আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি অনুগল্প নিয়ে। যেখানে চারটা বিষয় তুলে ধরতে চলেছি আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে এই ছোট ছোট গল্পগুলো পড়বেন এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই চলুন দেরি না করে এখনি গল্প চলে যায়।
বাংলালিংক সিম কেনার অনুভূতি |
কিছুদিন ধরে ভ্রাম্যমান সিম বিক্রেতাদের লক্ষ্য করছি বাড়ির আশপাশ দিয়ে খুব সুন্দর মাইকিং করে যাচ্ছে বাংলালিংক অথবা গ্রামীন সিমের অফার। আমিও বেশ কিছুদিন ধরে বাংলালিংক সিম কিনবো বলে চেয়ে রয়েছি সুযোগ সাপেক্ষে কিনব। একদিন হেমায়েতপুর বাজারে লক্ষ্য করে দেখলাম সিম বিক্রয় করছে কিন্তু সময় সাপেক্ষে তা কিনতে পারলাম না এরপরে আমাদের গ্রামে এমন সিম বিক্রেতা গিয়েছিল গ্রামে গ্রামে বিক্রয় করে বেড়াচ্ছে আমি এই মুহূর্তে পুকুরে অবস্থান করছিলাম এরপরেও পুকুর থেকে উঠে এসে সিম বিক্রেতা তাদের কাছে এসেছিলাম তখন তারা বলেছিল সিম ফ্রি শুধু ৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে তাহলে ব্যালেন্সে দশ টাকা আসবে এবং ১০ জিবি ইন্টারনেট এবং ১০০ মিনিট ফ্রি। একটা সিম নম্বর খুব পছন্দ হয়েছিল আমার কিন্তু তখন আমি তাদের আশ্বাস দিতে পারছিলাম না সিমটা নেব কিনা। এই মুহূর্তে পুকুর থেকে উঠে এসেছি বলে প্রচন্ড গা চুলকাচ্ছিল। দেখছিলাম অনেকে সিম কিনছে তাই সিমটা পছন্দ করে রেখে বাসায় চলে গেছিলাম। এরপরে গোসল সেরে এসে দেখি তারা চলে গেছে, তাই খুব পস্তানো হয়েছিল আমার। কারণ সিম নম্বরটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল এরপর থেকে আশায় ছিলাম যেখানে যখনই পায় না কেন সিম কিনবই। যাইহোক শেষমেষ হেমায়েতপুর বাজারে হাটের দিনে যখন আমি আমার শ্বশুরের দোকানে অবস্থান করছিলাম এই মুহূর্তে হঠাৎ দেখি মাইকিং চলছে টিটু ভাইয়ের দোকানে বাংলালিংক সিমের মেলা। আমি আর দেরি না করে তখন চলে গেলাম সেই দোকানে। যেয়ে দেখলাম সবে মাত্র সিম বিক্রয় করা শুরু করেছে, সম্ভবত আমি প্রথম কিনলাম। দেখলাম যে একটি সিম না কিনে দুইটা কিনে রাখাটাই উত্তম। তাই দুইটা সিম কিনে ফেললাম। আর সাথে সাথে দুইটা সিমে পেয়ে গেলাম ১০ দোকানে ২০ জিবি ইন্টারনেট ১৫ দিন মেয়াদ। ১০০ আর ১০০ মোট ২০০ মিনিট ফ্রি। দুই সিমে মল ব্যালেন্স ১০ আর ১০ মোট ২০ টাকা। মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে। এভাবেই সিম কেনার কার্যক্রম সম্পন্ন হল।



Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
দেখতে পাচ্ছেন আপনাদের প্রিয় মুস্তাফিজুর ফুল গাছ লাগানোর জন্য গর্ত খুঁড়ছে। ঠিক এই মুহূর্তে আমি আর মুস্তাফিজুর দুজন মিলেই গর্ত খুঁড়ছিলাম। যখন আমি হাফিয়ে যাচ্ছিলাম তখন রেস্ট নিছিলাম, আবার যখন মুস্তাফিজুর হাফিয়ে যাচ্ছিল তখন ও রেস্ট নিচ্ছিল। তবে বলতে পারেন পাশের ম্যাডামরা কি করছিল থালা হাতে দাঁড়িয়ে। ম্যাডামদের দায়িত্ব ছিল প্রত্যেক গর্তের মাটিগুলো থালা ভরে সাইডে দিয়ে একটু আল বেঁধে দেওয়া। তাই তারা মাটিগুলো হেঁটিয়ে জায়গা পরিষ্কার করছিল। এভাবে সকলে মিলে সম্পন্ন করা হচ্ছিল ফুলগাছ লাগানোর প্রাথমিক পর্যায়েটা। স্কুল বাগানে ফুল গাছ লাগানো বলে কথা। কেমন জানি শীতকালীন ফুল গাছ লাগানোর প্রতি আমাদের সকলের খুব ঝোক হয়েছিল। আর তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম এখানে ফুলে ফুলে ভরে তুলবো। তাই পাশাপাশি অনেক গর্ত খুঁড়ছিলাম এভাবেই।




Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
বামুন্দী বাজার গাংনি মেহেরপুর, এই বাজারটা আশেপাশে এলাকার স্বনামধন্য একটি জায়গা যেখানে সকল প্রকার মৃত্যু প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে গবাদি পশু জামাকাপড় সহ বিভিন্ন প্রকার জিনিস বেচাকেনা হয়। শুক্রবার আর সোমবারে এখানে বাজার বসে। তবে এই বাজারে বেশ কিছু লোকের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে তার মধ্যে এই গুহাটির প্যান্ট বিক্রেতা। উনি যে শুধু এই হাতের প্যান্ট বিক্রয় করে তা নয় কুষ্টিয়াতে তার একটি মার্কেট রয়েছে এরপরে কেন জানি এখানে বিক্রয় করতে আসে। এই বিষয়টা আমি তার কাছে প্রশ্ন করেছিলাম। উনি একটা কথা আমাকে বলেছিলেন। বলেছিলেন যারা ছোট থেকে বড় হয় তারা সেই পিছনের দিকে বেশি নজর রাখে। আমি প্রথমত এমন ভাবেই প্যান্ট বিক্রয় করতাম এরপরে কুষ্টিয়াতে সুন্দর একটি মার্কেট দিয়েছি তবে লক্ষ্য করে দেখেছি কুষ্টিয়া মার্কেট এর চেয়ে এমন বাইরে প্যান্ট বিক্রয় আমার বেশি ভালো হয় এবং লাভ বেশি হয়ে থাকে। আর এই দুইটা মিলেই আমি এই ব্যবসায় ভালো লাভ করতে পারি এবং ভালো উপার্জন হয়। এই মানুষটার সাথে আমার দীর্ঘদিন পরিচয় একদম ছোটবেলায় আব্বা আমাদের জামাকাপড় কেনার জন্য যখন বামুন্দি বাজারে আসতো তখন উনার কাছ থেকেই জিন্সের প্যান্ট কিনে দিত। এখন বড় হয়ে গেছি দীর্ঘ বছর আব্বার সাথে নিয়ে আসেনা আমাদের আমরা নিজেরাই আসি কিন্তু আজ পর্যন্ত যখন বামুন্দিবাজারে এসে থাকি তখন উনার সাথে দেখা করি আর ভালো পর্যায়ের প্যান্ট থাকলে পরে দু একটা করে কিনে থাকি। গাংনী মার্কেট থেকে প্যান্ট কিনে ও যেন তেমন একটা সুবিধা হয় না। তিনি উনার মার্কেটের ভালো প্যান্ট নিয়ে আসেন পাশাপাশি নরমাল গুলো নিয়ে আসেন যেহেতু ব্যবসা করতে হলে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় জিনিস কাছে থাকা উচিত। তবে যে মুহূর্তে ভাল জাতীয় প্যান্ট গুলো বিক্রয় হয়ে যায় এই মুহূর্তে যদি তার কাছে উপস্থিত হয় তখন উনি আমাদের বলেন সামনের দিন মোবাইল করবে আমি ভালো তা নিয়ে এসে দেবো তোমাদের। আর ঠিক এভাবেই তার সাথে সুন্দর সুসম্পর্ক এবং যখন প্যান্ট কিনতে যায় কোন আবোল তাবোল দাম বলে না আমাদের কাছে হয়তো অন্যদের কাছে দাম বেশি বলে বসে কিন্তু আমাদের কাছে যেমন একটা বাধায় না।


Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
প্রত্যেকটা বছর আমি বৃক্ষরোপন করে থাকি। এবার বর্ষাকাল আসার শুরুতেই আমি কিন্তু নারিকেল গাছের চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন করেছিলাম। এই পর্যন্ত তিনটা নারিকেল গাছ লাগানো হয়ে গেছে। একটা বেল গাছ একটি বাদাম গাছ এক স্থান থেকে তুলেছি তবে নিজে লাগানো হয়নি আরেকজনকে দিয়ে লাগানো হয়েছে। আর আপনারা তো জানেন আমি সবজি চাষ করতে পছন্দ করি তাই অনেক সবজি গাছ এর বীজ লাগিয়ে সবজি গাছ তৈরি করেছি অবশ্য সে বিষয়টা না হয় বাদই দিলাম, তবে সামনে কিছুদিনের মধ্যে অনেকগুলো কলা গাছ লাগাতে হবে সেই কার্যক্রমটার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে কলা গাছ বলতে ছোট ছাড়া নয় বড় বড় কলা গাছগুলো লাগাতে হবে কুকুরের বাড়িতে ছোট গাছ লাগালে ছাগলে এসে খেয়ে যায় তাই বড়গাছ লাগিয়ে ই কলা ঝাড় তৈরি করতে হবে পুকুর পাড়ে। যদি এর পাশাপাশি আরো সুযোগ হয় তাহলে অন্যান্য গাছে লাগাবো। যেহেতু নারিকেল গাছ বাড়িতে লাগানো হয়ে গেছে, এবার দুইটা আমড়া গাছ ও আম গাছ লাগানোর আসা রয়েছে, দেখি কবে তা সম্পন্ন হতে পারে। ইনশাল্লাহ যদি গাছ লাগাই তাহলে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করব এতে আপনারা উৎসাহিত হবেন বৃক্ষ রোপনের প্রতি।




Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
