পবিত্র শুক্রবার উপলক্ষে সকলকে জানাই মধু মাসের ফলের শুভেচ্ছা

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আজ - শুক্রবার

০২ আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৬ জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম

IMG_20230505_061308_365.jpg




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। পবিত্র জুম্মার দিনে আপনাদের মাঝে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর জন্য উপস্থিত হয়ে থাকি।গতদিনের লক্ষ্য করেছেন আমি প্রত্যেক জুম্মার দিনে বিভিন্ন প্রকার ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হয়, আজকে কিন্তু একটু ব্যতিক্রম। আমরা জানি জৈষ্ঠ মাস মধুমাস আর এই মধুমাসে বিভিন্ন প্রকার ফল পাওয়া যায় আমাদের দেশে এবং আমাদের নিজ নিজ বাড়িতে। তাই আমি এই মধু মাসের কিছু ফল এর শুভেচ্ছা নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি সকলে সাদরে গ্রহণ করবেন।



ফটোগ্রাফি সমূহ:


প্লে শ্রেণীর বাচ্চাদের যদি প্রশ্ন করা যায় ফলের রাজা কি তারা বলে বসবে আম। আম যে এতটাই জনপ্রিয় একটি ফল আমাদের বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্য করা যায় হয় আম গাছে আম আছে অথবা কিনে এনে পরিবারের পরিজনের সামনে পরিবেশন করেছে। তাই এই মধু মাসের সবচেয়ে প্রিয় ফল আমটা প্রথমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম আমার নিজ বাড়ির নিজ গাছ থেকে ফটোগ্রাফি করে। আশা করি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে অতি চমৎকার মনে হয়েছে তবে এই গাছটি কিন্তু মাত্র তিন বছর আগে লাগানো প্রথম বছর থেকে ফল আসা শুরু করেছে এত সুন্দর সৌভাগ্যজনক ফলের গাছ খুব কমই দেখা যায়। যারা আম বেশি পছন্দ করেন এবং আম খান অবশ্যই তারা বলতে পারবেন এটা কোন জাতের আম। আশা করি এই আম আপনারও অতি প্রিয় হবে। দেখতেই পারছেন চমৎকার আমের দৃশ্য একদম মাটির অতি নিকটে, ছোট বাচ্চারাও নিচ থেকে হাত দিয়ে ছুড়াতে পারে। তাই অনেক আম পাড়ার ছেলেপিলেতে ছুঁড়ে নিয়ে গেছে। এতেও দুঃখ নাই যদি কোন ছেলেপেলে আম ছুড়িয়ে আনন্দ পায়, তার মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা নিহিত। কারণ এমন কার্যক্রম হয়তো আমরাও করেছি ছোটবেলায় যা আজ সরনে নেই।

IMG_20230505_063924_954.jpg

IMG_20230505_063532_654.jpg


এ পর্যায়ে আপনারা লক্ষ্য করছেন ডালিমের দৃশ্য। হয়তো এর কিছুটা ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, যা আপনাদের বললে আপনাদের মন ভরে যাবে। হালকা কিছু বলি। আমি নতুন কিছু উৎপাদন করতে,তৈরি করতে, ফলাতে পছন্দ করি। আমাকে একটি বেদানার কিছুটা অংশ খেতে দেয়া হয়েছিল। এতটাই সাধের ছিল যে মনে হয়েছিল এমন গাছ যদি আমার বাড়িতে থাকত তাহলে যখন তখন না জানি কত বেদানা খেতে পারতাম। যখন বেদনার কোয়াগুলো খাচ্ছিলাম তখন তা থেকে কিছু বীজ রেখে দিয়েছিলাম এবং সারা দিয়েছিলাম সেই থেকে অনেকগুলো বেদানার গাছ হয়ে গেছিল। জানিনা বেদানার আপনারা কি নামে জানেন যেটা ডালিমের আকৃতিতে দেখতে একটু বড় সাইজের হয়ে থাকে ঠিক তার কথায় বলছিলাম। গত বছর থেকে আমাদের বেদনা গেছে কিন্তু বেশ বেদানা ধারা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি লক্ষ্য করলাম আমার চাচাতো ভাই বেদানা গাছ লাগিয়েছে। তাদের গাছে মোটামুটি ধরা শুরু হয়েছে। হয়তো একজন থেকে আরেকজন, আরেকজন থেকে অন্যজন উৎসাহিত হয়ে এভাবেই উৎপাদন করে আসছে এমন অনেক কিছু। আর নিজের হাতে উৎপাদিত কোন ফল খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম হয়ে থাকে। আশা করি আপনারা উৎসাহিত হয়ে নিজের হাতে ফল গাছ লাগিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

IMG_20230505_063832_593.jpg

IMG_20230505_063904_229.jpg

IMG_20230505_064106_506.jpg


ছোটবেলায় কোন একদিন আব্বার সাথে হাতে হাত রেখে লাগিয়েছিলাম এ লেবু গাছের চারাটি। দিনগুলো কবেই জানি পার হয়ে গেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত বেঁচে রয়েছে এই লেবু গাছ। অনেক সুন্দর হয়েছে গাছের আকৃতি। মোটামুটি বেশ সুন্দর লেবু ধরে থাকে এই গাছে। অবশ্য এই গাছ থেকে একটি আলাদা কলম করে আমি আলাদা জায়গায় গাছ লাগিয়েছি সব মিলে দারুন হয়েছে গাছের দৃশ্য। খুবই ভালো লাগে এই গাছের লেবুগুলো খেতে। এই প্রচন্ড গরমের দিনে খাবারের থালে এক বা দুই ফালি লেবু শরীরের জন্য বড় উপকার।

IMG_20230505_064559_980.jpg


এটা আমাদের নিজের বাড়ির কাঁঠাল গাছের কাঁঠালের ফটোগ্রাফি। আজ থেকে ১৫ বছর আগে এই কাঁঠাল গাছটি লাগানো হয়েছিল। ইনশাল্লাহ প্রতি বছর মোটামুটি ১০ থেকে ৩০ টা পর্যন্ত কাঁঠাল ধরে থাকে। এই কাঁঠাল রান্না তরকারি হিসেবে এবং পাকা খাওয়া হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। মোটামুটি অনেক স্বাদের কাঁঠাল। তরকারি যেমন সাজের হয়ে থাকে, পাকা কাঁঠাল হিসেবে অনেক সাধের হয়ে থাকে। আশা করি আমার নিজের গাছের কাঁঠাল দেখতে বেশ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

IMG_20230505_063659_085.jpg



সর্বশেষে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার নিজের গাছের পেয়ারা নিয়ে। আমাদের বাড়িতে তিন চার রকমের পেয়ারা গাছ রয়েছে, তার মধ্যে এটা একটি। এ পেয়ারাটা অনেক বড় বড় হয়ে থাকে এবং অতি সুস্বাদু, যা আমাদের ঘরের সামনেই গাছটি অবস্থিত তাই যখন ইচ্ছা তখন গাছ থেকে পেড়ে পাকা পেয়ারা খাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে নিজের বাড়ির আঙিনায় এভাবে গাছ লাগিয়ে পাকা পেয়ারা খুব সহজে খেতে পারেন। আর পেয়ারা গাছে খুব সহজে কিন্তু কলম বাধা যায় যদি চেষ্টা করেন কলম বেঁধে নিতে পারেন ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে। তাহলে বিভিন্ন প্রকার পেয়ারা তৈরি করে খাওয়া সম্ভব হবে খুব সহজে। আশা করি আমার এই পেয়ারা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

IMG_20230505_064648_195.jpg


R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Sort:  
Loading...
 last year 

আপনাকেও ভাই মধু মাসের শুভেচ্ছা জানাই। আসলে চারদিকে এখন আম কাঁঠাল লিচু ফলের সুমিষ্ট পাওয়া যাচ্ছে। লিচু আর আম খুবই প্রিয়। ডালিম ফলের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান খুবই ভালো লাগলো মধু মাসের শুভেচ্ছা পেয়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
SBD 3.04