হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ভুট্টার জমি ঘুরে দেখার কিছু সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে। যেটা আমাদের বাসা থেকে ১২ কিলো দূরে, ভাইয়ের শ্বশুরের গ্রামে উপস্থিত হয়ে ঘুরে এসেছিলাম মাঠের সবুজ দিগন্ত। আশা করি বেশ ভালো লাগবে আমার এই মাঠ ভ্রমনের ব্লগটি।
দুইদিন আগে এক পড়ন্ত বিকেলে ১২ কিলো পথ অতিক্রম করে পৌঁছে গেলাম কাঙ্খিত মাঠে। হয়তো আপনারা ভাবছেন কোথায় গেলাম? এটা হচ্ছে আমার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি, এরপর তাদের মাঠ। শুরুতেই বলে রাখা ভালো, আমার ভাইয়ের শশুরের ৩৫ বিঘা জমি। ভাইয়ের শশুরের দুই ছেলে এক মেয়ে, একমাত্র মেয়েটাই আমার ভাবি। সেই সুবাদে ভাইয়ের শশুর মগছ চাষ করার খাবার হিসাবে দেড় দুই বিঘা ভুট্টা লাগিয়ে দিয়ে থাকে। পাশাপাশি আরো অন্যান্য সবজি উৎপাদন করে দেয়। শুধু ভাইয়ের শশুর উৎপাদন করে দেয় সেটা বললে ভুল হবে, ভাইয়ের বড় কুটুম বিদেশ ফেরত বাড়িতে এসে বাবার জমি জায়গা দেখাশোনা করে এবং বোনের অংশুর কাজগুলো সুন্দরভাবে করে দেয়। এতে সত্যিই ভালো লাগে। কোন ভাই এভাবে বোনের জমিগুলো চাষ করে দেয় বা কাজ করে দেয় সেটা আমার চোখে দেখা নাই। যাইহোক সেই ভুট্টার জমি দেখার উদ্দেশ্যে আমরা তিনজন মাঠের দিকে অগ্রসর হই। তিনজন বলতে আমি আমার বড় ভাই বিদ্যুৎ আর তার কুটুম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
নতুন স্থানের দিকে অগ্রসর হয়েছি তাই তাদের পিছু পিছু ফটোগ্রাফি করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। আর অন্য কোন স্থান দেখতেও ভালো লাগে। আর এখানে বিভিন্ন প্রকার ফসল রয়েছে তাই যেন আমার মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগছিল। আমাদের ওদিকে এভাবে বিভিন্ন প্রকার ফসল নেই তাই আমার মন যেন খুবই উতলা ছিল মাঠের এই দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দি করা আর দেখার জন্য।
Photography device: Infinix hot 11s
location
একদিকে শীতকালীন রবি শস্য অন্যদিকে ধানের মাঠ। পাশাপাশি কৃষকরা কিছু জমি চাষ করছে তাই পাখি এসে বসে রয়েছে কীটপতঙ্গ খাবার আশায়। পড়ন্ত বিকেলের মুহূর্তটা যেন প্রাণবন্ত ছিল। এদিকে আমরা ছুটে চলেছি ভাইয়ের ভুট্টার জমিটা দেখার জন্য, গাছগুলো দেখতে কেমন হয়েছে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
আমার বড় ভাই আর ভাইয়ের কুটুম দুজন খুব মনোযোগ সহকারে ভুট্টার ভুঁই দেখতে থাকলো। একদিকে ভুট্টার গাছ কেমন বের হয়েছে, কতটুকু সারমাটি লাগবে, ভুট্টার গাছের মধ্যে ঘাস জন্মে গেছে, এই সমস্ত বিষয়ে কথা বলতে থাকলো। আর ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলো। পাশাপাশি আমি আর কি করবো শুধু ফটোগ্রাফি করে চললাম। অনেকদিন পর বিভিন্ন ফসলের মাঠে এসে যেন আমি নিজেকে আর সেভাবে ভাবছিলাম না। যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
এরপর আমি চেষ্টা করলাম একদম ভুট্টার গাছের পাশ থেকে ফটোগ্রাফি করার জন্য। বেশ ভালো লাগছিল ফটোগ্রাফি করতে কিন্তু পড়ন্ত বিকেলে যখন সূর্য প্রায় ডুবে যায় যায় এমন মুহূর্তে ফটো আর ভালো হচ্ছিল না আমার এই মোবাইলে। যদি একটু আগে থেকে এখানে আসতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হত। হঠাৎ করে সেখানে চলে যাওয়া তাই ইচ্ছে মতো ফটোগ্রাফি করতে পারলাম না। তবে ভুট্টো গাছগুলো বেশ বড়সড়ো হতে দেখে অনেক ভালো লাগলো। লক্ষ্য করে দেখলাম সেখানে অন্যান্য মানুষের গাছগুলো দেখতে কেমন জানি চোখে ধরার মতো নয়। পাশাপাশি মাঠের আরো অনেক দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করলাম। আর এভাবেই ভুট্টার জমির এপাশ থেকে ওপাশ ঘোরাঘুরি করলাম পড়ন্ত বিকেলে। মাঠের নির্মল হাওয়া আর সবুজের শাকসবজি ফসল ও অরণ্য যেন মন ছুঁয়ে যেতে লাগলো।
Photography device: Infinix hot 11s
location
বড় ভাই আর তার কুটুম যেমন আগে আগে মাঠের দিকে এসেছিল, ঠিক আগে আগে গ্রামের দিকে ফিরে যেতে লাগলো কিন্তু আমার তো ইচ্ছে হচ্ছিল না এখান থেকে ফিরে যাই। আমিও পিছু পিছু চলছিলাম। তারা মাঝে মাঝে আমার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ছে, আর ফটোগ্রাফি করতে দেখে একটু হাসাহাসি করছিল। আর এভাবে পড়ন্ত বিকেলের সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিক্রম করেছিলাম ভুট্টার জমিতে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
আপনার বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অন্য একটি গ্রামে ঘুরতে গিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি, সেই সাথে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সত্যি অনেক ভালো লাগলো জানতে পেরে।
আমিও বাড়ি থাকতে বন্ধুদের সাথে এরকম বিকেল হলে ঘুরতে বের হয়ে যেতাম। অজানার উদ্দেশ্যে সবুজ প্রান্তরে।
ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লাগলো দেখে।
খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম ভাই অনেকদিন পর
আপনার বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সেই বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি গেলেন। তবে আপনার বড় ভাইয়ের শ্বশুরের ৩৫ বিঘা জমি আছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। এইরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে খুবই ভালো লাগে ভাই। যাইহোক আপনি ভুট্টার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করছেন।এবং তার সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সেখানে ভায়ের ভুট্টা আবাদ হয়, সেটা দেখতে গেছিলাম।
ভাই গ্রামীণ বিকালের মুহূর্তগুলোই বেশ সুন্দর উপভোগ করেছেন দেখছি। এরকম গ্রামীণ পরিবেশ আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এমন সুন্দর পরিবেশে আমিও সময় অতিবাহিত করতে ভালোবাসি
মাঝে মাঝে মাঠ ভ্রমণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে বিকেলবেলার মাঠ ভ্রমণের মজাই আলাদা। আমিও যখন বাসায় যাই তখন মাঝে মাঝে চেষ্টা করি বিকেলবেলা মাঠ ভ্রমণের সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে অস্ত যায় ঠিক তখনই মাঠ ভ্রমণের মজাটা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মাঠে গেলে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় কৃষকেরা তাদের জমিতে অনেক রকম ফসল বপন করে সেগুলো খুব কাছ থেকে পরিলক্ষিত করা যায়। দূর গ্রামের অচেনা মাঠ ভ্রমণের দৃশ্যটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই কৃষকের মাঠে নির্মল হওয়া মন জুড়িয়ে যায়