হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি কালকের সকালে ব্যস্ততম মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করি এই পোস্ট করলেই বুঝতে পারবেন খালে এতক্ষণ আমি কতটা ব্যস্ত ছিলাম। আর বাইরের পরিবেশে কি কি করেছিলাম। চলুন বিস্তারিত শুরু করি।
আপনারা অনেকেই জানেন আমার পুকুর পাড়ে শাকসবজি উৎপাদন করে থাকি। বর্তমান আমার পুকুরপাড়ে অনেক শিম হয়েছে। আর সেই শিম বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম গাংনী আড়োতে। তবে বর্তমানে এর দাম খুবই কমে গেছে। প্রথম দিন যেদিন বিক্রয় করে আসলাম সেদিন ৩০ টাকা কেজি বিক্রয় করেছিলাম আর গতকাল বিক্রয় করলাম ১৫ টাকা কেজি। যাইহোক বিক্রয় শেষে আড়তের বিভিন্ন শাকসবজি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। তবে লক্ষ্য করে দেখলাম ঝাল জুটেছে অনেক। হয়তো এজন্যই বর্তমান ঝালের দাম টা একটু কম। এরপর গাংনী আড়ত থেকে বাইকযোগে চলে আসলাম হেমায়েতপুর বাজারে।
তখন সকাল আট টা বাজে নাই। এজন্য অনেক দোকান বন্ধ। বেশ অনেকক্ষণ ওয়েট করলাম ফার্মেসী থেকে ওষুধ নেওয়ার জন্য। এরপর আস্তে আস্তে অনেক দোকান খোলা শুরু হতে থাকলো। হেমায়েতপুর বাজারের শামসুল ফার্মেসি থেকে গ্যাসের ঔষধ সহ তিন প্রকার ওষুধ দিতে হলো পরিবারের জন্য। আর সেখানে বেশ অনেকক্ষণ অবস্থান করেছিলাম বলেই ফটোগ্রাফি করলাম দোকানের ঔষধ সাজানোর সুন্দর এই দৃশ্যগুলো পাশাপাশি ঔষধ কোম্পানি থেকে ফ্রী পাওয়ার লাভ এর এই বস্তুটি। পাশাপাশি ওষুধের ফটোগ্রাফি করলাম আর প্রথমত সকালবেলায় দোকান খুলতে না খুলতে আমার উপস্থিতি দেখে দোকানের ভাইটাও বেশ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা শুরু করল। আমি মূলত এই দোকান থেকে ওষুধ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। তারা সঠিক দামে ঔষধ দিয়ে তাকে পাশাপাশি সকল ঔষধ পাওয়া যায় এখানে। যেন ফাগুনের আবহাওয়া এসে যাওয়ায় সকালেও গরম ধরেছিল। হালকা কুয়াশা থাকায় লোকজনের উপস্থিতি রাস্তার দিকে খুবই কম। এমন পরিবেশে বেশ সুন্দর একটা অনুভূতি মনের মধ্যে বিরাজমান ছিল কাল সকালে।
এরপর উপস্থিত হলাম শ্বশুরবাড়িতে। ওষুধগুলো পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। যেহেতু কিছুদিন পরেই মহান সৃষ্টিকর্তা আমার সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করবে। দোয়া করব আল্লাহ যেন আমার সুস্থ সকল সন্তান দান করেন। আর গরমের সময় আমাদের এলাকায় তো বুঝতে পারছেন কারেন্টে খুবই সমস্যা সৃষ্টি করে। যেকোনো মুহূর্তে কারেন্ট চলে যায় এইজন্য আমার শ্বশুর আমাকে টাকা দিয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে সোলারের ফ্যান কেনার জন্য। যেহেতু আমার রুমে সোলারের জিনিস রয়েছে আমার বাচ্চাটা যখন ওখানে থাকবে সে যেন গরমের কষ্ট না পায় এই জন্য পূর্ব প্রস্তুতি ছিল এগুলা। তাই দুইটা ফ্যান অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে এনেছিলাম। তার মধ্যে কালকে একটি ফ্যান সেটাপ করে দিলাম। খুব শীঘ্রই সৌর লাইন সংযুক্ত করে দিব। জেনো আমার শ্বশুরবাড়িতে আমার বাচ্চার কোন যত্নের কমতি না হয়। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমের দিন বাবুকে আরামে রাখতে পারে। আর এভাবেই কালকের সকালের সাতটা থেকে দশটার মধ্যে মুহূর্তটা আমার কেটেছে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
কিছুদিন পরেই যে আপনার ঘরে নতুন অতিথি আসছে, সেই জন্য প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই এডভান্স ভাবে । সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তাকে নিয়ে আপনার যে চিন্তা এবং যে প্রস্তুতি সেটা কিন্তু অবশ্যই খুব ভালো ব্যাপার। আমার তরফ থেকে আশীর্বাদ রইল, বাচ্চাটা যেন সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়। আর আপনার ব্যস্ততার কারণ তো বুঝতেই পারলাম। যাইহোক, ভাই এখন এমনিতেই শাকসবজির দাম অনেক কমে গেছে, এজন্য হয়তো আপনি ঠিকঠাক দাম পাননি শিম এর।