হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আমি কিভাবে ফ্যান লাগায় আর কোন ফ্যান পছন্দ করে থাকি। কারেন্টের সাথে কোন তার কিভাবে জয়েন করি সমস্ত বিষয় থাকবে এই পোস্টের মাঝে আশা করি সব বর্ণনা সুন্দরভাবে পড়বেন এবং জানবেন আপনারা।
আমরা জানি প্রচন্ড গরমের দিনকাল অতিক্রম করলাম ইতোমধ্যে। আর এই গরম থেকে বাঁচার জন্য আমরা যে যার মত চেষ্টা করেছিলাম ফ্যানের ব্যবস্থা করার। ঠিক তেমনি ভাবে আমিও চেষ্টা করেছিলাম একটি সিলিং ফ্যান কেনার জন্য এবং সেটা লাগানোর। আমরা সকলেই জানি বিআরবি সিলিং ফ্যানগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন সঠিকভাবে চলে এবং বিয়ারিং এর সমস্যা করে না। এজন্য আর গাবলোতি না করে তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনে ফেললাম একটি সিলিং ফ্যান। অবশ্য ফ্যানটার প্রাইজ দেয়া ছিল ৩২০০ টাকার উপরে। কিছু টাকা ছাড়ে তিন হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়েছে, পাশাপাশি সাত বছরের গ্যারান্টি সহ। যাইহোক ফ্যানটা বাড়িতে নিয়ে আসা হল।
এরপর ফ্যানটার প্যাকেট খুলে দেখা হল ফ্যানের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। খুলে দেখলাম তার মধ্যে যে সমস্ত জিনিসগুলো প্রয়োজন সেগুলো ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছে। তবে একটা বিষয় আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিআরবি ফ্যানের বডি গুলো খুব ভালো থাকে। ফ্যানের পাখা বডি সব গুলো বেশ স্ট্রং হয়ে থাকে। আর তাই আমাদের এলাকায় এই ফ্যানের ব্যবহার একটু বেশি। আমি এমনিতে পরিবারে বলেছিলাম এই ফ্যান ছাড়া অন্য কোন ফ্যান কিনে দেখি না সব সময় যদি এখানে ব্যবহার করতে হয় বাড়িতে তো আছেই এ ফ্যান। কিন্তু পরিবার লাভ দিয়ে উঠে বলল না বিআরবি ফানি ভালো এর বাইরে অন্য ফ্যান আনলে কিন্তু আচাড় মেরে ভেঙে দেবো। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা প্রিয়।
বিআরবি ফ্যানের অন্যরকম ভালো লাগার একটা বিষয় বডির সাথে পাখাগুলো লাগানোর সময় তার মাঝখানে যে কভার প্রয়োজন হয় এখানে কিন্তু তিনটা কাভার দেওয়া থাকে। অন্যান্য ফ্যানে কিন্তু কাভার দেওয়া থাকে না আমি অনেক ফ্যান ইতোমধ্যে লাগিয়েছি নিজের পরিবারে বাড়ছে জনের পরিবারে কিন্তু এভাবে কখনো কাভার দেওয়া দেখি নাই। এছাড়াও বিআরবি ফ্যানের প্যাকেটের মধ্যে থাকে একটা রেগুলেটর। অন্যান্য ফ্যানের প্যাকেটের মধ্যে রেগুলেটর কিন্তু দেয় না। একটি ভালো মানের রেগুলেটর এর মূল্য ৭৫ থেকে ১০০ টাকা। এই তুলনায় লক্ষ্য করলে বোঝা যায় এক্সট্রা রেগুলেটর কিনা থেকেও টাকা খরচের দিকটা বেঁচে যায়। এদিকে রডের সাথে যে কানেক্টর টা যুক্ত করতে হয় সেটাও বেশ মজবুত হয়ে থাকে। আর এর সাথে নাট গুলো দিয়ে থাকে নাটবোর্ড যথেষ্ট ভালো মানের লোহা দিয়ে তৈরি। বক্সের মধ্যে একটি কাগজ দেয়া থাকে সেখানে কিভাবে ফ্যানের পাখা তার নাকবোল্ড লাগাতে হবে সমস্ত কিছু ফটোর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া রয়েছে। যারা ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে হালকা সচেতন তারাও খুব সহজে এগুলো লাগাতে পারবে যদি কারেন্ট সম্পর্কে ভয় না করে।
যাইহোক কথায় কথায় প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করলাম ক্যাপাসিটার থেকে যে দুইটা তার বের করতে হয় প্লাস এবং মাইনাস সে তার লাগিয়ে ফেললাম অবশ্য এস সি সংযোগে প্লাস মাইনাস নেই বললেই চলে তবুও ক্যাপাসিটার গুলো ফ্যানের একটি লাইন থেকে বের করা হয় ওই লাইনটাতে কারেন্টের পজেটিভ বা প্লাস লাইনে ব্যবহার করাটা সবচেয়ে বেটার। আমি যখন ফ্যানের লাইন লাগিয়ে থাকি তখন রেগুলেটর ক্যাপাসিটর এর লাইনে লাগিয়ে দিই আর রেগুলেটরের লাইনটা কারেন্টের পজিটিভ অর্থাৎ ক্লাস লাইনে ব্যবহার করি এতে আমি সবচেয়ে নিরাপত্তা মনে করে থাকি। কারণ কারেন্টের কাছে কোন অজুহাত নেই সুখ্য ভাবে কাজ করাটাই উত্তম। আর এক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় আমি বেশি মনোযোগী হই যে লাইনটা কারেন্টের এসি লাইন সেখানে লাল তার ব্যবহার করি। পূর্বেই বলেছি কারেন্টের প্লাস মাইনাস এর কোন নির্দিষ্ট রাখার প্রয়োজন হয় না এরপরেও কারেন্টের লাইন থেকে আমি সরাসরি পজেটিভ লাইনটা লাল তার ব্যবহার করে ফ্যানের রেগুলেটর ক্যাপাসিটর পর্যন্ত লাল তারি ব্যবহার করি। নিজের কাছে নির্দিষ্ট থেকে যায় এই লাইনটা কারেন্ট থেকে পজিটিভ এসেছে।
যাই হোক লাইন লাগানোর কাজ যখন সম্পন্ন হল তখন সিলিং ফ্যানে থাকা দুইটা ক্যাপ বিপরীতভাবে বসিয়ে দিলাম এবং এরপরে যেখানে ফ্যানটা ঝুলানো দরকার সেখানে নাট বোল্ট লাগিয়ে দিয়ে কারেন্টের সাথে সংযুক্ত করে দিলাম। আর এভাবেই সুন্দর একটি কার্যক্রম সম্পন্ন হল। আর এর মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিলাম আমি কিভাবে সিলিং ফ্যানগুলো লাগিয়ে থাকি আর কোন সিলিং ফ্যান বেশি পছন্দ করি।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |