শৈশব-কিশোর কালের স্মৃতির পাতা থেকে বৃষ্টি নিয়ে আমার মজার অনুভূতির প্রকাশ

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - শনিবার

১১ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৫ জুন, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম

GridArt_20220625_232625341.jpg





হ্যালো বন্ধুরা

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের এই নতুন একটি পোস্ট। বৃষ্টির দিনের অনুভূতি শেয়ারের জন্য আপনাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক আনন্দ বোধ করতেছি।

এই কনটেস্টে জানতে চাওয়া হয়েছে বৃষ্টির দিনের সময়টাকে কিভাবে উপভোগ করি এবং সেই বিষয়টি সকলের মাঝে স্মৃতিচারণ হিসাবে শেয়ার করি। আসলে দীর্ঘ এ জীবনে বৃষ্টি তো আর একবার হয়নি এবং স্মৃতিতেও একবারের ঘটনা নেই। যতদূর মনে করা সম্ভব, অনেক কিছুই স্মৃতিতে ভেসে আসে অতীতে ফেলে আসা বৃষ্টির দিনের সময় গুলো। তবে সবগুলো এই ব্লগে শেয়ার করা মোটেই সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করবো দীর্ঘ দিনের বৃষ্টিতে ভিজে ইনজয় করা একই জাতীয় ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। যে স্মৃতি গুলো স্মরণ করলে জীবনের সোনালী অধ্যায় মনের মাঝে জেগে ওঠে। যখন আমার বন্ধু মিলে খেলেছি একত্রে, তাই আপনাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমার সেই কিশোর বেলায়। ধাপে ধাপে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চাই আমার সেই ফেলে আসা শৈশব স্মৃতির ঘটনার অনুভূতি। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে মেইন পয়েন্টের চলে যাওয়া যাক এখনই।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট


📸🦊📸



শেয়ার করতে এসেছি
ফেলে আসা কিশোর কালের বৃষ্টি ভেজা অনুভূতি
স্থান
গাংনী, মেহেরপুর


ফটোগ্রাফি সমূহ:


১ নং ফটোগ্রাফি

মানুষের শৈশব থেকে কিশোর বয়সে পদার্পণ করার সময় মনের মধ্যে অনেক রকম ভালোলাগা জাগ্রত হয়। আর এই সময়টাতে বন্ধুত্বের বন্ধন সৃষ্টি হয়। স্কুলে লেখাপড়া বা খেলার ছলে অনেক বন্ধু জুটে যায়। যাদের সাথে ইনজয় করা হয় প্রতিটি দিনের দারুন দারুন মুহুর্ত। ঠিক তেমনি আমার জীবনে কিশোরকাল এসেছিল। প্রাইমারি টু হাই স্কুল লাইফে লেখাপড়ার সময় বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন আড্ডায় অংশগ্রহণ করেছি,লেখাপড়া করেছি, খেলাধূলা করেছি। তবে এর মধ্য থেকে বিশেষ কিছু স্মৃতি আজ শেয়ার করতে এসেছি যে বিষয়ে অনুভূতি শেয়ার করতে বলা হয়েছে আমার বাংলা ব্লগে। তবে সেই স্মৃতি বড় মজাদার। যখন দেখতাম আকাশে মেঘ জমছে, বিশেষ করে গৃষ্ম বর্ষার সময়। আমরা পাড়ার কয়েকজন বন্ধু মিলে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য তৈরি থাকতাম। শুধু কি বৃষ্টিতে ভেজার মেইন উদ্দেশ্য? মোটেও নয়। বৃষ্টিতে ভিজবো, ঝড়ে পড়া অথবা নিজ জ্ঞানে কৌশল করে আম নারিকেল কুড়াবো, পুকুরে নেমে নল-নিতল খেলা খেলবো, আম গাছ থেকে পুকুরের জলে লাফ দিব, সবশেষে গোসল সেরে বাড়িতে পৌছাবো। সেটা আবার দুই আড়াই ঘন্টার সময়ের ব্যাপার ছিল। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা মনমুগ্ধকর সময় ছিল আমার লাইফে।

IMG_20220510_131936_364.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


২ নং ফটোগ্রাফি

যখন দেখতাম আকাশে কালো মেঘ জমেছে, ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দশ বারোজন বন্ধু মিলে একত্রে রেডি হতাম তিন রাস্তার পাশে। উদ্দেশ্য নারিকেল বাগানের দিকে। তবে আব্বু যেদিন বাড়িতে থাকতো খুবই চুরি চুরি করে পার হয়ে যেতাম বাড়ি ছেড়ে রাস্তার দিকে। সবাই একসাথে নারিকেল বাগানের দিকে চলে আসতাম। আকাশে মেঘ জমে যেত অনেক। আর তা দেখে আমরা খুবই আনন্দবোধ করতাম।

IMG_20220510_133147_847.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৩ নং ফটোগ্রাফি

মেঘ যখন বেশি গাঢ় হতো তখন আমরা ধরে নিতাম অবশ্যই ঝড় উঠবে। আর এই ঝড়ের সময় এক একজন এক একটা নারিকেল গাছের নিচে অথবা আমগাছের নিচে অবস্থান করতাম ফল কুড়ানোর জন্য। তবে সাবধান থাকতাম যেন মাথায় না পড়ে। যখন ঝড় উঠে পড়তো আমরা সবাই জোরে চেঁচিয়ে উঠতাম। হয়তো আপনারা ভাবতে পারেন প্রতিটি নারিকেল গাছে কি নারিকেল থাকতো। অবশ্যই নারিকেল থাকতো প্রতিটি গাছের দুই/তিন কাইন জুড়ে পাকা পাকা নারিকেল। নারিকেল বাগান মালিকেরা ঘুরে তাকাতেন না বৃষ্টির মুহূর্তে যেহেতু তাদের বাড়ি থেকে বাগানটি কিছুটা দূরে। অবশ্য দোতলা থেকে তারা দেখতে পারত, তবে কিছু করার থাকতো না তাদের।

IMG_20220510_132039_115.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৪ নং ফটোগ্রাফি

আমরা বুঝতে পারতাম বৃষ্টি বেশি হবে নাকি ঝড় বেশি হবে। অনেক সময় দেখতাম ঘন কালো মেঘ অন্ধকার করে ফেলছে চারিপাশ। আবার মেঘ গুলো কেটে কিছুটা সাদা মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই বলাবলি করত অনেক বৃষ্টি হবে মজা করে ভিজতে হবে। আবার কেউ আকাশ পানে তাকিয়ে বলতো বৃষ্টি হবে না রে ঝড় উঠবে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল আমাদের মধ্য থেকে যারা বড় ছিল তারা বুদ্ধি করে মোটা মোটা ইটের খোয়া ম্যানেজ করে রাখত নারিকেল গাছে ছুড়ে মেরে নারিকেল পাড়ার জন্য। অবশ্য এই কাজে সাকসেস হত অনেকেই। যে দিনগুলোতে ঝড় হতে থাকতো, বৃষ্টি কম ছিল। সেই দিনগুলোতে এই উদ্দেশ্যগুলি সফল হতো। অনেকেই দুই-তিনটা করে নারিকেল পেয়ে যেত। তবে আমগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না আমাদের কাছে। ঝরে পড়া আম মিষ্টি হলে কেউ বাড়িতে নিয়ে যেত, টক আম গুলো নারিকেল গাছের দিকে ছুড়ে মারতো।

IMG_20220510_131956_787.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৫ নং ফটোগ্রাফি

হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আম নারিকেল কুড়ানোর পরে পাশের পুকুরে নল-নিতল খেলা করতে নামলে বা গোসল করতে নামলে ফলগুলো কি করতাম? যাদের বাড়ি নিকটে ছিল তারা দৌড়ে গিয়ে বাড়িতে রেখে আসছো। কেউ পুকুরের পাশে রেখে দিত। অনেকের ছোট ভাই বোন থাকলে বসে পাহারা দিত। অর্থাৎ যার যেমন সুবিধা। কারণ সকলেই জানতো এই মুহূর্তে মালিকপক্ষ কেউই আসবেনা আমাদের পাশে। পুকুরের দু'সাইডে আম গাছ ছিল। একটি বড় আম গাছ ছিল পুকুরের ধারে ঝুলন্ত। পুকুরে নেমে আমরা শুরু করতাম আম গাছের ডাল টেনে ধরে গাছের ডালের মাথায় চড়ে পুকুরের মধ্যে লাফ দেওয়া। অনেক সময় জোরে জোরে ঝমঝম বৃষ্টি শুরু হয়ে যেত, মাঝেমধ্যে মেঘ ডেকে উঠত এমনকি বিদ্যুৎ চমকানোর সাথে সাথে ডাক/বাজ/ঠেটা/বিজলী পড়তো দূরে কোথাও।

IMG_20220510_132434_849.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৬ নং ফটোগ্রাফি

বিদ্যুৎ চমকালে আমরা হাসাহাসি করতাম এবং বলাবলি করতাম যখনই বিদ্যুৎ চমকে উঠবে সবাই কানে আঙ্গুল দিয়ে পানির মধ্যে ডুব দিবো যেন আমাদের গায় না পড়তে পারে। যখন বারবার বিদ্যুৎ চমকানো আমরা অপেক্ষা করতাম ডুব মারার জন্য। নানান পাগলামি মনের মধ্যে আসতো তখন, ভুলে যেতাম বাড়ি যেতে হবে কখন। যখন দেখতাম আর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে না পুনরায় শুরু করে দিতাম গাছে ওঠা এবং পুকুরের মধ্যে লাফ দেওয়া।

IMG_20220510_132439_303.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৭ নং ফটোগ্রাফি

লাফ দিতে দিতে যখন হাঁপিয়ে যেতাম। পুকুরের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে রেস্ট করে পুনরায় শুরু করতাম নল-নিতল খেলা। আমরা সবাই মিলে দুইটা দলে বিভক্ত হতাম। নির্দিষ্ট করে নিতাম কে কাকে ধরবে। একজন ধরা পড়ে গেলে ধরা পড়া ব্যক্তি পুনরায় শুরু করতো বিপরীত জনকে ধরার জন্য। তবে পুকুরের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থান করে দেয়া হতো এর বেশী দূরে কেউ যেতে পারবেনা। হয়তো ফটোতে দেখে বুঝতে পারছেন পুকুরটা কত বড়। একজন আরেকজন থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করার পরে ধরা শুরু হতো। এভাবেই পুকুরের মধ্যে দীর্ঘক্ষন কেটে যেত। যেদিন দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি হত না, সেই দিন আমরাও বেশিক্ষণ পুকুরে থাকতাম না।

IMG_20220625_185502_625.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৮ নং ফটোগ্রাফি

শুধু কি খেলা করেই শান্ত থাকতাম? কখনোই না। কে কতদূর ডুব মেরে যেতে পারে। কে কতদূর সাঁতার কেটে যেতে পারে। কে কোন ধরনের সাঁতার কাটতে পারে। সমস্ত কিছুই আমরা বৃষ্টির মুহূর্তে এনজয় করতাম পুকুরের মধ্যে। তবে যে শুধু খেলা করছি তাই নয় এর মধ্যে মারামারি হয়ে যেত 😥, কান্নাকাটি হয়ে যেত 😭। সবকিছু ভুলেই পুনরায় আবার একত্রিত হয়ে খেলতাম। আজকে যখন ফটোগ্রাফি করার জন্য আম নারিকেল বাগান ও পুকুরের নিকটে গিয়েছিলাম। দেখলাম সেই বড় আমগাছটি নেই। যে পাশ থেকে ফটোগ্রাফি করেছি, সে পাশেই বড় আম গাছ ছিল। আগের মত পুকুরে ভরা পানি নেই, জানতে পেরেছে কিছুদিন আগে পুকুরটাকে ছেকা হয়েছিল। তবে আমরা যখন খেলতাম পুকুর ভরা পানি এবং মাছ থাকতো।

IMG_20220625_185512_345.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


৯ নং ফটোগ্রাফি

আপনারা অনেকেই হয়তো 'খরশালা' মাছের সাথে পরিচিত। খরশালা মাছগুলো কখনো ডুব মেরে থাকত না। সারাখন পুকুরের এপাশ থেকে ওপাশে ভেসে বেড়াতো। আমরা সবাই দলবদ্ধ ভাবে তাদের পিছু নিতাম তাড়াতাড়ি খেলতাম। এভাবেই কেটে যেত প্রতিটা বৃষ্টি ভেজা দিন। তবে এই দিনগুলো দু-একটা দিনের নয়। বলতে গেলে ক্রিকেট খেলার সময় যেমন ফিল্ডে প্রতিদিন ক্রিকেট খেলা হয়। আমাদের এই বৃষ্টিভেজা খেলা গুলো ঠিক তেমনই ছিল। যেদিন বৃষ্টি হবে এমন মুহূর্ত গুলো আমরা সবাই একত্রিত হয়ে পড়তাম এবং এভাবেই এনজয় করতাম। বিশেষ করে ক্লাস ফোর থেকে এইট পর্যন্ত এমন এনজয় বেশি করেছি। সেই দিনগুলোতে এমন ইনজয় করতে পেরেছি এই জন্য যে আমাদের যুগে মোবাইল ছিল না। দু-একটা বাড়িতে বাটন আলা মোবাইল দেখা যেত। যেমন ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমার হাতে একটি মোবাইল জুটেছিল,যার নাম ছিল 'বার্ড'।

IMG_20220625_184520_257.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


১০ নং ফটোগ্রাফি

সেই মোবাইলের প্রতি ছিল না এমন আসক্ত অনুভূতি, যেমনটা আজ এন্ড্রয়েড মোবাইলের প্রতি। মনে হত যেন বৃষ্টির দিনের জন্যই প্রতীক্ষায় থাকতাম, কবে বৃষ্টি হবে,কবে একত্রে ভিজতে পারব। এমনকি স্কুল পালিয়েও বন্ধুরা একত্রিত হয়ে ভিজেছি। নারিকেল বাগান এর পরেই আমাদের প্রাইমারি এবং হাই স্কুল। আজ সেই সোনালী দিনগুলো শুধু স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে, যেগুলো মাঝে মধ্যে অনুভব করে থাকি। তবে বিভিন্ন কাজ কর্মের জন্য এখনো বৃষ্টিতে ভিজে থাকি। তাই স্মরণ হয়ে যায় অতীতের দিনগুলো। আরও স্মরণ হয়ে যায় সেই দিনগুলো, স্কুলের বাচ্চারা যখন কথা না শুনে বৃষ্টির পানিতে ভেজার জন্য ফিল্ডে নেমে পড়ে। আজকের এই কনটেস্ট দেওয়াতে পূর্ণ স্মরণ করতে পারলাম। তাই খুবই ভালো লাগলো আমার। আশা করি আমার অতীতে ফেলে আসা বৃষ্টিতে ভেজা সেই স্মৃতিগুলো সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরেছি এবং অনুভূতিগুলো বুঝিয়ে বলতে পেরেছি।

IMG_20220510_151721_820.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location

Photo_1656170543611_1.png


received_305654148004402.webp
zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png

R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png


আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।

💌আমার পরিচয়💌


আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল' নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি।




পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

@sumon09

💖💞💞💖


image.png

image.png

আমার পরিচিতিকিছু বিশেষ তথ্য
আমার নাম@sumon09🇧🇩🇧🇩
ফটোগ্রাফি ডিভাইসমোবাইল
ব্লগিং মোবাইলInfinix hot 11s
ক্যামেরাcamera-50mp
আমার বাসামেহেরপুর
আমার বয়স২৫ বছর
আমার ইচ্ছেলাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা

zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Sort:  
 2 years ago 

আপনার পোস্টি পড়ে ভীষণ ভাল লাগলো। আপনি ছোট বেলার অনেক স্মৃতি শেয়ার করেছেন।
আমাদের ছোট বেলাটা ছিল এমনি প্রাণচ্ছল। এই সময়ের ছেলেবেলার মত মোটেও নির্জীব নয়।

 2 years ago 

আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। আশা করি অনেকের অনুভূতি এভাবেই পড়বেন এবং সুন্দর মন্তব্য করবেন।

 2 years ago 

আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর শৈশবের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে শৈশবের জীবন সবারই মজার হয় ।লুকিয়ে থাকে মজার মজার গল্প। আমার সবথেকে মজা লেগেছে টক আমগুলো গাছের ছুড়ে মারতেন ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আশা করি আমার মত অনেকেই তাদের অনুভূতি গুলো শেয়ার করবে এবং তা আপনি পড়ে দেখবেন।

 2 years ago 

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলেই আপনারা বৃষ্টিতে ঘোরার জন্য প্রস্তুতি নিতেন ।অসাধারণ ভাবে আপনি আপনার শৈশবে বৃষ্টিতে ভেজার ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হ্যাঁ শৈশবের স্মৃতি গুলো আমাদের খুবই মজার ছিল। কারণ চার দেয়ালের মাঝে আমরা বন্দী থাকতে না টিভি মোবাইল নিয়ে। প্রকৃতির সাথে এনজয় করতাম মনের মত।

 2 years ago 

আপনার পোষ্টটি পড়ে সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় কাটানো বৃষ্টির দিনের মজার অনুভতি দারুন উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

সাবলীল ভাষার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

ঝড়ের সময় নারকেল গাছের নিচে থাকা খুবই বিপদজনক। তবে আপনার গল্প পড়ে আমিও ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছুক্ষনের জন্য। ছোটবেলায় যখন ঝড় বৃষ্টি আসতো তখন অনেক আনন্দ অনুভব করতাম কেমন জানি। তবে বেশি ঝড় এলে অনেক ভয় ও পেতাম। ভাল লেগেছে আপনার গল্প পড়ে।

 2 years ago 

অবশ্যই বিপদজনক তবে সাবধান থাকতাম অনেকেই। আর এই মধুর স্মৃতিগুলো আমাকে বারবার অতীতের কথা স্মরণ করে দেয়।

আপনি এতো সুন্দর করে আপনার শৈশবকালের স্মৃতিগুলো বৃষ্টির দিনের মাধ্যমে আমাদের মাঝখানে উপস্থাপন করেছেন যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এরকম সুন্দর সুন্দর পোষ্ট আপনি নিয়মিত শেয়ার করতে থাকুন দোয়া করি

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ, খুব খুশি হলাম এমন সুন্দর সাবলীল ভাষার মন্তব্য দেখে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60497.39
ETH 2637.52
USDT 1.00
SBD 2.56