প্রথম সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
যাইহোক এভাবেই তাদের পরীক্ষা সম্পন্ন করে চলে আসে রেজাল্টের পালা। আর রেজাল্টের দিন অতি আনন্দের সাথে সবাই হল রুমে বসে পড়ে কারণ যারা ফাস্ট হয়ে থাকে তাদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা থেকে যায়, পুরস্কার গুলো শিক্ষক মন্ডলী দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, এখন অবশ্যই বিদ্যালয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঠিক এমন একটি মুহূর্তের তোলা আমার এই ফটোগ্রাফি।
আমাদের বিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা দেখা সম্পন্ন করতে হয় ৩০ তারিখের আগেই অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে ৩০ তারিখে অভিভাবক সমাবেশ হয়ে থাকে আর এই অভিভাবক সমাবেশে পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়া হয়ে থাকে যেহেতু প্রতি মাসে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে ঠিক সেভাবে প্রথম সাময়িক পরীক্ষাটাও নেয়া হয়েছিল এবং ৩০ তারিখের রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। আরে রেজাল্ট প্রকাশের সময় আমাদের কয়েকজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন তারা নিজ হাতে পুরস্কার দিবে সে আশায় অধর আগ্রয়ে বসে ছিলেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানটা শুরু করা হয়েছিল,এরপরে অভিভাবকদের বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হয়েছিল।
বিদ্যালয়ের রেজাল্ট প্রকাশের বিষয়টা মুস্তাফিজুর পরিচালনা করে থাকে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক এবং আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিল আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থাৎ আমাদের রিটায়ার্ড পারসন রাজ্জাক স্যার জয় হোক খুবই আনন্দঘন একটা মুহূর্ত ছিল যখন মুস্তাফিজুর অ্যানাউন্স করছিল কে কোন শ্রেণী থেকে বিজয়ী হয়েছে এবং পুরস্কার নেওয়ার জন্য মঞ্চে ডাকা হয়েছিল ঠিক এমনটা যেন সকলের মনে আনন্দ আর উৎসাহ প্রদান করছিল। যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের দেখাদেখি যেন অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা উৎসব পায় এবং ভালো রেজাল্ট করার জন্য পরবর্তীতে চেষ্টা করে থাকে আর এই সমস্ত বিষয়ে তাদের জন্য বক্তব্য দেওয়া হয়ে থাকে।
ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরে একটা নোটিশ বোর্ডের সমস্ত রেজাল্ট প্রকাশ করে দেওয়া হয় এবং অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার মাত্র ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকের রেজাল্ট দেখার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঠিক এমন দৃশ্যটা যেন স্কুলকে মাতিয়ে তোলে স্কুলে লোকেশন দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিছু কিছু অভিভাবক যেন অভিযোগ নিয়ে আসে তার সন্তান কেন এমন রেজাল্ট করলো এছাড়া আরো অনেক কিছু। আবার অনেক ছাত্রছাত্রী নিজের খাতায় তুলে নিতে থাকে তাদের রেজাল্টগুলো।
রেজাল্ট দেখা হয়ে গেলে সবাই আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং স্কুলের আঙিনা জনশূন্য হতে থাকে। তবে এই দিন রেজাল্ট প্রকাশের সময় আপনাদের প্রিয় আয়োজন বাংলা ব্লগ ইউজার কিবরিয়া উপস্থিত ছিল। অর্থাৎ এই দিন আমি মুস্তাফিজুর আর কিবরিয়া উপস্থিত ছিলাম বিদ্যালয়ে। তবে অনুষ্ঠানের বিশেষ কিছু পরিচালনা করে বেড়ানোর বিষয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলেই কিবরিয়ার সাথে বেশি কথা বলার সময় পাইনি। যাই হোক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং শিক্ষক মন্ডলী এর মধ্যে খুবই আনন্দঘন আর উদ্বিগ্ন লেগে থাকে। আর রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পরেও যেন উদ্দীর্ণ অনেক অভিভাবকের মধ্যে বেড়ে চলে অবশেষে অফিসে রেজাল্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে কার্যক্রম শেষ হয়।
তবে এত বড় দুঃখের বিষয় থেকে যায় সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অথবা অভিভাবক সমাবেশ বা রেজাল্ট প্রকাশ যাই হোক না কেন এরপরে অনুষ্ঠান শেষ করে তিনটা ক্লাস নেওয়া লাগে যা বড় ক্লান্তিকর আর কষ্টদায়ক। এই মুহূর্তে সমস্ত শিক্ষক মন্ডলী অনুষ্ঠান পরিচালনা সহ বিভিন্ন কারণে খুবই টায়ার্ড হয়ে পড়ে তারপরেও যে ক্লাস নিতে হয় এটা সত্যি অগ্রহণযোগ্য একটা বিষয়। অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করতে চায়না। অনেক ভুলিয়ে ভালই তাদেরকে ক্লাসে আনা হয়। আর এভাবেই একটি রেজাল্টের দিন অতিবাহিত হয়।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।
খুব সুন্দর অনুভূতি ছিল প্রথম সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের দিন। যেহেতু আপনি অসুস্থতার কারণে সব পরীক্ষায় এটেন্ড করতে পারেননি কিন্তু লাস্টের দিকে এটেন্ড করছেন অনেক ভালো লেগেছে। যদি পরীক্ষার মধ্যে বাচ্চাদেরকে এমন সুন্দর পুরস্কারের আওতায় আনা হয় তাহলে বাচ্চাদের পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ আরো অনেক বেড়ে যাবে। আপনাদের স্কুলের নিয়ম গুলো অনেক ভালো লাগে খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ