বিরক্তিকর বৃষ্টি ভেজা একটি দিন গাংনী শহরে মোবাইল সার্ভিসিং এর উদ্দেশ্যে
আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। জনসচেতন মূলক কিছু কথা নিয়ে পোস্ট করতে আমি খুবই পছন্দ করি। তাই আজকে সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম যে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকলে হয়তো হয়রানির শিকার থেকে মুক্তি পাবেন। তাই ভেবে দেখলাম আমি যেই হয়রানি শিকার হয়েছি, এ বিষয়ে আপনাদের একটু সচেতন থাকতে হবে। তাহলে এমন হয়রানিমূলক মুহূর্ত থেকে রেহাই পাবেন। তাই এই বিষয়ে আপনার আমার সকলেরই ধারণা থাকা উচিত। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এক নজরে পড়ে আসি, বৃষ্টি বাদলের মধ্যে অযথা হয়রানির একটি দিন গাংনী শহরে।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
বৃষ্টি ভেজা মুহূর্তের ফটোগ্রাফি
মোবাইলটা কেন জানি সমস্যা হয়েছিল হঠাৎ করে, তাই দ্রুত ঠিক করার উদ্দেশ্যে গাংনী মোবাইল গার্ডেন নামক সার্ভিসের দোকানে রেখে এসেছিলাম। যেহেতু অনলাইনে কাজ করতে হয়, মোবাইল নষ্ট থাকলে তো চলবে না। তবে দুইদিনের জন্য রেখে আসতে হয়েছিল। মোবাইলটা আনতে যাওয়ার দিন বৃষ্টিতে এমনভাবে ধরা খেয়ে ছিলাম, গাড়ির মধ্যে থেকে কোন ভাবেই নামার পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল না। রাস্তায় জমে থাকা পানি দেখলে হয়তো অনুভব করতে পারবেন।
গাংনী শহরে পৌঁছে যাওয়ার পরেও দীর্ঘ আধাঘন্টা অটোরিকশা গাড়ির মধ্যে বসে থাকতে হয়েছিল সেই দিন। তবে গাড়ির মধ্যে সমস্ত যাত্রী যখন আর থাকতে পারলাম না, ডাইনে বায় থেকে বৃষ্টির পানি গায়ে এসে ভিজে যেতে থাকলাম তখন নিরুপায় ভাবে গাড়ি ছেড়ে নিকটস্থ দোকানে মাথা গুজার জন্য দৌড়ে গিয়ে উপস্থিত হলাম।
পাশেই গাংনী শহরের প্রথম যাত্রী ছাউনি। তবে এত পরিমান বৃষ্টি হচ্ছিল যার ফলে এখান থেকে যাত্রী ছাউনিতে যাওয়ার পরিবেশ ছিল না। তবে মনে হয় এই দিনটাতে গাংনী শহরে এত বৃষ্টি হয়ে আর তারপরে হয়নি। এই দিনটা ছিল মে মাসের ২৫ তারিখ। মোবাইলটা হঠাৎ নষ্ট হওয়ায় মাথায় খুবই টেনশন কাজ করছিল। ভালোভাবে সারা হয়েছে কিনা তার জন্য মোবাইলটা হাতে পাওয়ার জন্য খুবই ব্যতিব্যস্ত ছিল মন। তবে বৃষ্টির মুহূর্তটা খুবই বিরক্ত করে তুলেছিল। যত অপেক্ষা করছিলাম বৃষ্টি থামবে কিন্তু বৃষ্টি যেন থামতে চাচ্ছিল না। আমি যখন দোকানে নিকটে এসে দাঁড়িয়েছিলাম তখন গাংনী শহরের এই মেন পয়েন্টে, যেখানে বাস এসে থামে তখন একটি বাস ছেড়ে গেল। দীর্ঘ ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে খেয়াল করলাম আবারও আরেকটি বাস এসে থেমেছে কিন্তু বৃষ্টি থামছে না।
নিরুপায় ভাবে একটি মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা বাতাসের মিষ্টির গন্ধ নাকে এসে লাগতে থাকলো। ভাবলাম এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই তাই সামনের দৃশ্য ফটোগ্রাফি করি। সামনের ছোট ছোট পথো-দোকান গুলোর দোকানদারেরা তাদের মাল ফেলে মাথা গুঁজেছে পাশের দোকানগুলোতে। ঠিক তেমনভাবে ভ্যান রিক্সা চালকেরা তাদের গাড়ি রেখে মাথা গুঁজেছে দোকানের পাশে।
দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বৃষ্টি যখন কিছুটা কম কম পড়তে থাকলো ভাবলাম এখান থেকে রাস্তা ক্রস করে মোবাইল গার্ডেনে চলে যায়। সামনে রাস্তার পরেই মোবাইল সার্ভিসের দোকান টা কিন্তু এই মুহূর্তে হঠাৎ করে জোরে একটি বিকট শব্দ বাজ পড়ার। আশেপাশের লোকজন যারা ছাতা মাতায় রাস্তার উপরে এসেছিল তারাও ভয়ে দ্রুত মাথা গোজার জন্য দোকানের নিকটে চলে আসলো। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন বাজ পড়ার আগে বৃষ্টি কিছুটা থেমে যায়। তাই বিরক্ত সূচকভাবে আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
বিরক্তসূচক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার মুহূর্ত ভাবলাম একটি সেলফি উঠায় এবং স্মৃতি করে রাখি এর বিরক্ত সূচক সময় টা। তবে যখন সেলফি উঠানোর চেষ্টা করছিলাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভাইটা কেন জানি বারবার আমার সেলফি মধ্যে থাকার চেষ্টা করছিল। তবে তাকে সাথে রেখে একাধিক সেলফি উঠিয়ে ছিলাম।
বৃষ্টির পানি যখন কম হলো তখনই ভিজতে ভিজতে দ্রুত চলে গেলাম মোবাইল সার্ভিসের দোকানে। মোবাইল গার্ডেন থেকেই সামনের রাস্তার দৃশ্য ফটোগ্রাফি করছিলাম কারণ বৃষ্টি ভেজা মুহূর্তের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়। এরপরে মেকার ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন করলাম ভাই আমার মোবাইলটা কি ঠিক করা হয়েছে, তিনি জবাবে উত্তর দিলেন না ভাই আপনার মোবাইল আজ ঠিক করা হয়নি কালকে আসুন। তবে আমি যখন স্কুল থেকে বের হয়েছিলাম গাংনীর দিকে মোবাইলটা আনার জন্য, তখন তাকে আমার অন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে তাকে কল দিয়ে গিয়েছিলাম। সে আমাকে আসতে বলেছিল।
বলেছিল আপনি আসেন; মোবাইল সারা শেষের দিকে, এসে নিয়ে যাবেন। কিন্তু বৃষ্টিতে যেমন ভোগান্তির সম্মুখীন হলাম,ঠিক তেমনি তার মিথ্যা কথা আমাকে খুবই উত্তেজিত করে তুলেছিল। তবে নিজেই নিজেকে চেক দিয়ে বললাম এভাবে হয়রানি না দিলেও পারতে। মোবাইল রেখে গেছি, সারা হয়ে গেলে তখন জানাতে। বলতে ভাই সারা হয়ে গেছে নিয়ে যান। তবে অর্ধেক কথা মুখের মধ্যে রেখে এভাবে হয়রানি দেওয়াটা মোটেও ঠিক নয়। ছেলেটা মাথা নিচ করে বলল ভাই হয়ে যেত আপনার কাছে একটা অনুমতি নিলে, এরপরে বিস্তারিত বলা শুরু করল। তবে তখন মন থেকে তাকে মাফ করে দিলাম সে আমার হয়রানি টা বুঝতে পেরে সত্য কথা বলছিল।
মাথা ভিজে অবস্থা বেশিখন আর তাদের কাছে থাকলাম না সে বলে দিল ভাই কালকে আসন অবশ্যই মোবাইল পেয়ে যাবেন তার সাথে কথা শেষ করে দ্রুত বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। তবে দুঃখের বিষয় মোবাইলের পিছে দেড় হাজার খরচ করে মোবাইল পূর্বের মতোই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে, আর ওই দিনে বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। ছেলেটা যদি এভাবে মিথ্যা কথা না বলে সত্য বলতো তাহলে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতাম না আবার এতটা হয়রানির স্বীকারও হতে হতো না। তবে আশা করি আপনারা এই বিষয়ে কিছুটা হলেও সজাগ সচেতন থাকবেন। আর আপনারা যেন এইরকম ভাবে হয়রানির শিকার না হন তাই কথাগুলো তুলে ধরলাম।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আষাঢ় মাসের বৃষ্টি বলে কথা। যাইহোক আপনার মোবাইল ঠিক হয় নি, এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে খুবই খারাপ লাগলো।
মাঝে মাঝে হয়রানির শিকার না হলে জীবন সংগ্রাম বুঝা যায় না।
ভাইয়া প্রচণ্ড গরমে এই বৃষ্টি ভেজা দিন খুব মিস করছি।যদিও আপনি বৃষ্টির মধ্যে বেশ হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এখানে আপনি বেশি মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে মোবাইল আমাদের জীবনে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে সেটা নষ্ট হলে আর মাথা ঠিক থাকতে চাই না। তড়িঘড়ি করে চলে যায় ঠিক করতে। আর এইরকম মূহূর্তে বৃষ্টির বাগড়া খুবই বিরক্তির। ধন্যবাদ আপনার এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঘুম থেকে উঠলেই মোবাইল হাতে। ঘুমাতে যাওয়ার সময় মোবাইল হাতে। বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছি অনলাইনের দিকে। তাই মোবাইল নষ্ট হলেই দ্রুত ঠিক করতে হয়
কিরে ভাই আপনার পোস্টের ক্যাপশন টা দেখে খুব কষ্ট পেলাম । বৃষ্টি চেয়ে পাচ্ছিনা খুব কষ্টে আছি গরমে। আর আপনি কিনা বৃষ্টিতে বিরক্ত বোধ করছেন। যাহোক যার যার অনুভূতি তার তার কাছে ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে এরকম বৃষ্টির দিনে আমি হলে হয়তো মন ভরে গোসল করতাম।।
ভাই মনে তাই হতে পারে কিন্তু বাড়িতে থাকা অবস্থায় গোসল করতে মন চায়, বাইরে থাকা অবস্থায় তো বৃষ্টিতে ভেজা যায় না। তবে এ বছরে বৃষ্টি খুবই কম।