DIY:- মাছের খাবার দেওয়ার জন্য পুকুর পাড়ে মাচা নির্মাণ
আজ - শুক্রবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে আজকের নতুন একটি ইউনিক পোস্ট।
আপনারা অনেকেই জানেন আমি অনেকগুলো পুকুরে পাঙ্গাস মাছ আবাদ করে থাকে। তাই মাছের খাবার দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থান প্রয়োজন এবং সেই স্থানে একটি মাচার প্রয়োজন। যেথায় দাঁড়িয়ে মাছের খাবার দেওয়ার সহজ হয়। তাই সেই উদ্দেশ্যে আজকে আমি আপনাদেরকে আমার পুকুর পাড়ে একটি মাচা নির্মাণ করে দেখাতে চলেছি। এই থেকে আপনারা খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন কিভাবে একটি পুকুরের মাচা নির্মাণ করতে হয়। তাই বন্ধুরা আর কোন কথা বাড়াবোনা, চলুন সরাসরি চলে যাওয়া যাক নির্দিষ্ট কর্মস্থলে।
ক্রমিক নং | নাম | পিচ |
---|---|---|
১ | বাঁশ | প্রয়োজন অনুসারে |
২ | পেরেক | প্রয়োজন অনুযায়ী |
ক্রমিক নং | নাম |
---|---|
১ | দা |
২ | প্লাস |
৩ | খাঁইটি |
৪ | করাত |
৫ | সাবোল |
৬ | হাতুড়ি |
সকল প্রকার প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ নিয়ে পুকুর পাড়ে প্রস্তুত হলাম।
এবার দুটি আড়বাড়ির বাঁশের খণ্ড দিয়ে মেপে দেখলাম যে কতটা দূরে খুঁটির বাঁশ পোতা যায়।
নির্দিষ্ট স্থানে প্রথম বাঁশের খুঁটি পুঁতে নিলাম।
এবার সামঞ্জস্য বজায় রেখে দ্বিতীয় বাঁশের খুঁটি টা পুঁতে নিলাম।
এখন আড়ার বাঁশ দুইটি যথাস্থানে সঠিকভাবে বসিয়ে নিলাম।
আড়ার বাঁশ দুইটি ভালো ভাবে টানা দিতে প্রথমেই মাঝখান থেকে বাঁশের গুলদন্ড রেখে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক লাগানো শুরু করলাম।
এবার খুঁটি দুইটা হার্ডি করার লক্ষ্যে এপাশে ওপাশে বাঁশের গুলদন্ড লাগিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর খুব মনোযোগ সহকারে সামঞ্জস্য বজায় রেখে সমস্ত বাঁশের গুলগুলো হাতুড়ির সাহায্যে পেরেক লাগাতে থাকলাম।
বরশি দিয়ে মাছ ধরে ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখার জন্য কিছুটা বাড়তি বাঁশের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটু বড় সাইজের একটা বাঁশেরগুল লাগিয়ে নিলাম।
ধীরে ধীরে সমস্ত গুল লাগানো শেষ হয়ে গেছে। এবার চাইলে করাত দিয়ে সমস্ত গুল সাইজ করে নেওয়া যেতে পারে কিন্তু আমি তা করলাম না এর জন্য যে বাড়তি থাকলে আমার কোন সমস্যা নেই। আর ছোট বড় করেছি এর জন্যই যে অনেকগুলো বাঁশ ঘুনে খাওয়া রয়েছে। নরমাল রয়েছে এজন্যই এপাশ-ওপাশ ছোট বড় হয়েছে।তবে সমস্ত আমার নিজের ইচ্ছাতেই করেছি। যাইহোক এভাবে কার্যক্রম শেষের দিকে।
এবার মাচা বানানোর কার্য সম্পন্ন করে, আমার মাচায় বসা একটি ফটো আপনাদের জন্য উপহার।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
💖আমার পরিচয়💖
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। তবে মড়কাবাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রিনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক হিসাবে জয়েন করেছি। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। বাংলার স্টুডেন্ট হওয়াই,রূপ রস ছন্দ অলংকার সম্মিলিত কবিতা লেখা যথেষ্ট পারদর্শী কিন্তু লেখার প্রয়োজন বোধ করি না। পূর্বে চর্চা করতাম এখন ছেড়ে দিয়েছিলাম, তবে বর্তমান আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কবিতা লেখার সুযোগ থাকায় পুনরায় শুরু করেছে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | 50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
বেশ ভালো সুন্দর তো।মাছকে খাবার দেওয়ার জন্য মাচা তৈরি, আমার কাছে ভালই লাগে যখন মাছকে খাবার দেয়া হয় সবগুলো মাছ একসাথে থাকে দেখতে খুব ভালো লাগে। ভালো ছিল ধন্যবাদ
আপনাকে ধন্যবাদ।
মাছের খাবার দেওয়ার জন্য মাচা নির্মাণের পুরো প্রসেস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর একটি মুহুর্ত শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। এরকম সুন্দর একটি কারুকাজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আমার মাছের খাবার দেবার মাচা নির্মাণ করা দেখে।
মাছের খাবার দেওয়ার জন্য পুকুর পাড়ে মাচা নির্মাণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পুকুর পাড়ে মাচা তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। দেখেই মনে হচ্ছে আপনি বেশ পরিশ্রম করে এই মাচা তৈরি করেছেন। আশা করছি আপনি বেশ দক্ষতার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
অন্য রকম একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া, আপনার মাছের খাবার দেওয়ার মাচা অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন, দেখে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
হ্যাঁ আপনাদের মাঝে ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছি।
খুবই সুন্দর কাজ করেছেন ভাই। আসলে আমাদের সকলের উচিত নিজেকে এভাবে কোন না কোন কাজে যুক্ত রাখা। মাছের খাবার দেয়ার জন্য নির্মাণ করা মাচাটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। রোজার মধ্যে কষ্ট করে মাচা নির্মাণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দোয়া করবেন যেন মাছ চাষে সফল হয়।
বাহ খুবই চমৎকার একটি বুদ্ধি। ভালো ছিল আপনার উপস্থাপনা টি। তবে পুকুরের পানি দেখে যত টুকু বোঝা যাচ্ছে পুকুরে বেশ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য আছে। 😃
নিয়মিত খাবার দেওয়া হয়।
মাছের খাবার দেওয়ার জন্য আপনি পুকুরপাড়ে অনেক চমৎকার একটি মাচা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাছকে খাবার দেওয়ার জন্য এই মাচা অতি জরুরী। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে এই প্রক্রিয়াটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য
আপনার মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো, আশাকরি ভাবে পাশে থাকবেন।
আপনি সবসময় ব্যতিক্রম ধরনের পোস্ট করে থাকেন, আজও বেশ চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে শেয়ার করলেন, পুকুরের মাঝখানে মাচা তৈরীর পদ্ধতি আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন, এভাবে সবসময় নতুনত্ব নিয়ে আসবেন আমাদের মাঝে আমরা খুবই উপভোগ করি, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
ব্যাতিক্রম ধর্বি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার মাছের খাবার দেওয়ার মাচা অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন। প্রতিটা ধাপ শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। দেখে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আমি সর্বদা চেষ্টা করি ব্যতিক্রম পোস্ট করার জন্য।
নিজের কাজ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে মাছের জন্য খাবার দিতে বাশের মাচা নির্মাণ করেছেন। আসলে এটা একটি ভালো উদ্যোগ এতে খুব সহজেই মাছ খাবার দেওয়া যাবে
আমি আমার নিজের কাজগুলো নিজেই করে থাকি যেগুলো সাধ্যের মধ্যে থাকে।