হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মায়ের ঔষধ কেনার জন্য বামুন্দির বাজারে তামিম ফার্মেসিতে যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ বিভিন্ন প্রকার ঔষধের সাথে পরিচিত হতে পারবেন এবং বামুন্দি বাজারের সাথে পরিচিত হবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনই বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
photography device: Huawei P30 Pro-40mp
বামুন্দি বাজার
এখানে আপনারা দুইটা প্রেসক্রিপশন দেখতে পাচ্ছেন। প্রথমটা রয়েছে দেবাশীষ স্যারের প্রেসক্রিপশন। দেবাশীষ স্যার ঢাকা বারডেম হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ঢাকা পান্থপথের হোপ এন্ড হেল্প হসপিটাল থেকে আম্মার অপারেশনের পর এই প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়েছিলেন। তিন মাস পর আবার দেখা করতে বলেছেন। এদিকে নিচে যে প্রেসক্রিপশনটা দেখতে পারছেন এটাই রয়েছে একটি স্যালাইন আর মাল্টিভিটামিন। এটা লিখে দিয়েছিলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডক্টর আরিফুল ইসলাম। এই দুই প্রেসক্রিপশন মোতাবেক আমার ঔষধ ও স্যালাইন চলছে বর্তমান। আর তাই সে সমস্ত ঔষধ ও স্যালাইন আনার জন্য বামুন্দি বাজারে তামিম ফার্মেসিতে উপস্থিত হয়েছিলাম।
বামুন্দি তামিম ফার্মেসির সামনে রয়েছে সাফায়েত ফার্মেসি। এছাড়া অন্যান্য বেশ অনেকগুলো ফার্মেসি লক্ষ্য করেছি। তবে তামিম ফার্মেসিতে যে এত মানুষের ভিড় হয় বলে পারেন নেই। মাঝে মাঝে ঔষধ নেওয়ার জন্য লাইন দিতে হয়। ভেতরে মানুষ থাকে ৬-৭ জন। তারাও ঔষধ দিতে গিয়ে হাঁপিয়ে যায়। তবে যাই হোক এখানে একটাই সুবিধা সকল প্রকার ঔষধ গুলো পাওয়া যায় এবং 10% ছাড়ে দেয়। তারা সরাসরি ঢাকা থেকে ঔষধ নিয়ে আসে আবার কোম্পানি থেকে নেওয়া হয় এমনটা শুনেছিলাম। যাই হোক প্রথমত প্রেসক্রিপশন বের করে মোবাইলটা তাদের হাতে দিয়ে দিলাম। এদিকে আর একটা মোবাইলে এদিকে ওদিকে ফটো ধারণ করলাম। এই মুহূর্তে একটা সুবিধাবোধ করলাম মোবাইলটা হাতে দিয়ে কারণ অনেকের ভিড়ের মধ্য থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঔষধ খোজার চেয়ে মোবাইল হাতে ধরে ওষুধ খুঁজা তাদের জন্য সহজ। আর তাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক ও পরিচিত লাভ করায় তারা দ্রুত আমার ঔষধ গুলো দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তাই এই দিনও তেমন ভাবেই দ্রুত ঔষধ গুলো দেওয়ার চেষ্টা করল।
ফটোতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন ভেতরের সাতজন মানুষ এদিক-ওদিক থেকে ঔষধ দেওয়ায় ব্যস্ত। সামনের টি-শার্ট পরা ছেলেটা আমার ঔষধ দেওয়াই ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তবে উপস্থিত হওয়ার পরপর এই যে ঔষধ দেয়া শুরু করলো এটা কিন্তু আমাদের জন্য একটু সুবিধা ছিল। কারণ এখন বর্ষার সময় বাড়ি থেকে বামুন্দি বাজারে যেতে বেশ কয়েকটা মাঠে রাস্তা পার হতে হয়। ইদানিং সে মাঠের রাস্তাগুলো বেশ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ছিনতাইকারী চোর ডাকাতের। তাই ঐদিন মনে মনে করেছিলাম যত দ্রুত বাড়িতে পৌঁছাতে পারবো সন্ধ্যার মুহূর্তে ততই ভালো। কারণ বামুন্দি বাজারে আসলে রাত আটটা সাড়ে আটটা বেজে যায়। এখন আর সেভাবে দেরি করা সম্ভব হয় না মাগরিবের সাথে সাথেই বাড়ি পৌঁছে যেতে হয় রাস্তার সমস্যার কারণে। ঠিক সেভাবেই দ্রুত ভাইটা ঔষধ ম্যানেজ করে দিতে থাকলো।
এরপর ভাইটা ঔষধ হিসাব করে আমাকে জানালেন 800 কত টাকা জানি। পরবর্তীতে আমি আবার ডাবল করে নেয়ার চেষ্টা করলাম বারবার তো আসা যায় না। তাই টোটালি সে ওষুধসহ ভাইয়ের কিছু ঔষধ মোট ১৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হল। এখানে আমারও বেশ দুইটা ওষুধ ছিল। দীর্ঘদিন টেনশনে ঢাকাতে অবস্থান করে মায়ের পাশে থেকে আমিও নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। এখানে সামনে যে ঔষধ গুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ওই ওষুধগুলো সম্পূর্ণ মায়ের জন্য। এখানে ৮ প্রকার ওষুধ ছিল। অপারেশনের পর মেডিসিন ডাক্তার দেবাশীষ তিন মাসের জন্য এই ঔষধ গুলো খেতে বলেছে। মায়ের গুলো ছাড়াও টোটালি এখানে তিনজনের ঔষধ নেয়া হলো। ঔষধগুলো সুন্দর করে প্যাকিং করে দিলেন। এরপর টাকা পরিশোধ করে আমরাও আমাদের মত দ্রুত বাজার শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
লোকেশন | বামুন্দি বাজার |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
আপনি বামুন্দি বাজারে সাফায়েত ফার্মেসি থেকে অনেকগুলো ওষুধ কিনেছেন। ফার্মেসিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বড় আর ছয় সাতটা মানুষ ঔষধ দিয়ে যাচ্ছে। এরকম বড় ফার্মেসি না হলে সব ধরনের ঔষধ এক জায়গায় পাওয়া যায় না। আপনাদের বাড়িতে অনেক জনই অসুস্থ। আপনার আম্মা আপনার মেয়ে সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
তামিম ফার্মেসি থেকে এনেছি
আমাদের বাড়ির বেশিরভাগ ঔষধ বামুন্দি বাজারের তামিম ফার্মেসি থেকে কেনা হয়। কিছুদিন আগে আপনার আগে ছিলেন ঔষধ কিনতে। বেশি ভালো লাগলো বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। আর তারা আপনাদের সুপরিচিত জেনে আরো ভালো লাগলো।
হ্যাঁ অনেক দিনের পরিচিত
আসলে ভাইয়া পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে তাকে নিয়ে একটু দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও অসুস্থ তাদের জন্য সব সময় ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে হয়। তবে বড় বড় ফার্মেসীগুলোতে বেশি থাকে লোক ওষুধ দেওয়ার জন্য। তবে আপনি অনেক টাকার ওষুধ কিনেছেন। তবে আমি নিজেও জানি অসুস্থ লোক থাকলে কি পরিমাণ তাদের ওষুধ লাগে বলে বোঝানো যায় না। তারপরও আপন মানুষগুলো যখন সুস্থ হয় নিজের কাছে ভালো লাগে।বামুন্দির তামিম ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গিয়ে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু বেশ কিছুদিন একই অবস্থায় চলছে।
ভাইয়া তামিম ফার্মিসিতে ১০% ডিসকাউন্ট দেয় বলেই সে ফার্মিসেতে এত মানুষ যায়। আর সেখানে সব ঔষুধ পাওয়া যায়। ফার্মিসিতে দেখলাম সাত আটজন মানুষ ঔষুধ দিচ্ছে। এর দ্বারা বুঝা যায় এখানে কি পরিমান ঔষুধ সেল হয়। আর প্রেসক্রিপশন দেখলাম ভালো ভালো কোম্পানির ঔষুধ লিখেছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া