মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট সাতক্ষীরা। প্রথম পর্ব
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি সাতক্ষীরার বিখ্যাত মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি আর অনুভূতি নিয়ে। আশা করি, সমস্ত সময় জুড়ে সাথে থাকবেন এবং বিস্তারিত পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনি পোস্ট পড়া শুরু করে দেয়।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
কথা ছিল দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তিন বন্ধু মিলে বেড়াতে যাব 'মন্টু মিয়া বাগান বাড়ি' সাতক্ষীরায়। তখন আমরা অবস্থান করছিলাম সাতক্ষীরার 'হোটেল হাসান' এ। কিন্তু দুই বন্ধুর একটু ইয়ার্কি আর অলসতার কারণে বিকেল গড়িয়ে যেতে থাকলো। আমরা যখন কাঙ্খিত স্থানে উপস্থিত হলাম তখন মাত্র এক ঘন্টা সময় ছিল না সন্ধ্যা হওয়ার। গাড়িওয়ালা যখন আমাদেরকে ওই স্থানে নিয়ে পৌঁছালো, খুবই আনন্দের সাথে উপস্থিত হয়েছিলাম। তবে গেটের মধ্যে প্রবেশ করার পরে দেখলাম এটা মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি নয়! লেখা আছে 'মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট' সাতক্ষীরা। আমার তখন খুবই মেজাজ গরম হয়ে গেল। কারণ বন্ধুদের অলসতার কারণে পৌছাতে দেরি হয়ে গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত হবে হোটেলে বসে ছিলাম। বাইরে যখন এসেছি উদ্দেশ্যে যখন ঘুরতে যাব তবে কেন অলসতা করে বসে থাকব এটাই আমার কথা।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমার বন্ধু মিলন বারবার করে বলতে থাকলো এটাই মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি হয়তো নাম চেঞ্জ করেছে। আমরা স্কুল লাইফে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। আমার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে। দীর্ঘ ১২-১৩ বছর আগে এসেছিলাম এখানে। তবে আমার মনের মধ্যে কনফিউশন হচ্ছিল বন্ধুর কথা শুনে। যাই হোক টিকিট কাউন্টারের টিকিট কাটতে গিয়ে কাউন্টারম্যান বলল প্রতিপিস ৫০ টাকা করে! টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা হয় এটা জানা ছিল না। অনেক জায়গাতে ঘুরাঘুরি করেছি খুব জোর ২০ থেকে ৩০ টাকা হয়ে থাকে এটাই জানি। আমার কাছে তখন একটু রাগ আর খোব কাজ করছিল। কারণ বন্ধুদের কখন থেকে বলছিলাম বের হই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারবো দেড়টা দুটা সময় বের হলে। কিন্তু তারা অলসতা করে সাড়ে চারটা বাজিয়ে ফেলেছে। এদিকে টিকিটের মূল্য বেশি বলছে। আসবো মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি এটা লেখা আছে অন্য কথা। তারপর ভেবে দেখলাম ৫০ টাকা তো বড় কথা নয় শুনে এসেছিলাম মন তুমি আর বাগান বাড়ি খুবই সুন্দর আর এদিকে ঢুকতে যাচ্ছে মোজাফফর গার্ডেনে, তাই খোব আছিল একটু বেশি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
যায়হোক, টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করার পর একজন ব্যক্তির কাছে নিশ্চিত হলাম এটা মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি,যার নাম চেঞ্জ করা হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করার পর অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মন মুগ্ধ হয়ে গেল। বাম সাইডে বড় একটি পুকুর,সামনে পুকুরে ঝুলন্ত মসজিদ। ডান সাইডে আছে বড় পুকুর আর একটা কফি হাউস। আরেকটু সামনের দিকে আগিয়ে বিভিন্ন পশু পাখির মূর্তি সহ বিভিন্ন ভাবে সাজানো সৌন্দর্য। বাগান দেখে তো মন মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু খোব আমার মধ্যে থেকে গেল না। কেন বন্ধুরা অলসতা করে বসে থেকে সময় নষ্ট করেছে হোটেলে। মেজাজ খারাপ থাকায় নিজের তেমন ছবি উঠাতে পারেনি। বন্ধুরা বিভিন্ন স্থানে বসে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি উঠাচ্ছিল। সেখান থেকে আমিও কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম তাদের।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
ছবিতে যে দুই বন্ধুকে দেখতে পাচ্ছেন ওটা আমার খুবই প্রাণপ্রিয়। ছোট করে যে বন্ধুটা ওর নাম মিলন,আর অন্যজনের নাম জুলহাস। জুলহাস কিছুটা ফানি মুডের লোক। তবে আমার মেজাজ দেখে সেই সময় সে ফান করতে পারছিল না। মূলত তার গাব লতিতেই দেরি হয়েছে আসছে। তবে ওরা অনেক ফটো উঠেছিল এবং ভিডিও করেছিল। আপনারা কখনো যদি এখানে আশার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে নিঃসন্দেহে আসতে পারেন। এখানে নেই কোন প্রকার অশ্লীলতা। সব সময় কর্তৃপক্ষ চারিদিকে নজরদারি করেন এবং কোথাও ছেলে-মেয়ে জোড়ায় বসতে দেখলে সেখানে যে সরাসরি সতর্ক করে আসেন। তাই নিঃসন্দেহে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে আসা যায়। অনেক হয়েছে যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসতে একটু বিবেকে বাধে। তবে সেই দিক থেকে এটা খুবই মনোরম পরিবেশ।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
তবে এটা মনে রাখবেন এখানে সন্ধ্যা হলেই ভেতরে থাকা মানুষগুলোকে বের হয়ে যেতে বলা হয় এবং গেট তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। টিকিটের মূল্য একটু বেশি থাকায় লোক সংখ্যাও বেশি একটা হয় না যার জন্য শান্তিতে ঘুরে বেড়ানো যায়। আর এই বাগানবাড়িটা 300 বিঘা জমির উপরে। তিনটা বড় বড় পুকুর সুন্দর ভাবে সাজানো আছে। উত্তর পাশের একটা পুকুর সাজানো চলছে। মোট ৮ থেকে ১০ টা পুকুর রয়েছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা বাগানবাড়ি। অনেক পার্ক রয়েছে যেখানে গেলে মানুষের হয়রানির শিকার হতে হয় কিন্তু সেই দিক থেকে নিরাপদ স্থান এটি। সাতক্ষীরা সদর থেকে ৬-৮ কিলো দক্ষিণের এর অবস্থান। বিস্তারিত থাকবে পরবর্তী পোস্টে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি জায়গা পরিদর্শন করে এসেছেন। যদিও আমি সাতক্ষীরার মন্টু মিয়ার বাগানবাড়িতে যাইনি। তবে গত বছরে আমার বাবা-মা সবাই গিয়েছিল ওখানে। তো তারা বলছিল যে মুন্টু মিয়ার বাগান বাড়ির যথেষ্ট দেখার মত একটা জায়গা। ওখানকার এরিয়া টা আসলে অনেক বড় প্রায় ৩০০ বিঘা জমির উপরে। ওখানকার নামটা কি পরিবর্তন করেছে ভাইয়া? আপনি আপনার বন্ধুর সাথে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে।
আমি লোকেশন দিয়ে দিয়েছি, একবার লোকেশনে দেখেন বেশ দারুন স্থান।
অলসতা সত্যি একটা খারাপ জিনিস যা আমাদের কাজকে বাধা দেয় ৷ ঠিক যেমন আপনারা যেতে যেতে অলসতা করে বিকেলে গেলেন ৷ তাও আবার নাম পরিবর্তন করেছে টিকিটের দাম বেশি ৷ সব বিষয়ে কেমন যেন ৷ যা হোক এই টুকু সময়ে বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে বন্ধু গুলো এমনি যা হোক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মূহুর্ত তুলে ধরার জন্য ৷
আসলে এক স্থান থেকে ভ্রমণ করে অন্য স্থানে গেলে শরীরে অলসতা তৈরি হয়।
টিকিটের দাম বেশি হলেও জায়গাটি কিন্তু দেখতে খুবই দারুণ। আমার কাছে কিন্তু জায়গাটি ভীষণ ভালো লেগেছে। তিন বন্ধু মিলে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। যা পড়ে এবং দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসম্ভব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। আসলে এরকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আরো বেশি ভালো লাগে। জায়গাটি অনেক বড় তাই না বড় হওয়ারই কথা কারণ এটি ৩০০ বিঘা জমির উপরে। ঘোরাঘুরির নতুন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
টিকিটের দাম বেশি ছিল এটা বড় বিষয় আমাদের মধ্যে ছিল না তবে বিভ্রান্তিকর বিষয় ছিল নামটা চেঞ্জ করা হয়েছে আর এদিকে বন্ধুদের অলসতা।
সত্যিই অলসতা এমন একটি জিনিস যা দূর করা খুবই কষ্টকর হয়ে থাকে। সাতক্ষীরার মিন্টু মিয়ার বাগানবাড়িতে গিয়ে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। সত্যি ঘোরাঘুরি করতে কেনা পছন্দ করে। আমি তো ভীষণ পছন্দ করি ঘোরাঘুরি করতে। তাই যখনই সময় পাই তখনই ঘুরতে চলে যাই বিভিন্ন জায়গায়। আপনার রাগের কারণে নিজের এত বেশি ছবি তুলতে পারেননি এটা জেনে একটু বেশি খারাপ লাগলো। জায়গাটি কিন্তু খুবই দারুণ দেখতে। চেষ্টা করব এই জায়গাটিতে ঘুরতে যাওয়ার।
দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে অলসতা সবাইকে পেড়ে বসে ভাই
আপনি অনেক সুন্দর এবং মনোমুগ্ধ করে একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন। দেখেই মনে হচ্ছে সবুজে ছাওয়া সব থেকে বেশি ভালো লাগলো মাটি দিয়ে বানানো বিভিন্ন প্রাণীর ছবি।। আসলে মাঝে মাঝে এমন সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে মনটাও সতেজ হয়ে যায়।।।
এখনো অনেক বিষয় তুলে ধরব মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি সম্পর্কে
আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল। এরকম সুন্দর জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে যে কারোরই অনেক ভালো লাগবে। কিন্তু টিকিটের দাম একটু বেশি থাকার কারণে আমার নিজেরও খুব খারাপ লাগলো। কিন্তু দাম দিয়ে কি হবে ঘুরাঘুরি করেছেন এটাই অনেক বড় কথা। কি চমৎকার চমৎকার মূর্তি ছিল এটি তো আরো অসাধারণ দেখাচ্ছিল। আশা করব পরবর্তী পর্ব আরও অনেক সুন্দর হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
একই স্থানের আরো সুন্দর কিছু নিয়ে উপস্থিত হবে আশা করি দেখবেন
ঘুরতে গিয়ে এমন আলসেমি করে বসে থাকলে আমারো প্রচুর রাগ লাগে।আলসেমি করলে বাড়িতে বসে থাকলেই ভাল হত,ঘুরতে আসা কেন।জায়গা টি অনেক সুন্দর।তার থেকে বড় কথা বাড়ির মানুষকে নিয়ে যাওয়া যাবে আর বেশ নিরাপদ। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি জায়গা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে বুঝতে পারছিলাম না বন্ধুরা কেন এত অলসতা করছিল
এক জায়গার নাম করে অন্য জায়গায় ঘুরতে গেলে আমার কাছেও বিষয়টা ভালো লাগে না। আপনি মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি ঘুরতে গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে দেখেন মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট শুনে আমিও একটু অবাক হয়েছি। পড়ে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম নাম বদলে দেওয়া হয়েছে । যাই হোক বন্ধুদের নিয়ে অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অবশ্য বর্তমান দুই নামেই পরিচিত