আজ - সোমবার
২৪ অগ্রায়ন,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি হাড় কিপটে নাটক রিভিউ। আমরা জানি হাড় কিপটে নাটক ১০৫ পর্ব। আজ আমি দ্বাদশ পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে তুলে ধরতে যাচ্ছি। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
![Screenshot_20231211-103321.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXshSUATPwbipTfwfKSdWa5waLt981HyAPVPAYVnzyz6m/Screenshot_20231211-103321.jpg)
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
🤔নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ🤔 |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ১২ পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হাড় কিপটে নাটকের ১২ তম পর্বে লক্ষ্য করা গেল হারাধনের ছেলে ভূপেন চাকমোহন বাজারে কি করতে গিয়েছিল, এই নিয়ে মজনুর দোকানে মুকুলদের সাথে হারাধনের বেশ কথা চলছে। এদিকে হারাধন তার মেয়ে শিবানীকে বলে এসেছিল ভূপেন কে যেন ঘরে উঠতে দেওয়া না হয়। কিন্তু মুকুল ফুসফুস করে হারাধনকে কি যেন বলে দিল তাই বাসায় এসে হারাধন তার মেয়েকে বলল ভূপেন কে যেন ঘরে উঠতে দেওয়া হয় এবং খেতে দেওয়া হয়। এরপর ভূপেন যখন বাড়িতে আসলো তখন হারাধন ছেলের কাছে প্রশ্ন করতে শুরু করল কোন স্বর্ণকারের দোকানে গিয়েছিল। এটা নজর আলীর ছেলেরা জানে না তো। অর্থাৎ হারাধন বুঝাতে চাচ্ছে নজর আলী ছেলেরা যে শোনার বল পেয়েছে সেটা তার ছেলে বিক্রয় করতে গিয়েছিল।
![Screenshot_20231211-103926.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmScpJbNC1hPjm379zHUtAbYKyDsYKsrhTMGpDFda1EpUt/Screenshot_20231211-103926.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
হাড় কিপটা নহর আলীর দুই কুলাঙ্গার ছেলে ভুপেনের সহযোগিতায় সুন্দর বুদ্ধি করে বাড়িতে তার বাবার কাছ থেকে ভালো ভালো খাবার খাওয়ার প্রত্যাশা করছে। কারণ যে কোন মুহূর্তে তাদের ভাত বন্ধ করে দেওয়া হয়, নতুন বুদ্ধি তাদের বাবাকে মজিয়ে তুলেছে। তারা দুই ভাই আর ভূপেন সোনার বাল পেয়েছে এই কথা শোনার পর নহর আলী তাদের ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এদিকে তার ছেলে আবার সেই সুযোগে বাবাকে বলেছে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেতে দিতে হবে। এদিকে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছে বাবার কাছে ছোট ছেলে। তার বাবা গোলক ধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে সোনার লগে। এরা দুই ভাই যেমন ভুলিয়ে-ভালিয়ে বাবার কাছ থেকে খাবার আর টাকা লুটার চিন্তা, সেদিকে কৃপণ বাবার মন একবার দিতে চায় আর একবার দিতে চায় না। মেজ ছেলে বহর অনেক পরামর্শ দেয়, এখন যেন নহর আলীর সোনার লভে বহরের কথা কানে যায় না।
![Screenshot_20231211-103307.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNpzugvaT6P6rDkVZNLDZ2gWhyq25SzeoGaxStqBTkmwt/Screenshot_20231211-103307.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হারাধন তার ছেলে ভুবেনকে ভুলিয়েভালিয়ে খুব সুন্দর ভাবে জানতে চাচ্ছে সোনার বলটার বিষয়ে। সেটা কি তার বন্ধু নজর আলী ছেলেরা জানে, কোথায় রেখেছিস বা কোন স্বর্ণকারের কাছে বিক্রয় করবে কিন্তু ভূপেন কিছুতেই তার বাবার কাছে কোন কিছু বলতে চাইলো না। ভূপেন সব সময় তার বাপের কথা এড়িয়ে চলতে থাকলো। ভূপেনের মুখে একটাই কথা বাবা এইসুজগে শিবানীর বিয়ে দিয়ে দাও।
![Screenshot_20231211-111245.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbQ2SZJFEYGazKokLDNzyYmwGPJ7JDviBmdg3GcTw8Rgp/Screenshot_20231211-111245.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে নজর আলী আর তার মেজো ছেলে বহর কৃপণ দুজনা বেশ চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছে। বহর তার বাপকে বুঝাচ্ছে হয়তো হারাধন কাকা এর ভেতরে হাত রয়েছে। যেহেতু হারাধন অনেক গুণ মন্তর জানে। আর নজর আলী সোনারবলের লোভে বারবার তার কুলাঙ্গার ছেলেদের কাছে ভুল করে বসছে। এদিকে বহর তার বাবাকে বুঝিয়ে দিল ৫০০ টাকা দেওয়ার আগে সোনার বলটা তাদের কাছে দেখবে নাই টাকা দিবে না।
![Screenshot_20231211-113811.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTmxM7QZLeBEo6rc84Dw8uyj8nksxUEqDQ996wb6oK1xC/Screenshot_20231211-113811.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
নজর আলীর স্ত্রী তার দুই কুলাঙ্গার ছাওয়াল এর কাছে সত্যি কথা জানতে চাইলো। ছোট ছেলে বলল আম্মা আমরা আমার আব্বার সাথে জুয়া খেলছি। তার মা ভালো করে বুঝিয়ে দিলো চোরাই কাজ করিস না তোর বাবাকে তোরা চিনিস না। তার মা বেশ ভয় পেয়ে গেল তাদের বোকামি দেখে। তবে ছোট ছেলে বলল এই সুযোগকে তোর ডিমের চালুন খেতে পারছি সামনে মুরগির ব্যবস্থা রয়েছে, না হয় আবার ভাত বন্ধ হবে। তবে এই সুযোগে তার বাবাকে একটু নাচিয়ে নিক।
![Screenshot_20231211-114115.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW5BBQ7C8BSi8jex6789uFt5zgbBEa6F5Qd31rwATDrPe/Screenshot_20231211-114115.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
নজর আলীর কুলাঙ্গার দুই ছাওয়াল যখন ঘরের মধ্যে বসে হাসি আনন্দ করছে, ঠিক এই মুহূর্তে হঠাৎ মেজো ছেলে দরজার কাছে এসে উপস্থিত। সে অনেক চেষ্টা করলো তাদের দুই ভাইয়ের কাছ থেকে সোনার বল দেখার কিন্তু কিছুতেই তারা দেখালো না। বলল দেখতে হলে টাকা দেওয়া লাগবে। টাকা চাও মাত্র দুজনার মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেল অবশেষে কিপটে বহর বলে গেল আমাকে ভাগ না দিলে বিন্দু পরিমাণ অংশ তোমাদের হজম হতে দেব না।
![Screenshot_20231211-115025.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQ8kQnb7dYP5G7xT4jNaABUMjpjMnYWR2XfR42cwogrbv/Screenshot_20231211-115025.jpg)
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে কুলাঙ্গার দুইটার প্রেমিকা একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে শলা পরামর্শ করছে। আজ দুইটা দিন পার হয়ে গেল তাদের প্রেমিকরা কেন বাইরে আসছে না। আর তারা নাকি কি যেন পেয়েছে। এই নিয়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকে। সত্যি কি কোন কিছু পেয়েছে। এমন মুহূর্তে দেখা গেল নজর আলী কৃপণ একটি কাঁঠাল গাছের নিচ দিয়ে দ্রুত হেঁটে চলছে, আর এরই মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বাদশ পর্বের।
নাটকের পর্ব যত বাড়তে রয়েছে ততো জেনো তীব্রতা সৃষ্টি হচ্ছে কৃপণদের কৃপণতার। আর সেই সুযোগে নজর আলী কৃপণের কুলাঙ্গার দুই ছাওয়াল তার বাবাকে বোকা বানানোর বন্দী পেয়েছে হারাধনের ছেলে ভূপেন এর কাছে। সোনার বল দেখার লোভে যেমন নজর আলী মাতাল হয়ে গেছে তেমন তার মেজো ছেলের যুক্তি আর আগের মতো নিচ্ছে না। এখন দেখার পালা সামনের পর্বে কুলাঙ্গার ছাওয়াল এর দাবি মত মুরগির মাংস খাওয়াচ্ছে কিনা আর ৫০০ টাকা দিচ্ছে কিনা। পাশাপাশি ভূপেন তার বাবার বারবার বলেছে তার বোন শিবানীকে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিক। দেখা যাক সামনের পড়বে কি হয়। তবে এটা নিশ্চিত নাটকটা খুব জমে গেছে।
৮.৭৫/১০
এই নাটকটা ভীষণ মজার আমি কিছু পর্ব দেখেছিলাম আজকে আপনার করা দ্বাদশ পর্বের রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
নাটকটা আমার খুব ভালো লাগে তাই রিভিউ করি
হাড় কিপটে নাটক অনেক জনপ্রিয় নাটক আমাদের কাছে। এই নাটকগুলো এখনো গ্রামাঞ্চলে দোকানে দেখা যায়। প্রতিটা এপিসোড আমি দেখেছি অনেক আগে। আপনি আজ দ্বাদশ এপিসোড রিভিউ দিয়েছেন পড়তে বেশ মজা লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে অনেক মানুষ এখনো দেখে
হাড় কিপটে নাটকের নামটি শুনলেই আমার ভীষণ হাসি পায়। নাটকটি দেখতে বেশ মজার। আপনি প্রতি সপ্তাহে অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি এপিসোড আমাদের মাঝে রিভিউ করে যাচ্ছেন। আজকের নাটক রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
নাটকটা আমার খুব ভালো লাগে তো, অভিনয়টা দারুন
হাড়কিপটে নাটকটার অনেকগুলো পর্ব আমি পড়েছি। দেখতে দেখতে এই নাটকটার দ্বাদশ পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এই নাটকটার রিভিউ গুলো আমি যত পড়ছি আমার কাছে ততই অনেক বেশি ভালো লাগতেছে। আশা করছি আস্তে আস্তে এই নাটকের সবগুলো পর্ব আপনি আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। পরবর্তী পর্বের কাহিনীটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
আশা করি বারবার দেখবেন নাটকটা আনন্দ পাবেন
হাড় কিপ্টে নাটকটি অনেক ভালো লাগতো আমার।অনেক আগের নাটক যদিও তবে অভিনয় জাস্ট অসাধারণ ছিল সবগুলো চরিত্রের।আপনার দ্বাদশ পর্বের শেয়ার করা নাটকটি খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য
সবচেয়ে ভালোলাগার একটি নাটক এটা