হাই বন্ধুরা!
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণের বিষয় নিয়ে। যেখানে আপনাদের মাঝে বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি পাশাপাশি বর্ণনা তুলে ধরব। আশা করি ওয়াজ মাহফিলের বিস্তারিত ভ্রমণ বিষয়টা আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
মাহফিল অনুষ্ঠানে গেটটা বেশ চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছিল। দেখলাম দুই পাশে হালকা গর্ত জায়গা, মাঝখান দিয়ে স্কুলে প্রবেশের পথ। আর সেই স্কুলের প্রবেশের পথটা সুন্দর করে গেট সাজানো হয়েছে। প্রথমে রাস্তায় কিছুটা সময় অবস্থান করলাম আর এরপরে গেটের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলাম। নতুন একটি স্থানে সবকিছু যেন নতুন নতুন লাগছিল আর রাত্রে বেশি কিছু দেখা না গেলেও যা চোখে দেখছিলাম বেশ ভালো লাগার মত চারিপাশ মিলাদ মাহফিলের জন্য সাজানোর চেষ্টা করেছিল এখানকার কমিটি। তবে একটু সমস্যা বোধ করেছিলাম গেটের মধ্যে প্রবেশ করার লাইটিং টা একদম চোখের সামনে হওয়ায় যারা ভেতরে প্রবেশ করছে বেশ সমস্যা বোধ করছিল রাস্তা থেকে নামতেই। কারণ এ লাইটটা উপর থেকে নিচ পানে হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হতো। যাইহোক ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম কোন এক স্থানীয় বক্তা ওয়াজ করছে সামিয়ানার নিচে সাতখানিক মানুষ তার বক্তব্য শুনছে। আমি আর আমার বন্ধু দুইজন সেখানে গিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য অবস্থান করলাম। স্থানীয় বক্তা বেশ কিছু হাদিস কোরআনের আলোকে কথা বলছিল তা শোনার চেষ্টা করলাম। আর এভাবে কিছুটা সময় অতিবাহিত হলো আমাদের দুজনার।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এর কিছুক্ষণ পর আমি আর আমার বন্ধু দুজনে চলে আসলাম মিষ্টির দোকানগুলোতে। আপনারা জানেন বর্তমানে মিলাদ মাহফিল বলতে বোঝানো হয় মেলার দোকান মিষ্টির দোকান আর ওয়াজ মাহফিল। আজ মাহফিলে যতজন লোক হয় বা না হয় তার চেয়ে বেশি হয় এই মিষ্টির দোকান আর বিভিন্ন জিনিসের মেলার দোকানে। যাইহোক সেদিকে কথা বেশি না বললাম। তবে দুইজন চেষ্টা করলাম মিষ্টির দোকানগুলো থেকে কিছু কিনে খাওয়ার জন্য। দেখলাম সেখানে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির ছোট ছোট দোকান বসেছে যেমন জিলাপি, কদমা, বাতাসা, সন্দেশ, বুন্দিভাজা সহ আরো অনেক কিছু। পাশাপাশি ঝাল জাতীয় খাবার রয়েছে বড়া; ঝাল মুড়ি; সমুচা; সিঙ্গারা; ফুচকা সহ আরো অনেক কিছু। প্রথমে আমরা দুইজন ভাবলাম আগে মিষ্টিমুখ করা যাক। তাই কমন কিছু মিষ্টি যেমন কর্ম জাতীয় আর জিলাপি জাতীয় মিষ্টি কিনে খাওয়ার চেষ্টা করলাম। একটি দোকান থেকে কিনে খাওয়ার মুহূর্তে দুজনে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম আর দেখতে থাকলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
হঠাৎ সামনে দেখতে পারলাম একটি পিলার বা উদ্বোধন করা দৃশ্য যেটা আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন। তবে মনে করলাম হয়তো এই দিক দিয়ে হেয়ারিং রাস্তা থাকতে পারে কিন্তু কিছুটা পথ এগিয়ে দেখলাম রাস্তা তেমন নেই। তবে হয়তো কাঁচা রাস্তা থাকতে পারে বাঁশ ঝাড়ের নিচ দিয়ে, তাই লাইন থেকে বেলাইনে আর না গিয়ে ফিরে আসলাম সামনের দিকে। নতুন স্থান, এলাকার স্থানীয় সরকার এরা কেমন উন্নয়ন করেছে সে সম্পর্কে ধারনা অর্জন করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এরপর চলে আসলাম মেলার দোকানগুলোতে, যেখানে ছিল বিভিন্ন প্রকার জিনিস। ছেলেদের জিনিসের পাশাপাশি মেয়েদের জিনিসের সংখ্যা এখানে বেশি ছিল, তবে বাচ্চাদের জিনিস কম ছিল না। এজাতীয় জিনিস গুলো দেখতে যেন মন ভরে যেতে লাগলো, মারুক তার ছেলের জন্য কিছু খেলনা জাতীয় জিনিস কেনার চেষ্টা করল আর এই ফাঁকে আমিও চেষ্টা করলাম ফটোগ্রাফি করা আর দেখার। যখন আমি এই সমস্ত জিনিসগুলো মনোযোগ সহকারে দেখছিলাম এই মুহূর্তে দেখলাম বেশ যুবক ছেলে মেয়েরাও আসছে যাচ্ছে কিন্তু আমি তাদের একসাথে এমন চলাচল আর ওয়াজ মাহফিল শোনার নামে রাত্রি কালীন মুহূর্তে বেড়ানো মোটেও গ্রহণযোগ্য মনে করলাম না। কারণ যৌবন মানুষকে খারাপ দিকে ধাবিত করে আর পরিবেশ যদি খারাপের সুযোগ করে দেয় তাহলে তো যুব সম্প্রদায় নষ্টের একধাপ সামনের দিকে পা বাড়ানোর সুযোগ পায়। তবে যাই হোক এই বিষয়ে কথা বাড়াচ্ছি না আমি আমার ইচ্ছেমতো ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম এই জায়গার মেলা থেকে।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এরপর একটি দোকানে লক্ষ্য করলাম নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিস নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা। সেখান থেকে আমি আমার প্রয়োজনীয় কয়েকটা জিনিস কেনার চেষ্টা করলাম তবে বাজারে যেতাম তার চেয়ে কিছু টাকা বেশি বলার চেষ্টা করছে বিক্রেতা। তবে কি করার মেলাতে যখন এসে গেছি তাই অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটা জিনিস কেনার চেষ্টা করলাম। যেহেতু ওয়াজ মাহফিলের বিষয় মাইকিং করা হয়েছিল খাবারের দোকান ছাড়া অন্য কোন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান এখানে বসানো হবে না এরপরেও কয়েকজন বিক্রেতা এসে উপস্থিত। আসলে বর্তমান ওয়াজ মাহফিলগুলো কিছু ব্যবসিকের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী মানুষের সুযোগ সুবিধার পথ সৃষ্টি হয়ে গেছে। এই ধরুন আমাদের দুইজনের কথাই বলি, ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। ঠিক এমন অনেকেই ওয়াজ মাহফিলের স্থানগুলো নিজেদের প্রয়োজনীয় কারণ হিসেবে ধরে নিয়েছে কেউ ওয়াজ শুনা উদ্দেশ্যে যায় বলে মনে হয় না তবে ওয়াজ মাহফিলের মেন উদ্দেশ্যটা আমরা মাথায় না রেখে নিজেদের প্রয়োজনে ওটা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যাইহোক ওয়াজ মাহফিলের সুন্দর একটি মুহূর্ত কিছুটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |