হাই!
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম ঈদের দিনের কথা স্মরণ করে, ঈদের সালাত আদায় করার মুহূর্তের ভিডিও নিয়ে।
এখন প্রচন্ড গরমের দিন। একদিকে যেমন চলছে তাপদাহ আরেকদিকে চলছে লোডশেডিং। আর এই মুহূর্তে সর্ব শ্রেণীর মানুষের জন্য প্রয়োজন শীতল বাতাস। বেশ কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত গরম পড়ার পর সামান্য কয়েকটা দিন হালকা শীতল বাতাস, মেঘলা আবহাওয়া,তারপর বৃষ্টির দেখা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম তেমন বৃষ্টি হয়নি। এরপর আবারও সেই ভাবে তাপদাহ শুরু হয়ে গেছে। আর সকল দিক বিবেচনা করে আমার একমাত্র মেয়ের জন্য একটি মিনি চার্জার ফ্যান কিনতে গিয়েছিলাম বামুন্দি বাজারে। বামুন্দি বাজারে বেশ কয়েকটা দোকানে উপস্থিত হয়েছিলাম একটু দেখার মিনি চার্জার ফ্যান কিনবো বাবুর জন্য, যেন সেটা একটু বেশি দিন লাস্টিং করে।
Photography device: Infinix hot 11s
Jugirgofa
বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হয়ে একটি দোকানে ঠিক এই ফ্যান টার দাম জানতে চেয়েছিলাম। এই ফ্যানটার দাম সেই ঘরে পনেরশো টাকা বলেছিল। অন্যান্য ফ্যান দেখেছিলাম সেগুলাও নাগালের বাইরে বা মূল্য অনুসারে কাজ তার থেকে অনেক কম হবে। আপনারা কম বেশি জানেন আমি ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে অনেক ধারণা রাখি এবং অনেক কিছু মোটামুটি জানি। সেই তুলনায় ভালো মানের একটা ফ্যান পেয়েছিলাম না। প্রথমত মনে করেছিলাম সাড়ে 300 টাকা দিয়ে একটা ফ্যান কিনে দিলেই হবে। যেহেতু আমার রুমে অনেক সৌর লাইনের ফ্যান রয়েছে। শ্বশুরবাড়িতেও ফ্যান ব্যাটারি কেনা আছে কিন্তু সেটাপ করা হয়নি। কেন জানি এখনো তার কিনছে না তারা। তবে যাই হোক তাদের ওখানে কারেন্ট বেশি একটা না গেলেও যখন যায় তখন আমার মেয়ের জন্য বেশ সমস্যা হয়ে যায়। সকল দিক বিবেচনা করে ভেবেছিলাম ভালো একটা ফ্যান কিনে দেবো। অবশেষে যখন এ ফ্যানটা বাজারে আমার চয়েজ হয়েছিল একটু কম দামে পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম। কারণ আমি যতটা জানি এই ফ্যানের পেছনে খুব জোর সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়েছে। খুব জোর না হয় ৫০০ টাকা খরচ হলেও দাম কেন ১৫০০ হবে। মূলত প্রচন্ড রোদ গরম দেখে অসাধু ব্যবসায়িকেরা ইচ্ছে মত দাম ধরে। অতঃপর আরেকটি দোকানে গিয়েছিলাম। সে দোকানটায় সাড়ে এগারোশো টাকা দাম বলেছিল। এরপর দামাদামি করে ১ হাজার টাকায় কিনতে পেরেছিলাম।
Video device: Infinix hot 11s
Jugirgofa
এই ফ্যানটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল এই জন্য যে দুইটা চার্জার ব্যাটারি সিস্টেম রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে চেঞ্জ করে দেওয়া যাবে সহজে। মটরটা ৪ ইঞ্চি সাইজের। নষ্ট হয়ে গেলে আমি যখন তখন কিনে এনে লাগিয়ে দিতে পারব। এছাড়াও ফ্যানটাতে রয়েছে একটি পাওয়ার ব্যাংক সার্কিট। দুই মাধ্যমে সার্চ করা যাবে মোবাইলে চার্জার দিয়ে। আবার এই ফ্যানের মাধ্যমে মোবাইল চার্জ করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও ফ্যানটাতে রয়েছে, হাই-লো সিস্টেম। এদিকে রয়েছে বাল্ব জ্বালানোর সুযোগ সুবিধা। তাই আমি মনে করেছিলাম পনেরশো টাকার নিচে যেই দাম হোক না কেন আমি অবশ্যই নেব এই ফ্যান টা। এক কথায় মনে ধরে গেছিল। যাইহোক বাড়িতে আনার পর সুন্দর ভিডিও ধারণ করেছি বিস্তারিত বিষয় নিয়ে, আশা করি ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন। ফ্যানটা মেয়ের কাছে দেওয়ার পর মেয়ের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা হয়েছে। কারণ সিলিং ফ্যানের নিচে বাচ্চাদের রাখতে হয় না। বেশ কয়েকদিন ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল, মাঝরাতে ঠান্ডা হয়ে যেত পরিবেশ। ওই মুহূর্তে সিলিং ফ্যান বন্ধ করে এ ফ্যানটা চালানো হতো। মোটামুটি বলতে পারেন যে কোন মুহূর্তের জন্য বেশ ভালো সার্ভিস দিচ্ছে ফ্যানটা। আপনারা চাইলে ঠিক এরকম সুযোগ-সুবিধা বুঝে যে কোন ফ্যান নিতে পারেন বাড়ির বাবুদের জন্য। তবে অবশ্যই দেখে শুনে নেওয়াটা উচিত এবং দামের বিষয়টা বুঝে কেনা উচিত।
Photography device: Infinix hot 11s
Jugirgofa
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | PicsArt & inshot |
YouTube channel | সোর্স |
বিষয় | মিনি চার্জার ফ্যান |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
ভিডিও দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার মেয়ের জন্য চার্জার ফ্যান কেনার অনুভূতি। আসলে অতিরিক্ত গরমে মানুষ বেশ অতিষ্ঠ গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। আপনি মেয়ের জন্য চার্জার ফ্যান কিনে বেশ একটি কাজ করেছেন। আপনি একজন মেকানিক তা অনেক আগে থেকেই আমরা জানি। ফ্যানের কোন কিছু নষ্ট হলে আপনি নিজেই সরাতে পারেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বেশি ভালো লাগলো মামা তোমার মন্তব্য দেখে।
গরমে আরাম পাবে তাই আপনার মেয়ের জন্য ছোট সাইজের সুন্দর একটি চার্জার ফ্যান কিনেছেন। ফ্যান টি দেখতে কিন্তু দারুন । তবে এটা জেনে বেশি ভালো লাগলো যে এই ধরনের ফ্যান গুলো নষ্ট হয়ে গেলে আপনি নিজেই সারতে পারেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে মিনি ফ্যানের সুবিধাগুলো জানতে পারলাম ধন্যবাদ।
ফ্যানটা দেখতেও যেমন সুন্দর তেমন কার্যকারিতা ভালো।
দাম যাই নেক না কেন। বাবুর জন্য মিনি চার্জার ফ্যান কিনে দিয়ে বেশ ভালো করেছেন। যে গরম পড়ছে তাতে কি বাবুকে এমন করে রাখা যায়। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম যে আপনি বেশ দামাদামি করতে পারেন। অবশেষে যে বাবুর জন্য ফ্যান কিনেছেন সেটাই ভালো করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন
বামুন্দি বাজার থেকে আপনার মেয়ের জন্য বেশ সুন্দর একটি ফ্যান কিনলেন যেটা অনেক ভালো একটা বিষয়। কারণ যে পরিমাণ গরম পরছে এতে ছোট বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। যাই হোক বাবুর জন্য মন থেকে দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো..❤️❤️💯
মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম
মাঝখানে খুব গরম ছিলো এর পরে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়া ঠিক করে দিলো। এখন আবার কয়েকদিন থেকে গরম শুরু হয়েছে। মেয়ের জন্য মিনি চার্জার ফ্যান কিনেছেন খুব ভালো করেছেন। হ্যা ভাই কিছু কিছু ব্যবসায়ী সময়ের সৎ ব্যবহার করে জিনিস এর দাম বাড়িয়ে দেয়। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
তবুও গরম রয়েছে ভাইজান
এমনিতেই গরম তার উপরে আবার লোডশেডিং খুবই ভাল কাজ করেছেন মেয়ের জন্য এমন চার্জার ফ্যান কিনে। এই পরিস্থিতিতে ছোটদের জন্য জীবন ধারণ করাটা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। আপনার জন্য এত সুবিধা একটু নষ্ট হয়ে গেলে নিজেই সারিয়ে নিতে পারেন।
হ্যাঁ গরম আর লোডশেডিং এর জন্য বাচ্চাদের সমস্যা হচ্ছে বেশি।
বাবারে বাবা এই ফ্যানের গুনের তো কোন শেষ নেই দেখছি।এক ফ্যানেই এত্তো এত্তো সুবিধা। জেনে ভীষন ভালো লাগলো ফ্যান সম্পর্কে। মামনির জন্য দারুণ চমৎকার ফ্যান কিনেছেন ভাইয়া।অনেকটা কম দামেই বলা চলে এতো সুন্দর একটি ফ্যান পেয়েছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু মিনি ফ্যানটার মধ্যে অনেক সার্ভিস রয়েছে
সুন্দর একটি মিনি চার্জার ফ্যান কিনলেন আপনি দেখে ভালো লাগলো। কারণ এই গরমে ছোট বাচ্চাদেরকে ফ্যান ছাড়া একদমই রাখা যায় না। যদিও এখন সব কিছুর দাম অনেক বেশি। ছোট ফ্যান আগে ছিল ১৫০ টাকা। দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০/৪০০ টাকা। সেই ফ্যান আপনি ১০০০ টাকা দিয়ে নিলেন। যাক অবশেষে আপনি নিতে পারলেন বেশ ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা ভিডিওটি অনেক ভালো লেগেছে দেখে।
কিছু করার নেই আপু এটা বাংলাদেশ।
আসলে আমাদের বড়দের কাছে যদি গরম লাগে তবে আমরা তা সহ্য করে নিতে পারি। তবে বাচ্চারা কখনোই গরম সহ্য করতে পারে না৷ তাদের সব সময়ই ঠান্ডার মধ্যে রাখতে হয়৷ আজকে আপনি সেজন্যই আপনার মেয়ের জন্য একটি ফ্যান কিনেছেন এবং সেরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যাঁ ভাই প্রচন্ড গরমের জন্য বাবুর জন্য ফ্যান টা নিয়েছি।
এই মিনি চার্জার ফ্যানটা এক হাজার টাকা হলে ভালোই হয়েছে। কারন এগুলো শহরের দিকে বারো তেরশো টাকা করে রাখে। এক হাতে সর্তক ভাবে ব্যবহার করলে অনেকদিন টেকশই করবে। মেয়ের চিন্তা করে ফ্যান কেনার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন