গাংনী থেকে মেহেরপুর আড়তে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার মুহূর্ত - চতুর্থ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago
আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230806_095738_9.jpg





হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মেহেরপুর আড়তে মাছ বিক্রয় করতে যাওয়ার চতুর্থ পর্ব নিয়ে। আর এ পর্বে আপনারা মেহেরপুর প্রবেশের পূর্বের বেশ কিছু স্থান সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনই মূল পর্বে যায়।


ফটোগ্রাফি সমূহ:



ইতোমধ্যে আমি আপনাদের মাঝে অনেকগুলো পোস্ট তুলে ধরেছি গাংনী বাজার থেকে মেহেরপুর আড়তে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার মুহূর্ত। মাঝখানের বিভিন্ন গ্রামে রানিং অবস্থায় যে সমস্ত ফটো এবং ভিডিও ধারণ করেছিলাম সেগুলো তুলে ধরেছি। এ পর্যায়ে আপনারা লক্ষ্য করছেন মেহেরপুরের প্রবেশের পূর্বেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মেহেরপুরের যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে পাশাপাশি অনেক যুবক ছেলে-মেয়েদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হয়ে আর্থিক দিক থেকে উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছে। অবশ্যই এ প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৩ সালের পর থেকে শুরু হয়েছে। আমি যখন মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজে অনার্স শুরু করেছিলাম তারপরেই এই প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করা শুরু হয়। এই মুহূর্তে আমি লক্ষ্য করে দেখছি আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি হয়েছে এই জায়গাতে। টোটাল চার থেকে পাঁচটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আশা করি এভাবে আমাদের মেহেরপুর শহর আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। তবে এই একই স্থানে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রাথমিক দিকে এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টা আগে হয়।

IMG_20230806_082828_6.jpg

IMG_20230806_082829_4.jpg

IMG_20230806_082818_4.jpg

IMG_20230806_082817_3.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার



এদিকে আরো গড়ে উঠেছে যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য যুবক ভবন সহ শিল্প প্রতিষ্ঠান। আমি যখন মিরপুর কলেজে যেতাম লক্ষ্য করে দেখতাম এই সমস্ত জায়গাগুলো ফুলকপি সরিষা পাতাকপি গম এর সমস্ত রবি শস্য ফলাতক কৃষকেরা। এরপর আস্তে আস্তে দেখা গেল বিশাল এরিয়া গুলো দিন দিন পাশের দিয়ে ঘেরাউ করা হচ্ছে এবং জমিগুলো মাটি ভরাট করে উচু করা হচ্ছে। আর এরপরে কার্যক্রম শুরু হয়ে গড়ে উঠতে থাকলো এ সমস্ত বিল্ডিং গুলো। গামী বাজার থেকে মেহেরপুরে প্রবেশের শুরুতে এমন সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে এরপর রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্র তারপর রয়েছে মেহেরপুর পুলিশ লাইন। অর্থাৎ শুরুর দিকে এমন সুন্দর সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো যেন মানুষের মনকে প্রশান্তির যোগায়, আমাদের মেহেরপুর শহর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ।

IMG_20230806_082846_6.jpg

IMG_20230806_082833_3.jpg

IMG_20230806_082823_6.jpg

IMG_20230806_082822_4.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার



নূর ফিলিংস স্টোরের পিছনে রয়েছে মেহেরপুর পুলিশ লাইন এবং পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যেহেতু সকালবেলায় মাছের ড্রামের উপর বসে যাচ্ছিলাম রানিং অবস্থায় এই মুহূর্তে হাই রোডের উপর অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল এমন অবস্থায় যদি আমার ফটোগ্রাফি বা ভিডিও ধারণ করতে দেখে না জানি কি মনে করবে তাই সমস্যায় না জড়ানোর জন্য এই মুহূর্তে আর কোন ফটোগ্রাফি বা ভিডিও ধারণ করিনি। যাই হোক এরপর এই নূর ফিল্ম স্টোর মেহেরপুর প্রবেশের পর এই বিভিন্ন তেল সরবরাহ করা হয় যা বিভিন্ন যানবাহন এখান থেকে তেল গ্রহণ করে। একদিন ফাইনাল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার মুহূর্তে মাত্র আধা ঘন্টা টাইম হাতে ছিল এমন অবস্থায় আমরা যে লোকাল বাসে উঠেছিলাম সেই লোকাল বাস তেল নেওয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়ে গেছিল আমরা সব বন্ধুরা মিলে যে কতটা বিভ্রান্তি বোধ করছিলাম তা বলে বোঝানো সম্ভব নয় আমরা ড্রাইভার কে বারবার বলার চেষ্টা করছিলাম ভাই দ্রুত চলুন আমাদের পরীক্ষা দশটার সময় আরম্ভ হবে উনি বলেছিলেন আধা ঘন্টা টাইম হাতে রয়েছে 15 আগেই আপনাদের পৌঁছে দেব। অনেকদিন পর মেহেরপুরে আসার মুহূর্তে কিন্তু সেই সমস্ত স্মৃতিগুলো ভেসে উঠতে থাকল, এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে এই পথ চলার।

IMG_20230806_082936_3.jpg

IMG_20230806_082947_0.jpg

IMG_20230806_082952_5.jpg

IMG_20230806_082959_9.jpg

IMG_20230806_083001_7.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
নুর ফিলিংস ষ্টোর



এটা দীঘির পাড়া নামক গ্রাম, মেহেরপুরে প্রবেশের সর্বশেষ গ্রাম এটা। ফটোগ্রাফিতে যেই বিদ্যালয়টি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই বিদ্যালয়টি তেমন একটা উন্নত ছিল না আগে লক্ষ্য করতাম। এখন বেশ তার পরিবর্তন এসেছে এবং মোটামুটি ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা অনেক দেখতে পাওয়া যায়। পাশে যদি শহর থাকে এমনিতে মানুষ শহরকেন্দ্রিক মনোভাব বেশি হয়ে থাকে ছাত্র-ছাত্রীকে অর্থাৎ নিজের সন্তানদেরকে উচ্চ শিক্ষা প্রদানের জন্য শহরের দিকে বেশি পাঠায়। তাই আমরা যখন লোকাল বাসে চড়ে কলেজে যেতাম লক্ষ্য করতাম এই গ্রাম থেকে অনেক ছেলে-মেয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেহেরপুরে বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের দিকে যাচ্ছে। তাই এই স্কুলটাতে তেমন বেশি ছাত্র-ছাত্রী দেখতাম না তবে এখন বেশ চোখে পড়ে। আর রাস্তা চারিপাশে দৃশ্য তো দেখে বুঝতে পারছেন কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত রাস্তার চারিপাশের গাছগুলো আর তেমন নেই নেই আশেপাশের দোকানগুলো রাস্তা সংস্কারের জন্য সমস্ত কিছু রাস্তার পাশ থেকে দূর করা হয়েছে। তবে এখান থেকেই দেখা যায় মেহেরপুরের জেনারেল হাসপাতাল। মেহেরপুরের উয়াপদা পার হলেই হাসপাতালটি।

IMG_20230806_083050_5.jpg

IMG_20230806_083206_0.jpg

IMG_20230806_083230_9.jpg

IMG_20230806_083252_1.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
দিঘির পাড়া



আমরা বা পাশের কলেজ মোড়ের রাস্তায় প্রবেশ না করে সোজা চলে গেলাম মেহেরপুরের বড় বাজারের দিকে। কারণ মেহেরপুর মাছের আড়ত দুই দিক দিয়ে প্রবেশ করা যায়। বাঁ পাশের রাস্তা অর্থাৎ আমাদের মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজের পাশ দিয়ে মুজিবনগরের রাস্তার ডান দিয়ে যাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে সহজ সামনের সোজা হয়ে রাস্তা দিয়ে বড়বাজার হয়ে প্রবেশ করাটা। এই রাস্তা ধরে ভারতের বর্ডার পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। যেহেতু আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের মেহেরপুর একদম ভারতের পাশাপাশি অবস্থিত। এ রাস্তা দিয়ে কয়েক কিলো পথ অতিক্রম করলে ভারতের বর্ডার। যাইহোক আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করি সামনে পোস্টে মেহেরপুরের ভিতরের বেশ কিছু অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।

IMG_20230806_083255_5.jpg

IMG_20230806_083308_3.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
মেহেরপুর ওয়াপদা


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 10 months ago 

ভাই নিশ্চয় গাংনির আড়তে মাছের দাম কম ছিল এর জন্য আপনি মেহেরপুরের দিকে ছুটেছেন। তবে যেতে যেতে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে মেহেরপুরের রাস্তার অনেক সুন্দর। আমি অনেকবার এখানে গিয়েছি। সব মিলিয়ে গান থেকে মেহেরপুরে আড়তে মাছ বিক্রি করতে যার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

হ্যাঁ ভাই গাংনী আড়তে তো সেদিন মাছের দাম খুবই কম ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68221.63
ETH 3277.70
USDT 1.00
SBD 2.66