হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলেছি আমার ভাগনের সুন্দর ছোট্ট একটা সবজি বাগানের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে। যেখানে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজির দেখা মিলবে। পাশাপাশি পেয়ে যাবেন সুন্দর ধারণা এ বাগানের।
আজকে আমার ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায়। তাই আটটার সময় দাঁত ব্রাশ করার উদ্দেশ্যে বাইরের দিকে বের হলাম। রাস্তার দিকে উপস্থিত হতে লক্ষ্য করে দেখলাম আমার ভাগ্নে তার ছোট্ট সবজি বাগানের মধ্যে সবজি উত্তোলন করছে। আমাদের এখানে বেশ অনেক মানুষ সচেতন ও সজাগ হয়ে গেছে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জায়গা গুলো সুন্দরভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে শীতকালের শাকসবজি উৎপাদন করায় খুবই ব্যতিব্যস্ততা দেখায় অনেক মানুষ। ঠিক তেমনি ভাবে আমার ভাগ্নে তার সবজি বাগানের মধ্যে অনেকগুলো শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন করে ফেলেছে। ভাগ্নের সবজি উত্তর ওনার আর নতুন শাকসবজি গাছ লাগানোর মুহূর্ত টা ক্যামেরায় বন্দি করার জন্য বললাম মামা তুমি একটু থাম আমি আসছি মোবাইলটা নিয়ে।
এরপর আমি রুম থেকে আমার একটা মোবাইল নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম সেখানে। যেহেতু ভাগ্নের বাগানটা তালা মারা থাকে তাই সব সময় তো আর ঢোকার সুযোগ হয়ে ওঠে না ঠিক এই মুহূর্তটা কাজে লাগিয়ে দিলাম পাশাপাশি চেষ্টা করলাম তার সুন্দর বাগানটা একটু পরিদর্শন করতে। বাগানের মধ্যে লক্ষ্য করে দেখলাম শাকসবজি হিসেবে ফুলকপি বাঁধাকপি ফুলকপি পেঁয়াজ গাজর পালং শাক মূলা সহ আরো অনেক কিছু রয়েছে। বেশ ভালো লাগলো তার সুন্দর এ বাগানের পরিচর্যা করতে দেখে। তবে এবার কিন্তু আমার সবজি বাগানের মধ্যে পাতাকপি ফুলকপি লাগানো হয়নি। বেশ সুন্দর পরামর্শ প্রদান করলাম পাশাপাশি বর্তমান শেয়ার কি কমনি লাগাচ্ছে সেগুলো দেখার চেষ্টা করলাম। আর এভাবে বা ভাগ্নের সাথে আনন্দঘন একটা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করে ফেললাম।
গল্পের মাঝে হঠাৎ করে ভাগ্নে আমাকে প্রশ্ন করল মামা ওলকপি গুলোকে তুলে নিয়ে যাব, নাকি আর কয়েকটা দিন রাখবো। দেখে বললাম যেহেতু বাগান তো বাড়ির সাথেই রয়েছে,আর কটা দিন দেখো না। যা শাকসবজি তুলে ফেলেছে সেগুলোও আগে ফোরাক, তারপর না হয় উঠাও। এরপর ভাগ্নে বলল দেখেন কত সুন্দর সুন্দর বাঁধাকপি ফুলকপি আমার বাগানে হয়েছে কিন্তু মন খারাপ একটি কারণে গাজর ভালো নামলো না। সে দেখলাম তার গাজর গুলো বেশ ঘন সে বুঝে উঠতে পারেনি ফাঁকা করলে হয়তো ভালো ফলন্ত তো। এরপর সে আমাকে তার পিঁয়াজ গুলো দেখালো মামা এখন স্যার পানি কেমন কি দেবো সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
পাশাপাশি অপজিট পাশে আমাকে নিয়ে গেল মামা আমার লাউ গাছে বেশ লাউয়ের জালি এসেছে কিন্তু পোকায় নষ্ট করে দিচ্ছে এই মুহূর্তে কি করব। আমি পরামর্শ দিলাম আর কিছুটা দিন ধৈর্য ধরে দেখো যদি পরিবর্তন না আসে তাহলে ফরমালিন ব্যবহার করতেই হবে এছাড়া তো কোন উপায় নেই। তবে আপাতত ছাই অর্থাৎ ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে যদি সমাধান হয় সেটাই বেটার হবে। সে অলরেডি ছাই ব্যবহার করেছে দেখলাম। যাই হোক এভাবে মামা ভাগ্নে বেশ কিছুটা সময় ধরে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করলাম তার সবজি বাগানের মধ্যে। আর ভালো লাগলো আমরা। যদি এভাবে পড়ে থাকা জায়গা গুলো কাজে লাগায়, অবশ্যই অনেক কিছু উৎপাদন করতে পারব। পাশাপাশি নিজের মন মস্তিষ্ক ভালো রাখতে পারব ইনশাল্লাহ। বেশ ভালো লাগলো ভাগ্নে সুন্দর এই বাগান পরিদর্শন করে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনার ভাগ্নের সবজির বাগানটি অনেক সুন্দর ছিল ৷ আসলে শীতের মৌসুমে নানা রকম সবজির ঠিক যেমন ফুল কপি, পাতা কপি লাউ আর ওল কপি ৷ আপনার ভাগ্নের সবজির বাগানে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ৷
হ্যাঁ তাইতো আমার ভাগ্নে অনেক কিছু উৎপাদন করেছে
বাহ সুমন ভাই, ভাগনের সবজি বাগানের থেকে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। আসলে পরে থাকা জমিতে এমন নানারকমের সব্জি চাষ করলে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা ভালো কতোই মিটে যাওয়ার কথা। টাকা দিয়ে বাইরের বিষ কিনে খাওয়ার চেয়ে নিজেদের জমিতে এভাবে অল্প অল্প জায়গায় একেক সবজির চাষ করার আইডিয়া টা বেশ ভালো৷ ফুলকপি, বাধাকপি, শালগম, পেয়াজের ছবিগুলো দেখে ভালোই লাগলো। আর ভাগনে কে ছত্রাকের জন্য বেশ ভালো উপদেশ দিয়েছেন।
হ্যাঁ একদম টাটকা শাকসবজি খাওয়া যায় আপু।