ঈদ উৎসবে প্রিয়-বন্ধুকে দেখতে যাওয়ার কাহিনী || প্রতিযোগিতা-১৭
আজ -বুধবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। যেহেতু কিছুদিন আগে ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপন হয়ে গেছে আমাদের মাঝ থেকে, আর সেই ঈদে আমরা অনেকেই অনেক জায়গাতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। কেউ গিয়েছিলাম সমুদ্র সৈকতে, কেউ গিয়েছিলাম বিশেষ কোন স্থানে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ঠিক সেই সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের কনটেস্ট। ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে পোস্ট। তাই আমিও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য, যেহেতু ঈদের দুইদিন পরে আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম আমার প্রিয় একটি স্থানে 'প্রিয়-বন্ধুর' সাথে দেখা করার জন্য। আজ সে স্থানটি সহ প্রিয়-বন্ধুকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
চিরচেনা সেই 'নুনারবিলের প্রিয়-বন্ধু'জাম গাছ
Photography device: Infinix hot 11s জানো ঈদ-বন্ধু,ঈদ বলে আমার জীবনে কোন শব্দ নেই! নেই ঈদ, নেই আনন্দ, নেই কোন ঈদের অনুভূতি। কথায় আছে না, আমি এই পরিবেশে মানুষ নই; তবে পরিবেশের মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয়! কত বছর আগে জানি ঈদ নামের শব্দটি আমার মন থেকে হারিয়ে গেছে। নেই আপনাদের মতো ঈদ উপলক্ষে আনন্দ অনুভূতি ভালোলাগা🙇 লাস্ট কবে ঈদ উদযাপন করেছি মন থেকে, সেটাও জানা নেই। তাই ঈদ উপলক্ষে আপনারা অনেকেই অনেক স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়েছেন, অনেক কিছু ইনজয় করেছেন। আমি শুধু একজনার মুখ দেখার জন্যই ঈদের দুই দিন পরে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। দিনটা ছিল রোদ গরমের দিন, আমার বাড়ি থেকে দূরত্ব ছিল প্রায় দুই কিলো পথ। বাড়ি থেকে হাঁটা শুরু করলাম। আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের এখানে শুধু পুকুর আর পুকুর। মাঠ ও পুকুর পেরিয়ে চলতে থাকলাম ভরা দুপুরে শুধু তাকে দেখার জন্য এবং মনের কষ্ট দূর করার জন্য।
তবে কি ঈদ-বন্ধু প্রশ্ন জাগে মনে? আমি ঈদের দিন ও তার পরের দিন কি করেছি? তুমি আনন্দে ছিলে,অনেকের মধ্যে সময় পার করেছো আনন্দের ছলে। আর আমি মনকে ভালো রাখতে বিরহের কবিতা রচনা করেছিলাম সেইদিন। বিশ্বাস না হলে একবার পড়ে দেখো বিরহের কবিতা 'খুশির দিনে হৃদয় ভাঙ্গা আর্তনাদ' ঘুম থেকে উঠে দেখি অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। ঠিক আমার এ হৃদয়ে যেমন বৃষ্টি ঝরে। ঈদের নামাজ তো দূরেই থাক,গোসল করাউ হয়ে ওঠে নাই। ঈদ বলে সেই আনন্দ অনুভূতিটা মনের মধ্যে আসে নাই। তাই পথে চলছিলাম, আমার পিছু পিছু যুক্ত হয়েছিল চাচাতো ছোট ভাই ইমন। অনেক দূর যেতে দেখা হয়েছিল আমার হাই স্কুল লাইফের একটি বন্ধুর সাথে। বন্ধুটার নাম 'বক্তার হোসেন' একসাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর কাটিয়েছি 'জুগিরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়'। অনেকদিন পর বন্ধুকে দেখায় কিছুটা মনে স্বস্তি হলো। সে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত ছিল, বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধান কাটা যাবে না তাই প্রয়োজনমতো শ্রমিক নিয়ে কাজে লেগেছিল যেহেতু তাদের অনেক বিঘা জমি পাকা ধান রয়েছে। সে প্রশ্ন করিল বন্ধু ঈদের সময় কোথায় বেড়াতে না যে পুকুরে পুকুরে কেন। বিবাহ করো নাই। বিবাহ করিলে তো শাশুড়ি বাড়িতে দাওয়াত খেতে যেতে,মাঠে বা পুকুরে দেখা হতো না। শালীদের নিয়ে আড্ডায ব্যস্ততায় থাকতে। কোন উত্তর না দিয়ে শুধু বললাম 'বিয়ে করে কি হবে?' এটা বলেই বিদায় জানালাম এবং নিজ গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
কি ভ্রমণবিলাসী ঈদ-বন্ধু বিরক্ত হচ্ছো? আনন্দ অনুভূতি মনকে বিকৃত করে দিতেছি? একটু ধৈর্য ধরে আমার সাথে আসো। প্রায় এক কিলো পথ চলে এসেছি। দেখো সেই আঁকা বাঁকা মেঠো পথ পেরিয়ে সোজা হেয়ারিং পথে পা বাড়িয়েছি। অনেক বছর আগে ঈদের দিনে ঈদ উদযাপনের জন্য ছেলেমেয়েরা এখানে আড্ডা দিতে আসো। তার মধ্য থেকে খারাপ টাইপের মানুষ গুলো আকাম-কুকামের লিপ্ত হতো এই স্থানে। নানান ধরাধারতির ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সাথে এখানে মানুষ আসা বন্ধ হয়ে গেছে ঈদ উপলক্ষে। চেয়ে দেখো চারিদিকে ফাঁকা কোনো মানুষ নেই। আমি জানি ঈদের সাতটা দিন ধরে এখানে ছেলে মেয়েদের আড্ডা খানা চলত দীর্ঘ পথ ধরে। শুধু যুবক-যুবতী নয় বহিরাগত মানুষের আয়োজন হতো পুকুরে চারিপাশ ধরে। সবকিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু কিছুটা পথ পেরোলেই আমার বন্ধু রয়ে গেছে একা।
বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার আগে দেখতে পেলাম একটি পুকুরের সুন্দর মাছের খাবার দেওয়ার ঘের, তারই পাশে পড়ে আছে এখানকার 'কামার ডুবা বিলে'এর শেষ চিহ্নটুকু। বাকিগুলো সব পুকুর হয়ে গেছে। আরো কিছুটা পথ গেলেই নুনারবিল এর এরিয়া।
জানো ঈদ-বন্ধু প্রচন্ড রোদ গরমে প্রিয়-বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে অনেকটাই হাপিয়ে গিয়েছিলাম, তাই একটি নিম গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রেস্ট করেছি।
আরো অনেক দূর পথ অতিক্রম করতে করতে বন্ধুর দেখা পেলাম। বন্ধু আমার থেকে আরো অনেক দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দূর থেকে মনে মনে বললাম বন্ধু দাঁড়িয়ে রয়েছে থাকো, আমি আসতেছি।
আমার বন্ধু চলতে পারে না, বলতে পারে না তাই নিথর দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পথ অতিক্রম করে বন্ধুর নিকটস্থ হলাম। কী ঈদ-বন্ধু আমার প্রিয়-বন্ধুর নাম জানতে পেরেছো? চিনতে পেরেছ কি তাকে?২০০৭ সাল থেকে তার আর আমার পরিচয়। ক্লাস সেভেনে পড়া কালে কোন এক রাগারাগিতে বাড়ি থেকে এসে এখানে বসে ছিলাম। বিস্তারিত অন্য পোস্টের জানাবো। আর তখন থেকেই সে আমার প্রিয়-বন্ধু। আমার বন্ধুর নাম 'কোরিয়ান জাম গাছ'।
ঈদের দিন বন্ধু বন্ধু মিলে যেমন ঈদের কোলাকুলি করে। ঠিক এই প্রিয়-বন্ধুর(কোরিয়ান জাম গাছ) এর চেয়ে বেশি প্রিয় কেউ আমার বন্ধু নেই বর্তমান। যার জন্য বন্ধুর কাছে যাওয়া মাত্র তার সাথে কোলাকুলি করে নিলাম। তাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালাম। স্মরণ করলাম পূর্বের স্মৃতি গুলো। কারণ প্রতি বছরে আমি তার সাথে এসে দেখা করি। তার ছায়া তলে বসে কিছুক্ষণ রেস্ট করি।
আমি জানিনা সে কার গাছ। তবে এতটুকু জানি সে আমার অতি প্রিয় একজন বন্ধু। তাই এখানে তাকে প্রিয়-বন্ধু হিসাবে সম্মোধন করলাম। ইচ্ছে মত তার সাথে ছবি উঠালাম। তার সাথে সেলফি তুললাম। তার বিভিন্ন ডাল পাতার ছবি করে নিলাম। তবে বডির শুরু থেকে যে সমস্ত ডালগুলো রয়েছে এগুলো আমি মনে করি তার হাত। তবে আমার এই বন্ধু তার হাত দ্বারা মানুষকে কখনো ক্ষতি করে না। বরং মানুষের উপকারের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। যেমন এখন জামের সময় গাছে অনেক জাম ধরেছে, অনেকে তার ছায়া তলে বসে থাকে, সে সুন্দর অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করে দেয় মানুষের জন্য, অনেকেই তার গা থেকে ডাল ভেঙ্গে নিয়ে যায়।
যেহেতু অনেক দূর পথ পায়ে হেঁটে এসেছি,এই জন্য সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে রেস্ট এর প্রয়োজন। প্রতিবারের ন্যায় আজকেও তার ছায়া তলে বসে পড়লাম রেস্ট করার উদ্দেশ্যে। প্রচন্ড রোদ ছিল কিন্তু হঠাৎ করে রোদ কমতে থাকল এবং ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়ে গেল। জোরে বৃষ্টি শুরু হলে নিশ্চয়ই ভিজে যাব,এরপরেও বসে থাকলাম তার নিচে। তবে হালকা টিপ টাপ বৃষ্টি হয়েছিল পাঁচ মিনিটমত যা আমাদের গায়ে এসে পৌঁছাতে পারে নাই এই বন্ধুর পাতা গুলোর জন্য। প্রায় দেড়-ঘণ্টা তার নিচে বসে থাকলাম এবং আমার সাথে যাওয়া চাচাতো ভাইয় ইমনকে আমার প্রিয়-বন্ধু সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং আমাদের সম্পর্কে কিছু বিষয় তুলে ধরলাম যাহ আমার মধ্যে দীর্ঘদিন গোপন ছিল। তবে বন্ধুরা এখানে নেই কোনো ইট পাথরের দালান কোঠা। নেই কোনো জ্যাম। এটা একটা মনমুগ্ধকর নিরিবিলি পরিবেশ।
রেস্ট করা শেষে আমি আমার প্রিয়-বন্ধু গাছ এ উঠলাম। অবশ্য গত বার এসেছিলাম জামের সময় এবং জাম খেয়ে গিয়েছিলাম। এবার জাম এখনো পাকে নাই।
গাছ বন্ধুর গায়ে চড়ে কিছুক্ষণ ইচ্ছেমতো ছবি উঠিয়ে নিলাম ইমনের দিয়ে। বিভিন্ন স্টাইলের ছবি উঠিয়ে নিলাম, যেন স্মৃতি হয়ে থাকে বন্ধুর সাথে আমার ছবিগুলো। আমি পূর্বের অন্যান্য পোস্টে আপনাদেরকে বলেছিলাম আমি প্রকৃতপক্ষে প্রকৃতি প্রেমিক, প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে রাখি। কি ঈদ-বন্ধু তোমার তো অনেক বন্ধু রয়েছে, তাঁরা কী তোমাকে আমার মতো করে ভালোবাসে? আমি যেভাবে আমার প্রিয়-বন্ধুকে ভালোবাসি? আমার তো মনে হয় আমার প্রিয়-বন্ধুর আমার মত বন্ধু একমাত্র আমি ছাড়া কেউ নেই। কিন্তু তোমার তো রয়েছে হাজার হাজার বন্ধু তারা কি তোমাকে মন থেকে বরণ করে নেয়? নাকি শুধু তোমার নাম ভাঙিয়ে খায়? তাদের কথা বাদ দিয়ে বল যারা ঈদের দিন বলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায় বা আড্ডাবাজি করে বা ধান্দা গিরি করে বা নারীবাজী করে বা মানুষের খরচ বাড়ায় বা পথে-ঘাটে রোড এক্সিডেন্ট সৃষ্টি করে তাদের কথা মোটেও শুনতে চায় না। তোমার ভালো বন্ধুদের কথা বল আমাদের। আমি ও আমার প্রিয়-বন্ধু জানতে চাই। দেখো নয়ন মেলে চেয়ে রয়েছি তোমার পানে।
দেখো ঈদ-বন্ধু,আমি আমার প্রিয় বন্ধুকে কত ভালোবাসি। তার বুকে চড়ে ইচ্ছেমতো সেলফি উঠালাম মোবাইলটা নিয়ে। আর এরই মধ্যে খুঁজে পেলাম ভ্রমণের সুখ,ঈদের আনন্দ,ঐতিহাসিক স্থানে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি, দামি রেস্টুরেন্টে মাংস বিরানি খাওয়ার স্বাদ। সবকিছু গ্রহণ করলাম কিছুটা সময় ধরে নিরব নিস্তব্ধ মাঠে ঝিরিঝিরি মেঘলা দিনের ঠান্ডা হাওয়ার মাধ্যমে।
আবারও চেষ্টা করলাম মোবাইলটা ইমনের হাতে দিয়ে বন্ধুর গায়ে দাঁড়িয়ে থেকে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার। ঈদের দিনের দুঃখগুলো মন থেকে কখন জানি দূর হয়ে গেল। খুঁজে পেলাম ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে খেলা করার সেই মুহূর্তকে। কতটাই না পবিত্র মন মানসিকতা ছিলো তখন! ছিল না বাস্তবতার এই বেড়াজাল। ছোট ছোট বন্ধুরা মিলে একত্রে গোল্লাছুট;ডং;কিতকিত;এলানটি-বেলানটি;ঘেপ্প;পলানো;রেসমা; চিটি;গাদি খেলা;লাটিম; ক্রিকেট খেলা; ফুটবল খেলা; আমের আঁটির বাঁশি খেলা; বোউ তোলা খেলা; ডাংগুলি; গুটি খেলা;টায়ার ঘোরানো;সামুখ খেলা;পাঠখোড়ি ভাঙ্গা;পানিতে নল-নিতল;মাড় চালানো;ডুব-মারা খেলা;ডিগবাজি সহ নানান প্রকার খেলা খেলতাম। আজ সেই অনুভূতিগুলো খুঁজে পেলাম প্রিয়-বন্ধুর কাছে এসে, মাত্র দুই ঘন্টা সময়ের মধ্যে। তার ছায়ায় বসে থাকা মুহূর্তে টিপ টাপ বৃষ্টি এসে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছে বৃষ্টিতে ভিজে বেড়ানোর স্মৃতিগুলো, আম কুড়ানোর স্মৃতিগুলো, বিভিন্ন গাছের থেকে বিভিন্ন ফল পেড়ে খাওয়ার স্মৃতিগুলো। তা ঈদ বন্ধু তোমার জন্য তোমার বন্ধুরা অনেক আনন্দ উপভোগ করে থাকে, তবে কি আমার মত ছেলে বেলার সেই খেলাধুলার সুখ গুলো খুঁজে পাই? অবশ্য আর বেশি কিছু বলব না। চেয়ে দেখো নিচে থাকা আমার চাচাতো ছোট ভাই@emonv বিরক্ত হয়ে গেছে। আর বিরক্ত হচ্ছে এই জন্য যে আমার মধ্যে কবি কবি ফিলিংস পেয়েছে সে। না জানি তুমিও বন্ধু বিরক্ত হয়ে যাও। আমি চাইনা কেউ আমার থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হোক। শুধু এটাই বলব ঈদের দিন একাকিত্বের জন্য বড়ই যন্ত্রণাময় সময় পার করেছিলাম কিন্তু দুইদিন পরে বন্ধুর কাছে এসে দুঃখ গুলো যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। খুঁজে পেয়েছি হাজার জনের পুরনো দিনের গ্রাম বাংলার সুখ।
ঈদ উপলক্ষে আমার স্মৃতি বিজড়িত প্রিয়-বন্ধু জাম গাছকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে দেখতে যাওয়ার কাহিনী রূপকের ছলে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করলাম। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর এটাও জেনে রাখবেন আমি বৃক্ষপ্রেমিক। যারা বৃক্ষপ্রেমিক তাদের মনটা থাকে সহজ-সরল,গ্যাঞ্জাম পরিবেশ মুক্ত।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | sumon🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
বাস্তবতার মধ্যে জীবন ইতিহাস বিরাজমান। পুনরায় কথা হবে পরবর্তীতে 'প্রিয়-বন্ধু' কোরিয়ান জাম গাছ এর সাথে সম্পর্ক নিয়ে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
সবচেয়ে ভালো লেগেছে বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াটা। সেই সাথে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন অসাধারণ ভাবে। আপনার জন্য অবিরাম শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দোয়া করি যেন আপনি সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার দিতে পারেন।
ঈদে ঘুরাঘুরি করতে যেয়ে যে আপনি একদম গাছে ধরে ফেললেন দেখছি। আসলে গাছে চড়ে শান্ত চলেছেন কিন্তু জাম তো পেলেন না। পাবেনই বা কি করে এখনোতো জাম পাকার সময় হয়নি। সব মিলিয়ে আপনারে ভ্রমণ কাহিনীটি আমি পড়ছিলাম আর হাসছিলাম দারুন ভালো লেগেছে আমার কাছে আপনার এই ভ্রমণ কাহিনীটি।
বেশ ভালই লিখেছেন আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে।
আপনার সবগুলো পোস্ট । আপনার গ্রামিন এলাকার সব ফটোগ্রাফিক গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার
ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আমার কাছে ৫ নম্বর ফটোটা অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে ফটো তোলে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।"
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট।