পাঙ্গাস মাছ ভাজার সুস্বাদু রেসিপি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% বেনিফিসারী
আজ - রবিবার, ২৫এ পৌষ,১৪২৮বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি, আপনারা সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট করুন,সর্ব সহযোগিতায় এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করুন। সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা সুন্দর সমাজ গোড়ুন।
স্টিমিট প্লাটফর্মে 'আমার বাংলা ব্লগ' কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে আমার পক্ষ থেকে সালাম ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন পোস্ট। প্রতিবারের ন্যায় আজ আমি উপস্থিত হয়েছি 'আমার বাংলা ব্লগ'কমিউনিটিতে নতুন একটি পোষ্ট করার জন্য। পোষ্টের বিষয়,পাঙ্গাস মাছ ভেজে দারুন একটা সুস্বাদু রেসিপি। তাহলে আর দেরি কেন বন্ধুরা? চলুন কার্যক্রম শুরু করা যাক।
- সকলস্তরের দৃশ্য ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহের তালিকাঃ |
---|
উপাদান | পরিমান |
---|---|
পাঙ্গাস মাছ | ছয় খন্ড |
সয়াবিন তেল | ১৫০ গ্রাম |
লবণ | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | দুই চামচ |
ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
রেসিপির ধাপসমূহঃ |
---|
ধাপ :-১
• প্রথমে মাছের খণ্ডগুলো ভালোভাবে ধুয়ে একটি প্লেটে করে চুলার পাড়ে উপস্থিত হলাম।
ধাপ :-২
• এবার মাছের খন্ড অংশগুলো একটি গামলার মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে মসলার গুঁড়োর সাথে ভালোভাবে মাকিয়ে নিয়ে প্লেটের উপরে রাখলাম ভাজার উদ্দেশ্য।
ধাপ :-৩
• খোলা আকাশের নিচে গ্যাসের চুলা সেট,চুলার উপরে কড়াইটি বসিয়ে দিলাম
ধাপ :-৪
• গ্যাসের চুলো অন করে কড়াই এর মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ :-৫
• তেল গরম হতে থাকলো,একটি খুন্তি দিয়ে তেলুগুলো নাড়তে থাকলাম।
ধাপ :-৬
• এখন গরম তেলের মধ্যে মাছের খন্ড অংশগুলো একটা একটা করে দিতে থাকলাম। ভালোভাবে ভাজা জন্য প্রথমে তিন পিস দিয়ে নিলাম।
ধাপ :-৭
• মাছের এই চাকাগুলো তেলের উপর দেওয়ার পরে টগবগ শব্দ করে সিদ্ধ হতে থাকলো।
ধাপ :-৮
• মাছের চাকা খণ্ডগুলো খুন্তি দিয়ে আস্তে আস্তে উল্টে দিলাম।
ধাপ :-৯
• এবার পাঙ্গাস মাছের পেটির চাকা তিনটা একটি একটি করে কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
ধাপ :-১০
• খুন্তি দিয়ে মাছের পিঠের চাকা ও পেটির চাকা খুব ধীরে সুস্থে উল্টিয়ে উল্টিয়ে ভাজতে থাকলাম। একপর্যায়ে লক্ষ্য করলাম তেল ফুরিয়ে আসতে থাকলো।
ধাপ :-১১
• দ্বিতীয়বারের মতো কড়াইয়ের মধ্যে কিছু তেল ঢেলে দিলাম, আর মাছগুলো ভাজতে থাকলো।লক্ষ্য করুন, মাছের কালার ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
ধাপ :-১২
• মাছের খন্ড অংশগুলো কড়াই এর মাঝখানে একসাথে করে দিয়ে ভাজতে লাগলাম, যেন সব খণ্ডে ভালোভাবে তেল লাগিয়ে ভাজা হয়।
ধাপ :-১৩
• অবশেষে মাছের খন্ড অংশগুলো ভাজা হয়ে গেল এবং তেলও ফুরিয়ে যেতে লাগলো।
ধাপ :-১৪
• চুলার উপর কড়াই থেকে মাছের ভাজা খন্ড অংশগুলো একটি একটি করে খুন্তি দিয়ে প্লেটে উঠালাম।
ধাপ:- ১৫
• কড়াই থেকে পাঙ্গাস মাছ ভাজা গুলো একটি প্লেটে উঠে নেওয়ার পর একটি ফটো উঠালাম।আর এরই মধ্য দিয়ে আমার পাঙ্গাস মাছ ভাজার রেসিপি সমাপ্ত হলো।
শেষ ধাপ:
• পাঙ্গাস মাছ ভাজার প্লেটটি সামনে রেখে আমার একটি সেলফি।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। আমার এই মাছ ভাজা দেখে আপনারা মুগ্ধ হয়েছেন। আপনাদের ভালো লেগেছে আমার কার্যক্রম। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনাদের অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
💖আমার পরিচয়💖
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। বাংলার স্টুডেন্ট হওয়াই,রূপ রস ছন্দ অলংকার সম্মিলিত কবিতা লেখা যথেষ্ট পারদর্শী।
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
💗💖💖💗
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | সুমন🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | Al dual camera-8mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
আজকের মত আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিতেছি আমি @sumon09, আবারও কথা হবে আমার নতুন কনো ব্লগে। ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেন,আল্লাহ হাফেজ।
মাছ ভাজা মানেই সুস্বাদু পুষ্টি কর।মাছ ভাজি দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।।
জি ভাইয়া, পাঙ্গাস মাছ খুবই সাধের মাছ। আর এটা ভালোভাবে রান্না করতে পারলে খুবই ভালো লাগে ।আমার সবচেয়ে ভাল লাগা মাছ পাঙ্গাস মাছ। আর জেনে খুশি হবেন যে, আমি নিজেই পাঙ্গাস মাছ চাষ করে থাকি।
মাছ ভাজি খুবই মজাদার একটি খাবার সেটা যে মাছই হোক।দারুন ভাবে ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া । আমার মাছ ভাজা আপনার এত সুন্দর পছন্দ হয়েছে, সত্যি পোস্টটি লিখে আমি ধন্য।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে পাঙ্গাস মাছ ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।যদিও আমি কখনো পাঙ্গাস মাছ খাই না তবে আপনার পাঙ্গাস মাছের রেসিপি আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনি ধাপে ধাপে রেসিপিটি সম্পন্ন করেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু,খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ।আসলে আমি আমার লেখাপড়ার জীবনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন মাছ চাষ করে আসছি। আমি ২০০৭ সাল অর্থাৎ ক্লাস সেভেন থেকে পাঙ্গাস মাছ চাষ করি। আমার নিজের পুকুরে। আজ যে রেসিপিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি, এই পাঙ্গাস মাছ আমার নিজের পুকুরের। স্থানঃ ষোলটাকা, গাংনী,মেহেরপুর।
পাঙ্গাস মাছ ভাজা খেতে দারুন মজা। পাঙ্গাস মাছ ভাজা দেখে তো জিভে জল চলে এলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঙ্গাস মাছ ভাজা খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার পোস্টে পাঙ্গাস মাছ ভাজার প্রতিটি ধাপের বিবরণ গুলো অতি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অতি লোভনীয় একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।