চাষী মামার ঝাল বা মরিচের জমিতে একদিন || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি কৃষক ভাইদের সোনালী ফসল নিয়ে।
শুরুতেই আলহামদুলিল্লাহ বলে শুরু করব এই কারণেই যে, আমাদের মেহেরপুর অঞ্চলে বর্তমানে অনেক কৃষি জমিতে ঝাল উৎপাদন হচ্ছে। কিছুদিন আগেও আমাদের এলাকায় ঝালের খুব সংকট ছিল। প্রচন্ড রোদ গরমে ঝাল গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল পোকা লেগেছিল। ঝাল ধরত না। তাই ঝালের দাম খুব বেশি হয়ে গেছিল। এখন পুনরায় তার সংকট কাটিয়ে ঝাল গাছগুলো অনেক সুন্দর সতেজ সুস্থ সবল অবস্থান করছে এবং প্রচুর পরিমাণে ফুল ও ফল ধরা শুরু হয়ে গেছে। তাই একদিন উদ্দেশ্য করলাম ঝালের মাঠ ভ্রমণ করে দেখি। যখনি শুনতে পেয়েছি এত সুন্দর ঝাল ধরছে প্রত্যেক গাছে। অসংখ্য পরিমাণ ঝাল ধরা পেতেছে শুনে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল আমার। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে নিয়ে যেতে চাই কৃষকের মুখের হাসি সোনালী ফসলের জমিতে। কিছুটা ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা উপস্থাপন করার প্রত্যাশায় উপস্থিত হয়েছি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
মরিচ এর ফটোগ্রাফি
কিছুদিন আগে হঠাৎ শুনেছিলাম কাঁচা মরিচের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ জনগণের জন্য কেন বড়ই কঠিন। আমাদের এখানে ২৩০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে এক মাস আগে। শুনেছিলাম মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।
আলহামদুলিল্লাহ এখন মরিচের গাছ পুনরায় তার পূর্ব রূপ ফিরে পেয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণে মরিচ ধরছে। যা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তবে মনে করছিলাম হয়তো মরিচের দাম কিছুটা কমবে এতে কৃষকেরও মোটামুটি চলে যাবে, সাধারণ জনগণেরও ভালো হবে। তবে মরিচের দাম যে এতটা কমে যাবে কেউ প্রত্যাশা করে নাই। বর্তমান আমাদের এখানে মাত্র কুড়ি টাকা পেয়েছি।
কিছুদিন আগে নার্সারিতে গাছ কেনার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমার খুব ইচ্ছে হয়েছিল মরিচের জমি ভ্রমণ করব এবং কিছু ফটোগ্রাফি করব। অবশ্য ফটোগুলো যেদিন উঠেছিলাম তা আজ থেকে ১২ দিনের আগে। তখনো মোটামুটি মরিচের দাম বেশি ছিল। কিন্তু এখন এতটাই কমে গেছে যার জন্য কৃষকরা বড়ই হতাশ।
আমি একটি কৃষক মামার সাথে কথা বলেছিলাম সে অবশ্য খুবই আফসোস করেছিল। কারণ এমন সুন্দর ফসল ফোলাতে তো প্রচুর খরচ আছে। যেহেতু প্রচন্ড রোদ গরমের ফলে প্রতিনিয়ত শেষ পাম দিয়ে গাছে পানি দেওয়া লেগেছে সার দেওয়া লেগেছে এছাড়া প্রথমত ঝাল গাছ তৈরি করতে সার খৈল লেগেছে। যার দাম গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি।
কৃষক মামারা আশা করেছিল আবহাওয়া ঠান্ডা হলে ঝাল গাছ লড়াই তার পূর্বের রূপ ফিরে পাবে এবং প্রচুর পরিমাণে ঝাল ধরা শুরু হবে অবশ্য তাদের উদ্দেশ্য ঠিক হয়েছে গাছ যেমন সুস্থ সবল হয়েছে ঠিক তেমন প্রচুর পরিমাণে মরিচ ধরা শুরু করেছে কিন্তু সর্বস্থানে এত মরে উৎপাদিত হয়েছে যে যার মূল্য ২৩০ টাকা ছিল তার মূল্য এখন ৩০ টাকা নয়।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ঝাল বা মরিচের জমি থেকে একটি একটি করে মরিচ উঠানো বড়ই কঠিন কাজ। এর জন্য আলাদা লেবার লাগে। যাই হোক ছোট থেকে যা শুনে আসছি দেখে আসছি জেনে আসছি, কৃষকের মুখের হাসির পাশাপাশি কৃষকের দুঃখ কখনো শেষ হয় না। যার জলজ্যান্ত প্রমান এই হঠাৎ করে বেশি মরিচ উৎপাদন হওয়ার ফলে দাম কমে যাওয়া।
যাইহোক, বর্তমানের মরিচের জমির অবস্থান আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরে আমার বেশ ভালো লাগলো। আমাদের গাংনী মেহেরপুর অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ মরিচ উৎপাদিত হয়ে থাকে। ফিরতে পথে গাংনীর আড়োত গুলোতে এই কয়টা দিন লক্ষ্য করছি বড় বড় বাস্তা বোঝাই করে টাক টাক মরিচ লোড হয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকাতে। যতটা সময় মরিচের জমিতে অবস্থান করছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল।প্রচন্ড রোদ গরম থাকা সত্ত্বেও ঝিরিঝিরি বাতাস বইছিল এই মুহূর্তে। সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম মরিচের জমি থেকে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। এভাবে মাঝে মাঝে জমিতে গিয়ে বেশ ভালোই লাগে। আমিও গ্রামে গেলে মাঝে মাঝে জমির দিকে যায় । দেখে আসি ফলন কেমন ফসলের। আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ তৃপ্ত হলাম।
আসলে ভাইজান ফসলের জমিতে গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। সেখানে রয়েছে মুক্ত বাতাস। রয়েছে সবুজের মাঠ। মন খারাপ থাকলেও এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আর এমন জায়গায় গেলে আমার কবিতা লিখতে বেশ ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন , কৃষকের মুখের হাসির পাশাপাশি কৃষকের দুঃখ কখনো শেষ হয় না। তারা বছরের পর বছর কেবল পরিশ্রম করে যায় ৷ পরিশ্রমের ফল ভালো হলে মূল্য ভালো হয় না ৷ যাই হোক ভালো লাগলো মরিচের জমিতে ঘুরে আসার গল্পটা আপনার ৷
কৃষকের মুখের হাসিটা মেঘলা দিনের সূর্যের মতো। হঠাৎ সূর্য দেখা যায় যেমন, হাসিটাও ঠিক তেমন।আবার অল্প সময়ের মধ্যেই সূর্য মেঘের আড়ালে চলে যায়, তেমন কৃষকের মুখের হাসিটাও হারিয়ে যায়।