নারিকেল দিয়ে সুস্বাদু পুলি পিঠার রেসিপি || @shy-fox 10% beneficiary || তাং ৩০-১২-২০২১
হ্যালো বন্ধুগণ
আপনারা কেমন আছেন? আশাকরি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। স্টিমিট প্লাটফর্মে 'আমার বাংলা ব্লগ' কমিউনিটি সকল সদস্যবৃন্দ 'ভাই ও বোন'কে আমার পক্ষ থেকে সালাম ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে আজকের নতুন পোস্ট।
আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নারিকেলের শ্বাস;গমের ময়দা;চিনি;দুধ ও তেল দিয়ে তৈরি সুন্দর পুলি পিঠার রেসিপি নিয়ে। কারণ এই পিঠে আমার-আপনার সহ আরো অনেকের অতি প্রিয় একটি পিঠা। বিশেষ করে গ্রামবাংলার পুরনো ঐতিহ্য পুলি পিঠা। বিশেষ করে শীতের সময় বেশিরভাগ মানুষ এই পিঠা খেতে পছন্দ করে থাকে,তাই আমিও চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে আমার নিজ হাতে তৈরি করা পুলি পিঠা নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক পুলি পিঠা তৈরি করার জন্য যে সমস্ত উপকরণ গুলো আমি ব্যবহার করবো। যেমনঃ
👇👇
উপকরণ | প্রয়োজন |
---|---|
নারিকেলের শ্বাস | এক বাটি |
গমের ময়দা | হাফ কেজি |
দুধ | এক পোয়া |
তেল | ২৫০ গ্রাম |
চিনি | ৩৫০ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণ মতো |
ধাপ :-১
• প্রথমেই চুলোর পাড়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের উপকরণসমূহ প্রস্তুত করে রাখি। যখন যেই উপকরণ লাগবে যেন খুব সহজেই সে উপকরণগুলো মিক্স করতে পারি।
ধাপ :-২
• চুলা চালু কোরে এবার চুলার উপরে কড়াই বসিয়ে দেই। কড়াই এর মধ্যে দুধ ও চিনি একসাথে ঢেলে দেই এবং চিনিগুলো গলাতে থাকি, চিনি গলে গেলে তার উপরে নারকেলের শাঁসের ঝুড়ো গুলো দিতে থাকি। নারিকেল দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে দুধ সুখিয়ে পুলি মিষ্টি তৈরি করতে হবে।
ধাপ :-৩
• কড়াই দুধ শুকিয়ে পুলি মিষ্টি তৈরি হয়ে গেছে বারবার খুন্তি দিয়ে এদিক সেদিক নড়াচড়া করতে করতে। এখন এই পুলি মিষ্টি কড়া থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে একটি প্লেটে।
ধাপ :-৪
• এবার গমের ময়দা গুলো পানি দিয়ে ছেনে নেই। ময়দা ছানা হয়ে গেলে রুটি আকারে বলে নেই। এবার এই কাঁচা রুটিগুলো একটি স্টিলের গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট রুটি আকারে কেটে নেই যা দেখতে ছোট ছোট চাঁদের মত লাগবে।
ধাপ :-৫
• এবার এই ছোট-ছোট রুটি গুলোর উপরে পুলি মিষ্টি একটু একটু করে রাখি যতটুক আটবে। এরপরে ছোট রুটি গুলোর উল্টিয়ে পুলি মিষ্টি গুলো তার মধ্যে আটকে দেই । যা দেখতে কাঁচা পুলি পিঠার আকৃতি লাভ করবে।
ধাপ :-৬
• এবার আবারো দ্বিতীয়বারের মতো চুলাতে কড়াই বসিয়ে দেয় এবং কড়াইয়ের মধ্যে তেল ঢেলে দেই। তেল গরম হয়ে গেলে এখন এই কাঁচা পুলি পিঠা গুলো চুলার উপরে কড়াইতে একটি একটি করে ছেড়ে দেই। তেলে ছেড়ে দেওয়া কাঁচা পুলি গুলো আস্তে আস্তে ভাজা শুরু হচ্ছে,তখন খুন্তি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকি।
ধাপ :-৭
• কিছুটা সময় পরে পুলি পিঠা গুলোর অরজিনাল রূপ পেতে থাকলো কড়াই এর মধ্যে। আর এদিকে হালকা বাতাস এর সাথে মিষ্টি গন্ধ ছড়াতে লাগলো চারিপাশে। কিছুটা করে ভাজা পিঠা গুলো কড়া থেকে নামিয়ে গামলাতে রাখতে থাকি।
ধাপ :-৮
• পিঠা গুলো সব ভাজা হয়ে গেলে ছোট্ট একটি বাটিতে রেখে দেই সকলের মাঝে পরিবেশন করার উদ্দেশ্যে। আর এরই মধ্যে সমাপ্ত হল আমার পুলি পিঠার রেসিপি।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
🌺💞💞🌺
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | Al dual camera |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
নারিকেল দিয়ে সুস্বাদু পিঠা রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। আসলে পুলি পিঠা খেতে অসাধারণ লাগে এবং আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া। যে সমস্ত উপকরণ গুলো দিয়ে আমি পুলি পিঠা তৈরি করেছি, তালিকা ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে
আপনার রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। দেখে তো অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে না খেলে বুঝব কেমনে। তবে এই রেসিপিটি আমার খুব পছন্দ এবং খেতে খুব সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। গ্রামে নারিকেল গাছ থাকায় পুলি পিঠা অনেক বেশি তৈরি করা হয়ে থাকে।
গ্রামবাংলা মানুষের খুবই জনপ্রিয় একটি পিঠা পুলি পিঠা। খেতে খুবই সুস্বাদু এবং ময়দা ও নারকেলে ভরপুর পুলি পিঠা মুখে দিলে যেন মনে হয়। পিঠা খাওয়ার তৃপ্তি মেটে যায়। অতি লোভনীয় একটি পিঠা। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে বনর্ণা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ । সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
এই শীতে পিঠা ছাড়া যেন জমেই না ।শীতের পিঠা খাওয়া হবে না তা কি হয়! আপনার পুলি পিঠা রেসিপি অসাধারণ ছিল। সুন্দরভাবে আপনি দেখিয়েছেন ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাই, এই পিঠাটি শীতের জন্য আমাদের এলাকায় পারফেক্ট। যতটা জানি,শীত আসলেই প্রায় বাড়িতে বাড়িতে এই পিঠা তৈরি ধুম পড়ে যায়।
পুলি পিঠা রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এইসব পিঠাপুলি অনেক ভালোবাসি । শীতের সময় এমন নানান পিঠাপুলির দেখা মেলে এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে এবং দেখতে অনেক সুন্দর হয়। আপনি একটি শীতকালের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং রেসিপিটি অনেক সাজিয়ে-গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমন টেস্ট। আপনি চাইলে এমন সুন্দর পিঠা তৈরি করে দেখাতে পারেন।
আপনার পিঠা দেখে মনে হচ্ছে এগুলো খেতে খুবই মজা হবে। যদিও এই পিঠা আমার কখনো খাওয়া হয়নি পোস্ট সাবমিট করার আগে একবার ভালোভাবে পুরো পোস্টের উপর চোখ বুলিয়ে নেবেন। তাহলে ভুলের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। আপনার পোস্টে বেশ কিছু ভুল আছে। সেগুলো সংশোধন করে নেবেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার এই সুন্দর সাজেশন মেনে চলার চেষ্টা করব সব সময়।
খুব সুন্দর পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন।পিঠা গুলোর কালার বেশ ভালো এসেছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকের পিঠা রেসিপি।
ধন্যবাদ আপু। এই পিঠা ভাজার সময় বেশি নজর রাখতে হবে যেন তেল কম না হয়। আর বেশিক্ষণ চুলায় না রাখা ভালো। কালার ধারণ করার আগে তুলে ফেলতে হয়। বেশি কালার ধারণ করে ফেললে সেগুলো প্লেটে নামানোর সময় আস্তে আস্তে কালারটা কালো হয়ে যায়। যা দেখতে ভালো দেখা যায় না।
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। নারকেল দিয়ে সুস্বাদু এই পুলি পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার তৈরীকৃত এই মজাদার পুলি পিঠার রেসিপি টা দেখে আমার জিভে জল এসে গেল মনে হচ্ছে যদি এখন পুলি পিঠা খেতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো লাগতো। যাইহোক আপনি অনেক চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে পুলি পিঠা তৈরীর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া,এটা লোভনীয় পিঠা । নারিকেল ও দুধ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা যায় এ পিঠা।
খুবই মজা করে পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। পুলি পিঠা আমার খুবই পছন্দের এই পিঠা নারিকেল দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই এটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক আনন্দের সাথে তৈরি করেছিলাম। নিজে কোনো কিছু তৈরি করার ভিতরে অন্যরকম ভাললাগা কাজ করে।
নারিকেল দিয়ে পুলি পিঠা খেতে খুবই মজাদার।এটা আমার খুবই পছন্দের। আপনার পিঠা গুলো দেখতে খুবই লোভনীয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পুলি পিঠা নিয়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদান করেছেন। যা আমাকে আরও উৎসাহ প্রদান করল নতুন কিছু করার জন্য।