|
আসসালামু আলাইকুম |
|--------|
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ইতোপূর্বে আমি আপনাদের মাঝে গাংনী বাজার থেকে মেহেরপুরে মাছ বিক্রয় করতে যাওয়ার দুইটা পোস্ট শেয়ার করেছি। আজ আমি তৃতীয় পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি এই পর্বে আপনারা মেহেরপুর যাওয়ার পথের বিশেষ বিশেষ অংশ দেখতে পারবেন। তবে এমন কিছু ভ্রমণ বিষয় রয়েছে যেখানে কর্ম অথবা বিভিন্ন কারণে নিজের ছবি তোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে যাওয়া যাক।
|
ফটোগ্রাফি সমূহ: |
|-|
ইতোপূর্বে আলমপুরের সুন্দর ব্রিজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছে ফটো আর ভিডিওর মাধ্যমে এরপর আলমপুর অতিক্রম করে ধোসার পাড়া যাওয়ার মুহূর্তে লক্ষ্য করলাম রাস্তায় বেশ চলমান কাজ অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু হাই রোড সংস্কার চলছে তাই সেখানে গাড়ি ঘোরার চাপ সৃষ্টি হচ্ছে কাজের মাঝখানে এসে অন্যান্য গাড়ির একটু যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ যেখানে কাজ চলে সেখানে তাদের কাজের অন্যান্য গাড়ি এসে থেমে থাকে বালি ফেলার জন্য,সেখানে গাড়ি রাস্তা ব্লক করে ফেলেছে। তাই আমাদেরও একটু থামতে হয়েছিল যেহেতু লাইন বন্ধ হয়ে গেছে প্রত্যেকটা গাড়ির কারনে। আমরা যখন উপস্থিত হলাম লক্ষ্য করে দেখলাম একটি ট্রাকে করে রাস্তার পাশে বালি ঢালা হয়েছে। রাস্তার দুইপাশ দিয়ে আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে তাই এই মুহূর্তে গাংনী থেকে মেহেরপুরে যাওয়ার সময় বেশ সাবধানতার সাথে চলতে হবে কারণ যে কোন স্থানেই কাজ চলছে এমন। আর এই বিষয়টা আমাদের জানা ছিল বলে বেশ সাবধানতার সাথে চলছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
আলমপুর পার হয়ে ধোসারপাড়া। যখন আমরা এই মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করেছিলাম ঠিক তখনই আরো রাস্তার কার্যক্রম চলছে তা দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম। যেহেতু সময়টা ছিল বেশ সকাল হালকা গরম অনুভব হয়েছিল বৃষ্টির কারণে যেহেতু আমরা জানি আকাশে যখন মেঘ চেপে আসে তখন উপরের গরম সব নিচে নেমে আসতে থাকে তাই ওই মুহূর্তটা আবহাওয়া গরম থাকে। এ মুহূর্তে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল ফটোগ্রাফির দ্বারা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারছেন রাস্তায় যথেষ্ট জায়গায় জায়গায় বৃষ্টির ছাপ রয়েছে। তবে পথে ঘাটে রানিং মানুষের সংখ্যা খুবই কম ছিল পূর্বে যা দেখেছি। বাইরের পরিবেশে চলতে বেশ ভালো লাগে এমন মুহূর্তটা। আর দীর্ঘদিন পরে এই সমস্ত স্তান গুলো দেখতে পারছি বলে বেশ ভালো লাগছিল আমার। আমরা যে সময়ে পথ দিয়ে চলতাম মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজে যাওয়ার জন্য তখন ফটোগ্রাফিতে থাকা ঈদগাহ ময়দানটা এতটা উন্নত ছিল না। বন জঙ্গলের পোরা থাকতো সব সময়,আর খুব স্বাভাবিক একটি ঈদগাহ ছিল। তবে চারি পাঁচটা পাশের দিয়ে ঘেরা ছিল হয়তো রাস্তা তৈরি হচ্ছে এই জন্য রাস্তার পাশের দেয়ালটা ভেঙা পড়ে গেছে। আর রাস্তার পাশ দিয়ে বেশ বড় বড় কয়টা গাছও ছিল সেই গাছগুলো দেখছি না শুধু একটি গাছের গোড়া পড়ে রয়েছে লক্ষ্য করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
এটা হচ্ছে মদনাডাঙ্গা। এই গ্রামটা আমার খুবই পরিচিত এখানে আমার একটি ফুবুর বিয়ে হয়েছে, একটি ছোট বোনের বিয়ে হয়েছে, একটি বোনের মেয়ে অর্থাৎ খালার বিয়ে হয়েছে। যখন মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজে পড়ালেখা করতাম অনেক বন্ধু বান্ধবী এই গ্রাম থেকে আমাদের সাথে পড়তো। আর লোকাল বাসে চলাচল করার সময় জিতে আসতে এখানে গাড়ির মেলাখন থামতো। গ্রামের বাজার এখানে বসে। বেশি দীর্ঘ জায়গা জুড়ে হাট বসে হাটের দিন। তবে সাজানোর জন্য সুন্দর স্থানটা রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে বলেই আর আগের দৃশ্য নেই। যথেষ্ট খালি হয়ে গেছে না জানি সামনের গাছটাও কাটা পড়ে যায়।
Photography device: Infinix hot 11s
location
এরপর আমরা গোপালপুর অতিক্রম করলাম। গোপালপুর চলাকালীন মুহূর্তে রাস্তায় বেশ যানজট থাকায় কোন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। এরপর চলে আসলাম দিঘির পাড়া নামক গ্রামে। দিকের পাড়ার যে গাছটা কাটা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন সেখানে বসে রাস্তায় ট্যাক্স আদায় করত। তবে সেই ছায়া তম সুন্দর শীতল স্থানটা আর নেই। যেহেতু এই গাছটা কাটা পড়ে যাচ্ছে পাশাপাশি অন্যান্য গাছগুলো কাটা পড়ে গেছে রাস্তা নির্মাণের জন্য তাই যেন নতুন রুপ তৈরি করতে হলে দীর্ঘদিন সময় লাগবে এখানে। এরপর থেকে শুরু মেহেরপুর শহরের। অর্থাৎ গাংনীর রাস্তা অতিক্রম করে মেহেরপুরে ঢুকতে হলে এই হাই রোড দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। আর মেহেরপুরে প্রবেশ করার মুহূর্তে রয়েছে অনেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে গড়ে উঠেছে।
এ পর্যায়ে আমাদের গাড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে চলছিল। লক্ষ্য করে দেখলাম এখানে বেশ পথচলা মানুষ চলছে তাদের নিজ গতিতে নিজের কর্মস্থলে। কিছু পাঠ ব্যবসায়িক তাদের পাঠ রোদে দিচ্ছে। আর এভাবেই আমরা আরো মেহেরপুরের মধ্যের দিকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আগাতে থাকলাম। হয়তো মেহেরপুরের দিকে মাছ বিক্রয়ের জন্য যা ছিলাম কিন্তু ভ্রমণটা বেশ আনন্দঘন ছিল আমার কারণ এটা অন্য নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন। অনেকে সেজেগুজে ভ্রমণ করতে যায় আবার অনেকে রয়েছে আমাদের মত বিভিন্ন কাজে কর্মে দূরে কোথাও যেতে হয় পাশাপাশি ভ্রমণ ও নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলে। আশা করি সামনের পোস্টে আপনারা আরো অনেক কিছু দেখতে পারবেন এবং মেহেরপুর সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
| পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
|-|
Posted using SteemPro Mobile
মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার দারুন একটা অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমিও অনেকবার আড়তে মাছ বিক্রি করতে গিয়েছি তাই এই অভিজ্ঞতাটা আমার সরাসরি অর্জন করা রয়েছে।
ধন্যবাদ,জেনে অনেক খুশি হলাম।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার মাছ বিক্রয়ের অনুভূতি। আসলে এই মেহেরপুর আড়তে আমি অনেকবার গিয়েছিলাম মাছ বিক্রি করতে। আসলে আমাদের এই রাস্তাতে এখন কাজ চলছে তাই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ মামা কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর সড়কের কাজ চলছে