাক হয়ে যায়। বাজারে প্রচুর কাস্টমার এসে থাকে এই ফল ক্রয় করার জন্য। ভালো লাগে এত সুন্দর আয়োজন দেখে যেখানে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসে আম কিনে নিয়ে যেত। হয়তো বাজারটা দেখতে ছোট কিন্তু এখানে বিভিন্ন প্রকার জিনিসের সরবারহ রয়েছে। রয়েছে সকল প্রকার কাস্টমার। যাইহোক দীর্ঘদিন আমি তার আম বিক্রয় করতে দেখেছি আমাদের সামনে। আর প্রতিনিয়ত তার সুন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আম বিক্রয় করার এই অপরূপ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হতাম আমরা সকলে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো তার সুন্দর ব্যবহার আর কাস্টমারকে সে কখনো ঠকাত না এমন তার সততা দেখে। তাই দোয়া করব সর্বস্থানের বিক্রেতারা যেন এই ভাইটার মত সততা বান হয়ে ওঠে এবং কখনো যেন ফল বিক্রয় করতে গিয়ে মানুষকে না ঠগায়।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
যে কোন ব্যবসাতেই যদি সততার সাথে কাজ করা যায় তাহলে জীবনে অনেক উন্নতি করা সম্ভব। আম বিক্রেতা ছেলেটির সততা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
অনেক ভালো একজন মানুষ সে
আসলে এরকম মানুষগুলো খুবই কম দেখা যায় এখন। এখন তো বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা এরকম আম জাম বিক্রি করার সময় রেখে দেয় অথবা উল্টাপাল্টা কাজ করে। তবে এই লোকটাকে দেখেই অনেক সৎ লোক মনে হচ্ছে। আসলে এরকম মানুষদের সাথে পরিচিত হতেও খুব ভালো লাগে। তাহলে তাদের জীবন এবং কর্ম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়। যাই হোক লোকটা যেন তার ব্যবসায় লাভ করতে পারে এবং এরকম সৎ থাকে এটাই কামনা করি।
আম বিক্রেতার ব্যবহারের কারণে অনেক কাস্টমার তার কাছে আসবে। লোকটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো এবং সৎ লোক। নিজে আম গাছ থেকে পাইকারি কিনে। সে নিজে বসে বসে আমগুলো বিক্রি করে। কারণ তার সততার কারণে কাস্টমারগুলো তার কাছে আসে। যদিও এই বাজারে আপনার বিয়ের পর থেকে চলাফেরা। এই সময়ের মধ্যে লোকটি আসার ব্যবহার আপনাকে মুগ্ধ করেছে। এখনো অনেক মানুষ আছে যাদের আচার ব্যবহার মানুষের হৃদয় জয় করে ফেলে।
আসলে কিছু কিছু বিক্রেতারা রয়েছে যারা একেবারে সৎ মনের হয়ে থাকে। তারা অন্যের টাকা মেরে খায় না। একেবারে ঠিকঠাক ভাবে মেপে দেয় জিনিসপত্র। এই লোকটার সম্পর্কে আপনি অনেক কিছুই আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। লোকটির সততার কথা জানতে পেরে ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে সৎ ব্যক্তিদের কাছে মানুষ একটু বেশি যায়। তাইতো এই লোকটির কাছে ভিড় একটু বেশি থাকে আম কেনার জন্য।
কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সততা দেখলে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে। আপনি হেমায়েতপুর বাজারে এক আম ব্যবসায়ী সততা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। যদিও এ বাজারটিতে আগে আপনি তেমন যেতেন না। বিয়ে করার পর ওই বাজারটিতে আপনি যাতায়াত করেন। এরকম ব্যবসাগুলো একদিন অনেক বড় হবে। কারণ তাদের সততার কারণে মানুষ তার কাছে যাবে বাজার করার জন্য। কারণ তার সততার জন্য কাস্টমার তার কাছে যাবে।