ঢাকা সাভার বিশমাইলে ঘুরাঘুরি ও ফল কেনার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগlast month


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আমি আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে চলেছি ঢাকা সাভার পানধোয়া বাজার ও বিশমাইলের ফ্লাইওভার এরিয়ায় ঘোরাঘুরি ও ফলকনের অনুভূতি।


IMG_20240603_185616.jpg


ফটোগ্রাফি সমূহ:



মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা সাভারে অবস্থান করার মুহূর্তে বেশ প্রয়োজনে এদিকে সেদিকে চলাচল করতে হয়েছে আমার। এখনো সেভাবেই চলতে হচ্ছে বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে। তবে ঢাকার সাভার ২০ মাইলের ফ্লাইওভার অতিক্রম করে কখনো ধানমন্ডির দিকে যেতে হয়। আবার কখনো নবীনগরের দিকে যেতে হয়। তাই বেশ সুপরিচিত হয়ে গেছে স্থানগুলো। কারণ এর আগেও ১৮ সালে একবার এসে এখানে অবস্থান করেছিলাম খালাম্মার বাসায়। তবে এবার যেন দীর্ঘদিন এখানে থেকে চলাচল করে আরো বেশি সুপরিচিত হয়ে গেছে। একদিন সকাল করে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে এই ঢাকা সাভার বিশ মাইলের পানধোয়া বাজারে উপস্থিত হলাম। সেখানে টুকিটাকি অনেক জিনিস কেনা হলো, মায়ের ঔষধ থেকে শুরু করে আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কিন্তু একটা জিনিস পেলাম না; সেটা হচ্ছে আমার আম্মা মুখ খুলে আমাকে বলেছিল বাপ আমার জন্য মালটা এনে দিবি। তবে দীর্ঘ পথ এসে বাজারটাই দেখলাম ফলের দোকানগুলো সব বন্ধ ছিল। তখন দুপুর টাইম ছিল,তাই স্থানীয় বাজারের ফলের দোকানগুলো বন্ধ দেখে বেশ খারাপ লাগলো। এরপর আবার ব্যাক চলে গেলাম বাসাতে। তারপর বিকেলে আবার চলে আসলাম পান ধোঁয়া বাজারে।


IMG_20240604_121008.jpg

IMG_20240604_121655.jpg

IMG_20240604_121716.jpg

IMG_20240604_121744.jpg



বাজারে উপস্থিত হয়ে কেন জানি মনে হলো পানধোয়া থেকে 20 মাইল ফ্লাইওভারের কাছে চলে যায়। হয়তো শীতল বাতাস পাব, পাশাপাশি ওখানে অনেক ফলের দোকান রয়েছে ঘুরাঘুরি করা হয়ে যাবে, কেনাকাটা হয়ে যাবে। এদিকে দুপুরের তো সবকিছু মোটামুটি কেনা হয়ে গেছিল, শুধু কিছু ফল কিনতে হবে। তাই বাজার থেকে মোবাইলে চ্যাটিং করতে করতে চলে আসলাম এখানে। আসামাত্র আবহাওয়া কেমন জানি চেঞ্জ হয়ে গেল, হালকা বাতাস আর বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গেল।


IMG_20240603_184212.jpg

IMG_20240603_184214.jpg



এদিকে তাড়াহুড়া করে ফলের দোকানের দিকে গেলাম। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখেছি, ঢাকা সাভারে ফলের দাম এতটা বেশি নয় যতটা বেশি বিশমাইল বাজারে। তবে এখান থেকে ঢাকা সাভারে যেতে হলে দশ টাকা বাস ভাড়া লাগে। সে ক্ষেত্রে বিষ মাইলের পর প্রান্তিক জাহাঙ্গীরনগর এরপর আরো একটি বাজার পার হয়ে তারপর সাভার বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু সেখানে গেলে পারে একটু অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে যেহেতু সুন্দর বড় বাজার। কিন্তু ওই মুহূর্তে আর যা সম্ভব মনে করলাম না। যদি ঝড়-বৃষ্টি বেশি সৃষ্টি হয়। ঝড় বৃষ্টি না থাকলে কিন্তু ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে রাত্রে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যেতাম। তবে ফ্লাইওভার থেকে চিন্তা করলাম ঢাকা শহর যে কোন মুহূর্তে যেখান সেখান থেকে ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। তাই কিছুটা সময় ফ্লাইওভার এ ঘোরাঘুরি, পাশের দোকান থেকে আইসক্রিম কিনে খাবা ইত্যাদির পর এই সেই দোকানে বিভিন্ন ফলের দাম জানতে চাইলাম। সুবিধা মত শুধু মালটা ফল পেলাম মনে হল। তাই এক কেজি কিনে আবার কিছুটা সময়ের জন্য ফ্লাইওভারে অবস্থান করলাম। কারণ এদিকে বাড়ি থেকে অনেক ফল পাঠিয়েছিল বস্তা লোড করে। বেশি কিছু কিনব এমনটাও কিন্তু নয়। শুধুমাত্র নতুন স্থান গুলো একটু ঘুরে দেখার ইচ্ছা।


IMG_20240603_185607.jpg

IMG_20240603_185608.jpg



যাইহোক ফল কিনে টাকা পরিশোধ করে যখন ফ্লাইওভারের উপর অবস্থান করলাম,তখন ফ্লাইওভারে থাকা বেশ কিছু চ্যাংড়া ছেলেপেলেদের ভাবভঙ্গি ভালো মনে হলো না। অবশ্য ফ্লাইওভারের নিচে দুইটা পুলিশ অবস্থান করছিল। সেক্ষেত্রে একটু সাহস মনের মধ্যে ছিলই। আর তেমন যে ভীত মানুষ আমি তা নই। তারপরে একটু সাবধানতা। তবে খেয়াল করছিলাম সেই সমস্ত দেখার মত চ্যাংড়া ছেলেদের যাদের ভাবভঙ্গি ভালো না। আমি খেয়াল করে দেখলাম কিছুটা সময়ের পর এপাশে ওপাশে থাকা বেশ কয়েকজন ছেলে যাদেরকে আমি নজরে নজরে রাখার মত তারা একত্রিত হয়ে রায় ওভারের আরেক সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল। বুঝতে আমার কিন্তু ভুল ছিল না। আর ওই মুহূর্তে ফ্লাইওভারে মানুষের চলাচলটাও একটু কম ছিল। মাগরিবের পর সন্ধ্যা বেলা বৃষ্টি পড়ছে শীতল বাতাস যে যার মত ছোটাছুটি করে চলছে। সবকিছুর মধ্য দিয়ে বে ভালোলাগা খুঁজে পেয়েছিলাম চার দেয়ালের দালানকোটার থেকে। আর তাই সেখানে থেকে কিছুটা আনন্দ মন নিয়ে ভাবছিলাম গ্রামীণ জীবন আর শহরে জীবনের কথা।


IMG_20240603_185615.jpg

IMG_20240603_185615_1.jpg



অবশেষে আবারো জাহাঙ্গীরনগরের উত্তর-পশ্চিম পাশের শেষ গেট অর্থাৎ ২০ মাইলের গেট দিয়ে প্রবেশ করে চ্যাটিং করতে করতে চলে গেলাম পান ধোয়া বাজারের দিকে। অতঃপর পান ধোয়া বাজারে এসে বরফ খেতে খেতে চ্যাটিং করছিলাম আর পথ চলছিলাম। আর এভাবে পৌঁছে গেলাম নিজ গন্তব্য স্থানে।


IMG_20240603_185624.jpg


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

পোস্ট বিবরণ


বিষয়কেনাকাটা
লোকেশনLocation
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix hot 11s
ফটোগ্রাফার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Sort:  
 last month 

প্রথম এ সৃষ্টিকর্তা যেন আন্টি কে দ্রুত সুস্থতা দান করে। আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

 27 days ago 

দোয়া করবেন ভাই

 last month 

ভাইয়া যেখানেই যাওয়া আসা করেন চোখ কান খোলা রাখা দরকার। ফল কিনতি গিয়ে অঘনটনও ঘটতে পারতো। সতর্ক ছিলেন অনেক ভালো হয়েছে। আমি জানি আপনার মায়ের অসুস্থতার জন্য বেশ কিছুদিন ঢাকাতে ছিলেন। আর আপনার অভিজ্ঞতা আছে বুঝা যায়। ধন্যবাদ।

 27 days ago 

হ্যাঁ বাইরে চলাচল করেছি মোটামুটি তাই অভিজ্ঞতা রয়েছে

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64752.70
ETH 3455.13
USDT 1.00
SBD 2.50