বিশেষ কিছু মুহূর্তের রেনডম ফটোগ্রাফি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির নিয়মিত ইউজার মুস্তাফিজুরের সাথে বিশেষ কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করার বিষয় নিয়ে। তাই চলুন এখনই বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
টিফিন টাইমে আমরা যখন স্কুল মাঠে বসে থেকে ডিসকটে জেনারেল চ্যাট করি এমন মুহূর্তে আমাদের প্রাণপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এসে ভিড় করে আমরা কি করছি তা দেখার জন্য। হয়তো এই ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছেন মোস্তাফিজুর কে ঘিরে অনেক ছাত্রছাত্রী তাকিয়ে রয়েছে সে কি করছে মোবাইলে। যখন আমরা আপনাদের সাথে চ্যাট করি তখন তারা একটু দেখার চেষ্টা করে। যখনই বলি এখানে ভারতের অনেক ভাইবোনেরা রয়েছে আমাদের ফ্রেন্ড, তখন তারা খুবই আশ্চর্য বোধ করে। অনেকে খুশি হয় আবার অনেকে আশ্চর্যবোধ করে কিভাবে আমাদের এমন সম্পর্ক হল ভারতের মানুষ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে। আবার তারা বলা বলি করে আমাদের দুই স্যার ভারতের মানুষদের সাথে কথা বলে ইত্যাদি। আবার যখন আমরা স্কুলের ফেসবুক অথবা ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত থাকি সেই মুহূর্তেও এমনটা ভিড় করে থাকে দেখার জন্য। হয়তো এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্য দিয়ে বুঝতে পারলেন আমাদের প্রত্যেকটা দিন কিভাবে কাটে আর ছাত্রছাত্রীরা কেমনটা আমাদের পাশে লেগে থাকে। হয়তো তারা নতুন কিছু জানতে পারে এবং নতুন কিছু ভালোলাগা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় যখন আপনাদের কথা তুলে ধরি। পাঁচে ফেব্রুয়ারি, এমনই একটা মুহূর্তে মোস্তাফিজুর আমাকে বলল ভাই গাংনীতে যেতে হবে ছোট ভাইয়ের কাছে, যেহেতু সে মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট ভাই মুবিন। এলাকায় শিশু বক্তা নামে সুপরিচিত। সে অনেক সুন্দর করে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে এবং ওয়াজ করতে পারে তার মধুর কন্ঠে ইসলামিক সংগীত শুনতে ভালোবাসে না এমন লোক নেই বললেই চলে আমাদের এলাকায়। আমিও তার সাথে গাংনীতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
স্কুল থেকে রওনা দিয়ে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ছোট ভাইয়ের মাদ্রাসায় পৌঁছে গেলাম। আমাদের দেখে সে দ্রুত বের হয়ে এলো। ছোট মানুষ দূরে থাকে হঠাৎ ভাইদেরকে দেখে সত্যি তার মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল তাই হাসিমুখে দৌড়ে চলে এলো আমাদের কাছে। আমি পূর্বে কখনো এই মাদ্রাসায় আসিনি। তবে মাদ্রাসার সুন্দর দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হলাম ভালো লাগলো চারি পাশের সৌন্দর্য রূপ দেখে। মোস্তাফিজুর মুবিন বাবার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা শুরু করল। আর এমনই মুহূর্তে স্মরণ হলো আমাদের একজন স্কুল ছাত্রী অসুস্থ ছিল যে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আমি আর মুস্তাফিজুর তার খোজ নিলাম মেয়েটা কেমন আছে। কারণ আমার মনের মধ্যে একটা অনুভূতি জেগে উঠলো যেহেতু ছোট ভাইকে দেখতে এসেছি মাশাল্লাহ সে এখন হাসিমুখে আমাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরেছে দেখে এটাই আমাদের অনেক খুশি। ছোট ভাইটা ভালো আছে মানে আমরাও ভালো আছি। প্রায় সাথে সাথে মোবাইল ধরে জানতে চাইলাম আমাদের ছাত্রীটা কুষ্টিয়া হাসপাতালে কেমন আছে না আছে। ফোন দিয়া মাত্র আমাদের সাথে রিসিভ করল। সে তখন বলল স্যার আমি বাসায় চলে এসেছি শরীর খুব দুর্বল। তার আম্মা ফোন ধরে বলল স্যার দশ দিন মত মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারবো না ডাক্তারের মানা করেছে আপনারা কিছু মনে করবেন না। ডাক্তারে বলেছে মেয়ের শরীরে রক্তশূন্যতা আর মানসিক কিছু প্রবলেম রয়েছে। আমি ওনাকে নিশ্চিত করে বললাম স্কুলের সম্পূর্ণ বিষয় জানিয়ে দেবো আমরা দুইজন একসাথে রয়েছি আপনাকে চিন্তা করতে হবে না বাবুকে সুস্থ করে তুলুন। আমাদের কথা শুনে ছাত্রীর মাও খুব খুশি হয়ে গেলেন। যাইহোক মুবিন বাবুকে দেখে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা শেষে আমরা দুজন আবার স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে মুবিনের মাদ্রাসায় আসার পূর্বে মুস্তাফিজুর আমাকে একটি বিদেশি রঙিন মাছের দোকান দেখিয়েছিল যেখানে সে তার মাছ দিয়ে থাকে। তাই আমরা দুজন বেক আসার সময় সেখানে থামবো বলে ইচ্ছা পোষণ করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
আমরা এসে বিদেশি রঙিন মাছের দোকানটার নিকটে দাঁড়ালাম। দেখলাম কাছের তৈরি সুন্দর খুব কাটা খুব কাটা বক্সের মধ্যে মাছগুলো রয়েছে। বিভিন্ন বক্সে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যা দেখে মন ছুয়ে গেল। আমি মনোযোগ সহকারে সেই সমস্ত মাছগুলো দেখার চেষ্টা করছিলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম এখানে হরে প্রজাতির মাছ রয়েছে। আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলাম মুস্তাফিজুরের মুখে বিভিন্ন মাছের নাম শুনে। সে বারবার এক একটি মাছের নাম বলতে থাকলো। আমি কিন্তু একটি মাসের নামও জানিনা। তবে এটা বলতে পারি আমরা পুকুরে যে মাছগুলো আবাদ করি তারই মত দেখতে একই জাতীয় মাছের বিভিন্ন আকৃতির হাওয়ায় বিভিন্ন নাম। তবে যাই হোক চেষ্টা করছিলাম ফটোগ্রাফি করার জন্য কিন্তু রাস্তার পাশে হওয়ায় এবং দক্ষিণ দিকে সুস্থ থাকায় যেন গ্লাসের মধ্যে নিজেদের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। তাই ক্লিয়ার ফটো উঠাতে পারি নাই।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
এই মাছগুলো আমার কাছে মনে হয়েছিল যেন জাপানি মাছের বিশেষ কোন জাত। মুস্তাফিজুর এই মাছ গুলোর নাম আমার কাছে বলেছিল। তবে এই মুহূর্তে আমার স্মরণে নেই আর সরার আসার প্রয়োজন মনে করে না কারণ এগুলো জাপানি মাছের বিশেষ। তবে আমি যখন তাদের ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন যেন মাছ খুবই সুন্দর ভাবে বিভিন্ন স্টাইলে একজন দাঁড়িয়েছিল। আর সেই সুযোগে আমি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
এই মাছগুলো দেখতে তেলাপিয়া মাছের মত। হয়তো তেলাপিয়া মাছের বিশেষ কোনো জাত হবে এর। মোস্তাফিজুর এই মাসের কি জানি একটি নাম বলেছিল। মুস্তাফিজুর এই মাছের বিশেষ একটি নাম বলেছিল। যখন সে এই মাছের নাম আমাকে শুনেছিল যখন মনে মনে বলছিলাম আমাদের পুকুরের তেলাপিয়া মাছ গুলো দেখতে বেশি দারুন হয়ে থাকে কিন্তু এই মাছগুলো দেখতে একটু ভিন্ন টাইপের। তাই বিশেষ কোনো মনে হচ্ছিল না এই মাছ নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল আমার এতগুলো মাছ কি সুন্দর ভাবে গ্লাসের বক্সের মধ্যে রয়েছে। রাস্তা থেকে তাকিয়ে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। ওই মুহূর্তে দোকানদার ভাই উপস্থিত ছিল না তাই বিশেষ কোনো তথ্য নিতে পারি নাই। ইচ্ছা ছিল উনার কাছ থেকে জানার কিভাবে উনি এ ব্যবসা করছেন এবং লাভ কেমন। তবে এত সুন্দর বিভিন্ন আইটেমের মাছ দেখে আমার খুবই ভালো লাগছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
মুস্তাফিজুর ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো বিশেষ কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল বিশেষ করে মাছের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। আপনাদের কাটানো এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে ফটোগ্রাফি আকারে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাঝে মধ্যে দুজন বিশেষ কোনো কাজে একসাথে চলি।
বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দিয়ে আজকের পোস্টটি সাজিয়েছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। আর ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আমরা যখন কিছু করি তখন ছোট ছেলে মেয়েরা অনেকটা আগ্রহ প্রকাশ করে সেগুলোকে দেখার চেষ্টা করে। আমার কাছে সবথেকে একুরিয়াম এবং মাছগুলো ভালো লেগেছে। আমার কাছে এটা খুবই ভালো লাগে কিন্তু ছোট বাবুর জন্য আমি কিনতে পারি না। আমার খুব ইচ্ছা আমার বাসায় একটা অ্যাকুরিয়াম রাখা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার এই পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অনেকগুলো বিষয়ে নিয়ে ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। টিফিন টাইমে বসে থেকে ডিসকড চালানোর বিষয়টি বেশ মজার। স্কুল ছুটি শেষে আপনি আর মোস্তাফিজুর মামা মুবিনের মাদ্রাসায় মুবিনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এবং একুরিয়ামের মধ্যে মাছগুলো বেশ দারুন লেগেছিল। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটা বেশ দারুন ছিল।
হ্যাঁ মামা ছোট ভাইটিকে দেখে এলাম। সেই সাথে মাছগুলো ফটোগ্রাফি করলাম।
আপনার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বেশ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি দিয়ে আজকে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট সাজিয়েছেন। মাছগুলো কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল ভাইয়া
মাছগুলো আমারও ভালো লেগেছিল।