আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বিস্কুট চা তৈরি করে দেখাতে চলেছি। আশা করি খুব সহজে সুন্দর এই স্কুলটা আপনারা তৈরি করতে পারবেন।
রেসিপি বানানোর উপাদান সমূহ: |
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | বিস্কুট | ৪ পিচ |
২. | চিনি | ১০০ গ্রাম |
৩. | চাপাতি | এক পিচ |
৪. | পানি | এক কাপ |
কার্যক্রমের শুরুতে একটি ওয়াটার পট ধুয়ে আনলাম এবং এর মধ্যে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে কারেন্টে লাইনে পানি গরম করতে দিলাম। দুই তিন মিনিট মতো অপেক্ষা করলাম পানি গরম হওয়ার জন্য।
পানি গরম হওয়ার পর দুইটা কাপ রেডি করলাম। প্রথমে স্টিলের কাপের মধ্যে গরম পানি দিয়ে চা তৈরি করতে হবে তাই ওয়াটার পার্ট এর ঢাকনা খুলে স্টিলের কাপের মধ্যে গরম পানি ঢেলে নিলাম।
এবার কাপের মধ্যে গরম পানিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি ছেড়ে দিলাম। এরপর একটি চামচ দিয়ে চিনি গুলো গরম পানির মধ্যে বেশ ভালো করে গুলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। তবে প্রথমত সম্পূর্ণ চিনি গুলাতে হবে এর কোন মানে হয় না।
| |
এবার বিস্কুট গুলো হাতে নিলাম এবং কাপের মধ্যে গুঁড়ো গুঁড়ো করে ভেঙে ছেড়ে দিতে থাকলাম। গরম পানির মধ্যে বিস্কুট গুলো যাওয়ার সাথে সাথে যেন মিশে যেতে থাকলে পানির সাথে।
| |
এবার চামচ দিয়ে খুব ভালোভাবে চিনি বিস্কুট একসাথে গরম পানির সাথে মিশ্রণ করতে থাকলাম। খেয়াল রাখতে হবে যেন পানির সাথে এগুলো ভালোভাবে মিশ্রিত হয়।
এবার চাপাতির প্যাকেটটা পানির মধ্যে দিয়ে সুতা ধরে খুব ভালোভাবে নড়াতে থাকলাম যেন চায়ের রং এবং চায়ের স্বাদ পানির মধ্যে মিশ্রিত হতে থাকে। তবে বেশি খান এর মধ্যে না নড়ানোটাই উত্তম। সবেমাত্র কালারটা পরিবর্তন করে নেওয়া পর্যন্তই।
| |
এরপর স্টিলের কাপ থেকে কাঁচের কাপের মধ্যে, আবার কাঁচের কাপের মধ্য থেকে স্টিলের কাপের মধ্যে চা ঢালাপাড়া করলাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল স্পেশাল বিস্কুট চা।
আমরা অনেকেই জানি চায়ের সাথে বিস্কুট দিয়ে খেতে ভালো লাগে। তবে স্পেশালি এই বিস্কুটসরা তৈরি করতে আর দ্বিতীয়বার বিস্কুট হাতে ধরে চায়ের মধ্যে চুবড়ানো লাগবে না। এ যেন ভিন্ন আঙ্গিকে এক চায়ের স্বাদ। এভাবেই প্রস্তুত হয়ে গেল চা তৈরি। এরপর সকাল সকাল চেয়ার টেবিলে রিলেক্সে বসে একা একাই চা পান করে ফেললাম। আর এরই মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল আমার স্পেশাল বিস্কুট চা তৈরীর কার্যক্রম।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
|
---|
আজ প্রথমবার দেখলাম বিস্কুট চা তৈরি করা যায়।তাছাড়া আপনি তো দুধ ব্যবহার করেননি, সেক্ষেত্রে টেস্ট কেমন হবে সেটাই ভাবছি।তবে এভাবে করলে বিস্কুট এক্সট্রা করে খাওয়া লাগবে না,হাহাহা।
এটা ভিন্ন স্বাদের চা। অবশ্যই তৈরি করে বুঝতে পারবেন।
আপনি খুবই সহজ পদ্ধতিতে বিস্কুট-চা তৈরি করেছেন।আসলে এভাবে বিস্কুট-চা তৈরি করে খেলে আলাদা করে আর বিস্কুট খেতে সময় নষ্ট হবে না।তবে আমি ভাবছি এর স্বাদ কেমন হবে?যাইহোক এই বিস্কুটগুলি খেতে অসাধারণ লাগে,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার যেমনটা ভাবছেন তার চেয়েও বেশি সাধ হবে আপু।
তাই,বুঝলাম।
বিস্কুট দিয়েও যে চা বানানো যায় সেটা আজকে আপনার মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। জানিনা এটা খেতে কেমন লাগবে তবে দেখতে কিন্তু বেশ ইউনিক। যাই হোক ধন্যবাদ সুমন ভাই আপনাকে এই ইউনিক চায়ের রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কত কিছু দিয়ে চা তৈরি করা যায় ভাই।