খুব সহজে মান-কচু ভর্তা রেসিপি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% বেনিফিসারী
আজ - রবিবার
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
- রেসিপির প্লেট হাতে নিয়ে আমার একটি ফটো।
পেঁয়াজ কুচি | দুই পিস |
রসুন কুচি | হাফ পিস |
কাঁচা মরিচ | ১১ পিস |
সয়াবিন তেল | ৫০ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণ মতো |
মান কচু | এক কেজি |
প্রথম ধাপ :
• মান-কচুটি একটি কাঠের উপর নিয়ে প্রস্তুত হলাম ছুরি দিয়ে ছুলার জন্য।
দ্বিতীয় ধাপ :
• মান-কচুটি একাধিক খন্ডে গোল গোল করে খন্ড করে নিলাম,যাতে ছুলতে সুবিধা হয়।
তৃতীয় ধাপ :
• এবার ছুরি দিয়ে সব ছুলে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ :
• এবার ছুরি দিয়ে ফালি ফালি করে কেটে নিয়ে একটি পানি ভর্তি গামলার মধ্যে রাখলাম ।
![]() | ![]() |
---|
পঞ্চম ধাপ :
• দুই হাতে সরিষার তেল মেখে নিয়ে,মান কচুর ফালিগুলো একটি বালতির মধ্যে রেখে পানি দিয়ে তিন/চার বার ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। যেনো মানের কশ দূর হয়ে যায়।
ষষ্ঠ ধাপ :
• ভালোভাবে ধোয়া শেষে একটি গামলাতে উঠিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ :
• এবার রাইস কুকারের পাতিলের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিয়ে মান কচুর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম, সাথে এগারো টি কাঁচা ঝাল সিদ্ধ করতে দিলাম।
অষ্টম ধাপ :
• এবার রাইস কুকারের পাতিলটি রাইস কুকার এর মধ্যে রেখে রাইস কুকার অন করে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
নবম ধাপ :
• রাইস কুকার অন করা থেকে আধা ঘন্টা পর্যন্ত ওয়েট করলাম ততক্ষণে রাইস কুকারের পানি টগবগ করে ফুটতে থাকল এবং মান-কচু গুলো সিদ্ধ হয়ে গেল।
![]() | ![]() |
---|
দশম ধাপ :
• রাইস কুকার অফ করে পাতিলটি নামিয়ে নিয়ে এলাম এবং মান কচু হাতে নিয়ে দেখলাম পুরা সিদ্ধ হয়ে গেছে যা ভর্তা করা যাবে।
একাদশ ধাপ :
• গামলার মধ্যে ঝাল পেঁয়াজ রসুন লবণ ইত্যাদি প্রস্তুত করে নিলাম।
দ্বাদশ ধাপ :
• এখন ওই গামলার মধ্যে কিছুটা করে মান-কচুর ফালিগুলো দিতে থাকলাম এবং ছানতে থাকলাম।
![]() | ![]() |
---|
ত্রয়োদশ ধাপ :
• নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাবে ঝাল-লবণ দিয়ে ভালো করে ছেনে নিলাম। কিছুটা মুখে দিয়ে চেক করে দেখলাম যে মানের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা, নাকি গাল চুলকায়। দেখলাম হাঁ সবকিছু ওকে। যেমন টেস্ট তেমন লোভনীয়। কোন প্রকার গাল চুলকানোর কথা নেই।
শেষ ধাপ :
• ছানার কাজ সমাপ্ত হলে একটি প্লেটে তুলে নিলাম সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করার জন্য। আর এভাবেই আমার মান কচু ভর্তার কাজ সম্পন্ন হলো। অতঃপর পরিবারের সকলের মাঝে পরিবেশন করলাম এবং সবাই খেয়ে খুবই আনন্দ প্রকাশ করল।
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন) @sumon09 বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস,মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। পেশাগত অবস্থান বর্তমানে মৎস্যচাষী। মাছ চাষের অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ষোলো বছরের।
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🌺💞💞🌺
আমার নাম | @sumon09 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | Al dual camera-8mp & Infinix hot 11s-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
এই রেসিপিটি একদমই নতুন আমার কাছে। এভাবে মান কচু দিয়ে ভর্তা তৈরি করেছেন দেখে অবাক হয়ে গেলাম।কারণ কচু দিয়ে ভর্তা করা যায় তা জানতাম না।আপনি আজকে একদম ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি চাইলে আমার মত করে সুন্দরভাবে এমন ভর্তা তৈরি করতে পারেন।
মান কচু ভর্তা রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমি আগে কখনো এই ধরনের ভর্তা খাইনি। আপনি খুব সুন্দর করে মান কচুর ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন ।যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ।একসময় এভাবে ভর্তা করে খাওয়ার চেষ্টা করবো ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আশা করি আমার এই রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছেন ।এখন থেকে চেষ্টা করলেই তৈরি করতে পারবেন এবং বাংলা ব্লগে শেয়ার করতে পারবেন।
আপনি খুবই মজাদার একটা মান কচুর রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি আমি খেয়েছি অনেক আমার কাছে কচু ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বিশেষ করে কচু খাওয়া আমাদের জন্য অনেক ভালো। কারন কচুতে আছে অনেক ভিটামিন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা লোভনীয় কচুর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি অনেকটা মনমুগ্ধকর কমেন্ট করেছেন। সত্যি আপনার কমেন্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।
মান কচু একটু মুখে ধরে। যাই হোক খেতে ভালোই লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে প্রসেসটি দেখিয়েছেন। আপনার দক্ষতা আছে বলতে হয়। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মান কচু অনেক ভাবে রান্না করা যায়।কেউবা আবার ভাজি করে খায়, তবে ভর্তা প্রথম দেখলাম। অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এ জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
আশা করি ভাই আপনি এমন ভাবে তৈরি করে আমার বাংলা ব্লগে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
কচু ভর্তা খেতে খুবই মজার। আমার বাসায় মাঝে মাঝেই মান কচু ভর্তা করা হয়। আর এই মান কচু খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার কচু ভর্তা গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় লাগছে আপনার করা মান কচু ভর্তা গুলো। ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এমন ভাবে ভর্তা তৈরির জন্য আপনাকেও উৎসাহ প্রদান করলাম ।আশাকরি আপনি এমন ভাবে তৈরি করে আমার বাংলা ব্লগ এ শেয়ার করবেন।
বাহ আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি যে খুব সহজে মান-কচু ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে এই রেসিপি তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুব সহজে মান-কচু ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। এই ধরনের রেসিপি গ্রামের দিকে অনেক প্রচলন রয়েছে। গ্রামের মানুষেরা এই রেসিপি গুলো খুব তৃপ্তির সাথে গ্রহণ করে থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আলু দিয়ে রুই মাছের রেসিপি খুবই চমৎকার ভাবে তৈরি করেছেন আপনি। বিশেষ করে আলু দিয়ে যে কোন মাছের তরকারি রান্না করলে সেটা খেতে খুবই দারুণ হয়।আর আপনি সই মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপির উপস্থাপনা খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।