হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ।
ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। কারণ ওয়াজ মাহফিলের মেলাগুলোতে বিভিন্ন প্রকার জিনিস পাওয়া যায়। আর এতসব খেলনা ও জিনিসপাতি আসে যেন বিশেষ প্রয়োজনে যে সমস্ত জিনিসগুলো খোঁজ করে থাকে সেগুলো এখানে পাওয়া যায়। ঠিক সেই উদ্দেশ্যে বন্ধুদের অফার গ্রহণ করলাম। হঠাৎ আমার বন্ধু মারুফ ফোন দিয়ে বলছে বাদিয়াপাড়া ওয়াজ মাহফিল শুনতে যেতে হবে। প্রশ্ন করলাম কে কে যাব? সে উত্তর দিল আমার ৪-৫ জন। ঠিক আমি মারুফ পলাশ সোহেল আর শাকিব উপস্থিত হলাম আজ মাহফিল এর জায়গায়।
ওয়াজ মাহফিলের স্থানটা আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ কিলো দূরে বাদিয়াপাড়া মহাব্বতপুর পীর দরবার শরীফ। প্রত্যেক বছর দুই তিন বার এই জায়গায় ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে দুই দিন অথবা তিন দিনব্যাপী। তাই অনেক মানুষ বিভিন্ন জিনিস কেনার উদ্দেশ্য কিন্তু এই জায়গা ওয়াজের আশায় থেকে থাকে। যাইহোক আমার বন্ধুদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন প্রকার খেলনা জাতীয় জিনিস কেনার। আর আমাদের নিজস্ব উদ্দেশ্য ঘুরবো ফিরব আর খাওয়া-দাওয়া করব। যাইহোক কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে গেলাম প্রথমে বন্ধুরা বলল আগে বাচ্চাদের জন্য খেলানা কিনেনি। আমি কি আর করব শুধু তাদের সাথে দেখতে থাকলাম আর ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। প্রথমে তারা একটি চাচার দোকানে বিভিন্ন জিনিস দেখতে থাকলো।
এরপর আরেকটি ভাইয়ের দোকানে এসে উপস্থিত হল। ঠিক সেখানে বিভিন্ন জিনিস দেখতে থাকলো। বিশেষ করে শাকিবের অনেক জিনিস কিনতে হবে তাই শেই শুরু থেকেই এভাবে দেখতে থাকলো। মোটামুটি অনেক জিনিস কেনা শুরু করে দিল।
তাদের মধ্যে একটা জিনিস আমি বেশি খেয়াল করে দেখলাম, পিঠা তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনতে। বলল যে এটা শীতের সময় তাই এ জাতীয় জিনিস বেশি প্রয়োজন। পিঠা তৈরি করার জন্য। ঠিক তেমনি পর্যায়ের বিভিন্ন জিনিস কিনলো। পাশাপাশি আমিও বিভিন্ন জিনিস দেখতে থাকলাম। অজানা অনেক কিছুর সাথে পরিচিত লাভ করলাম।
আর এভাবেই এক একজন এক এক জিনিস কিনতে থাকলো। আমি লক্ষ্য করলাম মারুফ বিভিন্ন প্রকার খেলনা জাতীয় জিনিস বেশি কিনলো। আর পলাশ কিনল পুতুল জাতীয় জিনিস। যাইহোক বেশ এভাবে আনন্দঘন মুহূর্ত আমার অতিবাহিত করতে থাকলাম ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে। আর আমাদের মত লক্ষ্য করে দেখলাম শত শত মানুষ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। যে যার মতো কেনাকাটায় ব্যতিব্যস্ত।
ফটোগ্রাফি | ওয়াজ মাহফিলের মেলা |
স্থান | বাদিয়াপাড়া |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | সুমন |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
এই সময়টা ওয়াজ মাহফিলের জন্য অনেক উপযুক্ত সময়। আবার ওয়াজ মাহফিলের পাশাপাশি যদি মেলায় ঘুরা যায়, তাহলে তো আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর সত্যি বলতে রাত্রিবেলায় মেলা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
জি ভাইয়া বৃষ্টি কাঁদা পানি নেই এজন্য ওয়াজ মাহফিলের সুযোগ বেশি এখন।
জি ভাই এটাইতো সুবিধা।।
বেশিরভাগ শীতের সময় ওয়াজ হয়ে থাকে
জি ঠিক ভাই।।
বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে ওয়াজ মাহফিলের সিজন চলতেছে, বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের আমেজ উঠেছে। আপনি আজকে ওয়াজ মাহফিলের মেলায় ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে বর্তমান ওয়াজ মাহফিলের মেলায় সব ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যায়।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন।
হ্যাঁ ভাই বর্তমান সময়ে বেশি বেশি ওয়াজ মাহফিল চলছে
বন্ধুরা একসাথে ওয়াজ মাহফিল এর মেলাতে ভ্রমণ করেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। সত্য কথা বলতে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এখন মানুষ ওয়াজ মাহফিল সোনার থেকে মেলাতে ভ্রমণ করে সব থেকে বেশি। এমন মেলাতে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়।
মেলার জন্যই বেশি মানুষের আগমন
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে সেখানে মাহফিল হচ্ছে না মেলা বসেছে। এমন সুন্দর যদি মেলা বসে তাহলে তো মানুষ মাহফিল শুনা বাদ দিয়ে মেলায় মগ্ন হয়ে থাকবে। এটা যে শুধু আপনাদের এমন হচ্ছে তা নয় আমাদের গ্ৰামেও কিছুদিন আগে মাহফিল ছিল। কিন্তু এমন ভাবে মেলা জমে উঠেছে দেখে মনে হয়েছিল শীতকালীন মেলা বসে। অথচ এর আগের বছর মেলা বসতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু কেউ যেন কারো কথা শুনেই না। তবে এটা ঠিক বলেছেন এই মেলায় যেন প্রয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায়। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ওয়াজ মাহফিল মানেই তো এখন মেলার আসর
আপনার সাথে থাকলে আমিও ওয়াজ মাহফিলে যেতাম ভাই খুব মিস করতেছি ইনশাল্লাহ রোজা মাসে দেখা হবে বাসায় আসছি তখন দুজনে মিলে একসঙ্গে ঘুরবো।
এটা গত বছরের ফটোগ্রাফি।