বন্ধুরা মিলে পেঁয়াজ বড়া বানানোর শেষ পর্ব
আজ - সোমবার
Photography device: Infinix hot 11s
Location
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের বড়া তৈরির দ্বিতীয় পোস্ট। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে বড়া তৈরীর প্রথম পর্যায়ে উপস্থাপন করেছিলাম। আজকে আমি শেষ পর্যায় উপস্থাপন করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আপনারা সবাই অবগত রয়েছেন যে আজকে আবহাওয়া খুবই খারাপ, বিশাল ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে অনেক মানুষ। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'সিত্রাং' আর এই দুর্যোগের জন্য লাইন বিচ্ছিন্ন। কারেন্ট নেই সারাদিন। ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলছে। যার জন্য ভালো কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তার মধ্যে থেকেও চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হওয়ার জন্য। তবে একটি কথা না বললেই নয়। ভয়ানক কোন আগুনের দৃশ্য এখানে তুলে ধরা হয়নি। শুধুমাত্র রান্না কার্যক্রম দেখানোর জন্য চুলার সামান্য পরিমাণ আগুনের দৃশ্য ফুটে উঠেছে। কোন সমস্যা হলে জানাবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কাজ শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
পেঁপে পেঁয়াজ কুচি বেসন ময়দা লবণ ইত্যাদি উপাদান গুলো একত্রে একটি গামলার মধ্যে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মিক্সচার করা হলো। এদিকে মারুফ বসে বসে মিক্সার এর কাজ সম্পন্ন করতে থাকলো ওদিক থেকে আমি খড়িগুলো কেটে গুছিয়ে নিলাম। অন্য সাইট থেকে পলাশ শসা গুলো কেটে সালাত বানাতে থাকলো।
এবার আমি আর শাকিব কড়াইয়ের মধ্যে তেল ঢেলে দিয়ে হালকা করে চুলাতে জাল দেওয়া শুরু করলাম। বড়া বানানোর জন্য দেড় কেজি তেল এনেছিলাম। প্রথমে এক কেজি পরিমাণে কড়াইয়ের মধ্যে দিয়েছি। কিছুটা সময় ধরে জাল দিতে থাকলাম আর কড়াই এর তেল গুলো গরম হয়ে ফুটতে থাকলো।
বড়া বানানোর কার্যক্রম পরিপূর্ণ রূপে শুরু হয়ে গেল। তেল ফোটার সাথে সাথে মারুফ শুরু করে দিল বড়া ভাজার কার্যক্রম। সে এই কাজে মোটামুটি দক্ষ বললেই চলে। তবে সকলেই অংশগ্রহণ করেছি এই কাজে যার জন্য কিছুটা সুবিধা বোধ করছিলাম না জানা থাকলেও মোটামুটি যেন হয়ে যাচ্ছিল।
আমি এক পাশ থেকে খড়িগুলো কেটে কেটে ছোট করে দিতে থাকলাম চুলার মুখে শাকিব জাল দিতে থাকলো আর মারুফ বড়াগুলো বানানো ব্যস্ত ছিল। এভাবেই এক এক জনকে বিভিন্ন কাজে ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছিল পূর্বেই যেন কাজ সম্পন্ন করতে কোন ঝামেলা না হয়। তবে মজার বিষয় এই যে বড়া ভাজা শুরু হয়ে গেল যখন ভাজাবড়া তোলা হচ্ছিল একটি গামলার মধ্যে সকলেই চেক করে দেখলাম স্বাদ কেমন। প্রথম চালানে বোজা গেল একটু লবণ কম হয়েছে তাই পুনরায় লবণ দিয়ে সংশোধন করে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তী চালান থেকে ভাজাবড়া গুলো খুব স্বাদ লাগছিল। এভাবেই এক দিক থেকে তৈরি করা চলতে থাকল আর অন্য দিক থেকে সকলেই খাওয়া শুরু হয়ে গেল।
পড়ন্ত বিকেলে নিজেদের হাতে তৈরি মচমচে বড়া বন্ধুদের সাথে মিলে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। পতি চালানে বিভিন্ন সাইজের বড়া তৈরি হতে থাকলো। একদিকে যেমন বড়া তৈরি হচ্ছিল অন্যদিকে সব বন্ধুরা মিলে খেতে শুরু করেছিলাম। সবাই ইচ্ছে মতো পেট পুরে খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, সাথে কুচি কুচি করা পেঁয়াজ আর শসার সালাত। দেড় কেজি বেসনের ময়দা আর এর সাথে প্রয়োজনীয় পেঁপে শসা পেঁয়াজ ইত্যাদি। এই সমস্ত উপাদানের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল যার জন্য ৭-৮ জন মানুষের হয়েও অনেক থেকে গেছিল।
অনেকেই বলেছিল সবার বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে অল্প করে হলেও, তবে বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আগে নিজেরা তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নিতে হবে তারপর বাড়বে চিন্তা। ঠিক এভাবেই পড়ন্ত বিকালটা যেন শেষ হয়ে আসলো এবং আমরাও তৃপ্তি সহকারে খেয়ে আর মুখে তুলতে পারছিলাম না। জীবনে প্রথম এভাবে নিজেরা তৈরি করে তৃপ্তি সহকারে পেট পুরে বড়া খেয়েছি। আর এভাবে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধনটা বজায় রাখলাম এবং স্মৃতি হয়ে থাকলো দিনটা। উদ্ধৃত বড়া গুলো খাওয়া শেষে নির্দিষ্ট করে ভাগ করে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার হয়েছিল। আর এভাবে সুন্দর একটা আনন্দঘন মুহূর্তে বড়া বানানো আর খাওয়ার কাজ সম্পন্ন হল। নতুন করে বন্ধুত্বের সুন্দর বন্ধন জেগে উঠলো সবার মাঝে। আশা করি পুনরায় কোন একদিন এভাবে আবার কোন আয়োজনে লিপ্ত হব ইনশাল্লাহ।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বন্ধুদের সাথে মিলে অনেক পিকনিক খেয়েছি । কিন্তু কখনো এই ধরনের বড়া জাতীয় জিনিস তৈরি করে খাওয়া হয়নি । তবে তাদের সাথে মিলে হাটবাজারে অনেক ধরনের বড়াও খেয়েছি । তবে পিয়াজু বলাটা বলতে জীবনের মধ্যে পেঁয়াজ বেশি থাকবে সেই বড়াটি আমাকে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনার সব বন্ধুরা মিলে সেটি বানানো ও খাওয়া র গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
একদিন চেষ্টা করুন না সকল বন্ধু মিলে, দেখবেন বেশ ভালো লাগবে।
বন্ধুরা জীবনের অধিকাংশ জুড়ে থাকে। খুব সুন্দর ভাবে বন্ধুদের সাথে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করছেন। সবাই মিলে পেঁয়াজ বড়া তৈরি করেছেন। আসলে এভাবে সবাই মিলে পেঁয়াজ বড়া তৈরি করে খাওয়া দাওয়া আর গল্প গুজব করার মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর ছিলো। পেঁয়াজ বড়া মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই সঠিক কথা বলেছেন ভাই। তবে দিনটা ছিল বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত।
বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবসময়ই অনেক মধুর হয়। বন্ধুদের সাথে যেকোনো জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা। খোলা আকাশের নিচে এই ভাবে মাটির চুলায় পেঁয়াজ বড়া বানিয়ে খাওয়ার দৃশ্য দেখে সত্যি অনেক অনেক ভালো লাগলো। বড়া গুলো অনেক লোভনীয় লাগছে। আমি পেঁয়াজ বড়া বানাই কিন্তু একটু বড় সাইজের করে কিন্তু আপনাদের বানানো বড়া গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে ছোট ছোট আর মনে হয় খুব মুচমুচে সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন সব বন্ধুরা মিলে। আপনাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আজীবন অটুট থাকুক এই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে।🙏 ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
বন্ধুদের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই সুন্দর পরিকল্পনা
ভাইয়া, আপনারা তো একটি রেসিপি তৈরি করতে দুটি পর্ব করেছেন।তাছাড়া সত্যিই আবহাওয়ার অবস্থা খুবই খারাপ কয়েকদিন ধরে।সব বন্ধুরা মিলে প্রকৃতির মাঝে এভাবে বড়া বানিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।দারুণ হয়েছে আপনাদের তৈরি পেঁয়াজ বড়া রেসিপি।এভাবেই টিকে থাকুক আপনাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক লং টাইম লেগেছিল যার জন্য এক পর্বে সব দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।