করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ বুস্টার দেওয়ার কাজ সুসম্পন্ন
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আপনারা সকলেই অবগত রয়েছেন যে করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে অনেক মানুষ আজ মৃত্যুবরণ করেছেন। অকাল মৃত্যু যাকে বলে। তাই করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সারা দেশব্যাপী করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে
তৃতীয় ডোজ দেওয়ার মেসেজ মোবাইল ফোনে আসার পরেও সময় সাপেক্ষে যাওয়া হয়ে উঠছিল না।তবে একদিন সময় করে স্কুল থেকে চেষ্টা করলাম টিফিন টাইমে গাংনী সরকারি হাসপাতালে করোনা টিকাটি দিয়ে আসার জন্য সময় সুযোগ করি। তাই এই বিষয়ে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আজকে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আপনারা আমার এই টিকার অনুভূতিটা পড়ে ও দেখে বুঝতে পারবেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে হয়তো সুন্দর একটা অনুভূতি অনুভব করবেন। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করার বিভিন্ন পর্যায় গুলো দেখে আসি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
বুস্টার ডোজ দিয়ে এলাম
করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেয়ার জন্য গাংনী সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পূর্বের দুই ডোজ দেয়া সম্পন্ন করেছিলাম তার ফরম কম্পিউটার থেকে উঠে নিলাম এবং এই ফরম হাতে নিয়ে স্কুলের টিফিন চলাকালীন সময়ে অফিস থেকে রওনা দিলাম গাংনীর উদ্দেশ্যে।
স্কুলের নিকট থেকে একটি অটো-রিক্সায় উঠলাম।পথ চলতে থাকলাম এবং বিভিন্ন স্থান থেকে ফটো উঠালাম। প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট পরে গাংনীতে পৌঁছালাম। বাড়ি থেকে রওনা হলে অবশ্য এক ঘন্টা টাইম লাগতো।
অটো থেকে নেমে একটি ভ্যানে উঠলাম। কারণ আমাদের এই শহরে রিক্সার কোন প্রচলন নেই শুধু অটোরিকশা আর ভ্যান এবং মিনিবাস। তাই সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে ভ্যান গাড়িতে বসে ফটো উঠালাম। তবে এভাবে কখনো আমার ফটো উঠানোর অভ্যাস নাই,যার জন্য ভালো ফটো দিতে পারছিনা এ পর্যায়ে আপনাদের মাঝে।
ভ্যান গাড়ি থেকে নেমেই হসপিটাল এর মধ্যে প্রবেশ করলাম যেখানে কোরোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পূর্বে শুনেছিলাম এখানে নাকি বড় লাইন দিতে হয় করনার টিকা দেওয়ার জন্য। তবে কপাল গুনে বেশি লাইন এর সম্মুখীন হতে হয়নি। কয়েকজনের পরেই আমার সুযোগ এলো। তাই ফর্মটা তাদের হাতে দিয়ে দিলাম স্বাক্ষর করার জন্য।
আমার অবশ্য শরীরে ইনজেকশন দেয়ার অভ্যাস খুবই কম। তাই কিছুটা ভীতু অনুভব করে থাকতাম যখন ইনজেকশন দিতে হয়। তবে একালে আর কেমন ভয় লাগে না। আর এই ডোজ দেওয়ার সময় কোন ভয় মনে হচ্ছিল না এটা ভেবে যে আমি আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটিতে এই বিষয়ে পোস্ট করব এবং ফটো উঠাচ্ছি। তাই তখন নিজেকে কিছুটা বীরের মতো মনে হচ্ছিল যখন আমার শরীরে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছিল। ডাক্তার মহিলা আমাকে বলেছিল আপনি চোখ অন্যদিকে রাখুন। আমি বলেছিলাম আমি স্বচক্ষে দেখতে চাই আপনি কেমন ভাবে ইনজেকশন আমার গায়ে ফোটাবেন। আমি এসব ভয় করি না। দেখার সাথে সাথে সম্পূর্ণ হলো বুস্টার ডোজ দেওয়া অর্থাৎ তৃতীয় টিকা দেওয়া। আর এই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি করার সহায়তা প্রদান করছিলেন নাম না জানা অচেনা একটি ভাই।
টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হলে নিজের একটি সেলফি উঠালাম, যে ভাই আমার ফটো উঠাতে সহায়তা করলেন এবং যে স্থানে দাঁড়িয়ে টিকা প্রদান করা হলো। সবশেষে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসার আগ হাসপাতালে সামনের ফুলের বাগান থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। ***সব সময় লোকের কথায় কান দিতে নেই। যার বাস্তব প্রমাণ পেয়েছি টিকা দিতে এসে। শুনেছিলাম অনেক বড় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা গ্রহণ করতে হয় কিন্তু এসে দেখি পুরাটাই মিথ্যা কথা। অনেকদিন আশা ছিল না গাংনী হাসপাতালে। এসে যথেষ্ট পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। বাগানে যথেষ্ট ফুল ধরেছে। সব মিলিয়ে নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম করোনা টিকার দিতে এসে।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
খুবই ভালো একটি কাজ করে ফেলেছেন ভাই বুষ্টার ডোজ দিয়ে ফেলেছেন। এটা দেওয়া শুনে খুবই জরুরী আমার ফোনে এসএমএস এসেছিল কিন্তু আমি এখন কোন দিকে যেতে পারেনি। তবে আশা করি আমিও দিয়ে ফেলবো ধন্যবাদ আপনাকে আর আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দ্রুত দিয়ে ফেলেন ভাই,দেশের অবস্থা ভালো নয়।
বর্তমানে দেশের এই পরিস্থিতি তে আমাদের সবারই সচেতন থাকতে হবে। করোনা টিকার তৃতীয় বোস্টার ডোজ টি সবার গ্রহণ করা উচিত। আমিও বোস্টার ডোজ টিকাটি দিয়ে এসেছি। সবাই কে দেওয়ার অনুরোধ রইলো। সুস্থ থাকবেন সবাই।
অবশ্যই সচেতন থাকবেন এবং অন্যদের সচেতন রাখবেন।
কি আর করবেন স্কুলে এত বেশি পরিমাণে ব্যস্ত থাকা লাগে যার কারণে টিফিন টাইম ছাড়া কোন থাকা সময়ে হাতে থাকে না।
যাই হোক আপনি করোনাভাইরাসের তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রত্যেকটি ডোজ সম্পন্ন করে ফেলা।
সাবলীল ভাষার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।