আজ - রবিবার
১১ আষাঢ়,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৫ জুন,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি জাপানি মাছের ডিম এর সুন্দর রেসিপি নিয়ে। আমরা জানি জাপানি মাছের ডিম ভাজি করে খেতে বেশ দারুন লাগে, বিশেষ করে পরিবারের বাচ্চারা এই জাতীয় মাছের ডিম খেতে বেশি পছন্দ করে তাই অনেকেই কিভাবে মাছের ডিম সহজে রান্না করা যায় বা ভাজি করা যায় সেটা সম্পর্কে অবগত নাই। ঠিক সেই বিষয়টা আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর করে এবং সহজ কৌশলে শিখিয়ে দিতে চাই। পর্যায়ক্রমে বা ধাপে ধাপে কার্যক্রম শুরু করি এবং সুন্দরভাবে শেখার চেষ্টা করি। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এখনই বিস্তারিত কার্যক্রম শুরু করে দেওয়া যাক।
রেসিপি বানানোর উপাদান সমূহ: |
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | জাপানি মাছের ডিম | হাফ কেজি পরিমাণ |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | রসুন কুচি | এক পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | পাঁচ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ৫০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই চেষ্টা করলাম সমস্ত উপাদান গুলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে চুলার পাড়ে নিয়ে আসার। যেখানে মসলা জাতীয় উপাদানগুলো আলাদাভাবে একটি প্লেটে রাখার চেষ্টা করলাম। আরেক দিকে মাছের ডিম চর্বি জাতীয় জিনিসগুলো একটি প্লেটের মধ্যে নিয়ে উপস্থিত হলাম। আর এভাবে কার্যক্রম শুরু করলাম।
কার্যক্রম শুরু করার শুরুতেই মাছের ডিম গুলো একটি গোল পাত্রের মধ্যে রেখে মাছের ডিম গুলোর উপরে ঝাল হলুদ এর গুড়া মসলাগুলো ডিমের গায়ে ছিটিয়ে দিলাম।
এ পর্যায়ে সমস্ত গুড়া মসলা মাছের ডিমের সাথে মিক্সার করে দিলাম। হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে মসলা হঠাৎ করে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করলাম জানো ডিমের সর্বস্থানে গুড়া মসলা ভালোভাবে প্রবেশ করে।
এবার চুলার মধ্যে কাঠের খড়ি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিলাম। এদিকে কড়াইটি চুলার উপরে বসিয়ে দিয়ে গরম করলাম। কড়ায় গরম হওয়ার পর পরে কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢেলে দিলাম। কড়াই আরো গরম হতে থাকলো পাশাপাশি তেল ফুটতে থাকলো।
এবার গরম তেলের মধ্যে ডিম গুলো ছেড়ে দিলাম। যখন মাছের ডিম রান্না করা হবে বা ভাজা হবে, তখন আমাদের অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ এই মুহূর্তে ডিমগুলো টগবগ করে ফুটতে থাকে এবং মাঝেমধ্যে গায়ে এসে লাগতে থাকে। যেন এতে গায়ে কোন স্থান আঘাতপ্রাপ্ত বা খত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাইহোক দীর্ঘক্ষণ খুন্তি দিয়ে উল্টে পাল্টে নাড়তে থাকলাম এবং তেলেভাজার চেষ্টা করলাম।
এমন একটি সময়ে মাছের ডিম গুলোর আকৃতি চেঞ্জ হতে থাকলো এবং মুচমুচে ভাজা হতে থাকলো। তাই এই মুহূর্তে একটু জ্বাল কমিয়ে দেয়া হলো।
এবার অর্ধেক ভাজা এই মাছের ডিমের উপর ঝাল পেঁয়াজ রসুনের কুচিগুলো দিয়ে দেয়া হলো। এই পর্যায়ে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে জানো সমস্ত মাছের ডিমের সাথে ঝাল পেঁয়াজ এর মিকচার হয় এবং গুণগতমানের সুস্বাদু রেসিপি করা যায়।
এবার ঝাল পেঁয়াজের কুচিগুলো ডিমের সাথে ভালোভাবে মিক্সচার করতে থাকলাম এবং চুলায় জোরে জাল দিতে থাকলাম। এদিকে আমার মাছের ডিম গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ভাজা শুরু হয়ে গেল।
কিছুটা সময় ধরে জ্বাল দিতে থাকলাম এবং খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকলাম এতে করে একটি পর্যায়ে আমার মাছের ডিম ভাজা সম্পূর্ণ হয়ে গেল। তুই কেমন মুহূর্তে আবারো দ্বিতীয়বারের মতো চুলার জ্বাল কমাতে থাকলাম।
এবার চুলা থেকে কড়াইটি নামিয়ে নিলাম নিচে। কড়াইতে সাবধানতার সাথে ধরে প্লেটের মধ্যে ডিম ভাজা নামিয়ে নিলাম। আর এভাবে আমার ডিম ভাজার কার্যক্রম সম্পন্ন হলো।
লাঞ্চ টাইমে পরিবারের লোকজন যখন খাওয়ার জন্য রান্নাঘরে এসেছিল তখন সকলের মাঝে আমার এই ডিম ভাজা পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে কার্যক্রম পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলো এবং সকলে আমার জাপানি মাছের এত সুন্দর ডিম ভাজি খেতে পেরে অনেক প্রশংসা করতে এসেছিল। সকলের এত সুন্দর প্রশংসা যেন আমার রেসিপি প্রস্তুত এর জন্য আরো উৎসাহ সৃষ্টি করল। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে আমার এই রেসিপি। কার কেমন ভালো লেগেছে সেই মতামত পেতে চাই কমেন্টস বক্সে। |
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
মাছের ডিম খেতে আমার কাছে এমনিতেই খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে জাপানি মাছের ডিম ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন।সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মাছের ডিম সকলের ভালোলাগা ভাইজান
মাছের ডিম আমার খুব পছন্দের। মাছের ডিম খেত আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে রন্ধন প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনার উপস্থাপন দুর্দান্ত হয়েছে। তবে ভাই আমি কখনো জাপানি মাছের নাম শুনি নি। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
মাছের ডিম ভাজা খুবই মজাদার একটি খাবার। আগে এমন মাছের ডিম অনেক খাওয়া হতো, কিন্তু এখন ছোটদের জন্য আর খাওয়া হয় না। আপনি অনেক সুন্দর করে মাছের ডিমের রেসিপি বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খাবারটা নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অবশ্যই ভাইজান অনেক সুস্বাদু হয়েছে
মাছের ডিম ভাজি আমার খুবই পছন্দে। এছাড়া মাছের ডিম খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। যেকোন মাছের ডিম ভালো লাগে খেতে। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ দিয়ে মাছের ডিম ভাজি করলে খেতে আরো বেশি মজার হয়। ভাইয়া আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
জ্বী আপু অনেক সুন্দর সুস্বাদু ছিল
জাপানি মাছের ডিম কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি কতটা সুস্বাদু হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। মাছের ডিম খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে কখনো এভাবে জাপানি আছে ডিম খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একটু সুযোগ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন
জাপানি মাছই চিনি না আর তার ডিম তো দূরের কথা । আর বাচ্চারা ডিম খেতে পছন্দ করে সেটা আমি জানি না কারণ আমার বাচ্চা খায়ই না। । আপনি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিম ভাজিটি করলেন ।পেঁয়াজগুলো এভাবে দিলে কাঁচা কাঁচা লাগে না খেতে। উপর দিয়ে তো মনে হচ্ছে পেঁয়াজ কাঁচাই রয়ে গেছে।
বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রেতাদের কাছে প্রশ্ন করবেন দেখিয়ে দিবে
মজাদার মাছের ডিমের ভাজি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। মাছের ডিমের ভাজি রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। তাই এই রেসিপিটি পরিবেশনে আমার অনেক বেশি ভালো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য
মাছের ডিম ভুনা আমার খুবই ফেভারেট। যেদিন আমাদের বাসায় এই খাবার প্রস্তুত করা হয় সেদিন তো আমার মজাই অন্যরকম হয়।
আপনার প্রস্তুত করা মাছের ডিম ভাজির রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হবে।
জেনে অনেক খুশি হলাম ভাইয়া
আপনার রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাইয়া। রেসিপিটা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জি আপু এই জাতীয় মাছের ডিমের রেসিপি সত্যি খুবই লোভনীয়
মাছের ডিম ভাজি খেতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করি বিশেষ করে বাসার ছোট ছোট বাচ্চারা এই মাছের ডিম ভাজি খেতে আরও বেশি ভালোবাসে। আপনার এই মাছের ডিম ভাজি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই বাসা ছোট ছোট বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে