ফুল গাছ লাগানোর উদ্যোগটা ছিল আমার আর মোস্তাফিজুরের
আজ - মঙ্গলবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি চার পাঁচ মাস আগের স্মৃতি থেকে নেওয়া কিছু ফটো নিয়ে। যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের ফুলের বাগান তৈরি করা স্কুল প্রাঙ্গনে। চলুন এক নজরে সার্থকতা দেখে আসি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফুলের ফটোগ্রাফি
দেখতে দেখতে পাঁচটি মাস পার হয়ে গেল। স্বেচ্ছায় কোদাল হাতে তুলে নিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল একটি ফুলের বাগান তৈরি করা আমাদের স্কুল মাঠে। প্রথমে কোন আইডিয়া ছিল না কেমন হবে ফুলের বাগান এবং কতটা স্থান জুড়ে। তবে আমি আর মুস্তাফিজুর ধারণা করেছিলাম রাস্তার পাশ দিয়ে ফুলের বাগান তৈরি করলে হয়তো সবচেয়ে বেশি মানাবে। তবে রাস্তার পাশে এত খারাপ অবস্থা ছিল যা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বাগান তৈরি করা কঠিন। এরপরে উদ্যোগ নিয়েছিলাম এখানেই তৈরি করব ফুলের বাগান। কারণ জানি যে নিজেরা কোদাল না ধরলে ভুল করেও মানুষ নিয়ে কাজ করবে না। প্রথম দিন আমরা শুরু করে দিলাম পরবর্তীতে লেবার নেয়া হলো জায়গা ঠিক করার জন্য। অবশ্য প্রথম দিন আমি একাই কোদাল ধরেছিলাম প্রথমে। এরপর আবার দেখাদেখি শিক্ষক শিক্ষিকারা কোদাল ধরেছিল। সকলের লক্ষ্য একটাই ফুলের বাগান চাই।
মুস্তাফিজুর এসে দেখেছিল আমি কাজ শুরু করে দিয়েছি। সে আর দেরি না করে স্কুলে পৌঁছানোর সাথে সাথেই কুদাল ধরেছিল আমার সাথে। চেষ্টা করেছিলাম যতদূর সম্ভব মাটি সমান করব। তবে উভয়ই খুব ঘেমে গিয়েছিলাম। আমাদের দেখাদেখি কয়েকজন ছাত্র আমাদের সাথে কাজ শুরু করেছিল। আমরা তাদের বারণ করেছিলাম এরপরেও ফুলের বাগান তৈরি করা বলে কথা। তাই তারা চেষ্টা করেছিল আমাদের পাশাপাশি কিছুটা সহায়তা করার জন্য। হয়তো প্রচণ্ড গরমের দিন ছিল সেদিন। তবুও মনের মধ্যে ছিল খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত। আমাদের স্কুলটা ফুলের বাগান তৈরি হয়ে যাবে এবং দেখতে বেশ দারুন লাগবে এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল সবার মনে।
আমাদের কোদাল ধরা দেখে কয়েকজন ম্যাডাম আর থেমে থাকল না তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কয়েকজন ম্যাডাম বড় বড় ঢালা তুলে দুরে ফেলতে থাকলো। আবার কয়েকজন ম্যাডাম কোদাল ধরে বসলো। ঠিক এভাবেই জায়গা নির্বাচন করেছিলাম সেই পাঁচ মাস আগে। অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের কার্যক্রম দেখে আনন্দবোধ করেছিল আবার অনেকে হাসাহাসি করেছিল যে এর ভেতরে ফুল গাছ হয় কখনো। তবে আমরা থেমে থাকছিলাম না নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম ফুলের গাছ লাগাতে হবে এবং এমন জায়গাতেই ফুল ফুটাতে হবে। পাশে থাকার টিউবওয়েল অবশ্য নষ্ট ছিল। ফুল গাছে পানি দেওয়ার সুবিধার্থে সেটাও ঠিক করেছিলাম। যাইহোক সেই স্মৃতিগুলো সত্যিই আমার খুবই ভালো লাগে। হয়তো সেই উদ্দেশ্যটা আজকে সুন্দর একটা রূপ নিয়েছে স্কুল প্রাঙ্গনে।
ঘন জঙ্গলে ভরে থাকা জায়গাটা হয়ে গেছে সুন্দর। মাটি সমান করে লাগানো হয়েছে অনেক ফুলের গাছ। অনেকগুলো ফুল গাছে ফুল ফোটা শুরু হয়ে গেছে অনেক আগে থেকেই। তবে খুব শীঘ্রই শীতের ফুল লাগাবো এখানে। তাই মন চাইলো আপনাদের মাঝে স্থানটা পুনরায় তুলে ধরি। হয়তো এখনকার দৃশ্য দেখতে একটু শুকনা মনে হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারো ফুলের গাছ এখানে অনেক বৃদ্ধি পাবে। আশা করি সেই সমস্ত সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারব ফটোগ্রাফার মধ্য দিয়ে। আর এভাবেই স্কুলের পরিবেশ আমরা সৌন্দর্য বর্ধন সৃষ্টি করতে চাই ফুলের মাধ্যমে। জেনো এই দেখে ছাত্রছাত্রীদের মনের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি সৃষ্টি হয়।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বাহ! আপনাদে কষ্ট তাহলে স্বার্থক হয়েছে। মোস্তাফিজ ভাইকে সাথে নিয়ে ভালোভাবেই নার্সারি তৈরি করে ফেললেন দেখছি। এখন নার্সরিতে ফুল উঠছে! এটা আনন্দের বিষয় 🌼
সামনে আরো সুন্দর কিছু উপস্থাপন করব।