আমাদের স্কুলে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণে আমার ভূমিকা
আজ -শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আপনারা জানেন যে, সুমন মানে নতুন কিছু সুমন মানেই ইউনিক পোস্ট। প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। যেহেতু আমাদের প্রি-ক্যাডেট স্কুল। এই স্কুলের নাম 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল' । আমাদের এখানে ঈদের আগেই প্রথম সাময়িক পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু এবং সমাপ্ত হয়েছে। এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে পরীক্ষা শুরু হয় এবং ৩০ তারিখে পরীক্ষা শেষ হয়। তাই পরীক্ষা নেওয়ার আগে আমরা যে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম সে বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন এখনই কার্যক্রম গুলো দেখে আসি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি
Photography device: Infinix hot 11s আমি চারটি শ্রেণীতে সাধারণ জ্ঞান ও ওয়ার্ড বুক ক্লাস নিয়ে থাকি। যেহেতু ইংরেজি ক্লাস নেওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল এবং ভাইবা নেওয়া হয়েছিল,আমি উত্তীর্ণ হয়ে ছিলাম। তবে আজ পর্যন্ত উপর শ্রেণীগুলোতে ইংরেজি নিতে দেওয়া হয়নি এ পর্যন্ত। শ্রেণীগুলো হচ্ছে প্লে, প্রি-ওয়ান, ওয়ান এবং টু ক্লাস। আমার দায়িত্ব পড়েছিল এই প্রশ্নগুলো রেডি করে ছাপানোর। আমিও ঠিক সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। যেহেতু স্কুল লাইফের প্রথম প্রশ্ন করতে যাচ্ছি। তবে যার পরিবর্তে জয়েন্ট করেছি সেই আপা আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছিল এই বিষয়ে।
আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে একটি কম্পিউটারের দোকানে প্রশ্নপত্র নিয়ে উপস্থিত হলাম এবং তাকে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দেওয়া হল যে কিভাবে কাজ করে দিতে হবে। অবশ্য কম্পিউটার নিয়ে যে কাজ করছেন তিনি জুগিরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিচার। মাষ্টারের নাম সেলিম। সেলিম ভাই যথেষ্ট সার্ভিস দিয়ে থাকেন, খুবই ভালো মনের মানুষ
স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে একসাথে আমাদের অফিস রুমের মধ্যে পরীক্ষার খাতা গুলো ভাঁজ করলাম এবং পিন মারলাম। অবশ্য আমাদের স্কুলে মোট দশ জন শিক্ষক শিক্ষিকা।
আমরা কিছু কাগজ টুকরো করে নির্দিষ্ট একটা করে লিস্ট করে নিলাম, যে লিস্টে নির্দিষ্ট ছাত্র দের নাম, রোল নম্বর ও শ্রেণি নম্বর উল্লেখ থাকবে অর্থাৎ সিট প্লান করার জন্য যা করা প্রয়োজন সেই কাজে অংশগ্রহণ করলাম।
এবার সিট প্লান করার জন্য স্কুল বেঞ্চগুলো হল রুমের মধ্যে ভালো ভাবে সাজিয়ে নিলাম। কয়েকজন শিক্ষক মিলে একত্রে অন্যান্য ক্লাস থেকে বেঞ্চ গুলো নিয়ে এসে এই হল রুমে রেখে সারিবদ্ধ করলাম। এবার নির্দিষ্ট করে সিট প্লান করে নিলাম।
পরীক্ষার রুটিন তৈরি করে নিয়ে আসা হয়েছে এবং পরীক্ষার অনেক আগে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাথে একটি করে পরীক্ষা রুটিন প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা যেন পরীক্ষার হলে গার্ড দিতে পারে সেই দিক সামনে রেখে বিশ্লেষণ করে সুন্দর একটি পরীক্ষার গার্ড দেওয়ার লিস্ট তৈরি করা হলো। যেখানে আমার নাম বিভিন্ন পরীক্ষার তারিখে নির্ধারণ রয়েছে।
কম্পিউটার থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হয়ে গেলে অফিসে নিয়ে এসে সব নির্দিষ্ট পরীক্ষার ডেট অনুসারে আলাদা আলাদা করে রাখা হল, যেন পরীক্ষার দিনগুলোতে সুবিধাজনকভাবে কাজ করা সম্ভব হয়। পরীক্ষার দিন সকাল সকালেই সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে রেডি করে যেন পরীক্ষা নিতে পারি সেই আশাতেই পূর্বপ্রস্তুতি এভাবেই রাখা হলো। আর এভাবেই প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করার মধ্য দিয়েই প্রাথমিক পর্যায়টা সমাপ্ত করা হলো।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
খুবই ভালো লাগে এই কাজ গুলো করতে,আমি ছয় মাস একটি গার্লস স্কুলে ছিলাম। অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছি এরপর থেকেই আমার টিচিং প্রফেশন খুবই ভালো লাগে।দেখা জাক কি হয় চেষ্টায় আছি।অনেক ভালো লাগল আজকের ব্লগটি দেখে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার এত সুন্দর মন্তব্য জানতে পেরে।
পরীক্ষার খাতা রুটিন প্রশ্নপত্র সব তৈরি। এখন শুধু পরীক্ষা গ্রহণের অপেক্ষা। ছোটবেলা পরীক্ষা নাম শুনলেই অনেক ভয় পেতাম। যদিও এখনো পাই তবে আগের থেকে কম।আপনার পোস্ট টা পড়ে প্রাইমারির পরীক্ষার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল।।
অবশ্য আপনার মত আমরাও ভয় পেতাম।
স্কুলের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করলেন। আসলে সত্য কথা বলতে শিক্ষকদের মধ্যে অন্যরকম একটু ব্যস্ততা কাজ করে পরীক্ষার আগের দিন গুলোতে। একইসাথে প্রশ্ন তৈরি, সিট প্লান করা এবং পরীক্ষার রুটিন তৈরি করা লাগে শিক্ষকদের।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই, শিক্ষকরা খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই কয়টা দিন।
স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল। আমাদেরও একরম করে সিট ফেলতো স্কুলে। স্কুলের পরীক্ষা নিতে আপনার ভুমিকা অনেক দেখলাম পোস্টে। অনেক কাজ করেছেন। আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, খুব খুশি হলাম।