আমরাও পারি পেঁয়াজ-বড়া বানাতে || প্রথম পর্ব || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - শনিবার
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
ইতোপর্বে আপনারা আমার একটি পোস্টে দেখেছেন যে, আমি একদিন রাতে হার্ট বোয়ালিয়া নামক বাজারে বড়া খাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। আমি আর আমাদের বাংলা ব্লগের প্রিয় ইউজার মারুফ গিয়েছিলাম এবং অনেক হয়রানি শেষে এক জায়গায় বড়া পেয়েছিলাম কিন্তু তা উপযুক্ত মানের নয়। তাই সর্বশেষে ওই বাজার ছেড়ে আরো তিন কিলো পথ অতিক্রম করে হেমায়েতপুর নামক বাজারে এসে ঝালমুড়ি খেয়ে মনের তৃপ্তি মিটিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। তারপরে আমি আর মারুফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা নিজেরাই বড়া ভেজে বন্ধুরা মিলে একসাথে খাব। আর তৈরি করব অনেকগুলো, মনের মত তৃপ্তি করে খেতে হবে সেই উদ্দেশ্য সাকসেস করার জন্য দিন ঠিক করেছিলাম গতকাল। চলুন এক নজরে সে কার্যক্রমের প্রথম পর্ব দেখে আসি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
|---|
ফটোগ্রাফি
প্রথমে আমরা বন্ধুরা মিলে জায়গা ঠিক করলাম কোথায় কাজ করা যায়। আমাদের প্রিয় স্থান শিশু বাগান। ছোটবেলায় যে জায়গায় আমরা ফুটবল ক্রিকেট গোল্লাছুট গাদিখেলা ইত্যাদি খেলতাম। এখন এখানে আর সেই শিশু বাগান নেই। আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগে বাগানটি গাছ উজাড় করে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। তবে পুকুর পাড়ের উপরে শিশু গাছ এবং মেহগনি গাছ রয়েছে ঠিক শিশু ও মেহেগুণী গাছের ছায়ায় আমরা কার্যক্রম শুরু করলাম।
বড়া ভাজার জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা একত্রিত হলাম যেহেতু দিনটি ছিল শুক্রবার ছুটির দিন। সবাই নিজের চাকরি থেকে এই দিনটা ছুটি কাটায়। যার জন্য দিনটা ছিল উপযুক্ত তাই সময় বেছে নিলাম বিকাল টাইম। আমি মারুফ পলাশ রাকিব সাকিব সোহেল সহ ছোট ভাইয়েরা একত্রিত হলাম এই কাজে। তবে আমার বাংলা ব্লক ইউজার ছিলাম তিনজন আমি মারুফ আর জহির। প্রয়োজনেও উপাদানগুলো বাজার থেকে ক্রয় করে নিয়ে আমরা সবাই পুকুরপাড়ের বাগানে উপস্থিত হলাম। উপাদান গুলোর মধ্যে ছিল বড়া বানানোর জন্য যে সমস্ত উপাদান প্রয়োজন হয় যেমন বেসন ময়দা তেল পেঁয়াজ লবণ ঝাল পেঁপে বেগুন শসা পানি সহ আরো অনেক উপাদান,সাথে ছিল বড়া বানানোর বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী।
প্রথমে একটি মাদুর বিছিয়ে তার উপরে আমরা সব বন্ধুরা বসে পেঁয়াজ পেঁপে ঝাল ছুলে নিলাম। পেঁপে ছুলে ফালি ফালি করে কেটে নিলাম।
পেঁপে আর পেঁয়াজ সোলার শেষ হলে কষ নষ্ট করার জন্য পানির মধ্যে চুবিয়ে রাখলাম কিছুক্ষণ। আর এদিকে ঝাল গুলো স্টিলের গ্লাস দিয়ে কুচি কুচি করা হলো।
কিছুটা সময় পর পেঁয়াজ,ঝাল আর পেঁপে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। যেহেতু এই সমস্ত কাজগুলো করার পূর্ব কোন অভ্যাস আমাদের ছিলনা তারপরে ও চেষ্টা করেছি কাজ সম্পন্ন করার জন্য। আশা করি এই কাজ্যক্রম বাস্তবায়ন করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এতেই আপনারা খুশি হয়েছেন।
আমি আর পলাশ বাড়ি থেকে পাঠখড়ি নিয়ে গেছিলাম। সাথে এক্সট্রা গাছের ডাল খড়ি নিয়ে গেছিলাম, সেগুলো পাশে রেখে নির্দিষ্ট একটি জায়গা বেছে নিয়ে মারুফ চুলার জন্য জায়গা গর্ত করে নিল। এবার চুলার জায়গাটা আমি খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নিয়ে কিভাবে ইট সাজাতে হবে এবং কড়াইটা বসাতে হবে সেটা ঠিক করে নিলাম। ঠিক এভাবেই আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করে প্রস্তুত হলাম বড়া বানানোর জন্য।
এরপর বিস্তারিত বর্ণনা সহকারে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বড়া বানানোর শেষ পর্ব তুলে ধরবো পরবর্তী পোস্টে।
|
|---|
| আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
|---|---|
| আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
| ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
| ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
| ক্যামেরা | camera-50mp |
| আমার বাসা | মেহেরপুর |
| আমার বয়স | ২৬ বছর |
| আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
| পুনরায় কথা হবে পরবর্তী পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
|---|
ঠিক বলেছেন ভাই আমরাও পারি, চেষ্টা করলে সব কিছুই করতে পারা যায়। ভাই আপনার মত আমরাও এভাবে অনেক সময় বনভোজন খেয়েছি। কিন্তু কখনো বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তাই আপনাদের সকলের পেঁয়াজ বড়া বানানোর উদ্যোগটি দেখে ভীষণ রকম ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আপনাদের সাথে আমিও যোগদান করতে পারলে খুবই আনন্দের সাথে পেঁয়াজের বড়া বানানো দেখতেও পারতাম, আবার খেতেও পারতাম। ভাই, পেঁয়াজ বড়া বানানোর পদ্ধতি দেখার জন্য পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
পারিব না এ কথাটি বলতে চায় না আর তাই চেষ্টা করেছি একবার
তাই তো দেখছি আপনাদের এসব কার্যকলাপ দেখে তো আমার ইচ্ছা হচ্ছে এখনই একটা দোকান বানিয়ে দেয়। আসলে ছেলেরা সবকিছুই পারে যদি একটু চেষ্টা করে। গ্লাস দিয়ে কাঁচা মরিচ কাটার এই অভিনব পদ্ধতিটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। বড়া তৈরীর পরে যদি একবার ফোন দিয়ে ডাক দিতেন তাহলে চলে যেতাম বড়া খাবার জন্য। মিস করে ফেললাম।
আসলে খাওয়ার সময় কারোর কথা স্মরণ থাকে না!
প্রথমেই অবাক হলাম যে আপনি তিন কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ঝাল মুড়ি খেতে গিয়েছিলেন। আপনারা সব কিছু পরিপাটি করে গুছিয়ে বড়া বানাতে বসেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি আনন্দের মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এবার চাইলে শেষ পর্ব টা দেখে নিতে পারেন। হয়তো এটা আরো আনন্দদায়ক হবে।
আমার বাংলা ব্লগে আমি এসেছি ২-৩ মাস হতে চললো। এখানে এসে মারুফের সাথে আমার প্রথম কথা হয় জনারেলি। বেশ ভালো বন্ধু। ওকে এই দায়িত্ব নিয়ে পেঁয়াজী বানাতে দেখে বেশ ভালো লাগলো। 😀
মজা করুন। দোকানে যে জিনিস ভালো হয় না, অনেক সময় আমরা চেষ্টা করলে সে জিনিস টেস্টি বানাতে পারি।
স্বাদ যেমনি হোক বন্ধুরা সব একসাথে মিলে খাওয়ার মজাই আলাদা । তবে অবশ্যই এর স্বাদ ভাল ছিল মুখে লেগে থাকার মত ।
আমি মুখের কথায় বিশ্বাস করি না। নেমন্তন্ন কোই? 😃😄
মেহেরপুরের স্থল বন্দর ঠিক মত চালু হোক । অবশ্যই নিমন্ত্রণ পাওয়া যাবে ।
অবশ্যই ঠিক কথা বলেছেন আপু। তবে এই সমস্ত কাজের জন্য মারুফ রয়েছে। সামনে কোনদিন চেষ্টা করব আমরা বাংলা ব্লগ ইউজ ১৩ জন রয়েছি, সবাই মিলে কোন কিছু একটা করার।
শেফ হিসেবে কোথাও চাকরি নিয়ে নেব নাকি ?? পেয়াজি তো ভালই স্বাদ হয়েছিল । 😁
সামনে শুক্রবার আবার একটা আয়োজন হয়ে যাক ।
আমি যে এতটা মোটা ছবি না দেখলে বুঝতে পারতাম না । কাল থেকে ই জিমে যেতে হবে । তেলে ভাজা খাওয়া বন্ধ । 😌
সিসিমপুর অনুষ্ঠানে গুলি-ময়রা ঠিক এমন মোটা।