স্কুল গার্ডেনে ফুলের চারা রোপন করার মুহূর্তে তোলা কিছু ছবি
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আপনারা সকলেই জানেন আমি ভিন্ন ধর্মী পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে থাকি, তাই আজকেও আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধর্মি একটি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম। আশা করি এই পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগবে।
দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের একটি ফুলের বাগান তৈরি করার জন্য সকল শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী মিলে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে তারই অংশবিশেষ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পর্যায়ক্রমে কারণ একদিনের সমস্ত গাছ লাগানো হচ্ছে না যখনই লাগানো হচ্ছে বা হবে তা ফটোগ্রাফি করে রাখছি এবং আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো কিছুটা দিন আগে বোতাম ফুল আর অফিস টাইম ফুল লাগানো হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তারই বর্ণনা ও ফটোগ্রাফি। চলুন শুরু করা যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফুলের চারা রোপন
এটা আমাদের প্রি ক্যাডেট স্কুল। স্কুলটা সুন্দর করে সাজিয়ে মনোরম পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম হাইরোডের পাশ দিয়ে তিন সারিতে ফুলের গাছ লাগাবো। তবে প্রধান শিক্ষক বলেছেন তিন সারিতে ফুলের গাছ লাগানোর পূর্বে নরমাল ফুলের গাছগুলো লাগিয়ে জায়গা সুন্দরভাবে পরিবেশ তৈরি করে নিতে হবে। অর্থাৎ অস্থায়ী ফুলগুলো লাগিয়ে বাগানটা তৈরি করে নেয়া হচ্ছে আর স্থায়ী ফুল গাছ তিন সারিতে লাগানো হবে দূরত্ব বজায় রেখে।
কিছুদিন আগে অস্থায়ী ফুল যেমন বোতাম ফুল আর দুবলা ফুল বা অফিস টাইম ফুলের গাছ লাগানো জন্য এক ঘন্টা টাইম বেছে নিলাম এবং স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মিলে গাছ লাগানো শুরু করলাম। আর এই ফুল গাছ লাগানোতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশেষ ভূমিকা পালন করছিল আমাদের সাথে। এক পাশে প্রধান শিক্ষক নরম মাটিতে কাঠি দিয়ে একটু করে জায়গা করে দিচ্ছে আর ছাত্র-ছাত্রীরা তার ফাঁকে ফাঁকে ফুলের চারা লাগিয়ে চলছিল। অসংখ্য চারা নিয়ে আসা হয়েছিল এক নার্সারি থেকে।
আমরা যেখানে ফুলের বাগান তৈরি করতেছি স্কুল ফিল্ডের হাই রোডের পাশ দিয়ে, সেখানে বড় একটি শিশু গাছ রয়েছে। অবশ্য শিশু গাছের চারপাশ দিয়ে ছয়টা মাধবীলতা ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। তার কিছু দূরত্ব বজায় রেখে বোতাম ফুল গাছ লাগাতে হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সিদ্ধান্ত নিতে নিতে ছাত্র ছাত্রীরা বোতাম ফুল আর দুবলা ফুলের চারা নিয়ে বসে পড়লো গাছটির চারিপাশে এবং লাগাতে শুরু করল। দিনটা মেঘাচ্ছন্ন ও মেঘলা ছিল। ফুলের গাছ লাগানোর পূর্বে কিছুটা বৃষ্টি পড়েছিল। তাই ছাত্ররা খুব মনোযোগ সহকারে এবং ভালোভাবেই গাছগুলো লাগাতে পারছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি সকল শিক্ষক হাত লাগিয়েছিল এই শুভ কাজে।
আমিও গাছ লাগানোর মাঝে মাঝে দু একটা করে ছবি উঠানোর চেষ্টা করছিলাম আপনাদের উদ্দেশ্যে কারণ এখন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগা মনের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে এই যে কখন কি করছে না করছে তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। যখন নিজের একটি সেলফি উঠানোর চেষ্টা করলাম তখন আমার প্রিয় ম্যাডাম,যিনি আমার সাথে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন উনি পাশে এসে দাঁড়ালেন সেলফি উঠার সাথে ছবি উঠার জন্য তাই একত্রে ফুলের বাগানে গাছ লাগানোর স্থান থেকে সেলফি উঠিয়ে ফেললাম। তবে দীর্ঘক্ষণ এই কাজে লিপ্ত ছিলাম যার ফলে অনেক ফটো উঠানো হয়েছে। আশা করি পরবর্তী কোন পোস্টের সমস্ত ফটোগুলো তুলে ধরব।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ফুলের বাগান তৈরি করার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে স্কুলে ফুলের বাগান থাকলে স্কুল টা দেখতে খুবই ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে আপনার এবং ছাত্রছাত্রীরা ফুলের চারা রোপন করেছেন। আপনাদের স্কুলটা খুবই সুন্দর ভাইয়া। ফুল গাছগুলো যখন বড় হবে এবং ফুল ফুটবে তখন স্কুলের চারপাশটা আরো খুব সুন্দর লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল ভাষায় এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আমার।
আপনাদের স্কুলে ফুলের বাগান তৈরি করতে সফল হয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। বিশেষ করে বোতাম ফুল আর দুবলা ফুল বা অফিস টাইম ফুলের গাছ লাগানো জন্য এক ঘন্টা সময় ভেছে নেওয়া দেখে ভালো লাগল। ছাএছাএী ও শিক্ষক সকলের ফুল গাছ লাগানো চেষ্টা দেখা আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম । আপনার স্কুলটা অনেক সুন্দর ফুল গুলো ফুটলে আরো সৌন্দর্যে ভরে উঠবে আশাকরি।
আসলে আমরা ফুল গাছ লাগানো উদ্যোগ নেয়ার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই উৎসাহ দেখেছি এই বিষয়ে।
অনেক ভাল একটি উদ্যোগ।আমি মনে করি সব স্কুলেই এরকম বাগান থাকা দরকার। ফুল শিক্ষার্থীদের এক ঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করবে আবার মন ও ভাল রাখবে।আবার সবাই মিলে একসাথে বাগান করায় তাদের টিমওয়ার্ক ও হচ্ছে।
পাশাপাশি ফুলের ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে পারব কিন্তু।
স্কুলে বাগান তৈরির সিদ্ধান্তটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া আপনারদের প্রধান শিক্ষক নিজে মাটি খুঁড়ে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীদেরকে যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসলেই উৎসাহ মূলক । তাছাড়া আগের দিন রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাটি ও একটু নরম হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যার জন্য গাছ লাগিয়েও মজা পাচ্ছে । আশা করি বোতাম ফুল এবং অফিস টাইম ফুল ফোটার পর ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
ঠিক বলেছেন আপু খুব সহজেই গাছ লাগানো কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই ভাবেই আমাদের সবার মাঝে গাছের উপযোগিতা বুঝিয়ে দিতে হবে। তবেই এই বিশ্ব দূষণ মুক্ত হবে। আর ছাত্রছাত্রীরা হল একটা সমাজের মেরুদণ্ড, তাদের দিয়েই এই শুভকাজ হোক। অনেক ভালো কাজ করছেন।
চেষ্টা করব এখনো অনেক গাছ লাগানোর জন্য। যেহেতু আমাদের তিন সারিতে গাছ লাগানোর কথা রয়েছে।
ভাইয়া আপনার স্কুল দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। স্কুলের আঙ্গিনায় ফুলের গাছ লাগালে দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর ভাবে স্কুলের সামনে গাছ লাগাচ্ছেন। স্কুলের বড় গাছ দেখতে খুবই ভালো লাগছে। গরমের সময় এই গাছের নিচে বসে থাকতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দোয়া করবেন যেন আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারি।