ছাগলের ভুড়ি রান্নার রেসিপি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% বেনিফিসারী
আজ - মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আপনারা জানেন যে, আমি নতুন নতুন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে খুবই ভালোবাসি। তাই এক এক দিন এক এক রকম পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়। ঠিক আজকেও তেমন একটি ভিন্ন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম। |
---|
আমার আজকের পোস্ট এর বিষয় টাইটেল দেখে বুঝে ফেলেছেন। আসলে ছাগলের মাংস খেতে যেমন খুবই সুস্বাদু হয়, ঠিক তেমনি ছাগলের ভুড়ি রান্না খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে এখানে একটি বিষয় রয়েছে। রান্নার ধরণ ঠিক থাকতে হবে, ভালোভাবে রান্না করতে জানতে হবে। তাই আমার জানা মতে সবচেয়ে ভাল রান্না এর প্রসেস কোনটা এবং কিভাবে রান্না করলে সবার কাছে ভালো লাগবে ঠিক সেই বিষয়টা আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে তুলে ধরব। আশাকরি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে আমারে রান্নাটি দেখবেন। আর বলে রাখা ভালো যে ছাগলের ভুড়িটা সহ তার কলিজা কিডনির পাকস্থলী যে সমস্ত গুলো থাকে আর কি মাংস বাদে সবগুলো মিলে বলা হয় ওজ। অবশ্য এই নামটি হয়তো আপনাদের কাছে অপরিচিত হতে পারে, তবে আমাদের এলাকায় এই নামটি খুবই পরিচিত। যা আমি ছোট থেকেই শুনে আসতেছি এই পর্যন্ত। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে কার্যক্রম এখনই শুরু করা হোক। আর আমার থেকে শিখে ফেলুন ঝটপট ভুড়ি রান্না অথবা ওজ রান্না।
১. | ছাগলের ভুড়ি/ওজ | হাফ কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | রসুন কুচি | দুই পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | আট পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | আলুর ফালি | এক পোয়া |
১২. | শসা | এক পিস |
প্রথমেই ছাগলের ভুড়ি কলিজা কিডনি পরান ইত্যাদি, যা আমাদের গ্রামীণ ভাষায় একত্রে ওজ নামে পরিচিত তা গরম পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে এলাম।
এবার এই ওজ গুলো তেল ঝাল পেঁয়াজ দিয়ে কড়াই এর মধ্যে একটু ভেজে নিলাম।
তেলে ভাজা হয়ে গেলে তা কড়াই থেকে গামলার মধ্যে নামিয়ে নিলাম।
এবার কড়াই থেকে নামিয়ে ওজগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিলাম।
চুলা অন করে কড়াইটি চুলার উপর বসিয়ে দিলাম।
কড়াইতে হালকা গরম হতে হতে তেল ঢেলে দিলাম পরিমাণ মতো।
এবার কড়াইয়ের মধ্যে থাকা গরম তেলের মধ্যে ঝাল পেঁয়াজ রসুনের কুচিগুলো দিয়ে ভেজে নিলাম।
ঝাল পেঁয়াজ রসুন উল্টেপাল্টে তেলের মধ্যে ভেজে নিলাম।
এবার ঝাল পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে মসলা সহ গুঁড়ামসলা গুলো দিয়ে দিলাম।
সবকিছু একসাথে ভালোভাবে মিক্সার করে নিয়ে সিদ্ধ করে ফেললাম।
এবার তেলে ভাজা মশলা গুলোর উপরে ছাগলের ওজ বা ভুঁড়ির কুচিগুলো দিয়ে দিলাম।
কিছুটা সময় ধরে সমস্ত ভাজা মসলাগুলোর মধ্যে ভুড়ি বা ওজ কুচি খুন্তি দিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে কষিয়ে নিলাম।
এবার কড়াইয়ের মধ্যে আলুর কুচি গুলো দিয়ে দিলাম।
সমস্ত উপাদান গুলো একসাথে ভালো ভাবে খুন্তি দিয়ে মিক্স করে নিলাম।
তরকারি কিছুটা ঝলঝল টাইপের হতে হবে তাই দুই কাপ পরিমাণে পানি ঢেলে দিলাম।
এবার কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
কিছুটা সময় পরে ঢাকনাটি তুলে দিলাম এবং তরকারি গুলো টগবগ করে ফুটছিল।
ফুটন্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ খুন্তি দিয়ে উল্টে পাল্টে দিতে থাকলাম এবং চুলার জ্বাল চলতে থাকলে।
রান্না শেষে তরকারি গুলো গামলার মধ্যে উঠিয়ে নিলাম।
এবার সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য রান্না তরকারি একটি প্লেটে সুন্দর করে রাখলাম।
এবার ছাগলের ভুড়ি রান্না গুলোর উপরে শসার ফালি দিয়ে সুন্দর করে প্রস্তুত করলাম।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাওয়ার টাইমে আমার এই রেসিপি পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে আমার আজকের মত কার্যক্রম সমাপ্ত হলো।
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রাইভেট প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ছাগল এর ভুঁড়ি বা বট এখন পর্যন্ত খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে ছাগল এর ভুঁড়ি রেসিপি খুবই সুস্বাদু হয়। একদিন খেয়ে চেস্টা করতে হবে। মানে বাসায় ট্রাই করতে হবে।
ভাই খেয়ে দেখুন কত শান্তি পান। অবশ্য এর মধ্যে রয়েছে অনেক ভালো লাগা একটি বিষয়।
ছাগলের মাংস আমি তেমন পছন্দ করিনা, তাই ভুরি পছন্দ করিনা। তবে আজকে আপনি ছাগলের ভুড়ি রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, আর দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে
আশা করি এবার লোভ লেগে যাবে এবং পছন্দ হবে।
ছাগলের ভুড়ি বা বট ভুনা করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয় বিশেষ করে রুটি দিয়ে দারুণভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
বট শব্দটা আমার কখনো জানা ছিল না আপনার মাধ্যমে জানতে পেরে খুশি হলাম।
ভুঁড়ি আমার কি যে পছন্দ তা বলে বুঝাতে পারব না। এই ভুঁড়ি হলে আমার কাছে রাজ্যের অন্য কোনো খাবারই ভালো লাগে না। আপনি খুবই সুস্বাদু করে আলু দিয়ে ভুড়ি রান্না করেছেন। দেখেই মুখে পানি চলে এসেছে । মনে হচ্ছে এখনই নিয়ে খেতে বসে যাই এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব খুশি হয়েছে আপনার মন্তব্য পড়ে।
আপনার পোস্ট মানেই ইউনিক কোন কিছু থাকবে, আজকের রেসিপিটাও কিন্তু বেশি ইউনিট ছিল, চমৎকারভাবে ভুরি রান্নার রেসিপি আপনি তৈরি করলেন, খুব ভালো লাগলো আপনার উপস্থাপনা আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আমি চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।
এভাবে ছাগলের ভুড়ি রান্না করে খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে রুটি কিংবা পরোটা দিয়ে ছাগলের বুড়ির এই তরকারিটি আমার খুবই পছন্দের। বেশ সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন ভাইয়া। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি। ধন্যবাদ।
আপনিও চেষ্টা করুন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করুন খুশি হব।
আমি ছাগলের ভুড়ি কখনো খাইনি কিন্তু গরুর ভুড়ি ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।তবে আজকে আপনার তৈরি ছাগলের ভুড়ি রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আমাদের মাঝে ছাগলের ভুড়ির এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
একবার রান্না করে খেয়ে দেখুন না কত টেস্ট হয়
আলু দিয়ে ভুড়ি রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আলু দিয়ে ভুড়ি রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে মজার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত।
ছাগলের ভুরি রান্নার দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি রেসিপিটা বেশ লভনীয় লাগছে খুব গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনি শুভ কামনা রইলো।
খুবই খুশি হলাম আপনার এত সুন্দর সাবলীল ভাষার মন্তব্য দেখে।
ছাগলের ভুড়ি রান্না সাধারনত কোরবানির ঈদের সময় বেশি খাওয়া হয়। ছাগলের ভুড়ি রান্না করে কয়েকদিন বাসায় একটু একটু করে জ্বালানোর পরে সেটা খেতে আরো বেশি মজা হয়। বেশ ভালো লেগেছে এই রেসিপি টি।
আমাদের কোরবানির ঈদের সাথে সাত নেই। নিজেরা ছাগল পালি, চেষ্টা করে নিজেরাই সুযোগ সুবিধা মত জবাই করে খেতে।