আমার বাগানের শীতকালীন শাক সবজির ভিডিও
আসসালামু আলাইকুম
হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার সবজি বাগানের সুন্দর দুইটি ভিডিও নিয়ে। আশা করবো আমার এই সবজি বাগানের সবজির ভিডিওগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
Photo Editing by PicsArt app
Infinix Hot 11s
আপনারা জানেন আমি সারা বছর ধরে আমার পুকুরপাড়ের তিনটা সবজি বাগানের মধ্যে বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদন করার চেষ্টা করি। গতবছর শীতে আমার সবজি বাগানের মধ্যে শিম, পেঁয়াজ লাউ সহ আরো অনেক শাকসবজি ছিল। ঠিক তেমনি চেষ্টা করছি এবারও যেন এ সমস্ত শাকসবজি গুলো উৎপাদন করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ এই মুহূর্তে প্রচুর শিমের গাছ হয়েছে এবং ফুল হওয়া শুরু হয়ে গেছে। আর এই সমস্ত শাকসবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমার সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সাবমার্সিবল পাম্পের সহযোগিতা। হয়তো সাবমারসিবল পাম্প না থাকলে এত সুন্দর ভাবে শাকসবজি ফলাতে পারতাম না। সালমান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানী এবং তার ইচ্ছা খুব সহজে আমাকে শাকসবজি উৎপাদন করতে সহায়তা করে থাকে। বিকেল বেলার মাসের খাবার দেওয়া শেষ মুহূর্তটা যদি একটু সময় পাই অথবা সকালে মাছের খাবার দেয়ার পরের এক ঘন্টা টাইম আমি চেষ্টা করে থাকি সবজি বাগানে যাওয়ার। আর এভাবেই অনেক শাকসবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হয় আমি। তবে প্রতিদিন প্রয়োজন হয় না সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিন।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ভিডিও গুলো প্লে করে যদি দেখার চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই দেখতে পারবেন আমার সবজি বাগানে কত সুন্দর শাকসবজি। এর মধ্যে টমেটো গাছের টমেটো দেখে তো বুঝতে পারছেন মহান সৃষ্টিকর্তা কত টমেটো দিয়েছিল। আমি শুধু সুযোগে সুযোগে একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আরসার পানি দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। বাকিটা মহান সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে একটা বিষয় হয়তো আপনাদের কাছে বেশি ভালো লাগবে, আর সেটা হচ্ছে একসাথে অনেক প্রকার শাকসবজি উৎপাদন। এক কথায় যাকে বলা হয় সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা। একদিকে টমেটো গাছে বেশ অনেক টমেটো ধরেছে বা ধরা শুরু হয়েছে। আর সেখানেই রয়েছে পেঁয়াজ। পুকুরের ধার করে রয়েছে লাউ গাছ বরবটি গাছ ইত্যাদি। আর আমরা যদি এভাবে পড়ে থাকা জায়গা গুলো বাগানে রূপান্তর করে বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করতে পারি তাহলে দেশের শাক সবজির এত দাম বাড়তো না। যেখানে ১০-১৫ টাকা দিয়ে এক কেজি আলু কিনে খাওয়ার কথা সেখানে ৬০/৭০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হয়। যেখানে 100 টাকা বাজারে নিয়ে গেলে ব্যাগ ভর্তি করে শাক-সবজি কিনে আনা যেত এখন সেখানে এক কেজি সিমের দাম ৪০০ টাকা কিছুদিন শুনছি দাম কমেছে দেড়শ টাকা এসেছে। তাহলে কেনই বা আমাদের এভাবে কিনে খেতে হবে সেই জায়গায় আমরা পারিনা একটু পরিশ্রম করে পরিত্যাক্ত জায়গা গুলো কাজে লাগিয়ে দিতে।
Video device: Infinix hot 11s
location
আমার এই সবজি বাগানের এরিয়া গুলো জঙ্গল বেঁধে পড়েছিল। পাশে অন্যান্যদের সকল পুকুর এভাবেই কিন্তু বন জঙ্গল বেঁধে পড়ে থাকে সবসময়। তবে আমাকে ফলো করে অনেকেই চেষ্টা করে থাকে এভাবে শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন করতে। আমি খেয়াল করে দেখেছি সারা পুকুর পাড় পড়ে থাকে মাত্র কয়েক স্থানে সামান্য একটু জায়গা ঘেরাও করে অনেক অনেক শাকসবজি উৎপাদন করা যায়। আর এখানে তেমন টাইম ইনভেস্ট করা লাগেনা। শুধুমাত্র মাছের খাবার দিতে এসে আধা ঘন্টা এক ঘন্টা টাইম দিতে হয় সপ্তাহে দুই তিন দিন। আর এভাবেই এত এত বেশি শাকসবজি উৎপাদন করা সম্ভব হয়। আমি এই ভিডিওগুলো ধারণ করি আর এ জাতীয় পোস্টগুলো মাঝেমধ্যে শেয়ার করি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য। দেশ যখন সংস্কার চলছে তখন আমাদের মত শিক্ষিত সচেতন যুবক মানুষেরা যদি এই সমস্ত বিষয়ে অবগত হয় তাহলে কতই না সুন্দরভাবে আমাদের দেশটা পরিচালিত হয়। পরিত্যক্ত জায়গা গুলো শাকসবজি ফল ফসলে ভরে ওঠে। তাই আসুন এই ভিডিও বা ব্লগের মধ্য দিয়ে আমরা শাকসবজি উৎপাদনের জন্য অগ্রসর হয়।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
---|---|
বিষয় | শীতকালীন শাকসবজির ভিডিও |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | PicsArt & inshot |
YouTube channel | সোর্স |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।
ভাইয়া আপনার বাগানের শাকসবজি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিজের বাগানের টাটকা শাকসবজি খেতে অনেক ভালো লাগে। ভিডিও দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
হ্যাঁ এবার ও সেভাবেই তৈরি করছি
দারুণ লাগলো ভাই দুইটি ভিডিওই! আসলেই এমন জায়গা ফেলে না রেখে একইসাথে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করলে তা যেমন খেয়েও শান্তি, বাইরের কি কেমিক্যাল দেয়া শাক-সবজি খাওয়ার টেনশন থাকে না। এত দাম দিয়ে বাইরে থেকে কেনাও লাগে না! যাদের সুযোগ রয়েছে, তাদের এমন সবজি চাষ করা উচিৎ। আর টমেটো গাছ গুলো দেখে তো ভীষণ ভালো লাগলো। ৩ বারের বার হলেও, বেশ হেলদি হয়েছে গাছগুলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
হ্যাঁ আমি মনে করি জায়গা কাজে লাগানো বুদ্ধিমানের পরিচয়
মাশাল্লাহ দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনার বাগানের শীতকালীন সবজিগুলো দেখে। তবে আমাদের এখানে এখনো শীতকালীন সবজি রোপন করা হয়নি। কিন্তু আপনাদের ওখানে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো দেখে।
এগুলো গতবছরের এবছরের কিন্তু শুরু করে দিয়েছি আমি
আপনার বাগানের শীতকালীন সবজির ভিডিও দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। বাগানটি খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন, আর এই সবজি গুলো দেখে তাই বেশি ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আমার বাগান সবসময় সুন্দর করে সাজিয়ে থাকি শাক-সবজি দিয়ে
বাবা আপনার শাক সবজির বাগানখানি তো পেল্লায় বড়। বর্তমানে এমন শাক সবজির বাগান পাওয়া যায় না। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে তো নয়ই। আপনার শাকসবজি বাহার দেখে আমার একটি সিনেমার কথা মনে পড়ে গেল। বিখ্যাত সিনেমা বাঞ্ছারামের বাগান। জানিনা আপনি দেখেছিলেন কিনা। সেখানেও বাঞ্ছার এমন সুন্দর একখানা সবজির বাগান ছিল। যদি সিনেমাটা না দেখেন ইউটিউবে অবশ্যই দেখবেন।
আমার তিনটা শাকসবজি বাগানো রয়েছে দাদা। আরো সুন্দর ভিডিও দেখতে পারবেন
শীতকালীন সবজি নিজে চাষ করলে অন্যরকম অনুভূতি লাগে। তবে আপনি মনে হয় সবজি আগে চাষ করেছেন এই কারণে সবজি গাছ বড় হয়েছে। আপনার ভিডিওগ্রাফিটি সত্যি চমৎকার লাগলো আমার কাছে। আর ভিডিওগ্রাফি করতে হলে ধৈর্য ধরে করতে হয়। তাজা শাকসবজি চমৎকার ভিডিওগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আমিও চেষ্টা করি এই জন্য নিজে তৈরি করতে
শীতকালে নানা রকম শাকসবজি উৎপাদন করা করা হয়। আজকে আপনি নিজের হাতে তৈরি শাকসবজি বাগানে ভিডিওগ্রাফি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। আপনার বাগানে টমেটো, শিম সহ নানা রকম সবজি গাছ দেখতে পেলাম। নিজের হাতে তৈরি টাটকা শাকসবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার শেয়ার করা ভিডিও দুইটা দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই।
আগামীতে আরো অনেক কিছু দেখাবো।
ইনশাআল্লাহ ভাই অপেক্ষায় রইলাম।