আজ - সোমবার
০৮ পৌষ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নাটক রিভিউ নিয়ে। আশা করি এই নাটকটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে যদি আমার রিভিউ পড়ে থাকেন এবং নাটকটি দেখেন। আমরা জানি হাড় কিপটে নাটক ১০৫ পর্ব। আজ আমি ১৪তম পর্ব আপনাদের মাঝে রিভিউ করে তুলে ধরতে যাচ্ছি। চলুন আর দেরি না করে এখনই শুরু করি।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
🤔নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ🤔 |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ১৪তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হার কিপটে নাটকের চতুর্দশ পর্বের শুরুতে লক্ষ্য করা যায় হারাধনের মেয়ে আর নজর আলীর ছেলে দুজনার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে। যেখানে বহর আলী শিবানীকে বারবার প্রশ্ন করছে শিবানীর ভাই ভূপেন কোথায় গেছে,কেন চাকমোহন বাজারে গিয়েছিল নতুন জামা কাপড় পড়ে। তাকে যেন সাবধান করে দেওয়া হয় বহরের বাবার সয় সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য যে ষড়যন্ত্র তৈরি করেছে সেটা যেন না করে। আসলে সব সময় দেখা যায় বহর আলী তার বাবার সয়-সম্পত্তি নিয়ে বেশ এক্সাইটেড থাকে। যেহেতু তার ছোট ও বড় দুই ভাই তাকে এড়িয়ে চলে তাই তার সন্দেহ আরো বেশি।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হাড় কিপ্টের দুই ছেলে যে ফন্দি তৈরি করেছে ভুপেনের কথামতো এই নিয়ে বড় ছেলেটার একটু ভয় মনের মধ্যে কাজ করে। কারণ এটা তো মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তার বাবাকে ঠকানো হচ্ছে। আর এই বিষয়টা নিয়ে বড় ছেলের প্রেমিকা চুমকি বেশ হাসাহাসি করছে কোন এক গাছের নিচে বসে। চুমকির কাছে নজর আলীর মেজো ছেলে এসেছিল সোনার বল সম্পর্কে জানতে সে কিছু জানে কিনা কিন্তু চুমকি আরও উল্টাপাল্টা বলে দিয়েছে। এতে বহর আলী কিন্তু আরো উত্তেজিত। তাই নজর আলীর বড় ছেলে চিন্তিত না জানি সত্য প্রকাশ হলে কোন ঝামেলা পড়তে হয়।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে নজর আলীর স্ত্রী তার কাছে জানতে এসেছে আজকের ডিম কয়টা রান্না করবো, চারটা নাকি কিন্তু নজর আলী রেগে তার বউকে বললো এক ডজন ডিম দাও গা। আমাকে অস্ট্রেলিয়ান গায় পেয়েছ না,মনের মতো সবাই মিলে দুয়াচ্ছো। এ সমস্ত কথা শুনে তার স্ত্রী রেগে গেল। সে বলল আমি অত কিছু জানতে চাই না কি করবো সেটা বলে দাও। এদিকে দুপুর হয়ে যাচ্ছে সকালের রান্নার খবর নেই, অবশেষে দেখা গেল তার স্বামীর কাছ থেকে রাগ করে সরে গেল কমলা বানু।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে হারাধন খুবই চিন্তিত, তাই তার মেয়ে প্রশ্ন করল কেন এত চিন্তা। হারাধন বলল তার একটা মাত্র বন্ধু সে বন্ধুর সাথে মনোমালিন্য হয়ে গেল স্বার্থের কারণে। এদিকে তার ছেলে বোকা, বাবাকে না জানিয়ে সোনার বল নজর আলীর ছেলেদের সাথে কোথায় কি করে বসল বাবাকেও জানালো না। কিন্তু এই দিকে দেখা যাচ্ছে শিবানী বিয়ের বিষয়ে ইঙ্গিতে তার বাবার কাছে বলছে যেহেতু ভূপেন তার হাতে একটি ফটো ধরিয়ে দিয়েছিল। ছেলেটা দেখতে শুনতে ভাল বিয়ে পাস। এই বিষয়টা কিন্তু হারাধন বুঝে উঠতে পারছিল না প্রথমত। পরবর্তীতে যখন সব বুঝতে পারল জানতে পারলো হারাধন আর্তনাদে ফেটে পড়লো। এক পর্যায়ে দেখা গেল মাথায় পানি ঢালছে।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে বহর আলী ভূপেন কে খুঁজতে খুঁজতে মজনুর দোকানে এসে উপস্থিত। কিন্তু মজনু দেখা গেল এমন ভাবে কথা বলছে, মনে হচ্ছে বহরের আগমনে তার দোকানে চাঁদ উঠে পড়েছে। মজনু তাকে চা বানানোর বিষয়ে প্রশ্ন করল কিন্তু বহর বললো তুই তো শুধু পানির ভিতরে চিনি ঢেলে করে দিচ্ছি চা বানানো তো সহজ এটা কি আর শেখা লাগে। মজনু তাকে বলল এক কাপ চা খেয়ে যা টাকা লাগবে না কিন্তু বহর বলল আমি তোর কাছে চা খেয়ে চায়ের নেশা তৈরি হয়ে যাক। সত্যি সুন্দর হাস্যকর কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে মজনুর দোকানে মানুষগুলো আনন্দ পেল। বহর মজনুর দোকানে বসে থাকল ভূপেন কে ধরার জন্য। চা বানানোর পর পাখতিগুলো মজনু যখন ফেলে দিচ্ছে তখন বহর বললো ওই পাতি দিয়ে তো এখনো চা বানানো যেত ফেলে নষ্ট করছিস কেন, মজনু উত্তর দিল তুই এগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যেয়ে বাড়ি রেখে দে, বিয়ের পর দেখা গেল তোর বউয়ের চায়ের নেশা রয়েছে বানিয়ে খাওয়াতে পারবে। সত্যি কৃপণ মানুষকে পেলে অনেক হাসির তামাশা করা যায় এমনটাই দেখা গেল মজনুর দোকানে বহর আলী কে পেয়ে। এদিকে মজনু প্যাচ মেরে বলে দিল জাব্বার আলীর গরুর গলার পোকা খসানোতে তিনটি কৃপণ এর মধ্যে তোর নাম ছিল, এই কথা শুনে বহর খুবই আনন্দ পেলাম।
🎆স্ক্রিনশট: ইউটিউব🎆
এদিকে ২ কৃপণের কুলাঙ্গার তিন ছেলে একসাথে ঘরে মধ্যে বসে গল্প করছে। তারা যে চিটারি তৈরি করেছে, নজর আলী জানামাত্র সমস্যা সৃষ্টি হবে। এদিকে ভূপেনের চিন্তাধারা ছিল শিবানীর বিয়ে দিয়ে দেওয়া। ঠিক এমন একটি মুহূর্তে নজর আলী তার ছোট ছেলে নহরকে ডাকা শুরু করলো। নহর বাইরে গেল যেহেতু তার বাবার কাছে ৫০০ টাকা চেয়েছিল কিন্তু নজর আলী ৫০০ না দিয়ে ২০০ টাকা হাতে দিল আর বলে দিল সোনার বল যেন নষ্ট না করে। সে খুব সুন্দর করে বুঝাতে থাকলো, তার বাবা গরিব মানুষ। তারপর জুলুম না করে ২০০ টাকা টাই রাখতে। নজর আলী সোনার বল দেখতে চাইলো কিন্তু তার ছেলে পুরা টাকা শোধ না করলে দেখাতে চাইলো না। আর এর মধ্য দিয়ে চতুর্দশ পর্বের সমাপ্ত হলো।
হাড় কিপটি নাটকের চতুর্দশ পর্বে লক্ষ্য করা যায় বহর আলী মজনুর দোকানে ভুবেনকে খোঁজার উদ্দেশ্যে এসে উপস্থিত হয়েছে প্রথমবারের মতো। তাই মজনু বিভিন্নভাবে তাকে কথা বলে মজা নিচ্ছে। পাশাপাশি মিথ্যা একটা প্যাচ লাগিয়ে দিল জব্বারের গরুর গলার সাথে তার নামে লেখা হয়েছিল। পাশাপাশি নজর আলী তার ছেলেদের কাছ থেকে সোনার বলটা পাওয়ার আশায় ছেলেদের ভাত খাওয়ার পাশাপাশি ডিমের তরকারি এবং ছোট ছেলের টাকা দেওয়াই উদ্বুদ্ধ হলো। অন্যদিকে হারাধন আর নজর আলীর মধ্যে বন্ধুত্বের ফাটল ধরেছে এই সোনার বলকে কেন্দ্র করে। ভূপেন মিথ্যা করে তার বোনকে একটি ছেলের ফটো ধরিয়েছে, বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। পাশাপাশি জানিয়েছিল তার বাবাকেও এই বিষয়টা জানানো হয়েছে, তার বাবার রাজি কিন্তু সেই কথাটা এখানে প্রকাশ পেয়ে গেল হারাধন বিয়ে দেওয়ার রাজি নয়। আর এরই মধ্য দিয়ে ভূপেনের বাড়িতে ভাত খাওয়ার বিষয়টা বন্ধ হওয়ার পথে। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো নতুন কিছু হাস্যরস খুঁজে পাবো।
৮.৭৫/১০
যেসব নাটকগুলো গ্রামাঞ্চল নিয়ে গঠিত এই সমস্ত নাটকগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আর আমার কাছে মনে হয় সে নাটকের মধ্যে অন্যতম নাটক হলো হারকিপটে। এই নাটকটা আমি অনেকবার দেখেছি। নাটকের এই পর্বটি পরে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এসব নাটকগুলো যতবার ইচ্ছা ততবার দেখলেও মন ভরবে না। সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই আমিও গ্রামীন নাটক বেশি পছন্দ করি
হাড় কিপটে নাটকটির ১০৪ পর্ব জানাছিল না। আমি তো একটি পর্ব দেখেছিলাম। খুবই মজা লেগেছিল। তখন ভেবেছিলাম যে এখানে নাটক শেষ। পরে যে এতগুলো পর্ব করেছে জানাই ছিল না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ১৪তম পর্ব উপস্থাপন করেছেন। প্রথম পর্বটা যেমন মজা লেগেছিল আমার কাছে এই ১৪ তম পর্বটাও একই রকম মজার মনে হল। সময় পেলে নাটকটি দেখতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এই নাটকের অনেকগুলো পর্ব
হাড় কিপটে নাটকটার ১৪ তম পর্ব আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার এই নাটকটার রিভিউ আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। কারণ আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকটার রিভিউ আমাদের মাঝে সব সময় তুলে ধরেন। এই নাটকটির রিভিউ আমি যত পড়ছিলাম, আমার কাছে ততই খুব ভালো লাগছিল। এই নাটকটার পরবর্তী পর্বের রিভিউ আশা করছি আমরা খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবো। সুন্দর করে রিভিউটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
নাটকটা খুবই হাস্যরসাত্মক
105 টা পর্বের মধ্য থেকে আপনি ১৪ টা পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আস্তে আস্তে। এভাবে আশা করছি আপনি সবগুলো পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। এই নাটকটার বেশিরভাগ পর্ব আমার পড়া হয়েছে। এখান তো দেখছি ভূপেনের বাড়িতে ভাত খাওয়ার বিষয়টা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। তবে যাই হোক পুরো কাহিনীটা কিন্তু খুবই ভালো লাগতেছে আমার কাছে।
আমি চেষ্টা করব সম্পূর্ণ নাটক আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে
পর্ব নাটক গুলো বেশি একটা দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। হাড় কিপটে নাটকের নাম শুনেছি কিন্তু কখনো দেখা হয়নি। তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
সুযোগ করে দেখার চেষ্টা করবেন খুবই ভালো লাগে নাটকটা।
হাড় কিপটে ধারাবাহিক নাটকের প্রত্যেকটি পর্ব আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে হাড়কিপটে নাটকের ১৪তম পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। হাড়কিপটে নাটকে দুই কিপটে তার সন্তানদের ভাত বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বেশ হাস্যকর লাগে আমার কাছে। যাহোক, দারুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ জনপ্রিয় বাংলাদেশের সুন্দর একটি নাটক
ভাইয়া আপনি দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকের ১৪তম পর্ব রিভিউ শেয়ার করে ফেললেন। এই নাটকটি কত পর্বের সেটাও আমি জানি না। তবে নাটকটি যত দেখি ততই হাসিঁ পায়। কিভাবে এমন অভিনয় করে মানুষ। চঞ্চলের অভিনয় গুলো বেশ দারুন। ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় এই জাতীয় নাটকগুলো সর্ব শ্রেণীর মানুষের জন্যই উত্তম