আম এর ফটোগ্রাফি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই কিছুটা সুস্থ হতে পেরেছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
হয়তো এখন আর কোন গাছে আম নেই। তবে আম গাছের সুন্দর দৃশ্যটাকে ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করব সেই উদ্দেশ্যে। অনেকদিন ধরে মনে করছিলাম এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো বন্ধুদের মাঝে কিন্তু হয়ে ওঠে না। আপনারা অনেকেই জানেন, আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আর বিশেষ কোন স্মৃতি ধরে রাখতে পছন্দ করি। ঠিক তেমনি এবার আমের মৌসুম ছিল অসাধারণ। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের নিকটবর্তী প্রায় আম গাছেই আম ধরেছিল। আর গাছে আম থাকা অবস্থায় আম গাছ গুলো দেখতে কেমন সুন্দর দেখায় তা তো আপনাদের অবশ্যই জানা রয়েছে। তাই সেই সৌন্দর্যের মাঝ থেকে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম,তা এখন শেয়ার করতে চলেছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এখনই শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফলের রাজা আম এর ফটোগ্রাফি
আম যখন ধরে, তখন শুধু গাছের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরঞ্চ প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে। তাই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় আম গাছের দিকে।
বিশেষ এক কারনে পুকুর বেড়াতে গিয়েছিলাম নিজেদের পুকুর ছেড়ে। পুকুরের ভেড়িতে নানান রকম ফলের গাছ লাগানো হয়ে থাকে। যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু,নারিকেল ইত্যাদি। তবে এই সমস্ত গাছের মধ্যে আমের গাছ এর পরিমাণটাই বেশি থাকে। Photography device: Infinix hot 11s
যখন আম গাছের নিচ দিয়ে চলছিলাম,তখন আম গুলো দেখে খুবই ইচ্ছা জাগলো ফটোগ্রাফি করার জন্য। কারণ ছোট গাছ, আমগুলো ফটোগ্রাফি করা খুবই সহজ হবে।
তাই আর দেরি না করে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইলটি বের করে খুব মনোযোগ সহকারে ফটোগ্রাফি শুরু করলাম।
আম গাছগুলো সারিবদ্ধ ভাবে চার হাত পরপরে লাগানো। যার ফলে পুকুরপাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে আরও বেশি।
লক্ষ্য করে দেখলাম এখানে বিভিন্ন জাতের আমের গাছ রয়েছে এবং বিভিন্ন জাতের আম দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
কিছুটা জায়গা ঘুরে ঘুরে আম দেখছিলাম এবং ফটোগ্রাফি করছিলাম। অবশ্যই এখানে কোন ভয়ের কারণ নেই, নেই কোন সমস্যা। কারণ এখানে প্রত্যেকটা পুকুর আলার সাথে মিল মহব্বত রয়েছে।
আমি যেখান থেকে আমের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি, এ সারা মাঠ অসংখ্য পুকুর রয়েছে তিন গ্রামের মানুষের। তিন গ্রামের মানুষের চেষ্টা করে থাকে আমগাছ লাগিয়ে আম উৎপাদন করার। অনেক আম এখান থেকে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়ে থাকে।
আমি এখানে লক্ষ্য করেছিলাম আমরুপালি জাতের আমের সংখ্যা বেশি। এছাড়াও অন্যান্য জাতের আম রয়েছে।
দীর্ঘক্ষণ আমের ফটোগ্রাফি করছিলাম কিন্তু মনের মধ্যে কোন ক্লান্তি আসছিল না। খুবই ভালো লাগছিল ফটোগ্রাফি করতে। শুধু আম নয় পাশাপাশি আরো অনেক কিছুর ফটোগ্রাফি করছিলাম। আর এই সমস্ত ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে মন ছিল অনেক প্রফুল্ল, যেন হারিয়ে গেছিলাম প্রকৃতির মাঝে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে, ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আমার তো আপনার আম গাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আম খেতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। কাঁচা আম লবণ মরিচ দিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো মুগ্ধ হলাম। এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো খুব ধৈর্য্য সহকারে করেছিলাম যার জন্য এত সুন্দর হয়েছে। তবে একটি বছর অপেক্ষা করুন।
সীজন শেষে গাছ গুলো এখন ফাঁকা । এই সময়ে এসে গাছে গাছে আমের ছবি দেখতে বেশ ভাল লাগছে । বাস্তবে দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে এখনো ১০টি মাস ।
ধন্যবাদ আপনাকে ছবি গুলো সংরক্ষণ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
কথা অবশ্য মন্দ বলেননি, একদম সঠিক কথা।
পূর্বে ক্যামেরা বন্দি করে রাখা বিভিন্ন আম গাছের ফটোগ্রাফি গুলি আজ কিন্তু খুব ভালো লাগছে। কিন্তু এখনো কোন কোন গাছে আম ধরে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর এত সুন্দর কতগুলো আমের ফটোগ্রাফ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো।
আপনার আমের ফটোগ্রাফি গুলো খুব অসাধারণ লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো আম দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।