স্বরচিত বিরহ অনুভূতিমূলক কবিতা 'ডিপ্রেশন' || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - বৃহস্পতিবার
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই বোন বন্ধুদের আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, সালাম ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় কবিতা। পূর্ব দিনের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের মাঝে বিরহের কবিতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। চলুন কবিতাটি একাধিক বার আবৃত্তি করি। |
---|
কবিতা
যেন আজও আমার কানে ধ্বনিত হয়।
তার ভালোলাগার আশাগুলো
মাঝেমাঝে মনেরমধ্যে যেন ভেসে ওঠে।
মনে হলে তার বেঁচে থাকার আকুল আকাঙ্ক্ষা
আমাকে বিষন্নতার কারাগারে নিক্ষেপ করে।
আমি পাশে থেকে শুনেছি বারবার
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে আর্তনাদ চিৎকার।
শুনেছি তার পূর্ব ইতিহাস
বিষন্নতা তাকে তিলে তিলে করতে চায় গ্রাস।
চারদিয়ালে বন্দীর মত
একাকীত্ব ছিল তার অসহায় জীবন।
মরণব্যাধি হলেও বলে তাকে মরণব্যাধি
বিষন্নতা মানেই যেকোনো মুহূর্তে জীবন সমাধি।
দিধা সংকোচ আর ভয়
হতাশাগ্রস্থদের মনের মধ্যে সর্বদা রয়।
জড়ো হয়ে যায় জীবন চলাচল
থমকে যায় যেন জীবনের সমস্ত আশা।
বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে
অবহেলা পেলেও রাখে অসীম ভালোবাসা।
আমি দেখেছি বিনা মেঘে বৃষ্টির মত
তার অশ্রু ভেজা চোখে জল টলমল।
বেঁচে থাকার আকুল আকাঙ্ক্ষায়
কি যেন বলতে যেয়ে বারবার থেমে যায়।
তার মনে জমে থাকা হাজারো কথাগুলো
নির্দ্বিধায় পড়তে থাকে হয়ে চোখের জল।
বিষন্নতা বড়ই কঠিন
এটা একাকীত্ব জীবনের যন্ত্রণার ফল।
সমা প্ত |
---|
কবিতাটি আমি রচনা করেছিলাম আমার অতি প্রিয় কাছের মানুষের বাস্তব জীবনকে কেন্দ্র করে। যার সাথে আমার দীর্ঘ ছয়-সাত বছর সুসম্পর্ক ছিল। আমি দেখেছি তার চার দেয়ালে বন্দীত্ব জীবন। জীবনের করুন ইতিহাস গুলো একান্ত কাছে বসে জেনেছি। বেঁচে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলাম। অতি নিকটের থেকে সারা জীবন তাকে হাসিমুখে রাখার আশ্বাস দিয়েছিলাম। হয়তো কোন কালবৈশাখের ঝড় সেই সুন্দর মনের নিবিড় বন্ধন ছিন্ন করে দুজনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। তবে তার স্বচক্ষে দেখা আর্তনাদ আবেগ অনুভূতি সবই মনে পড়ে যায়। আজ অতীত ইতিহাস হয়ে রয়েছে জীবন খাতার শূন্য পাতায়। তবে দুজনার একসাথে চলাচলের সেই মধুর সময় টাকে স্মরণ করে আজকের এই কবিতা। যেহেতু এমন হতাশাগ্রস্ত জীবন থেকে আমি তাকে বের করে এনেছিলাম হাসিমুখা স্বপ্নের রাজ্যে, তবে আজ সেই মায়ার বন্ধন দুদিকে ছিন্ন হয়ে গেছে। না জানি কেমন আছে,কি অবস্থা তার জীবনযাত্রা। তবুও দোয়া থাকবে যেথায় থাকুক ভালো থাকো জানো। যেন ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত থাকে, হাসি মুখে চলতে পারে। যেন ডিপ্রেশনের কাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকে, কারন ডিপ্রেশন মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়।
ভাইয়া আপনার প্রিয় কাছের মানুষকে কেন্দ্র করে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন।আসলে বিষন্নতা অনেক কঠিন । যাইহোক কবিতার প্রতিটি লাইন অনেক সহজ সরল ভাষায় লিখেছেন। সত্যি ভাইয়া বিষন্নতা বড়ই কঠিন।ধন্যবাদ আপনাকে।
কবিতাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি আপনার খুবই কাছের মানুষকে কেন্দ্র করে আজকের অসম্ভব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আসলে কবিতা পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
ভালোই লিখেছেন আপনি সম্পূর্ণ কবিতা উপরের লাইন গুলো পড়তে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আপনার আজকের কবিতা লেখার টপিক দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি আপনার একজন কাছের মানুষকে নিয়ে এই কবিতাটি লিখেছেন। প্রত্যেকটি লাইন আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন । সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য
কবিতার এই লাইনগুলো কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। যদিও পুরো কবিতাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। প্রিয় মানুষকে নিয়ে লেখা আপনার কবিতাটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল। যদিও কিছু কিছু জায়গায় বুঝতে আমার একটু সমস্যা হয়েছে, তারপরও বেশ ভালো ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো আমার।
ডিপ্রেশন অনেক খারাপ জিনিস ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়া অনেক কষ্টকর। তবে যে ডিপ্রেশনে একবার ভুগেছেন সে ডিপ্রেশন থেকে তার উত্তরণ অনেক কষ্টকর। আপনি ডিপ্রেশন নিয়ে অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন অসাধারণ লেগেছে পড়তে। প্রতিটি লাইন অনেক অর্থবহ বলা যায়। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি ডিপ্রেশন নিয়ে কবিতা লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, ঠিক কথা বলেছেন আপু