আজ - মঙ্গলবার
২৪ বৈশাখ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
০৭ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৩৩ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
![Screenshot_20240507-113802.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaRjnKrWtcZc2kpXNPQWa5K5qSz4SHcbDiJXYCFgvNWCB/Screenshot_20240507-113802.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৩৩ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @banglavisiondrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হারাধন দত্ত এতটাই কৃপণ যে, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়েছিল কোন ডাক্তারকে তিনি দেখান নাই। অসুখে ধুকে ধুকে মারা গেছে তার ওয়াই। আজ তার কুটুমরা বাড়িতে এসেছে কিন্তু তাদের সেভাবে বরণ করে না নিয়ে, বরঞ্চ বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করে চলেছে সামান্য দু মুঠো খাবার দেয়ার ভয়ে। এদিকে শিবানী তার দুই মামার সাথে কারণে অকারণে ঝগড়া করে খেদানোর চেষ্টা করছে। তাই অতি দুঃখে দুঃখিত হয়ে শিবানীর মামা দুইটা তার ভাই ভূপেন এর সাথে অনেক কথা বলাবলি করলো। ভূপেনও তো তার মামাদের বলতে পারতো মায়ের অসুখের কথা। কিন্তু পরবর্তীতে ভূপেন তার দুঃখের কথা বলল তার বাবা এতটাই কৃপণ যে ছেলেকে ছেলে মনে করে না, আর স্ত্রী তো অসুখে মারা গেল বিনা চিকিৎসা। এদিকে দুই মামা যখন প্রতিবাদ করে তখন হারাধন চুপ হয়ে থাকে ও তার মেয়ে শিবানী মামাদের মুখে মুখে তর্ক করে। অতঃপর দুই মামার কৌশলে হারাধন মুখ খোলে।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
বহর আলী তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে ফেলেছে হারাধন কাকার গাছের ডাব কারা চুরি করে খেয়েছে। কিন্তু অবশেষে কোন লাভ হলো না চোর চিহ্নিত করে। ভূপেন গোল্লার কুপরামর্শে এই কাজ করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে এসে গেছে হারাধন দত্ত অথবা শিবানী চোরের নাম শুনলে তাদের জোড়া পাঠা মান্নত দেওয়া লাগবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে আবার। কিন্তু বিষয়টা না বুঝতে পারায় বহর বেশ অবাক হলো। সে যখনই চেষ্টা করলো চুরির বিষয়টা শিবানী অথবা তার বাবা হারাধনকে বলি তারা কিছুতেই চোরের নাম শুনতে চাইলো না। আবার এদিকে দোকানদার মজনুকে চুরির ডাব খাওয়ানো হয়েছিল এবং মানা করা হয়েছিল যেন সে কারো কাছে প্রকাশ না করে। হারাধন দত্তের চাল পড়া খাওয়ার ভয়ে মজনু বহরের কাছে চোরের নাম বলে ফেলেছিল। তবে এই বিষয় নিয়ে তাদের কোন সমস্যা নেই এখন। বড় সমস্যা মজনু তার দোকানে চা তৈরি করে বন্ধুদের মাঝে বিলি করে টাকা উঠায় না। এতে দোকান ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে সেই চিন্তা করে তার বড় ভাই দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। বিদেশে পাঠানোর কথা ছিল সেই টাকাও দিবে না বলেছে। তাই সে দোকান বাদ রেখে বন্ধুদের সাথে এখানে সেখানে বসে আফসোস করে বেড়ায়।
![Screenshot_20240507-123043.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV7HnqERS7uHPvRh1573hvE2Gacsp5Cu5U3vKtKnqXeHJ/Screenshot_20240507-123043.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
অনেক হয়রানির পর দুই মামাকে শিবানী সামান্য একটু খিচুড়ি রান্না করে খেতে দিয়েছে। তবে খিচুড়ির মধ্যে তেমন ঝাল লবণ মসলা দেয় নি। দুই মামাকে খেতে বসতে দিতেই এই মুহূর্তে গোল্লা এসে উপস্থিত তাই শিবানী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো খাবার দেওয়ার ভয়ে। এদিকে গোল্লা ভাগ বসালো দুই মামার খাবারে। শিবানী এতোটুকুই খিচুড়ি দিয়েছে যেখানে একজন ব্যক্তির কিছুই হয় না। এদিকে তার মধ্যে গোল্লা আবার ভাগ বসালো। কিছুতে শিবানী আরেকটু এনে দিল না। তবুও গোল্লা তার খিচুড়ি রান্নার প্রশংসা করতে থাকলো। এমনভাবে বলতে থাকলো যেন পরবর্তীতে আবার তার হাতের খিচুড়ি খেতে পারে।
![Screenshot_20240507-123632.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeE91WZR4XyA2D7y6wMkYpFxaeTy8gEmGaicdSrB4kfUC/Screenshot_20240507-123632.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এদিকে নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে দুই তিন দিন মজনুর দোকানে চা খেয়ে নেশায় পরিণত হয়েছে। তাই সেই বিষয়টা বেশি ডাটের সাথে তার বড় ভাইয়ের প্রেমিকার কাছে বলে। কিন্তু তার চা খাওয়ার টাকা প্রেমিকা রেশমা দিয়ে থাকে, এ কথা বড় ভাই প্রকাশ করে দেয়। এদিকে বড় ভাই এর প্রেমিকা তাকে বোঝায় ছোট ভাইয়ের সম্বন্ধ মা নিয়ে যাবে রেশমার বাবার কাছে, তুমিও তো পারো তোমার মাকে রাজি করে সম্বন্ধ নিয়ে আসতে। বিষয়টা বড় কুলাঙ্গারের মাথায় ছিল না। প্রেমিকার কথা শুনে সে খুবই খুশি হলো এবং রাজি হল তার মাকে গার্জেন করে প্রেমিকার বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে বিয়ের প্রস্তাবের জন্য। কারণ তার বাবা কোনদিনও কারোর বিয়ে দিতে চায় না,কারো বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা।
![Screenshot_20240507-160948.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTw6SPqrQyd68m5NzwfzRwuUYRg9qSYBSTnRouPLPDSX8/Screenshot_20240507-160948.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এই নাটকের সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় শিবানীর অতিমাত্রায় কৃপণতা। সে তার নিজের আপন দুই মামার সাথে এমন দুর্ব্যবহার করল শুধুমাত্র দুমুঠো খাবার দেওয়ার জন্য। সে কখনোই চায় না তার মামারা তাদের বাড়িতে অবস্থান করুক। কারণ তারা অবস্থান করলে শিবানির বাবার ভাত খরচ হবে বেশি। এদিকে অতি কষ্ট করে বহর আলী ডাব চোর নিশ্চিত করেছে কিন্তু তাতে কোন কাজে আসছে না। যাদের ডাব চুরি হয়েছে তাদের নেই মাথাব্যথা। নজর আলী কৃপণের দুই কুলাঙ্গার ছাওয়াল প্রেম করেছে নাটকের শুরুর দিক থেকে লক্ষ্য করে আসছি, তবে বড় ছেলের প্রেমের কোন সাফল্যতা নেই ছোট ছেলের প্রেমিকার বাবার পর্যন্ত এ বিষয়ে জানানো হয়েছে তিনি গার্জেন নিয়ে যেতে বলেছেন বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করবে। এদিকে গোল্লা এসে যখন যেখানে যেভাবে সুযোগ সেখানেই প্যাচ লাগিয়ে চলছে। আর এই সমস্ত বিষয়ে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যে যার স্থানে রয়েছে সেই জায়গা থেকে খুব ভালো পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করেছে অভিনয়ের ক্ষেত্রে। তবে নিখুঁত অভিনয় রয়েছে এখানে শিবানীকে ঘিরে। যতটা হাস্যকর ততটাই কৃপণতা ঘেরা এই পর্ব।
৮.৭৫/১০
আপনি এই নাটকটির পর্বগুলো একের পর শেয়ার করে থাকেন। যেগুলোর রিভিউ পড়ে বেশ ভালোই লাগে। আমি এই নাটকটির কিছু পর্ব আমি দেখেছি।আজকে ৩৩ তম পর্ব শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা ধারাবাহিক নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টায় আছি সম্পূর্ণ রিভিউ করব।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া। দেখতে দেখতে আপনি হারকিপটে নাটকের ৩০ পর্ব পার করে ৩৩ তম পর্ব আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। এই পর্বের অভিনয় আমার খুবই ভালো লাগে। বেশ চমৎকার অভিনয়গুলো রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার হাড় কিপটে নাটকের রিপি পড়ে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নাটক রিভিউ। ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে যে নাটকটি শেয়ার করেছেন এই নাটকটি খুবই হাসির একটি নাটক। মোশারফ মানেই যেন এক অন্যরকম ফানি। আপনার এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছি তাই আজকের এই পর্বটি দেখেও বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
হারকিপটে নাটকের কথা আর কি বলি, বলতে গেলে এটা আমার অনেক প্রিয় এবং ফেভারেট একটি নাটক। আমি যখন খাবার খেতে বসি তখন এই নাটকটি মোবাইলের মাধ্যমে উপভোগ করি এবং খাবার খাই এটা আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি হার্কিপটা নাটকের 37 তম পর্ব শেয়ার করলেন এটা যদিও আমি দেখেছি তাও রিভিউটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
ভাই দেখতে দেখতে এই নাটকের ৩৩ তম পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করে দিলেন। এই নাটকের প্রতিটা পর্ব আমি দেখেছি খুবই চমৎকার নাটক। এই নাটকে প্রতিটা চরিত্র অসাধারণ অভিনয় করেছে। সব মিলে একটি অসম্ভব সুন্দর নাটক।
হ্যাঁ ভাই মন ভালো করা নাটক একটা।
এই পর্বে সবচাইতে মজার ব্যাপার ছিল বহর যখন চোরের নাম বলতে যায়। শিবানী বা হারাধন দও কেউই সেটা শুনতে রাজি না। কারণ ঐ জোড়া পাঠা বলি দেওয়ার ভয় হা হা। আর ঐদিকে খিচুড়ি খাওয়ার ব্যাপার টাও বেশ ছিল। দারুণ করেছেন রিভিউ টা ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
এই জায়গাটাই তো আনন্দ
হাড় কিপটে এই নাটকটাতে তো দেখছি অনেকগুলো পর্ব রয়েছে। আর এর মধ্যে আপনি অনেকগুলো পর্ব শেয়ারও করে ফেলেছেন। প্রথম থেকে পর্বগুলো না দেখলে আসলে সেরকম বোঝা যায় না, তা সত্বেও আপনার ৩৩ তম পর্ব পড়ে যা বুঝলাম। হারাধন দত্ত তো খুবই কিপটে, যে তার বউকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলেছে। সেই সাথে শিবানী ও হার কিপটে। সামান্য খেতে দেওয়ার ভয়ে তর্ক করে যাচ্ছিল তার মামাদের সাথে।
হ্যাঁ ১০৫ পর্ব, দেখবেন ভালো লাগবে।